
বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে