রিদওয়ানুল ইসলাম, ঢাকা
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর, কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। সৌদি আরবের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় মেসি বাহিনী। সে পরাজয়ে মেসির শোকাহত স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
মেসির হতাশামাখা কয়েকটি ছবি জুড়ে দিয়ে হৃদয়ভাঙার ইমোজিসহ সে পোস্ট করা হয়েছিল ফেসবুকে। রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সেই পোস্ট দেখে আমাদের দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম ‘আর্জেন্টিনার পরাজয়ে মেসির স্ত্রীর হৃদয়ভাঙা পোস্ট’ শিরোনামে সংবাদও প্রচার করে। কিন্তু যাচাই করে পরে জানা যায়, মেসির স্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টই আদতে নেই!
যে অ্যাকাউন্ট থেকে ‘হৃদয়ভাঙা’র পোস্ট দেওয়া হয়েছিল, সেটি তাঁর নামে খোলা ভুয়া পেজ। কীভাবে জানা গিয়েছিল সেই সংবাদ?
একটু সচেতন হলে ফেসবুক পেজগুলো থেকে সেই পেজ সঠিক নাকি ভুয়া, তার তথ্য পাওয়া যায়।
যা করতে হবে
যেকোনো ফেসবুক পেজ নিয়ে সন্দেহ হলে যেতে হবে সেই পেজের অ্যাবাউট সেকশনে। এই সেকশনে আছে ‘পেজ ট্রান্সপারেন্সি’ নামের একটি বিভাগ। সেখানে ঢুকলেই জানা সম্ভব পেজটি কোন তারিখে খোলা হয়েছে, কোথা থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে, পেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে কোন তারিখে কোন নাম বদলানো হয়েছে—এমন সব তথ্য।
রোকুজ্জোর নামে খোলা পেজটির ক্ষেত্রে দেশীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পেজটি পরিচালনা করা হতো দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ কসোভা ও জার্মানি থেকে। অনুসন্ধিৎসু মনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, মেসির স্ত্রীর পেজ কেন এই দুই দেশ থেকে পরিচালনা করা হবে? পরে রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম সূত্রে জানা যায়, তাঁর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই।
আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেসির স্ত্রীর নামে বাংলাদেশ থেকে চালানো হতো একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। সেটিও জানা গিয়েছিল পেজ ট্রান্সপারেন্সির মাধ্যমে। আরও একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। সরকারি চাকরির পড়াশোনা ও প্রকাশনাসংক্রান্ত ফেসবুকের একটি জনপ্রিয় পেজ হলো বিসিএস আসাদ সিরিজ।
এই পেজ খোলা হয় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় পেজটির নাম ছিল মাহিয়া আক্তার। পরে একাধিকবার নাম পরিবর্তন করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেজটির বর্তমান নাম দেওয়া হয়।
এ তো গেল পেজের কথা। রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামেও খোলা হয় ভুয়া অ্যাকাউন্ট। সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয় প্রোপাগান্ডা। এসব প্রোপাগান্ডা শনাক্তে থাকতে হবে অনুসন্ধানী মন। এমন কারও নামে খোলা অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড
হলেও দেখামাত্র বিশ্বাস করা যাবে না। কোনো অ্যাকাউন্ট সঠিক বলে ধরে নেওয়ার আগে সেটির দৈনন্দিন কার্যক্রম, কনটেন্ট প্রচারের ধরন, ভাষা, বানান ব্যবহার প্রভৃতি বিষয় দেখে নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে মাসুদ রানা বা জেমস বন্ডকে না ডেকে নিজেই হয়ে উঠুন গোয়েন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর, কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। সৌদি আরবের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় মেসি বাহিনী। সে পরাজয়ে মেসির শোকাহত স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
মেসির হতাশামাখা কয়েকটি ছবি জুড়ে দিয়ে হৃদয়ভাঙার ইমোজিসহ সে পোস্ট করা হয়েছিল ফেসবুকে। রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সেই পোস্ট দেখে আমাদের দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম ‘আর্জেন্টিনার পরাজয়ে মেসির স্ত্রীর হৃদয়ভাঙা পোস্ট’ শিরোনামে সংবাদও প্রচার করে। কিন্তু যাচাই করে পরে জানা যায়, মেসির স্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টই আদতে নেই!
যে অ্যাকাউন্ট থেকে ‘হৃদয়ভাঙা’র পোস্ট দেওয়া হয়েছিল, সেটি তাঁর নামে খোলা ভুয়া পেজ। কীভাবে জানা গিয়েছিল সেই সংবাদ?
একটু সচেতন হলে ফেসবুক পেজগুলো থেকে সেই পেজ সঠিক নাকি ভুয়া, তার তথ্য পাওয়া যায়।
যা করতে হবে
যেকোনো ফেসবুক পেজ নিয়ে সন্দেহ হলে যেতে হবে সেই পেজের অ্যাবাউট সেকশনে। এই সেকশনে আছে ‘পেজ ট্রান্সপারেন্সি’ নামের একটি বিভাগ। সেখানে ঢুকলেই জানা সম্ভব পেজটি কোন তারিখে খোলা হয়েছে, কোথা থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে, পেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে কোন তারিখে কোন নাম বদলানো হয়েছে—এমন সব তথ্য।
রোকুজ্জোর নামে খোলা পেজটির ক্ষেত্রে দেশীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পেজটি পরিচালনা করা হতো দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ কসোভা ও জার্মানি থেকে। অনুসন্ধিৎসু মনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, মেসির স্ত্রীর পেজ কেন এই দুই দেশ থেকে পরিচালনা করা হবে? পরে রোকুজ্জোর ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম সূত্রে জানা যায়, তাঁর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই।
আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেসির স্ত্রীর নামে বাংলাদেশ থেকে চালানো হতো একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। সেটিও জানা গিয়েছিল পেজ ট্রান্সপারেন্সির মাধ্যমে। আরও একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। সরকারি চাকরির পড়াশোনা ও প্রকাশনাসংক্রান্ত ফেসবুকের একটি জনপ্রিয় পেজ হলো বিসিএস আসাদ সিরিজ।
এই পেজ খোলা হয় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় পেজটির নাম ছিল মাহিয়া আক্তার। পরে একাধিকবার নাম পরিবর্তন করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেজটির বর্তমান নাম দেওয়া হয়।
এ তো গেল পেজের কথা। রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামেও খোলা হয় ভুয়া অ্যাকাউন্ট। সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয় প্রোপাগান্ডা। এসব প্রোপাগান্ডা শনাক্তে থাকতে হবে অনুসন্ধানী মন। এমন কারও নামে খোলা অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড
হলেও দেখামাত্র বিশ্বাস করা যাবে না। কোনো অ্যাকাউন্ট সঠিক বলে ধরে নেওয়ার আগে সেটির দৈনন্দিন কার্যক্রম, কনটেন্ট প্রচারের ধরন, ভাষা, বানান ব্যবহার প্রভৃতি বিষয় দেখে নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে মাসুদ রানা বা জেমস বন্ডকে না ডেকে নিজেই হয়ে উঠুন গোয়েন্দা।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৫ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১০ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১২ ঘণ্টা আগে