মেজবাহ নূর, ঢাকা

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।
মেজবাহ নূর, ঢাকা

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১ দিন আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১ দিন আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১ দিন আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে