আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববিখ্যাত মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইতে সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে শত শত ভুয়া পডকাস্ট, যেগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো মাদক বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্রে কড়া নজরদারির মধ্যে এ ঘটনা প্রযুক্তিজগতের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।
বিজনেস ইনসাইডার (বিআই) প্রথম খবর প্রকাশ করে যে, স্পটিফাই অন্তত ২০০ ভুয়া পডকাস্ট সরিয়ে ফেলেছে, যেগুলোতে ওপিওইডসসহ বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন ড্রাগ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল। সিএনএন জানিয়েছে, তারা আরও ডজনখানেক ভুয়া পডকাস্ট খুঁজে পেয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলোই মাসের পর মাস সক্রিয় ছিল।
পডকাস্টগুলোর কিছু শিরোনাম শুনেই সন্দেহ জাগার কথা—যেমন: ‘মাই অ্যাডেরাল স্টোর’, ‘এক্সট্রাফার্মা ডটকম’ বা কোনো পর্বের নাম ‘অর্ডার কোডিন অনলাইন সেফ ফার্মেসি লুইজিয়ানা’। অনেক পডকাস্টেই কৃত্রিম কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছে, কিছু আবার মাত্র ১০ সেকেন্ড দীর্ঘ। এমনকি কিছু পর্বে কোনো অডিওই ছিল না।
সিএনএন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির ফলে অডিও ও ভয়েস তৈরি এখন অনেক সহজ হয়েছে। একই সঙ্গে টেক্সট-টু-স্পিচ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটায় অতি দ্রুত ভুয়া পডকাস্ট তৈরি করা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজ। এসব পডকাস্ট থেকে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, যেগুলো প্রতারণামূলক সাইট কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবৈধ ওষুধ বিক্রির বাজারও হতে পারে। তবে সিএনএন ও বিজনেস ইনসাইডার কেউই নিশ্চিত হতে পারেনি, ওই সাইটগুলো থেকে সত্যিই ওষুধ কেনা সম্ভব কি না।
সিএনএন জানিয়েছে, অনলাইন থেকে কেনা ওষুধ সেবনের ফলে একাধিক কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদকের ডোজ নেওয়ার কারণে। এ ঘটনায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাণঘাতী মাদকের প্রবাহ ঠেকাতে কঠোর শুল্ক আরোপ করেন এবং এই সংকটকে তিনি ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
সিএনএন জানিয়েছে, কখনো কখনো স্পটিফাইয়ের কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা এসব ভুয়া পডকাস্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
‘টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট’-এর পরিচালক কেটি পল বলেন, ‘মাদক বেচার ভুয়া পডকাস্টগুলো ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রবল আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, এ ধরনের ভুয়া পডকাস্টসহ ব্যবহারকারীদের তৈরি অনেক কনটেন্টের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাধারণত কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন (সেকশন ২৩০) তাদের এসব বিষয় থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দেয়।
কেটি পলের মতে, স্পটিফাই যদি পুরো প্ল্যাটফর্মে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও চায়, তবু তারা হয়তো এই প্রবণতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। কারণ এগুলো কণ্ঠভিত্তিক কনটেন্ট হওয়ায় সেগুলো মডারেশন বা পর্যবেক্ষণ করা অনেক বেশি কঠিন।
সিএনএন জানিয়েছে, ঠিক কতজন স্পটিফাই ব্যবহারকারী এসব ভুয়া পডকাস্টে প্রবেশ করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে যেটা জানা গেছে, এসব পডকাস্ট বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন ওষুধের নাম দিয়ে খুঁজলে তা সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকেই দেখা যাচ্ছিল, যা অনেক ব্যবহারকারী বৈধ স্বাস্থ্যবিষয়ক পডকাস্ট খুঁজতে গিয়ে দেখে থাকতে পারেন।
স্পটিফাইয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব ভুয়া পডকাস্ট সংবাদমাধ্যমগুলো চিহ্নিত করেছে, সেগুলো অবৈধ বা স্প্যাম কনটেন্ট হিসেবে বিবেচনা করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের কনটেন্ট আবার উঠে আসতে পারে কি না, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি তিনি।
কোম্পানিটির মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে নিয়ম ভঙ্গকারী কনটেন্ট শনাক্ত ও সরাতে সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছি।’
বিশ্ববিখ্যাত মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইতে সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে শত শত ভুয়া পডকাস্ট, যেগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো মাদক বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্রে কড়া নজরদারির মধ্যে এ ঘটনা প্রযুক্তিজগতের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।
বিজনেস ইনসাইডার (বিআই) প্রথম খবর প্রকাশ করে যে, স্পটিফাই অন্তত ২০০ ভুয়া পডকাস্ট সরিয়ে ফেলেছে, যেগুলোতে ওপিওইডসসহ বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন ড্রাগ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল। সিএনএন জানিয়েছে, তারা আরও ডজনখানেক ভুয়া পডকাস্ট খুঁজে পেয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলোই মাসের পর মাস সক্রিয় ছিল।
পডকাস্টগুলোর কিছু শিরোনাম শুনেই সন্দেহ জাগার কথা—যেমন: ‘মাই অ্যাডেরাল স্টোর’, ‘এক্সট্রাফার্মা ডটকম’ বা কোনো পর্বের নাম ‘অর্ডার কোডিন অনলাইন সেফ ফার্মেসি লুইজিয়ানা’। অনেক পডকাস্টেই কৃত্রিম কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছে, কিছু আবার মাত্র ১০ সেকেন্ড দীর্ঘ। এমনকি কিছু পর্বে কোনো অডিওই ছিল না।
সিএনএন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির ফলে অডিও ও ভয়েস তৈরি এখন অনেক সহজ হয়েছে। একই সঙ্গে টেক্সট-টু-স্পিচ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটায় অতি দ্রুত ভুয়া পডকাস্ট তৈরি করা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজ। এসব পডকাস্ট থেকে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, যেগুলো প্রতারণামূলক সাইট কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবৈধ ওষুধ বিক্রির বাজারও হতে পারে। তবে সিএনএন ও বিজনেস ইনসাইডার কেউই নিশ্চিত হতে পারেনি, ওই সাইটগুলো থেকে সত্যিই ওষুধ কেনা সম্ভব কি না।
সিএনএন জানিয়েছে, অনলাইন থেকে কেনা ওষুধ সেবনের ফলে একাধিক কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদকের ডোজ নেওয়ার কারণে। এ ঘটনায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাণঘাতী মাদকের প্রবাহ ঠেকাতে কঠোর শুল্ক আরোপ করেন এবং এই সংকটকে তিনি ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
সিএনএন জানিয়েছে, কখনো কখনো স্পটিফাইয়ের কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা এসব ভুয়া পডকাস্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
‘টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট’-এর পরিচালক কেটি পল বলেন, ‘মাদক বেচার ভুয়া পডকাস্টগুলো ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রবল আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, এ ধরনের ভুয়া পডকাস্টসহ ব্যবহারকারীদের তৈরি অনেক কনটেন্টের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাধারণত কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন (সেকশন ২৩০) তাদের এসব বিষয় থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দেয়।
কেটি পলের মতে, স্পটিফাই যদি পুরো প্ল্যাটফর্মে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও চায়, তবু তারা হয়তো এই প্রবণতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। কারণ এগুলো কণ্ঠভিত্তিক কনটেন্ট হওয়ায় সেগুলো মডারেশন বা পর্যবেক্ষণ করা অনেক বেশি কঠিন।
সিএনএন জানিয়েছে, ঠিক কতজন স্পটিফাই ব্যবহারকারী এসব ভুয়া পডকাস্টে প্রবেশ করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে যেটা জানা গেছে, এসব পডকাস্ট বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন ওষুধের নাম দিয়ে খুঁজলে তা সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকেই দেখা যাচ্ছিল, যা অনেক ব্যবহারকারী বৈধ স্বাস্থ্যবিষয়ক পডকাস্ট খুঁজতে গিয়ে দেখে থাকতে পারেন।
স্পটিফাইয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব ভুয়া পডকাস্ট সংবাদমাধ্যমগুলো চিহ্নিত করেছে, সেগুলো অবৈধ বা স্প্যাম কনটেন্ট হিসেবে বিবেচনা করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের কনটেন্ট আবার উঠে আসতে পারে কি না, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি তিনি।
কোম্পানিটির মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে নিয়ম ভঙ্গকারী কনটেন্ট শনাক্ত ও সরাতে সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতই চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় বাজার। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এ কথা জানান ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান। এবার তিনি জানালেন, ভারতে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে এ বছরের শেষের দিকে রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রথম কার্যালয় খুলতে যাচ্ছে ওপেনএআই।
১৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, এই দায়িত্ব পাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছিলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী দাঁড়িয়েই আছে পৌরুষের ওপর ভর করে। এটি কোনোভাবেই খারাপ কিছু নয়, এটি দরকারি।’ তবে ট্রাম্পের প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে সিন
১৯ ঘণ্টা আগেএকসময় ভিডিও কনটেন্টের ক্ষেত্রে ছিল ইউটিউবের রাজত্ব সীমাবদ্ধ। তবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও দিয়ে এ রাজত্বে ভাগ বসিয়েছে টিকটক। সারা বিশ্বে কয়েক শ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর এ প্ল্যাটফর্ম কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে ব্র্যান্ড, কনটেন্ট ক্রিয়েটর
১ দিন আগেসরকারি সেবার একক পোর্টাল মাইগভ-এ গত ১০ মাসে বিদেশগামী অথবা বিদেশে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নানা ধরনের ১০ লাখ ই-অ্যাপোস্টিল সত্যায়ন হয়েছে। গতকাল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রকল্প অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ দিন আগে