নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বর্তমানে ১৮ কোটির বেশি মোবাইল সিম সচল আছে। কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত নন। ইন্টারনেটে যুক্ত না থাকা গ্রাহকের অনুপাত ৫৪ শতাংশ। মূলত তাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না। এত সংখ্যক গ্রাহককে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে না পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব)।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ।
এমটব সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এখনো দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটের বাইরে রয়েছেন। যদিও ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগসেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নসহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটসেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটররা ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনার সময় টেলিযোগাযোগ-বিশেষজ্ঞ টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরিকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে। কেবল রেগুলেশন আর লাইসেন্স দিলেই হবে না, চাই সমন্বিত উদ্যোগ।’
গ্রাহকেরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই গ্রাহকেরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন, আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন—সেটা কীভাবে সম্ভব?’
বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত বিশ্বের সেবার সঙ্গে আমাদের তুলনা দেওয়া হয়, অথচ উন্নত দেশের রেগুলেশন অনুযায়ী আমাদের রেগুলেশন নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয় না। ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।’
সভায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন এমটবের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সরকারের যে লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের, তাতে আমরা অংশীজন হিসেবে সরকারকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পরেও তাঁরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।’
মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ রেগুলেটরি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকসহ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিকেরাও।
দেশে বর্তমানে ১৮ কোটির বেশি মোবাইল সিম সচল আছে। কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত নন। ইন্টারনেটে যুক্ত না থাকা গ্রাহকের অনুপাত ৫৪ শতাংশ। মূলত তাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না। এত সংখ্যক গ্রাহককে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে না পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব)।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ।
এমটব সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এখনো দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটের বাইরে রয়েছেন। যদিও ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগসেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নসহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটসেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটররা ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনার সময় টেলিযোগাযোগ-বিশেষজ্ঞ টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরিকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে। কেবল রেগুলেশন আর লাইসেন্স দিলেই হবে না, চাই সমন্বিত উদ্যোগ।’
গ্রাহকেরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই গ্রাহকেরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন, আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন—সেটা কীভাবে সম্ভব?’
বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত বিশ্বের সেবার সঙ্গে আমাদের তুলনা দেওয়া হয়, অথচ উন্নত দেশের রেগুলেশন অনুযায়ী আমাদের রেগুলেশন নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয় না। ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।’
সভায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন এমটবের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সরকারের যে লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের, তাতে আমরা অংশীজন হিসেবে সরকারকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পরেও তাঁরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।’
মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ রেগুলেটরি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকসহ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিকেরাও।
বিশ্বে প্রতি বছর কোটি কোটি স্মার্টফোন পরিত্যক্ত হয়ে ই-বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে এস্তোনিয়ার টারটু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন এমন এক পদ্ধতি, যাতে মাত্র ৮ ইউরো ব্যয়ে পুরোনো স্মার্টফোনকে ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টারে রূপান্তর করা সম্ভব। এই প্রোটোটাইপ শহর ও পানির নিচে নানা পরিবেশবান্ধব
১০ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডেটা সেন্টার চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারমাণবিক এক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মেটা। এ জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। গত মঙ্গলবার মেটা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের অঙ্গরাজ্যের একটি পারমাণবিক চুল্লি ২০ বছর
১৫ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জেমিনিকে আরও কার্যকর করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গুগল। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার ‘শিডিউলড অ্যাকশনস’ নামে একটি ফিচার চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারবে জেমিনি।
১৮ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রাম স্টোরি এখন শুধু ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভাগাভাগির জায়গা নয়, বরং নিজের ভাবনা, সৃজনশীলতা ও স্টাইল প্রকাশের একটি মাধ্যম। শক্তিশালী ব্র্যান্ড, তারকা, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা—সবাই তাঁদের ফলোয়ারদের সঙ্গে খবর ও আপডেট শেয়ার করতে স্টোরির সাহায্য নেন। এই স্টোরিগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড রং
১ দিন আগে