অনলাইন ডেস্ক
বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ১১ শতাংশ। অথচ টেলিকম খাতের রাজস্ব ২০২০ সালের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশে নেমেছে। গত পাঁচ বছরে এই খাতের রাজস্ব প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) নীতিমালা বাস্তবায়নে শিথিলতার কারণে এই খাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ খাত: বিনিয়োগে ধীরগতি ও অসম প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে। বৈঠকে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্থিতিশীলতা এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এসএমপি গাইডলাইনের কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বলা হয়, এসএমপি অপারেটরটি বর্তমানে বাজার হিস্যার ৯০ শতাংশের (নেট প্রফিট আফটার ট্যাক্স) বেশি লাভ করছে। রাজস্ব বাজারের ৫০ শতাংশের মতো বাজার তাদের দখলে। এমনকি শেয়ারযোগ্য অবকাঠামোর ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও তারা তা শেয়ার করতে অনাগ্রহী। এতে করে এই খাতে কেবল নতুন বিনিয়োগকারীরাই নিরুৎসাহিত হচ্ছে না; বরং বাজারে থাকা পক্ষগুলোও নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে।
টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে একটি একক বৃহৎ অপারেটরের আধিপত্যের কারণে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ৪ বছর আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসএমপি গাইডলাইন নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারপরও অনেক অপারেটর দেশ ছেড়ে যাচ্ছে এবং এই খাতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী এই খাতের অংশীজনদের মাঝে আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিটিআরসির নিজের কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের সরকারের কাছ থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। এটি অসম প্রতিযোগিতার পেছনে মূল সমস্যা। বিভিন্ন আইন ও নীতিমালায় আকস্মিক পরিবর্তন আরেকটি সমস্যা। তবে এসএমপি প্লেয়ারের ক্ষেত্রে এরই মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. জুলফিকার বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই খাতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পুরো খাতকে সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতির মধ্যে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে যেসব নিয়মনীতি আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আবার সামনে যেহেতু এআইয়ের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসছে, আমাদেরকে বাজারে প্রতিযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যাবে, সে বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে।’
রবির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদুল আলম বলেন, ন্যায্য বাজার প্রতিযোগিতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, টেলিকম খাতে সুস্থ প্রতিযোগিতার কোনো পরিবেশ নেই। একটি অপারেটর প্রতিবছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে। এর কারণ হলো, টেলিকম বিধিমালা বৃহৎ অপারেটরদের সুবিধা দিচ্ছে, অন্যদিকে ছোট অপারেটরদের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী বলেন, অসম প্রতিযোগিতার এতটাই খারাপ অবস্থা যে এটা নিয়ে বলার পরিস্থিতিই নেই।
আরও বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাসের ও ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ও সিইও টিআইএম নুরুল কবির।
বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ১১ শতাংশ। অথচ টেলিকম খাতের রাজস্ব ২০২০ সালের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশে নেমেছে। গত পাঁচ বছরে এই খাতের রাজস্ব প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) নীতিমালা বাস্তবায়নে শিথিলতার কারণে এই খাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ খাত: বিনিয়োগে ধীরগতি ও অসম প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে। বৈঠকে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্থিতিশীলতা এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এসএমপি গাইডলাইনের কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বলা হয়, এসএমপি অপারেটরটি বর্তমানে বাজার হিস্যার ৯০ শতাংশের (নেট প্রফিট আফটার ট্যাক্স) বেশি লাভ করছে। রাজস্ব বাজারের ৫০ শতাংশের মতো বাজার তাদের দখলে। এমনকি শেয়ারযোগ্য অবকাঠামোর ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও তারা তা শেয়ার করতে অনাগ্রহী। এতে করে এই খাতে কেবল নতুন বিনিয়োগকারীরাই নিরুৎসাহিত হচ্ছে না; বরং বাজারে থাকা পক্ষগুলোও নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে।
টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে একটি একক বৃহৎ অপারেটরের আধিপত্যের কারণে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ৪ বছর আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসএমপি গাইডলাইন নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারপরও অনেক অপারেটর দেশ ছেড়ে যাচ্ছে এবং এই খাতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী এই খাতের অংশীজনদের মাঝে আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিটিআরসির নিজের কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের সরকারের কাছ থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। এটি অসম প্রতিযোগিতার পেছনে মূল সমস্যা। বিভিন্ন আইন ও নীতিমালায় আকস্মিক পরিবর্তন আরেকটি সমস্যা। তবে এসএমপি প্লেয়ারের ক্ষেত্রে এরই মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. জুলফিকার বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই খাতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পুরো খাতকে সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতির মধ্যে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে যেসব নিয়মনীতি আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আবার সামনে যেহেতু এআইয়ের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসছে, আমাদেরকে বাজারে প্রতিযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যাবে, সে বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে।’
রবির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদুল আলম বলেন, ন্যায্য বাজার প্রতিযোগিতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, টেলিকম খাতে সুস্থ প্রতিযোগিতার কোনো পরিবেশ নেই। একটি অপারেটর প্রতিবছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে। এর কারণ হলো, টেলিকম বিধিমালা বৃহৎ অপারেটরদের সুবিধা দিচ্ছে, অন্যদিকে ছোট অপারেটরদের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী বলেন, অসম প্রতিযোগিতার এতটাই খারাপ অবস্থা যে এটা নিয়ে বলার পরিস্থিতিই নেই।
আরও বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাসের ও ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ও সিইও টিআইএম নুরুল কবির।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরি এখন শুধু ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভাগাভাগির জায়গা নয়, বরং নিজের ভাবনা, সৃজনশীলতা ও স্টাইল প্রকাশের একটি মাধ্যম। শক্তিশালী ব্র্যান্ড, তারকা, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা—সবাই তাঁদের ফলোয়ারদের সঙ্গে খবর ও আপডেট শেয়ার করতে স্টোরির সাহায্য নেন। এই স্টোরিগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড রং
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক
১ দিন আগেআমরা প্রতিদিন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। তবে পরে চাইলে সেই লাইক দেওয়া পোস্টগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ না। প্রিয় কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আবার দেখতে চাইলে অনেক সময় খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ভালো খবর হলো, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি ফিচার রয়েছে
১ দিন আগে