জাহাঙ্গীর আলম

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা কার্ড। বাংলাদেশেও তাই। ভিসা কার্ডের সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ড: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গ্রাহক কেনাকাটা করতে পারেন। আবার এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থও উত্তোলন করা যায়। তবে এর জন্য ব্যাংক নির্ধারিত হারে সুদ দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৪৫ দিন) বিনা সুদ বা মাশুলে সেই অর্থ পরিশোধ করা যায়। সোজা কথা, এটি একপ্রকার ঋণ।
এ ছাড়া বিনা সুদে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ, নগদ অর্থ ফেরত, নির্দিষ্ট খুচরা বিক্রেতার কাছে কেনাকাটা করার সময় বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি অফারও থাকে।
ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের তাদের সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সুযোগ দেয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো এখানেও নানা অফার থাকতে পারে। তবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ব্যালেন্স থাকতে হয়।
প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড: প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড দিয়েও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা যায়।
প্রিপেইড কার্ডগুলো ডিপোজিট ব্যালেন্স বা ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই কার্ডগুলোর বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগে থেকেই ভরা থাকে। এটি ক্রেডিট সীমা হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ কার্ডধারী এই সীমার বেশি খরচ করতে পারেন না।
গিফট কার্ডও একই রকম। তবে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতার কাছে সুবিধা দিতে এই কার্ড ইস্যু করা হয়।
এসব কার্ড ব্যবহারের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়ার পেছনের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা কিন্তু মোটেও আবশ্যক নয়। কারণ এক ঘষাতেই লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। কার্ডের মালিককে আক্ষরিক অর্থে কিছুই করতে হয় না। কিন্তু বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা থাকা ভালো। কারণ এখানে পুরো সিস্টেমের বিভিন্ন পর্যায়ে ফি কেটে নেওয়া হয়। লেনদেন প্রক্রিয়ার স্তরগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে কীভাবে এসব কার্ড নেওয়া যায়, কোথায় কীভাবে ব্যবহার করলে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এবং ন্যূনতম খরচে এই সেবা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করলে দাঁড়ায়- ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কগুলো মার্চেন্ট, প্রসেসর এবং ব্যাংকের মধ্যে শত শত কোটি টাকার লেনদেন করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কার্ডের চিপটি একটি প্রসেসরের কাছে লেনদেনের তথ্য পাঠায়, এরপর কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য ইস্যুকারী ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রসেসরের কাছে অনুমোদন পাঠায়। সর্বশেষ চূড়ান্ত ভাবে সেই নির্দেশনা মার্চেন্টের টার্মিনাল বা সফটওয়্যারে পৌঁছায়। আর তখনই লেনদেন সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি ঘটে নিমেষের মধ্যে।
পুরো লেনদেন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন (অথোরাইজেশন) পাওয়া কেবল প্রথম ধাপ। মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চাহিদার অর্থ জমা হওয়ার আগে অনুমোদনগুলো নিষ্পত্তি করতে হয়। ক্রেডিট কার্ড লেনদেন অনুমোদন এবং নিষ্পত্তি এই দুই-ধাপে প্রক্রিয়াটি নিষ্পন্ন হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণে ফি নির্ধারিত থাকে। আর উভয় ধাপে বা আংশিক ব্যর্থতার ফলে খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং/অথবা লেনদেন সম্পন্ন নাও হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন নিষ্পত্তি হয় কীভাবে: মূল ভূমিকা কাদের
অনুমোদন এবং নিষ্পত্তিতে জড়িত মূল পক্ষগুলো হলো- কার্ডধারী, মার্চেন্ট (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান), অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (মার্চেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক), ইস্যুকারী ব্যাংক (কার্ডধারীর ব্যাংক) এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিসকভার ইত্যাদি)।
কার্ডধারী
আপনার যদি একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কার্ডধারীর ভূমিকা সম্পর্কে জানেন। তবে বিস্তারিত বলতে গেলে—একজন কার্ডধারী হলেন এমন একজন যিনি কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক থেকে একটি ব্যাংক কার্ড (ক্রেডিট বা ডেবিট) পান। এরপর পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে লেনদেনের জন্য তিনি কার্ডটি উপস্থাপন করেন।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট বলতে বোঝায় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে। কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয় যারা এখানে শুধু সেই মার্চেন্টের কথা বলা হচ্ছে। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে, যেটির মাধ্যমে তারা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের পণ্য বা পরিষেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে পারে তারাই মার্চেন্ট। ব্যবসার মালিক হিসেবে আপনি একজন মার্চেন্ট বলে গণ্য হতে পারেন।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা মার্চেন্ট’স ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক হলো কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা বা মাস্টারকার্ড) নিবন্ধিত সদস্য। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে সাধারণত মার্চেন্ট ব্যাংক বলা হয়। এই ধরনের ব্যাংক এমন একটি অ্যাকাউন্ট (যেটিকে বলে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট) পরিচালনার জন্য মার্চেন্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে, যা মার্চেন্টকে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকগুলো মার্চেন্টদের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করে। এ ছাড়া গ্রাহক পরিষেবা এবং কার্ড গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিকগুলোও তারা পরিচালনা করে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধিত মূল্যের বিপরীতে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ ডিপোজিট (তহবিল) জমা করে।
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক
অবশ্য নাম দেখেই বুঝতে পারার কথা- ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। ইস্যুকারী ব্যাংক একই সঙ্গে কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড) সদস্যও।
ইস্যুকারী ব্যাংকগুলো তাদের কার্ডধারীরা যে কেনাকাটা করেন তার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে। এরপরে কার্ডধারীর দায়িত্ব হয় তাঁদের ক্রেডিট কার্ড চুক্তির শর্তাবলির অধীনে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে সেই অর্থ পরিশোধ করা।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড)
ভিসা এবং মাস্টারকার্ড কিন্তু কোনো ব্যাংক নয়। তারা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ইস্যু করে না। বরং তারা নিজ নিজ কার্ড ব্র্যান্ডের জন্য অভিভাবক (কাস্টডিয়ান) এবং ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। তারা ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিপেনডেন্ট সেলস অর্গানাইজেশন (আইএসও) এবং মেম্বারশিপ সার্ভিস প্রভাইডার্সের (এমএসপি) সঙ্গে একটি গভর্নিং বডি হিসেবেও কাজ করে। এখান থেকে ‘কার্ড অ্যাসোসিয়েশন’ নাম এসেছে।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পরিচালনা করা। যার মধ্যে রয়েছে ইস্যুকারী এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিনিময় ফি এবং যোগ্যতা নির্দেশিকা নির্ধারণ করা, কার্ড নেটওয়ার্ক এবং নিজ ব্র্যান্ডের উন্নয়ন এবং অবশ্যই পুরো প্রক্রিয়া থেকে মুনাফা করা। মুনাফার বিষয়টি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, ফলত ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এখন পাবলিক কোম্পানি (পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত)।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ভিসা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিসানেট প্ল্যাটফর্ম। আর এ কাজে মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে তাদের ব্যাংকনেট নেটওয়ার্ক।
ক্রেডিট কার্ড অনুমোদন (অথোরাইজেশন) প্রক্রিয়া
অথোরাইজেশন প্রক্রিয়ায় ওপরে উল্লিখিত সব পক্ষই নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। নিচে কোন পক্ষের কী ভূমিকা থাকে তা তুলে ধরা হলো:
কার্ডধারী
একজন কার্ডধারী পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে একটি মার্চেন্টের কাছে তাঁর কার্ডটি উপস্থাপন করেন। এরপরই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সূচনা হয়।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট তাদের ক্রেডিট কার্ড মেশিন, সফটওয়্যার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে কার্ডধারীর তথ্য এবং লেনদেনের বিশদ বিবরণ তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বা লেনদেন প্রক্রিয়াকারী ব্যাংকের কাছে পাঠায়।
অ্যাকোয়ারিং বা প্রসেসর
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) লেনদেনের তথ্য গ্রহণ করে এবং যথাযথ কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য কার্ডধারীর ইস্যুকারী ব্যাংকে পাঠায়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
মাস্টারকার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের নিজস্ব ব্যাংকনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এবং প্রক্রিয়াকারীর (অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা এর প্রসেসর) মধ্যে বিনিময় করে। আর ভিসা কার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের ভিসানেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কাজটি করে।
ইস্যুকারী
ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক ব্যাংকনেট বা ভিসানেটের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের (বা এর প্রসেসর) কাছ থেকে লেনদেনের তথ্য পায়। এরপর সে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে। সেই সঙ্গে লেনদেনটি বৈধ কি-না, কার্ডধারীর যথেষ্ট ব্যালেন্স আছে কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর লেনদেনের অনুমোদন দেয় বা প্রত্যাখ্যান করে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক যথাযথ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা এর প্রসেসর) একটি কোড পাঠায়।
মার্চেন্ট
কোডটি মার্চেন্টের টার্মিনাল, সফটওয়্যার বা গেটওয়েতে পৌঁছায় এবং লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা একটি ব্যাচ ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়।
ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি যেভাবে সম্পন্ন হয়
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড লেনদেন যেভাবে কাজ করে সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ হলো ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি (সেটেলমেন্ট)। অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও সঞ্চালিত হওয়ার পরে এটি ঘটে। নিষ্পত্তির জন্য মার্চেন্ট প্রসেসরে অনুমোদনের জন্য একটি ‘ব্যাচ’ পাঠায়। সাধারণত দিনে একবার এই কাজটি হয়। প্রসেসর অনুমোদন প্রক্রিয়ার পুনঃসমন্বয় করে এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কে ব্যাচ জমা দেয়। প্রসেসর তখন পণ্য বা সেবা বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির (পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী মার্চেন্ট) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে। পাশাপাশি প্রসেসিং ফি কেটে নেয়। এই পর্যায়ে লেনদেনটি সম্পন্ন হয়।
এদিকে কার্ড ইস্যুকারী এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক যোগাযোগ এবং অর্থ স্থানান্তর অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ডধারীর কেনাকাটার অর্থ অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে পাঠায়। অবশেষে কার্ডধারীকে সেই অর্থ সেই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককেই দিতে হয়। এই পদক্ষেপগুলোর কোনটির সঙ্গেই আসলে কার্ডধারীর কোনো সম্পৃক্ততা লাগে না।
মার্চেন্ট
এবার মার্চেন্ট তাদের অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা ব্যাংকের প্রসেসর) অনুমোদিত অথোরাইজেশনের একটি ব্যাচ পাঠিয়ে নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। অনুমোদনের ব্যাচগুলো সাধারণত প্রতি কার্যদিবসের শেষে পাঠানো হয়। কার্ড থেকে একাধিক লেনদেন হলে সব মিলে একটি ব্যাচ তৈরি হয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) যথাযথ কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের (ভিসানেট বা ব্যাংকনেট) মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে অনুমোদনের ব্যাচগুলো পুনরায় একত্রিত করে এবং পাঠিয়ে দেয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক অটোমেটেড ক্লিয়ারিংহাউসের (এসিএইচ) মাধ্যমে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা করে এবং মার্চেন্টের সঙ্গে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে মাসিক, দৈনিক বা উভয় হিসাবে নির্দিষ্ট প্রসেসিং ফি কেটে নেয়।
কার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফি কেটে নেয় এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাদের পাওনা পাঠিয়ে দেয়।
ইস্যুকারী
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক মূলত তার কার্ডধারীর কেনাকাটার জন্য অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে।
কার্ডধারী
কার্ডধারী তার কেনাকাটার জন্য ইস্যুকারী ব্যাংক এবং কার্ড চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সুদ এবং ফি পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন।
তহবিল এবং ফি
ওপরে নিষ্পত্তি এবং ক্লিয়ারিংয়ের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসেসর ক্রেডিট কার্ডে বিক্রয় থেকে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা করবে এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি কেটে নেবে। যাইহোক, ঠিক কীভাবে ফি কেটে নেওয়া হয় এবং কখন তহবিল জমা করা হয় তাতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড ডিপোজিট
আজকাল, বেশির ভাগ প্রসেসর পণ্য কেনার পরের দিন তহবিল জমা করে। এর অর্থ মার্চেন্ট আজকের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ পাবে আগামীকাল।
কিছু ক্ষেত্রে, প্রসেসরেরা মার্চেন্টের তহবিল আটকে দিতে পারে। লেনদেনে জালিয়াতির সন্দেহ বা অন্য কোনো কারণে লেনদেনটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তাৎক্ষণিক তহবিল জমা হবে না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কার্ড ঘষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট জমা হওয়া দেখতে পাবেন না মার্চেন্ট।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা কার্ড। বাংলাদেশেও তাই। ভিসা কার্ডের সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ড: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গ্রাহক কেনাকাটা করতে পারেন। আবার এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থও উত্তোলন করা যায়। তবে এর জন্য ব্যাংক নির্ধারিত হারে সুদ দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৪৫ দিন) বিনা সুদ বা মাশুলে সেই অর্থ পরিশোধ করা যায়। সোজা কথা, এটি একপ্রকার ঋণ।
এ ছাড়া বিনা সুদে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ, নগদ অর্থ ফেরত, নির্দিষ্ট খুচরা বিক্রেতার কাছে কেনাকাটা করার সময় বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি অফারও থাকে।
ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের তাদের সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সুযোগ দেয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো এখানেও নানা অফার থাকতে পারে। তবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ব্যালেন্স থাকতে হয়।
প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড: প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড দিয়েও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা যায়।
প্রিপেইড কার্ডগুলো ডিপোজিট ব্যালেন্স বা ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই কার্ডগুলোর বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগে থেকেই ভরা থাকে। এটি ক্রেডিট সীমা হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ কার্ডধারী এই সীমার বেশি খরচ করতে পারেন না।
গিফট কার্ডও একই রকম। তবে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতার কাছে সুবিধা দিতে এই কার্ড ইস্যু করা হয়।
এসব কার্ড ব্যবহারের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়ার পেছনের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা কিন্তু মোটেও আবশ্যক নয়। কারণ এক ঘষাতেই লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। কার্ডের মালিককে আক্ষরিক অর্থে কিছুই করতে হয় না। কিন্তু বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা থাকা ভালো। কারণ এখানে পুরো সিস্টেমের বিভিন্ন পর্যায়ে ফি কেটে নেওয়া হয়। লেনদেন প্রক্রিয়ার স্তরগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে কীভাবে এসব কার্ড নেওয়া যায়, কোথায় কীভাবে ব্যবহার করলে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এবং ন্যূনতম খরচে এই সেবা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করলে দাঁড়ায়- ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কগুলো মার্চেন্ট, প্রসেসর এবং ব্যাংকের মধ্যে শত শত কোটি টাকার লেনদেন করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কার্ডের চিপটি একটি প্রসেসরের কাছে লেনদেনের তথ্য পাঠায়, এরপর কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য ইস্যুকারী ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রসেসরের কাছে অনুমোদন পাঠায়। সর্বশেষ চূড়ান্ত ভাবে সেই নির্দেশনা মার্চেন্টের টার্মিনাল বা সফটওয়্যারে পৌঁছায়। আর তখনই লেনদেন সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি ঘটে নিমেষের মধ্যে।
পুরো লেনদেন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন (অথোরাইজেশন) পাওয়া কেবল প্রথম ধাপ। মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চাহিদার অর্থ জমা হওয়ার আগে অনুমোদনগুলো নিষ্পত্তি করতে হয়। ক্রেডিট কার্ড লেনদেন অনুমোদন এবং নিষ্পত্তি এই দুই-ধাপে প্রক্রিয়াটি নিষ্পন্ন হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণে ফি নির্ধারিত থাকে। আর উভয় ধাপে বা আংশিক ব্যর্থতার ফলে খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং/অথবা লেনদেন সম্পন্ন নাও হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন নিষ্পত্তি হয় কীভাবে: মূল ভূমিকা কাদের
অনুমোদন এবং নিষ্পত্তিতে জড়িত মূল পক্ষগুলো হলো- কার্ডধারী, মার্চেন্ট (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান), অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (মার্চেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক), ইস্যুকারী ব্যাংক (কার্ডধারীর ব্যাংক) এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিসকভার ইত্যাদি)।
কার্ডধারী
আপনার যদি একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কার্ডধারীর ভূমিকা সম্পর্কে জানেন। তবে বিস্তারিত বলতে গেলে—একজন কার্ডধারী হলেন এমন একজন যিনি কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক থেকে একটি ব্যাংক কার্ড (ক্রেডিট বা ডেবিট) পান। এরপর পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে লেনদেনের জন্য তিনি কার্ডটি উপস্থাপন করেন।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট বলতে বোঝায় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে। কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয় যারা এখানে শুধু সেই মার্চেন্টের কথা বলা হচ্ছে। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে, যেটির মাধ্যমে তারা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের পণ্য বা পরিষেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে পারে তারাই মার্চেন্ট। ব্যবসার মালিক হিসেবে আপনি একজন মার্চেন্ট বলে গণ্য হতে পারেন।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা মার্চেন্ট’স ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক হলো কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা বা মাস্টারকার্ড) নিবন্ধিত সদস্য। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে সাধারণত মার্চেন্ট ব্যাংক বলা হয়। এই ধরনের ব্যাংক এমন একটি অ্যাকাউন্ট (যেটিকে বলে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট) পরিচালনার জন্য মার্চেন্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে, যা মার্চেন্টকে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকগুলো মার্চেন্টদের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করে। এ ছাড়া গ্রাহক পরিষেবা এবং কার্ড গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিকগুলোও তারা পরিচালনা করে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধিত মূল্যের বিপরীতে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ ডিপোজিট (তহবিল) জমা করে।
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক
অবশ্য নাম দেখেই বুঝতে পারার কথা- ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। ইস্যুকারী ব্যাংক একই সঙ্গে কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড) সদস্যও।
ইস্যুকারী ব্যাংকগুলো তাদের কার্ডধারীরা যে কেনাকাটা করেন তার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে। এরপরে কার্ডধারীর দায়িত্ব হয় তাঁদের ক্রেডিট কার্ড চুক্তির শর্তাবলির অধীনে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে সেই অর্থ পরিশোধ করা।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড)
ভিসা এবং মাস্টারকার্ড কিন্তু কোনো ব্যাংক নয়। তারা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ইস্যু করে না। বরং তারা নিজ নিজ কার্ড ব্র্যান্ডের জন্য অভিভাবক (কাস্টডিয়ান) এবং ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। তারা ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিপেনডেন্ট সেলস অর্গানাইজেশন (আইএসও) এবং মেম্বারশিপ সার্ভিস প্রভাইডার্সের (এমএসপি) সঙ্গে একটি গভর্নিং বডি হিসেবেও কাজ করে। এখান থেকে ‘কার্ড অ্যাসোসিয়েশন’ নাম এসেছে।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পরিচালনা করা। যার মধ্যে রয়েছে ইস্যুকারী এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিনিময় ফি এবং যোগ্যতা নির্দেশিকা নির্ধারণ করা, কার্ড নেটওয়ার্ক এবং নিজ ব্র্যান্ডের উন্নয়ন এবং অবশ্যই পুরো প্রক্রিয়া থেকে মুনাফা করা। মুনাফার বিষয়টি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, ফলত ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এখন পাবলিক কোম্পানি (পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত)।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ভিসা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিসানেট প্ল্যাটফর্ম। আর এ কাজে মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে তাদের ব্যাংকনেট নেটওয়ার্ক।
ক্রেডিট কার্ড অনুমোদন (অথোরাইজেশন) প্রক্রিয়া
অথোরাইজেশন প্রক্রিয়ায় ওপরে উল্লিখিত সব পক্ষই নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। নিচে কোন পক্ষের কী ভূমিকা থাকে তা তুলে ধরা হলো:
কার্ডধারী
একজন কার্ডধারী পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে একটি মার্চেন্টের কাছে তাঁর কার্ডটি উপস্থাপন করেন। এরপরই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সূচনা হয়।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট তাদের ক্রেডিট কার্ড মেশিন, সফটওয়্যার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে কার্ডধারীর তথ্য এবং লেনদেনের বিশদ বিবরণ তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বা লেনদেন প্রক্রিয়াকারী ব্যাংকের কাছে পাঠায়।
অ্যাকোয়ারিং বা প্রসেসর
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) লেনদেনের তথ্য গ্রহণ করে এবং যথাযথ কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য কার্ডধারীর ইস্যুকারী ব্যাংকে পাঠায়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
মাস্টারকার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের নিজস্ব ব্যাংকনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এবং প্রক্রিয়াকারীর (অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা এর প্রসেসর) মধ্যে বিনিময় করে। আর ভিসা কার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের ভিসানেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কাজটি করে।
ইস্যুকারী
ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক ব্যাংকনেট বা ভিসানেটের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের (বা এর প্রসেসর) কাছ থেকে লেনদেনের তথ্য পায়। এরপর সে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে। সেই সঙ্গে লেনদেনটি বৈধ কি-না, কার্ডধারীর যথেষ্ট ব্যালেন্স আছে কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর লেনদেনের অনুমোদন দেয় বা প্রত্যাখ্যান করে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক যথাযথ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা এর প্রসেসর) একটি কোড পাঠায়।
মার্চেন্ট
কোডটি মার্চেন্টের টার্মিনাল, সফটওয়্যার বা গেটওয়েতে পৌঁছায় এবং লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা একটি ব্যাচ ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়।
ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি যেভাবে সম্পন্ন হয়
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড লেনদেন যেভাবে কাজ করে সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ হলো ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি (সেটেলমেন্ট)। অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও সঞ্চালিত হওয়ার পরে এটি ঘটে। নিষ্পত্তির জন্য মার্চেন্ট প্রসেসরে অনুমোদনের জন্য একটি ‘ব্যাচ’ পাঠায়। সাধারণত দিনে একবার এই কাজটি হয়। প্রসেসর অনুমোদন প্রক্রিয়ার পুনঃসমন্বয় করে এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কে ব্যাচ জমা দেয়। প্রসেসর তখন পণ্য বা সেবা বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির (পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী মার্চেন্ট) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে। পাশাপাশি প্রসেসিং ফি কেটে নেয়। এই পর্যায়ে লেনদেনটি সম্পন্ন হয়।
এদিকে কার্ড ইস্যুকারী এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক যোগাযোগ এবং অর্থ স্থানান্তর অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ডধারীর কেনাকাটার অর্থ অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে পাঠায়। অবশেষে কার্ডধারীকে সেই অর্থ সেই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককেই দিতে হয়। এই পদক্ষেপগুলোর কোনটির সঙ্গেই আসলে কার্ডধারীর কোনো সম্পৃক্ততা লাগে না।
মার্চেন্ট
এবার মার্চেন্ট তাদের অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা ব্যাংকের প্রসেসর) অনুমোদিত অথোরাইজেশনের একটি ব্যাচ পাঠিয়ে নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। অনুমোদনের ব্যাচগুলো সাধারণত প্রতি কার্যদিবসের শেষে পাঠানো হয়। কার্ড থেকে একাধিক লেনদেন হলে সব মিলে একটি ব্যাচ তৈরি হয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) যথাযথ কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের (ভিসানেট বা ব্যাংকনেট) মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে অনুমোদনের ব্যাচগুলো পুনরায় একত্রিত করে এবং পাঠিয়ে দেয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক অটোমেটেড ক্লিয়ারিংহাউসের (এসিএইচ) মাধ্যমে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা করে এবং মার্চেন্টের সঙ্গে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে মাসিক, দৈনিক বা উভয় হিসাবে নির্দিষ্ট প্রসেসিং ফি কেটে নেয়।
কার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফি কেটে নেয় এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাদের পাওনা পাঠিয়ে দেয়।
ইস্যুকারী
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক মূলত তার কার্ডধারীর কেনাকাটার জন্য অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে।
কার্ডধারী
কার্ডধারী তার কেনাকাটার জন্য ইস্যুকারী ব্যাংক এবং কার্ড চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সুদ এবং ফি পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন।
তহবিল এবং ফি
ওপরে নিষ্পত্তি এবং ক্লিয়ারিংয়ের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসেসর ক্রেডিট কার্ডে বিক্রয় থেকে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা করবে এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি কেটে নেবে। যাইহোক, ঠিক কীভাবে ফি কেটে নেওয়া হয় এবং কখন তহবিল জমা করা হয় তাতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড ডিপোজিট
আজকাল, বেশির ভাগ প্রসেসর পণ্য কেনার পরের দিন তহবিল জমা করে। এর অর্থ মার্চেন্ট আজকের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ পাবে আগামীকাল।
কিছু ক্ষেত্রে, প্রসেসরেরা মার্চেন্টের তহবিল আটকে দিতে পারে। লেনদেনে জালিয়াতির সন্দেহ বা অন্য কোনো কারণে লেনদেনটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তাৎক্ষণিক তহবিল জমা হবে না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কার্ড ঘষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট জমা হওয়া দেখতে পাবেন না মার্চেন্ট।
জাহাঙ্গীর আলম

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা কার্ড। বাংলাদেশেও তাই। ভিসা কার্ডের সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ড: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গ্রাহক কেনাকাটা করতে পারেন। আবার এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থও উত্তোলন করা যায়। তবে এর জন্য ব্যাংক নির্ধারিত হারে সুদ দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৪৫ দিন) বিনা সুদ বা মাশুলে সেই অর্থ পরিশোধ করা যায়। সোজা কথা, এটি একপ্রকার ঋণ।
এ ছাড়া বিনা সুদে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ, নগদ অর্থ ফেরত, নির্দিষ্ট খুচরা বিক্রেতার কাছে কেনাকাটা করার সময় বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি অফারও থাকে।
ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের তাদের সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সুযোগ দেয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো এখানেও নানা অফার থাকতে পারে। তবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ব্যালেন্স থাকতে হয়।
প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড: প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড দিয়েও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা যায়।
প্রিপেইড কার্ডগুলো ডিপোজিট ব্যালেন্স বা ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই কার্ডগুলোর বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগে থেকেই ভরা থাকে। এটি ক্রেডিট সীমা হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ কার্ডধারী এই সীমার বেশি খরচ করতে পারেন না।
গিফট কার্ডও একই রকম। তবে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতার কাছে সুবিধা দিতে এই কার্ড ইস্যু করা হয়।
এসব কার্ড ব্যবহারের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়ার পেছনের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা কিন্তু মোটেও আবশ্যক নয়। কারণ এক ঘষাতেই লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। কার্ডের মালিককে আক্ষরিক অর্থে কিছুই করতে হয় না। কিন্তু বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা থাকা ভালো। কারণ এখানে পুরো সিস্টেমের বিভিন্ন পর্যায়ে ফি কেটে নেওয়া হয়। লেনদেন প্রক্রিয়ার স্তরগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে কীভাবে এসব কার্ড নেওয়া যায়, কোথায় কীভাবে ব্যবহার করলে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এবং ন্যূনতম খরচে এই সেবা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করলে দাঁড়ায়- ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কগুলো মার্চেন্ট, প্রসেসর এবং ব্যাংকের মধ্যে শত শত কোটি টাকার লেনদেন করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কার্ডের চিপটি একটি প্রসেসরের কাছে লেনদেনের তথ্য পাঠায়, এরপর কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য ইস্যুকারী ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রসেসরের কাছে অনুমোদন পাঠায়। সর্বশেষ চূড়ান্ত ভাবে সেই নির্দেশনা মার্চেন্টের টার্মিনাল বা সফটওয়্যারে পৌঁছায়। আর তখনই লেনদেন সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি ঘটে নিমেষের মধ্যে।
পুরো লেনদেন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন (অথোরাইজেশন) পাওয়া কেবল প্রথম ধাপ। মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চাহিদার অর্থ জমা হওয়ার আগে অনুমোদনগুলো নিষ্পত্তি করতে হয়। ক্রেডিট কার্ড লেনদেন অনুমোদন এবং নিষ্পত্তি এই দুই-ধাপে প্রক্রিয়াটি নিষ্পন্ন হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণে ফি নির্ধারিত থাকে। আর উভয় ধাপে বা আংশিক ব্যর্থতার ফলে খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং/অথবা লেনদেন সম্পন্ন নাও হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন নিষ্পত্তি হয় কীভাবে: মূল ভূমিকা কাদের
অনুমোদন এবং নিষ্পত্তিতে জড়িত মূল পক্ষগুলো হলো- কার্ডধারী, মার্চেন্ট (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান), অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (মার্চেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক), ইস্যুকারী ব্যাংক (কার্ডধারীর ব্যাংক) এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিসকভার ইত্যাদি)।
কার্ডধারী
আপনার যদি একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কার্ডধারীর ভূমিকা সম্পর্কে জানেন। তবে বিস্তারিত বলতে গেলে—একজন কার্ডধারী হলেন এমন একজন যিনি কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক থেকে একটি ব্যাংক কার্ড (ক্রেডিট বা ডেবিট) পান। এরপর পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে লেনদেনের জন্য তিনি কার্ডটি উপস্থাপন করেন।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট বলতে বোঝায় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে। কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয় যারা এখানে শুধু সেই মার্চেন্টের কথা বলা হচ্ছে। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে, যেটির মাধ্যমে তারা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের পণ্য বা পরিষেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে পারে তারাই মার্চেন্ট। ব্যবসার মালিক হিসেবে আপনি একজন মার্চেন্ট বলে গণ্য হতে পারেন।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা মার্চেন্ট’স ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক হলো কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা বা মাস্টারকার্ড) নিবন্ধিত সদস্য। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে সাধারণত মার্চেন্ট ব্যাংক বলা হয়। এই ধরনের ব্যাংক এমন একটি অ্যাকাউন্ট (যেটিকে বলে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট) পরিচালনার জন্য মার্চেন্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে, যা মার্চেন্টকে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকগুলো মার্চেন্টদের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করে। এ ছাড়া গ্রাহক পরিষেবা এবং কার্ড গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিকগুলোও তারা পরিচালনা করে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধিত মূল্যের বিপরীতে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ ডিপোজিট (তহবিল) জমা করে।
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক
অবশ্য নাম দেখেই বুঝতে পারার কথা- ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। ইস্যুকারী ব্যাংক একই সঙ্গে কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড) সদস্যও।
ইস্যুকারী ব্যাংকগুলো তাদের কার্ডধারীরা যে কেনাকাটা করেন তার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে। এরপরে কার্ডধারীর দায়িত্ব হয় তাঁদের ক্রেডিট কার্ড চুক্তির শর্তাবলির অধীনে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে সেই অর্থ পরিশোধ করা।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড)
ভিসা এবং মাস্টারকার্ড কিন্তু কোনো ব্যাংক নয়। তারা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ইস্যু করে না। বরং তারা নিজ নিজ কার্ড ব্র্যান্ডের জন্য অভিভাবক (কাস্টডিয়ান) এবং ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। তারা ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিপেনডেন্ট সেলস অর্গানাইজেশন (আইএসও) এবং মেম্বারশিপ সার্ভিস প্রভাইডার্সের (এমএসপি) সঙ্গে একটি গভর্নিং বডি হিসেবেও কাজ করে। এখান থেকে ‘কার্ড অ্যাসোসিয়েশন’ নাম এসেছে।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পরিচালনা করা। যার মধ্যে রয়েছে ইস্যুকারী এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিনিময় ফি এবং যোগ্যতা নির্দেশিকা নির্ধারণ করা, কার্ড নেটওয়ার্ক এবং নিজ ব্র্যান্ডের উন্নয়ন এবং অবশ্যই পুরো প্রক্রিয়া থেকে মুনাফা করা। মুনাফার বিষয়টি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, ফলত ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এখন পাবলিক কোম্পানি (পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত)।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ভিসা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিসানেট প্ল্যাটফর্ম। আর এ কাজে মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে তাদের ব্যাংকনেট নেটওয়ার্ক।
ক্রেডিট কার্ড অনুমোদন (অথোরাইজেশন) প্রক্রিয়া
অথোরাইজেশন প্রক্রিয়ায় ওপরে উল্লিখিত সব পক্ষই নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। নিচে কোন পক্ষের কী ভূমিকা থাকে তা তুলে ধরা হলো:
কার্ডধারী
একজন কার্ডধারী পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে একটি মার্চেন্টের কাছে তাঁর কার্ডটি উপস্থাপন করেন। এরপরই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সূচনা হয়।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট তাদের ক্রেডিট কার্ড মেশিন, সফটওয়্যার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে কার্ডধারীর তথ্য এবং লেনদেনের বিশদ বিবরণ তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বা লেনদেন প্রক্রিয়াকারী ব্যাংকের কাছে পাঠায়।
অ্যাকোয়ারিং বা প্রসেসর
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) লেনদেনের তথ্য গ্রহণ করে এবং যথাযথ কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য কার্ডধারীর ইস্যুকারী ব্যাংকে পাঠায়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
মাস্টারকার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের নিজস্ব ব্যাংকনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এবং প্রক্রিয়াকারীর (অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা এর প্রসেসর) মধ্যে বিনিময় করে। আর ভিসা কার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের ভিসানেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কাজটি করে।
ইস্যুকারী
ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক ব্যাংকনেট বা ভিসানেটের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের (বা এর প্রসেসর) কাছ থেকে লেনদেনের তথ্য পায়। এরপর সে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে। সেই সঙ্গে লেনদেনটি বৈধ কি-না, কার্ডধারীর যথেষ্ট ব্যালেন্স আছে কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর লেনদেনের অনুমোদন দেয় বা প্রত্যাখ্যান করে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক যথাযথ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা এর প্রসেসর) একটি কোড পাঠায়।
মার্চেন্ট
কোডটি মার্চেন্টের টার্মিনাল, সফটওয়্যার বা গেটওয়েতে পৌঁছায় এবং লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা একটি ব্যাচ ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়।
ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি যেভাবে সম্পন্ন হয়
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড লেনদেন যেভাবে কাজ করে সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ হলো ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি (সেটেলমেন্ট)। অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও সঞ্চালিত হওয়ার পরে এটি ঘটে। নিষ্পত্তির জন্য মার্চেন্ট প্রসেসরে অনুমোদনের জন্য একটি ‘ব্যাচ’ পাঠায়। সাধারণত দিনে একবার এই কাজটি হয়। প্রসেসর অনুমোদন প্রক্রিয়ার পুনঃসমন্বয় করে এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কে ব্যাচ জমা দেয়। প্রসেসর তখন পণ্য বা সেবা বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির (পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী মার্চেন্ট) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে। পাশাপাশি প্রসেসিং ফি কেটে নেয়। এই পর্যায়ে লেনদেনটি সম্পন্ন হয়।
এদিকে কার্ড ইস্যুকারী এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক যোগাযোগ এবং অর্থ স্থানান্তর অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ডধারীর কেনাকাটার অর্থ অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে পাঠায়। অবশেষে কার্ডধারীকে সেই অর্থ সেই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককেই দিতে হয়। এই পদক্ষেপগুলোর কোনটির সঙ্গেই আসলে কার্ডধারীর কোনো সম্পৃক্ততা লাগে না।
মার্চেন্ট
এবার মার্চেন্ট তাদের অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা ব্যাংকের প্রসেসর) অনুমোদিত অথোরাইজেশনের একটি ব্যাচ পাঠিয়ে নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। অনুমোদনের ব্যাচগুলো সাধারণত প্রতি কার্যদিবসের শেষে পাঠানো হয়। কার্ড থেকে একাধিক লেনদেন হলে সব মিলে একটি ব্যাচ তৈরি হয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) যথাযথ কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের (ভিসানেট বা ব্যাংকনেট) মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে অনুমোদনের ব্যাচগুলো পুনরায় একত্রিত করে এবং পাঠিয়ে দেয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক অটোমেটেড ক্লিয়ারিংহাউসের (এসিএইচ) মাধ্যমে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা করে এবং মার্চেন্টের সঙ্গে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে মাসিক, দৈনিক বা উভয় হিসাবে নির্দিষ্ট প্রসেসিং ফি কেটে নেয়।
কার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফি কেটে নেয় এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাদের পাওনা পাঠিয়ে দেয়।
ইস্যুকারী
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক মূলত তার কার্ডধারীর কেনাকাটার জন্য অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে।
কার্ডধারী
কার্ডধারী তার কেনাকাটার জন্য ইস্যুকারী ব্যাংক এবং কার্ড চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সুদ এবং ফি পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন।
তহবিল এবং ফি
ওপরে নিষ্পত্তি এবং ক্লিয়ারিংয়ের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসেসর ক্রেডিট কার্ডে বিক্রয় থেকে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা করবে এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি কেটে নেবে। যাইহোক, ঠিক কীভাবে ফি কেটে নেওয়া হয় এবং কখন তহবিল জমা করা হয় তাতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড ডিপোজিট
আজকাল, বেশির ভাগ প্রসেসর পণ্য কেনার পরের দিন তহবিল জমা করে। এর অর্থ মার্চেন্ট আজকের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ পাবে আগামীকাল।
কিছু ক্ষেত্রে, প্রসেসরেরা মার্চেন্টের তহবিল আটকে দিতে পারে। লেনদেনে জালিয়াতির সন্দেহ বা অন্য কোনো কারণে লেনদেনটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তাৎক্ষণিক তহবিল জমা হবে না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কার্ড ঘষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট জমা হওয়া দেখতে পাবেন না মার্চেন্ট।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা কার্ড। বাংলাদেশেও তাই। ভিসা কার্ডের সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ড: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গ্রাহক কেনাকাটা করতে পারেন। আবার এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থও উত্তোলন করা যায়। তবে এর জন্য ব্যাংক নির্ধারিত হারে সুদ দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৪৫ দিন) বিনা সুদ বা মাশুলে সেই অর্থ পরিশোধ করা যায়। সোজা কথা, এটি একপ্রকার ঋণ।
এ ছাড়া বিনা সুদে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ, নগদ অর্থ ফেরত, নির্দিষ্ট খুচরা বিক্রেতার কাছে কেনাকাটা করার সময় বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি অফারও থাকে।
ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের তাদের সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সুযোগ দেয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো এখানেও নানা অফার থাকতে পারে। তবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ব্যালেন্স থাকতে হয়।
প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড: প্রিপেইড এবং গিফট কার্ড দিয়েও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা যায়।
প্রিপেইড কার্ডগুলো ডিপোজিট ব্যালেন্স বা ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই কার্ডগুলোর বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগে থেকেই ভরা থাকে। এটি ক্রেডিট সীমা হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ কার্ডধারী এই সীমার বেশি খরচ করতে পারেন না।
গিফট কার্ডও একই রকম। তবে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতার কাছে সুবিধা দিতে এই কার্ড ইস্যু করা হয়।
এসব কার্ড ব্যবহারের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়ার পেছনের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা কিন্তু মোটেও আবশ্যক নয়। কারণ এক ঘষাতেই লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। কার্ডের মালিককে আক্ষরিক অর্থে কিছুই করতে হয় না। কিন্তু বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা থাকা ভালো। কারণ এখানে পুরো সিস্টেমের বিভিন্ন পর্যায়ে ফি কেটে নেওয়া হয়। লেনদেন প্রক্রিয়ার স্তরগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে কীভাবে এসব কার্ড নেওয়া যায়, কোথায় কীভাবে ব্যবহার করলে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এবং ন্যূনতম খরচে এই সেবা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে জানা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করলে দাঁড়ায়- ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কগুলো মার্চেন্ট, প্রসেসর এবং ব্যাংকের মধ্যে শত শত কোটি টাকার লেনদেন করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কার্ডের চিপটি একটি প্রসেসরের কাছে লেনদেনের তথ্য পাঠায়, এরপর কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য ইস্যুকারী ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রসেসরের কাছে অনুমোদন পাঠায়। সর্বশেষ চূড়ান্ত ভাবে সেই নির্দেশনা মার্চেন্টের টার্মিনাল বা সফটওয়্যারে পৌঁছায়। আর তখনই লেনদেন সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি ঘটে নিমেষের মধ্যে।
পুরো লেনদেন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন (অথোরাইজেশন) পাওয়া কেবল প্রথম ধাপ। মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চাহিদার অর্থ জমা হওয়ার আগে অনুমোদনগুলো নিষ্পত্তি করতে হয়। ক্রেডিট কার্ড লেনদেন অনুমোদন এবং নিষ্পত্তি এই দুই-ধাপে প্রক্রিয়াটি নিষ্পন্ন হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণে ফি নির্ধারিত থাকে। আর উভয় ধাপে বা আংশিক ব্যর্থতার ফলে খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং/অথবা লেনদেন সম্পন্ন নাও হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন নিষ্পত্তি হয় কীভাবে: মূল ভূমিকা কাদের
অনুমোদন এবং নিষ্পত্তিতে জড়িত মূল পক্ষগুলো হলো- কার্ডধারী, মার্চেন্ট (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান), অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (মার্চেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক), ইস্যুকারী ব্যাংক (কার্ডধারীর ব্যাংক) এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিসকভার ইত্যাদি)।
কার্ডধারী
আপনার যদি একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কার্ডধারীর ভূমিকা সম্পর্কে জানেন। তবে বিস্তারিত বলতে গেলে—একজন কার্ডধারী হলেন এমন একজন যিনি কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক থেকে একটি ব্যাংক কার্ড (ক্রেডিট বা ডেবিট) পান। এরপর পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে লেনদেনের জন্য তিনি কার্ডটি উপস্থাপন করেন।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট বলতে বোঝায় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে। কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয় যারা এখানে শুধু সেই মার্চেন্টের কথা বলা হচ্ছে। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে, যেটির মাধ্যমে তারা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের পণ্য বা পরিষেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে পারে তারাই মার্চেন্ট। ব্যবসার মালিক হিসেবে আপনি একজন মার্চেন্ট বলে গণ্য হতে পারেন।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা মার্চেন্ট’স ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক হলো কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা বা মাস্টারকার্ড) নিবন্ধিত সদস্য। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে সাধারণত মার্চেন্ট ব্যাংক বলা হয়। এই ধরনের ব্যাংক এমন একটি অ্যাকাউন্ট (যেটিকে বলে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট) পরিচালনার জন্য মার্চেন্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে, যা মার্চেন্টকে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকগুলো মার্চেন্টদের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করে। এ ছাড়া গ্রাহক পরিষেবা এবং কার্ড গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিকগুলোও তারা পরিচালনা করে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধিত মূল্যের বিপরীতে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ ডিপোজিট (তহবিল) জমা করে।
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক
অবশ্য নাম দেখেই বুঝতে পারার কথা- ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। ইস্যুকারী ব্যাংক একই সঙ্গে কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড) সদস্যও।
ইস্যুকারী ব্যাংকগুলো তাদের কার্ডধারীরা যে কেনাকাটা করেন তার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে। এরপরে কার্ডধারীর দায়িত্ব হয় তাঁদের ক্রেডিট কার্ড চুক্তির শর্তাবলির অধীনে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে সেই অর্থ পরিশোধ করা।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন (ভিসা এবং মাস্টারকার্ড)
ভিসা এবং মাস্টারকার্ড কিন্তু কোনো ব্যাংক নয়। তারা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ইস্যু করে না। বরং তারা নিজ নিজ কার্ড ব্র্যান্ডের জন্য অভিভাবক (কাস্টডিয়ান) এবং ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। তারা ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিপেনডেন্ট সেলস অর্গানাইজেশন (আইএসও) এবং মেম্বারশিপ সার্ভিস প্রভাইডার্সের (এমএসপি) সঙ্গে একটি গভর্নিং বডি হিসেবেও কাজ করে। এখান থেকে ‘কার্ড অ্যাসোসিয়েশন’ নাম এসেছে।
কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পরিচালনা করা। যার মধ্যে রয়েছে ইস্যুকারী এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিনিময় ফি এবং যোগ্যতা নির্দেশিকা নির্ধারণ করা, কার্ড নেটওয়ার্ক এবং নিজ ব্র্যান্ডের উন্নয়ন এবং অবশ্যই পুরো প্রক্রিয়া থেকে মুনাফা করা। মুনাফার বিষয়টি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, ফলত ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এখন পাবলিক কোম্পানি (পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত)।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ভিসা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিসানেট প্ল্যাটফর্ম। আর এ কাজে মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে তাদের ব্যাংকনেট নেটওয়ার্ক।
ক্রেডিট কার্ড অনুমোদন (অথোরাইজেশন) প্রক্রিয়া
অথোরাইজেশন প্রক্রিয়ায় ওপরে উল্লিখিত সব পক্ষই নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। নিচে কোন পক্ষের কী ভূমিকা থাকে তা তুলে ধরা হলো:
কার্ডধারী
একজন কার্ডধারী পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে একটি মার্চেন্টের কাছে তাঁর কার্ডটি উপস্থাপন করেন। এরপরই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সূচনা হয়।
মার্চেন্ট
মার্চেন্ট তাদের ক্রেডিট কার্ড মেশিন, সফটওয়্যার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে কার্ডধারীর তথ্য এবং লেনদেনের বিশদ বিবরণ তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বা লেনদেন প্রক্রিয়াকারী ব্যাংকের কাছে পাঠায়।
অ্যাকোয়ারিং বা প্রসেসর
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) লেনদেনের তথ্য গ্রহণ করে এবং যথাযথ কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য কার্ডধারীর ইস্যুকারী ব্যাংকে পাঠায়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
মাস্টারকার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের নিজস্ব ব্যাংকনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এবং প্রক্রিয়াকারীর (অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা এর প্রসেসর) মধ্যে বিনিময় করে। আর ভিসা কার্ড লেনদেনের তথ্য তাদের ভিসানেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কাজটি করে।
ইস্যুকারী
ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক ব্যাংকনেট বা ভিসানেটের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের (বা এর প্রসেসর) কাছ থেকে লেনদেনের তথ্য পায়। এরপর সে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে। সেই সঙ্গে লেনদেনটি বৈধ কি-না, কার্ডধারীর যথেষ্ট ব্যালেন্স আছে কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর লেনদেনের অনুমোদন দেয় বা প্রত্যাখ্যান করে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ভিসা/মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক যথাযথ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা এর প্রসেসর) একটি কোড পাঠায়।
মার্চেন্ট
কোডটি মার্চেন্টের টার্মিনাল, সফটওয়্যার বা গেটওয়েতে পৌঁছায় এবং লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা একটি ব্যাচ ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়।
ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি যেভাবে সম্পন্ন হয়
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড লেনদেন যেভাবে কাজ করে সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ হলো ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তি (সেটেলমেন্ট)। অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও সঞ্চালিত হওয়ার পরে এটি ঘটে। নিষ্পত্তির জন্য মার্চেন্ট প্রসেসরে অনুমোদনের জন্য একটি ‘ব্যাচ’ পাঠায়। সাধারণত দিনে একবার এই কাজটি হয়। প্রসেসর অনুমোদন প্রক্রিয়ার পুনঃসমন্বয় করে এবং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কে ব্যাচ জমা দেয়। প্রসেসর তখন পণ্য বা সেবা বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির (পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী মার্চেন্ট) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে। পাশাপাশি প্রসেসিং ফি কেটে নেয়। এই পর্যায়ে লেনদেনটি সম্পন্ন হয়।
এদিকে কার্ড ইস্যুকারী এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক যোগাযোগ এবং অর্থ স্থানান্তর অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ডধারীর কেনাকাটার অর্থ অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে পাঠায়। অবশেষে কার্ডধারীকে সেই অর্থ সেই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককেই দিতে হয়। এই পদক্ষেপগুলোর কোনটির সঙ্গেই আসলে কার্ডধারীর কোনো সম্পৃক্ততা লাগে না।
মার্চেন্ট
এবার মার্চেন্ট তাদের অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে (বা ব্যাংকের প্রসেসর) অনুমোদিত অথোরাইজেশনের একটি ব্যাচ পাঠিয়ে নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। অনুমোদনের ব্যাচগুলো সাধারণত প্রতি কার্যদিবসের শেষে পাঠানো হয়। কার্ড থেকে একাধিক লেনদেন হলে সব মিলে একটি ব্যাচ তৈরি হয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক (বা এর প্রসেসর) যথাযথ কার্ড অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের (ভিসানেট বা ব্যাংকনেট) মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে অনুমোদনের ব্যাচগুলো পুনরায় একত্রিত করে এবং পাঠিয়ে দেয়।
অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক অটোমেটেড ক্লিয়ারিংহাউসের (এসিএইচ) মাধ্যমে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা করে এবং মার্চেন্টের সঙ্গে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে মাসিক, দৈনিক বা উভয় হিসাবে নির্দিষ্ট প্রসেসিং ফি কেটে নেয়।
কার্ড নেটওয়ার্ক
কার্ড অ্যাসোসিয়েশন কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফি কেটে নেয় এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাদের পাওনা পাঠিয়ে দেয়।
ইস্যুকারী
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক মূলত তার কার্ডধারীর কেনাকাটার জন্য অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে অর্থ প্রদান করে।
কার্ডধারী
কার্ডধারী তার কেনাকাটার জন্য ইস্যুকারী ব্যাংক এবং কার্ড চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সুদ এবং ফি পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন।
তহবিল এবং ফি
ওপরে নিষ্পত্তি এবং ক্লিয়ারিংয়ের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসেসর ক্রেডিট কার্ডে বিক্রয় থেকে মার্চেন্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা করবে এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি কেটে নেবে। যাইহোক, ঠিক কীভাবে ফি কেটে নেওয়া হয় এবং কখন তহবিল জমা করা হয় তাতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড ডিপোজিট
আজকাল, বেশির ভাগ প্রসেসর পণ্য কেনার পরের দিন তহবিল জমা করে। এর অর্থ মার্চেন্ট আজকের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ পাবে আগামীকাল।
কিছু ক্ষেত্রে, প্রসেসরেরা মার্চেন্টের তহবিল আটকে দিতে পারে। লেনদেনে জালিয়াতির সন্দেহ বা অন্য কোনো কারণে লেনদেনটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তাৎক্ষণিক তহবিল জমা হবে না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কার্ড ঘষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট জমা হওয়া দেখতে পাবেন না মার্চেন্ট।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

আজকাল আর পকেটভর্তি নগদ টাকা নিয়ে দূরে ভ্রমণ করার দরকার পড়ে না। মানিব্যাগের একপাশে গুঁজে রাখা ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসানো পলিমারের কার্ড থাকাই যথেষ্ট। দু-একশ থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত এই কার্ড ঘষেই লেনদেন করা সম্ভব।
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে