ফিচার ডেস্ক
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানী আগারগাঁওয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও ৮ম বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে সারা দেশ থেকে আসা ৭০০ জন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তা। অংশগ্রহণকারীরা ১৯২টি স্টলে প্রদর্শন করছে তাদের নিজ নিজ উদ্ভাবনী প্রকল্প। দেশ ও জাতির জীবন মান উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের ধারণা নিয়ে এসব প্রকল্প তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের এই আয়োজন হয়েছে জুনিয়র ও সিনিয়র জুনিয়র এ দুই ক্যাটাগরিতে। জুনিয়র গ্রুপে অংশ নিয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং সিনিয়র গ্রুপে অংশ নিয়েছে কলেজ পড়ুয়ারা।
গত বছরের চ্যাম্পিয়ন নরসিংদী সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিক ল্যাব টিমের প্রধান রাফি হোসেন ও তার দল এবার বিজ্ঞান মেলায় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে তাদের নতুন উদ্ভাবন নিয়ে। ২০২০ সাল থেকে তারা এআই অ্যামেন্ডমেন্ট এরিয়াল ভেহিক্যাল নিয়ে কাজ করছে। গবেষণার ফল হিসেবে এবারের মেলায় তারা নিয়ে এসেছে অটোনোমাস মাল্টিপারপাস অক্টোকপ্টার ড্রোন। নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত এই ড্রোন দিয়ে আগুন নেভানো, বনায়ন, জরুরি যোগাযোগ, সামরিক নজরদারিসহ বহুমুখী কাজ করা যাবে। ড্রোনটির কাঠামো তৈরি হয়েছে ৬৫ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম ও ৩৫ শতাংশ কার্বন ফাইবার দিয়ে। ফলে এটি একই সঙ্গে হালকা ও শক্তিশালী। ২ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে ড্রোনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। একটি অটো ন্যাভিগেশন সিস্টেম এই ড্রোনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
জুনিয়র ডিভিশনেও এবার অসাধারণ সব প্রকল্প নিয়ে এসেছে খুদে বিজ্ঞানীরা। বরগুনার আবদুল্লাহ আল সাইম একাই বেশ কয়েকটি উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে। গ্রাম এলাকায় গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী দুটি সমান্তরাল তার এক হয়ে গেলে অথবা আগুন লাগলে শর্টসার্কিট হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সাইম এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যাতে দুটি সমান্তরাল বিদ্যুৎ পরিবাহী তার একত্র হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং শর্টসার্কিটের কারণে আর ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। হিট সেন্সর থাকায় আগুন লাগলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ইনফ্রারেড সেন্সর যুক্ত ব্লাইন্ড গ্লাস, বায়ুদূষণ রোধে ভ্যাকুয়াম এয়ার ফিল্টার, নারীদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে সহজে সহায়তা পাওয়ার জন্য পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি ট্র্যাকিং অ্যান্ড সেফটি শু। এর এক পাটিতে জিপিএস ট্র্যাকার আর অন্য পাটিতে লাগানো আছে ২৫০ কিলো ভোল্টের স্টান গান।
আহমেদ ইয়ামীন এসেছে যশোরের নওয়াপাড়ার আকিজ আইডিয়াল স্কুল থেকে। তার প্রজেক্টের নাম ‘সুস্থ পরিবেশ, সুস্থ জীবন’। এ প্রকল্পের আওতায় ইয়ামীন বানিয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বনির্ভর ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় বর্জ্য পুড়িয়ে পাওয়া তাপ ও আলোক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা ব্যাটারিতে স্টোর করা যাবে। প্রয়োজনে এসি কনভারটার দিয়ে এই বিদ্যুৎ গ্রিডেও সংযুক্ত করা যাবে। বর্জ্য পোড়ানোর ছাই সিমেন্ট উৎপাদনে এবং উৎপাদিত ধোঁয়া থেকে কার্বন সংগ্রহ করে কার্বন প্লেটে জমানো যাবে। অবশিষ্ট কার্বন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়যোগ্য। ইয়ামীনের দাবি, তার প্রজেক্টের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ১ হাজার টন বর্জ্য থেকে ১৫ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এ পরিমাণ বিদ্যুৎ তার শহর নওয়াপাড়ার বাসিন্দাদের একদিনের আবাসিক বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানী আগারগাঁওয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও ৮ম বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে সারা দেশ থেকে আসা ৭০০ জন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তা। অংশগ্রহণকারীরা ১৯২টি স্টলে প্রদর্শন করছে তাদের নিজ নিজ উদ্ভাবনী প্রকল্প। দেশ ও জাতির জীবন মান উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের ধারণা নিয়ে এসব প্রকল্প তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের এই আয়োজন হয়েছে জুনিয়র ও সিনিয়র জুনিয়র এ দুই ক্যাটাগরিতে। জুনিয়র গ্রুপে অংশ নিয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং সিনিয়র গ্রুপে অংশ নিয়েছে কলেজ পড়ুয়ারা।
গত বছরের চ্যাম্পিয়ন নরসিংদী সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিক ল্যাব টিমের প্রধান রাফি হোসেন ও তার দল এবার বিজ্ঞান মেলায় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে তাদের নতুন উদ্ভাবন নিয়ে। ২০২০ সাল থেকে তারা এআই অ্যামেন্ডমেন্ট এরিয়াল ভেহিক্যাল নিয়ে কাজ করছে। গবেষণার ফল হিসেবে এবারের মেলায় তারা নিয়ে এসেছে অটোনোমাস মাল্টিপারপাস অক্টোকপ্টার ড্রোন। নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত এই ড্রোন দিয়ে আগুন নেভানো, বনায়ন, জরুরি যোগাযোগ, সামরিক নজরদারিসহ বহুমুখী কাজ করা যাবে। ড্রোনটির কাঠামো তৈরি হয়েছে ৬৫ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম ও ৩৫ শতাংশ কার্বন ফাইবার দিয়ে। ফলে এটি একই সঙ্গে হালকা ও শক্তিশালী। ২ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে ড্রোনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। একটি অটো ন্যাভিগেশন সিস্টেম এই ড্রোনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
জুনিয়র ডিভিশনেও এবার অসাধারণ সব প্রকল্প নিয়ে এসেছে খুদে বিজ্ঞানীরা। বরগুনার আবদুল্লাহ আল সাইম একাই বেশ কয়েকটি উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে। গ্রাম এলাকায় গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী দুটি সমান্তরাল তার এক হয়ে গেলে অথবা আগুন লাগলে শর্টসার্কিট হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সাইম এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যাতে দুটি সমান্তরাল বিদ্যুৎ পরিবাহী তার একত্র হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং শর্টসার্কিটের কারণে আর ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। হিট সেন্সর থাকায় আগুন লাগলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ইনফ্রারেড সেন্সর যুক্ত ব্লাইন্ড গ্লাস, বায়ুদূষণ রোধে ভ্যাকুয়াম এয়ার ফিল্টার, নারীদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে সহজে সহায়তা পাওয়ার জন্য পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি ট্র্যাকিং অ্যান্ড সেফটি শু। এর এক পাটিতে জিপিএস ট্র্যাকার আর অন্য পাটিতে লাগানো আছে ২৫০ কিলো ভোল্টের স্টান গান।
আহমেদ ইয়ামীন এসেছে যশোরের নওয়াপাড়ার আকিজ আইডিয়াল স্কুল থেকে। তার প্রজেক্টের নাম ‘সুস্থ পরিবেশ, সুস্থ জীবন’। এ প্রকল্পের আওতায় ইয়ামীন বানিয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বনির্ভর ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় বর্জ্য পুড়িয়ে পাওয়া তাপ ও আলোক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা ব্যাটারিতে স্টোর করা যাবে। প্রয়োজনে এসি কনভারটার দিয়ে এই বিদ্যুৎ গ্রিডেও সংযুক্ত করা যাবে। বর্জ্য পোড়ানোর ছাই সিমেন্ট উৎপাদনে এবং উৎপাদিত ধোঁয়া থেকে কার্বন সংগ্রহ করে কার্বন প্লেটে জমানো যাবে। অবশিষ্ট কার্বন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়যোগ্য। ইয়ামীনের দাবি, তার প্রজেক্টের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ১ হাজার টন বর্জ্য থেকে ১৫ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এ পরিমাণ বিদ্যুৎ তার শহর নওয়াপাড়ার বাসিন্দাদের একদিনের আবাসিক বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
বিশ্বজুড়েই ম্যারাথনে মানুষই দৌড়ায়। তবে চীনে দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। সেখানে হাফ ম্যারাথনে দৌড়াল রোবট। একটি কিংবা দুটি নয়, ২০টি রোবট দৌড়াল সেই ম্যারাথনে।
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসার প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকেন। ব্যবসাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও পণ্য বা সেবার ব্যাপারে বিশ্বাস তৈরি করতে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করা
১৫ ঘণ্টা আগেআগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৫ ঘণ্টা আগেচাকরির বাজারে এক নতুন হুমকির নাম—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতারকেরা এখন তৈরি করছে ভুয়া প্রোফাইল। এসব ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করার সুযোগ পেতে চায় প্রতারকেরা।
১৬ ঘণ্টা আগে