অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।
প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাংকার প্রায় ১১ লাখ পাওয়ার ব্যাংক বাজার থেকে প্রত্যাহার করছে। পাওয়ারকোর ১০০০০ মডেলের এই পাওয়ার ব্যাংকগুলোতে আগুন লাগার সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগেরোবটিক প্রযুক্তিতে স্পর্শ অনুভবের ঘাটতি বরাবরই একটি বড় সীমাবদ্ধতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। এবার সেই সীমা অতিক্রমের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এনেছেন বিজ্ঞানীরা—তাঁরা রোবটের জন্য তৈরি করেছেন এমন একটি কৃত্রিম ত্বক, যা মানুষের মতো একাধিক স্পর্শ ও অনুভূতি শনাক্ত করতে সক্ষম।
১০ ঘণ্টা আগেআপনার ইন্টারনেট সার্চ হিস্টরি যদি হঠাৎ জনসমক্ষে চলে আসে তাহলে অস্বস্তি অনুভব করাই স্বাভাবিক। ঠিক এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন মেটা এআই ব্যবহারকারীরা। কারণ, বহু মানুষের প্রম্পট ও এআই-এর জবাব এখন দেখা যাচ্ছে মেটার পাবলিক ফিডে।
১১ ঘণ্টা আগে২৩০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা নেমে যেতে পারে মাত্র ১০ কোটিতে। বর্তমানে যা ৮০০ কোটির কাছাকাছি। তাঁর দাবি, মানুষের চাকরি একের পর এক হারিয়ে যাবে এআই-এর হাতে। ভবিষ্যতের সমাজে কাজের অভাবে মানুষ সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকবে, ফলে জন্মহার হু হু করে কমে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগে