প্রতারণার মাধ্যমে গত ৬ বছরে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়ার কিছু নাগরিক। তারা নিজেদের আইটি কর্মী হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে চাকরি নেয় এবং উত্তর কোরিয়ায় বসেই এই অর্থ উপার্জন করে। তবে এই প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মূল হোতাদের চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
এই প্রতারণার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিবিদরা নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থান গোপন করে দূরবর্তী চাকরি লাভ করতেন। এরপর তারা অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ উত্তর কোরিয়ায় নিয়ে আসতেন। তারা কর্মী হিসেবে তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিগুলোর প্রোপাইটরি সোর্স কোডের মতো গোপন তথ্য চুরি করত। পরবর্তীতে তথ্য ফাঁসের হুমকি দিয়ে নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে তারা।
এমনকি তথ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে। এই ধরনের প্রতারণা এতটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে যে, এটি এড়ানোর জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছে এফবিআই।
এই ভুয়া কর্মীদের নিয়োগদাতা হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করছে মার্কিন সরকার। একই সঙ্গে ১৪ জন ব্যক্তির নামও প্রকাশ করা হয়েছে যারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল।
তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তর কোরিয়ার নয়। রাশিয়া ও চীনভিত্তিক দুটি কোম্পানি ইয়ানবিয়ান সিলভারস্টার এবং ভোলাসিস সিলভারস্টার এই কর্মীদের নিয়োগ দিয়েছিল।
ডিওজে জানিয়েছে, এই প্রতারণার মাধ্যমে গত ছয় বছরে ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। তবে এর মধ্যে হুমকি দিয়ে চাওয়া অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি কোম্পানি এবং ২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য করে এই প্রতারণা করা হয়েছিল। প্রতারণায় অংশ নেওয়া ১৩০ জন কর্মী ‘আইটি যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত। তাদের লক্ষ্য ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার আয় করা। তারা এই লক্ষ্য অর্জন করলে বোনাস, পুরস্কার কিংবা পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হতো। তবে যদি ১৩০ জন কর্মী আসলেই ৬ বছর ধরে কাজ করতেন, তাহলে তাদের গড় আয় ৯৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার হতে পারত।
এ ছাড়া, এই পরিকল্পনার পেছনে একাধিক স্তরের ব্যবস্থাপনা কাঠামো ছিল। এই প্রতারকদের কিছু সাহায্যকারী ছিল। তারা ভুয়া কর্মীদের ল্যাপটপ কিনে দিয়েছিল এবং এমন সফটওয়্যার ইনস্টল করেছিল, যার মাধ্যমে মনে হতো যে উত্তর কোরিয়ার কর্মীরা তাদের নিজ দেশে নেই। এ ছাড়া, আইটি কর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানোর জন্য তারা কিছু ভুয়া ওয়েবসাইটও তৈরি করেছিল। এই ভুয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল–ইডেন প্রোগ্রামিং সলিউশন, পার্পেলিস টেক, কালচার বক্স, নেক্সট নেটস, ইলিউশন সফটওয়্যার, বেবি বক্স টেক, কিউবিক্স টেক এবং হেলিক্স।
গুগলের তথ্য নিরাপত্তা শাখা জানায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীদের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের সংখ্যা বেড়েছে।
এ ছাড়া এই প্রতারণা চক্রের আর্থিক কাঠামো ধ্বংস করার সাহায্যকারী তথ্যের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ১৪ জন অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে এফবিআই। তবে তারা উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে এফবিএআইয়ের বিশেষ এজেন্ট অ্যাশলি টি জনসন বলেন, ‘যদিও আমরা এই গ্রুপের নেতৃত্ব চিহ্নিত করতে পেরেছি, এটি কেবলমাত্র শুরু। প্রতিদিন মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের প্রতারণা চালাতে হাজার হাজার আইটি কর্মী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সরকার।
তথ্যসূত্র: দ্য রেজিস্টার
প্রতারণার মাধ্যমে গত ৬ বছরে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়ার কিছু নাগরিক। তারা নিজেদের আইটি কর্মী হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে চাকরি নেয় এবং উত্তর কোরিয়ায় বসেই এই অর্থ উপার্জন করে। তবে এই প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মূল হোতাদের চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
এই প্রতারণার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিবিদরা নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থান গোপন করে দূরবর্তী চাকরি লাভ করতেন। এরপর তারা অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ উত্তর কোরিয়ায় নিয়ে আসতেন। তারা কর্মী হিসেবে তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিগুলোর প্রোপাইটরি সোর্স কোডের মতো গোপন তথ্য চুরি করত। পরবর্তীতে তথ্য ফাঁসের হুমকি দিয়ে নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে তারা।
এমনকি তথ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে। এই ধরনের প্রতারণা এতটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে যে, এটি এড়ানোর জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছে এফবিআই।
এই ভুয়া কর্মীদের নিয়োগদাতা হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করছে মার্কিন সরকার। একই সঙ্গে ১৪ জন ব্যক্তির নামও প্রকাশ করা হয়েছে যারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল।
তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তর কোরিয়ার নয়। রাশিয়া ও চীনভিত্তিক দুটি কোম্পানি ইয়ানবিয়ান সিলভারস্টার এবং ভোলাসিস সিলভারস্টার এই কর্মীদের নিয়োগ দিয়েছিল।
ডিওজে জানিয়েছে, এই প্রতারণার মাধ্যমে গত ছয় বছরে ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। তবে এর মধ্যে হুমকি দিয়ে চাওয়া অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি কোম্পানি এবং ২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য করে এই প্রতারণা করা হয়েছিল। প্রতারণায় অংশ নেওয়া ১৩০ জন কর্মী ‘আইটি যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত। তাদের লক্ষ্য ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার আয় করা। তারা এই লক্ষ্য অর্জন করলে বোনাস, পুরস্কার কিংবা পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হতো। তবে যদি ১৩০ জন কর্মী আসলেই ৬ বছর ধরে কাজ করতেন, তাহলে তাদের গড় আয় ৯৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার হতে পারত।
এ ছাড়া, এই পরিকল্পনার পেছনে একাধিক স্তরের ব্যবস্থাপনা কাঠামো ছিল। এই প্রতারকদের কিছু সাহায্যকারী ছিল। তারা ভুয়া কর্মীদের ল্যাপটপ কিনে দিয়েছিল এবং এমন সফটওয়্যার ইনস্টল করেছিল, যার মাধ্যমে মনে হতো যে উত্তর কোরিয়ার কর্মীরা তাদের নিজ দেশে নেই। এ ছাড়া, আইটি কর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানোর জন্য তারা কিছু ভুয়া ওয়েবসাইটও তৈরি করেছিল। এই ভুয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল–ইডেন প্রোগ্রামিং সলিউশন, পার্পেলিস টেক, কালচার বক্স, নেক্সট নেটস, ইলিউশন সফটওয়্যার, বেবি বক্স টেক, কিউবিক্স টেক এবং হেলিক্স।
গুগলের তথ্য নিরাপত্তা শাখা জানায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীদের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের সংখ্যা বেড়েছে।
এ ছাড়া এই প্রতারণা চক্রের আর্থিক কাঠামো ধ্বংস করার সাহায্যকারী তথ্যের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ১৪ জন অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে এফবিআই। তবে তারা উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে এফবিএআইয়ের বিশেষ এজেন্ট অ্যাশলি টি জনসন বলেন, ‘যদিও আমরা এই গ্রুপের নেতৃত্ব চিহ্নিত করতে পেরেছি, এটি কেবলমাত্র শুরু। প্রতিদিন মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের প্রতারণা চালাতে হাজার হাজার আইটি কর্মী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সরকার।
তথ্যসূত্র: দ্য রেজিস্টার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে তাদের ডেলিভারি এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেগুগল ও চিলি সরকার একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছে, যার আওতায় দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং ওশেনিয়া মহাদেশকে যুক্ত করতে একটি সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করা হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘হুম্বোল্ড কেবল’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেবলটি চিলির উপকূলীয় শহর ভালপারাইসো থেকে
১০ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটির সেবায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এবার থেকে ব্যবহারকারীরা গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, শেয়ারপয়েন্ট ও ওয়ানড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে সরাসরি সংযুক্ত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান, সারসংক্ষেপ প্রস্তুত এবং তথ্য বিশ্লেষণ
১১ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনে মামলা করেছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম রেডিট। গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, অ্যানথ্রপিক অবৈধভাবে রেডিটের ১০ কোটিরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে তাদের
১৪ ঘণ্টা আগে