মো. ইকরামুল হাসান
মোবাইল ব্যাংকিং এখন সেবা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এর ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি বিভ্রান্তিতেও পড়তে হচ্ছে অনেককে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হওয়ার নজিরও দেখা যাচ্ছে।
নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করতে হলে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
গোপন পিন নম্বর
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যে সেবাই ব্যবহার করুন না কেন, তার গোপন পিন নম্বর কাউকে দেওয়া যাবে না। এমনকি ব্যাংকের কারও কাছেও নয়। কেউ যদি ফোন করে আপনার গোপন পিন নম্বর চায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা প্রতারণা। কেউ পিন নম্বরে অ্যাকাউন্ট জেনে গেলে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ফেলতে পারে। গোপন নম্বর সব সময়ই গোপন থাকবে।
ভুয়া মেসেজ বা কল
অনেক সময় বিভিন্ন জালিয়াত চক্র ফোন করে বা মেসেজ দিয়ে অ্যাকাউন্ট-সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াত চক্র সিস্টেম আপগ্রেড হচ্ছে বা আপনার নম্বরে সমস্যা দেখা দিয়েছে অথবা আপনি কোনো লটারি বা টাকা পেয়েছেন বা উপহার পেয়েছেন এ-জাতীয় ভুয়া তথ্য দিয়ে থাকে। এসব প্রলোভনে পড়া যাবে না। নইলে আপনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন।
অনলাইন পাসওয়ার্ড বা ওটিপি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন সেবায় হিসাব খোলার ক্ষেত্রে অথবা যেকোনো একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট বা চ্যানেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরে বা ই-মেইল নম্বরে ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি আসে। এ ক্ষেত্রে ওই ভেরিফায়েড পেজ বা অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কাউকেই এই ওটিপি বা ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। এই ওটিপি বা পাসওয়ার্ড টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই ধাপে পরিচয় তথা মূল হিসাবকারীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওটিপি অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করলে জালিয়াত চক্র অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিতে পারে।
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার
অনলাইন লেনদেনের বড় একটি অংশ অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। অনলাইন গেটওয়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রকেট, বিকাশ, নগদ ইত্যাদি ব্যবহারকারীরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বর, পিন নম্বর, ওটিপি ওই সাইটে দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে সাইটটি কোনো ফিশিং সাইট কি না। যদি কারও সে সাইট-সংক্রান্ত কোনো ধরনের সন্দেহ হয়, তবে সেখানে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণ
অনেকেই অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেস, পিন নম্বর বা গোপন নম্বর ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে এসব তথ্য গোপন কোথাও সংরক্ষণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে সেই গোপন জায়গাটির সন্ধান কেউ যেন না পায়।
হিসাবসংক্রান্ত তথ্য শেয়ারিং
হিসাবসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, বিশেষ করে অনলাইন ব্যবহারকারীদের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যাংক অনেক তথ্য বিভিন্ন নম্বর বা ই-মেইলে শেয়ার করে কথা বলে থাকেন। ব্যবহারকারীরা তথ্য দেওয়ার আগে ব্যাংকের ঠিকানা বা ব্যাংকারের সঠিক পরিচয় জেনে নিয়ে তবেই তথ্য শেয়ার করবেন।
অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং জীবন সহজ করেছে, সেটা ঠিক। কিন্তু প্রতিটি ধাপে সতর্ক না থাকলে সুবিধাগুলো হয়ে উঠতে পারে অনিরাপদ। কাজেই নিরাপদে এসব সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবহারকারী নিজেই।
লেখক: সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
মোবাইল ব্যাংকিং এখন সেবা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এর ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি বিভ্রান্তিতেও পড়তে হচ্ছে অনেককে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হওয়ার নজিরও দেখা যাচ্ছে।
নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করতে হলে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
গোপন পিন নম্বর
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যে সেবাই ব্যবহার করুন না কেন, তার গোপন পিন নম্বর কাউকে দেওয়া যাবে না। এমনকি ব্যাংকের কারও কাছেও নয়। কেউ যদি ফোন করে আপনার গোপন পিন নম্বর চায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা প্রতারণা। কেউ পিন নম্বরে অ্যাকাউন্ট জেনে গেলে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ফেলতে পারে। গোপন নম্বর সব সময়ই গোপন থাকবে।
ভুয়া মেসেজ বা কল
অনেক সময় বিভিন্ন জালিয়াত চক্র ফোন করে বা মেসেজ দিয়ে অ্যাকাউন্ট-সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াত চক্র সিস্টেম আপগ্রেড হচ্ছে বা আপনার নম্বরে সমস্যা দেখা দিয়েছে অথবা আপনি কোনো লটারি বা টাকা পেয়েছেন বা উপহার পেয়েছেন এ-জাতীয় ভুয়া তথ্য দিয়ে থাকে। এসব প্রলোভনে পড়া যাবে না। নইলে আপনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন।
অনলাইন পাসওয়ার্ড বা ওটিপি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন সেবায় হিসাব খোলার ক্ষেত্রে অথবা যেকোনো একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট বা চ্যানেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরে বা ই-মেইল নম্বরে ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি আসে। এ ক্ষেত্রে ওই ভেরিফায়েড পেজ বা অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কাউকেই এই ওটিপি বা ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। এই ওটিপি বা পাসওয়ার্ড টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই ধাপে পরিচয় তথা মূল হিসাবকারীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওটিপি অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করলে জালিয়াত চক্র অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিতে পারে।
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার
অনলাইন লেনদেনের বড় একটি অংশ অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। অনলাইন গেটওয়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রকেট, বিকাশ, নগদ ইত্যাদি ব্যবহারকারীরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বর, পিন নম্বর, ওটিপি ওই সাইটে দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে সাইটটি কোনো ফিশিং সাইট কি না। যদি কারও সে সাইট-সংক্রান্ত কোনো ধরনের সন্দেহ হয়, তবে সেখানে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণ
অনেকেই অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেস, পিন নম্বর বা গোপন নম্বর ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে এসব তথ্য গোপন কোথাও সংরক্ষণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে সেই গোপন জায়গাটির সন্ধান কেউ যেন না পায়।
হিসাবসংক্রান্ত তথ্য শেয়ারিং
হিসাবসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, বিশেষ করে অনলাইন ব্যবহারকারীদের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যাংক অনেক তথ্য বিভিন্ন নম্বর বা ই-মেইলে শেয়ার করে কথা বলে থাকেন। ব্যবহারকারীরা তথ্য দেওয়ার আগে ব্যাংকের ঠিকানা বা ব্যাংকারের সঠিক পরিচয় জেনে নিয়ে তবেই তথ্য শেয়ার করবেন।
অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং জীবন সহজ করেছে, সেটা ঠিক। কিন্তু প্রতিটি ধাপে সতর্ক না থাকলে সুবিধাগুলো হয়ে উঠতে পারে অনিরাপদ। কাজেই নিরাপদে এসব সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবহারকারী নিজেই।
লেখক: সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
ইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। তাই সাইবার অপরাধীদের কাছে হ্যাকিংয়ের একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। ব্রাউজারটির বিভিন্ন দুর্বলতা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। সম্প্রতি এমন একটি সাইবার হামলা ক্রোমে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফ
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর মেটার বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে কোম্পানিটির কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে মেটার ফ্যাক্ট চেকিং ফিচার ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য। অবশেষে, গত বৃহস্পতিবার
৯ ঘণ্টা আগেসারা বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি করা নতুন এআই ভাষা মডেল ‘ডিপসিক আর১ ’। তাই এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে রিজনিং মডেল ‘ও ৩ মিনি’ বিনা মূল্যে ব্যবহারে সুযোগ দিচ্ছে ওপেনএআই।
৯ ঘণ্টা আগেব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অন্তভুক্ত করলে বিভিন্ন কাজ দ্রুত ও সহজভাবে করা যায়। তাই এআই নিয়ে অতী উৎসাহী ব্যবসায়ীরা। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বিশেষ করে নেতৃত্ব পর্যায়ে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণার অভাব থাকায় সংস্থাগুলোর মধ্যে...
১২ ঘণ্টা আগে