তারিক আল আজিজ
একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর কত ঝক্কি! পছন্দমতো জায়গা নেওয়া, অগ্রিম টাকা দেওয়া, জায়গাটা সাজানো, পণ্য ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখা—নানা কিছু। এফ কমার্স এসে এই পথচলা সহজ করেছে। আরও পিন পয়েন্ট করে বললে, শুরুর কাজটা অনেক সহজ করেছে। এফ কমার্স হলো ফেসবুক কমার্স। হালে বাংলাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী শব্দটি চেনেন ও জানেন। একটি বড়সংখ্যক জনগোষ্ঠী যেমন এই পদ্ধতি মেনে ব্যবসায় জড়িয়ে গেছেন, তেমনি ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এর সঠিক পরিসংখ্যান কী, সেটা বের করা আদতে মুশকিল।
এফ কমার্সের কিছু বিষয়ে একটু তলিয়ে দেখা যাক।
বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার যত ধরন আছে, তার মধ্যে এফ কমার্সে মানুষের সম্পৃক্ততা বেশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুক বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কাজেই এর মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো সহজ। আবার ফেসবুক পেজ সহজেই খোলা যায়, খুলতেও কোনো টাকা লাগে না। এই সুযোগ গ্রহণ করে অনেকেই, বিশেষ করে তরুণেরা ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা।
এফ কমার্স বিষয়টি বুঝতে ফেসবুক সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি। না জানার কারণে অনেকে ঠিকভাবে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারেন না। বুঝতে হবে যে টাকা খরচ করে পেজ প্রমোট বা পোস্ট বুস্ট করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আর এখন এর কার্যকারিতা আগের থেকে কম। প্রতিটা পোস্টের তথ্য, ছবি নিয়ম মেনে দেওয়া ও সঠিক বিপণন চিন্তা ব্যবসার পথকে সহজ করে। পেজের পাশাপাশি এখন পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপগুলো কাজে লাগিয়েও নিজের পণ্য বিক্রি করা যায় বা বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে নিজের পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়। বিপণনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকলে তা ব্যবসাকে অনেকটা ওপরে নিয়ে যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইওর জ্ঞান এ ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখে।
শুরুর দিকে স্বল্প পুঁজি দিয়ে অনেকে এফ কমার্সে সফল হয়েছেন। আবার অতিরিক্ত মূল্য, পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেকের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারপরও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখান থেকে শুরু করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এফ কমার্সে যুক্ত হতে গিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণাও কাজ করে। আর দশটা ব্যবসায়ের মতো এটাতে যে ঝুঁকি আছে; গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করা, সঠিক সময়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া—এ নিয়ে গাফিলতির কথা প্রায়ই শোনা যায়। উল্টোপিঠে ব্যবসায়ীদের অনেকেই ভুগছেন ক্রেতাদের মাধ্যমে। কিছু ক্রেতা পণ্য গ্রহণ করেন না, পণ্য পৌঁছে গেলে কেউবা ফোন বন্ধ রাখেন। ফলে অনেকে শতভাগ ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ থেকে সরে আসছেন।
নতুন কোনো পণ্যের চাহিদা ফেসবুক বা অনলাইনের যেকোনো প্ল্যাটফর্মে বেশি। অনেকে পণ্য আমদানি করে তা বিক্রি করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে পুঁজির ঘাটতি পোষাতে অনেকে দলবদ্ধ হয়ে পণ্য আমদানি করে থাকেন। পরে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। অনেকে ঝোঁকের বশে ব্যবসা শুরুর চিন্তা করলেও পণ্য সংগ্রহ, নিয়মিতভাবে তা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আগে ভাবেন না। ফলে ব্যবসা শুরুর একটা পর্যায়ে গিয়ে থমকে যান। এ জন্য প্রথম থেকে পণ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
এফ কমার্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কলেবর বাড়ার সঙ্গে ব্যবসার আরও বিস্তৃতি প্রয়োজন হয়। প্রথমত, অনেকে ব্যবসা শুধু ফেসবুক দিয়ে শুরু করলেও পরে একটা ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। একটা ওয়েবসাইট থাকা মানে ক্রেতার কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠা। এর মাধ্যমে বিক্রেতা নানা সুবিধাও পেয়ে থাকেন। সুষ্ঠুভাবে অর্ডার পাওয়া, ডেটাবেইস তৈরি, পরে ক্রেতাকে ফিডব্যাক দেওয়া—সব ক্ষেত্রে ই-কমার্স সাইট বেশ কাজে দেয়। ওয়েবসাইট তৈরির আগেই অবশ্য ওয়েব ডেভেলপারের সঙ্গে বসে নিজের সব চাহিদা সুস্পষ্টভাবে জানাতে হয়। পরিকল্পনা ঠিক রেখে সঠিকভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি হলে তা ভবিষ্যতে চলার পথকে সহজ করে দেয়। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্য অ্যাপের প্রয়োজন পড়ে। যাঁরা নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করেন, তাঁদের অনেকেই অ্যাপে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। এ জন্য অ্যাপসহ অনলাইনের প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানাভাবে উপস্থিত থাকা জরুরি।
এফ কমার্স বলে শুধু ওয়েবের ঠিকানা কিন্তু অনেকে আস্থায় নেন না। এ জন্য প্রয়োজন একটি অফিসের ঠিকানা। গুগল ম্যাপে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি। ক্রেতাদের সরাসরি এসে কেনার সুযোগ দিলে তা ব্যবসার জন্য ভালো ফল বয়ে আনে। এক শ্রেণির মানুষ সব সময়ই পণ্য যাচাই করে কিনতে চান। হোম ডেলিভারিতে সেই সুযোগ কম থাকে বলেই তাঁরা মনে করেন।
এফ কমার্সকে কেন্দ্র করে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। যাঁরা নিজে ডেলিভারি করেন না, তাঁরা সহজেই এসব কোম্পানির সহায়তা নিয়ে পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন ক্রেতার কাছে। তবে, সঠিক কোম্পানি বাছাই করাটা জরুরি। অন্যথায় মূল্যবান পণ্য হারিয়ে যেতে বা সঠিকভাবে না-ও পৌঁছাতে পারে।
এফ কমার্স মূলত ব্যবসা। ফেসবুকের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেশাদারির সঙ্গে পথ চললে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়। ব্যবসা মানেই অনেক টাকা লাগে, এ চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পরিকল্পিতভাবে এ পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।
ফেসবুকে পেজ প্রমোট বা বুস্টের ক্ষেত্রে ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ বা সম্ভাব্য ক্রেতা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না করে বুস্ট বা প্রমোট করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে পিন পয়েন্ট করে নির্দিষ্ট একটা অঞ্চল যেমন ঠিক করা যায়, একইভাবে বয়স, লিঙ্গ ঠিক করে দেওয়া যায়। আবার সুনির্দিষ্ট ট্যাগও ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। মেটার এই সময়ে ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লিংক করে নেওয়া যায়। পাশাপাশি অনেকে মেসেজের অপশন হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ পছন্দ করেন। সেটাও বুস্টের সময় যুক্ত করলে ক্রেতাদের কল পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নিজে সব ঠিকমতো করতে না পারলে এই সহায়তা দেওয়ার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া ভালো। না বুঝে এগোলে পেজের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন থাকা প্রয়োজন। নাহলে আপনার দীর্ঘদিনের পেজ হ্যাক হয়ে যেতে পারে। অনেকে নিজের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করেন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারে সতর্ক থাকা উচিত। পণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচারণা চালালে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল লাভ করা যায়।
লেখক: সিইও, মিডিয়া ভিশন
একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর কত ঝক্কি! পছন্দমতো জায়গা নেওয়া, অগ্রিম টাকা দেওয়া, জায়গাটা সাজানো, পণ্য ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখা—নানা কিছু। এফ কমার্স এসে এই পথচলা সহজ করেছে। আরও পিন পয়েন্ট করে বললে, শুরুর কাজটা অনেক সহজ করেছে। এফ কমার্স হলো ফেসবুক কমার্স। হালে বাংলাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী শব্দটি চেনেন ও জানেন। একটি বড়সংখ্যক জনগোষ্ঠী যেমন এই পদ্ধতি মেনে ব্যবসায় জড়িয়ে গেছেন, তেমনি ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এর সঠিক পরিসংখ্যান কী, সেটা বের করা আদতে মুশকিল।
এফ কমার্সের কিছু বিষয়ে একটু তলিয়ে দেখা যাক।
বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার যত ধরন আছে, তার মধ্যে এফ কমার্সে মানুষের সম্পৃক্ততা বেশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুক বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কাজেই এর মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো সহজ। আবার ফেসবুক পেজ সহজেই খোলা যায়, খুলতেও কোনো টাকা লাগে না। এই সুযোগ গ্রহণ করে অনেকেই, বিশেষ করে তরুণেরা ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা।
এফ কমার্স বিষয়টি বুঝতে ফেসবুক সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি। না জানার কারণে অনেকে ঠিকভাবে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারেন না। বুঝতে হবে যে টাকা খরচ করে পেজ প্রমোট বা পোস্ট বুস্ট করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আর এখন এর কার্যকারিতা আগের থেকে কম। প্রতিটা পোস্টের তথ্য, ছবি নিয়ম মেনে দেওয়া ও সঠিক বিপণন চিন্তা ব্যবসার পথকে সহজ করে। পেজের পাশাপাশি এখন পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপগুলো কাজে লাগিয়েও নিজের পণ্য বিক্রি করা যায় বা বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে নিজের পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়। বিপণনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকলে তা ব্যবসাকে অনেকটা ওপরে নিয়ে যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইওর জ্ঞান এ ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখে।
শুরুর দিকে স্বল্প পুঁজি দিয়ে অনেকে এফ কমার্সে সফল হয়েছেন। আবার অতিরিক্ত মূল্য, পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেকের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারপরও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখান থেকে শুরু করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এফ কমার্সে যুক্ত হতে গিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণাও কাজ করে। আর দশটা ব্যবসায়ের মতো এটাতে যে ঝুঁকি আছে; গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করা, সঠিক সময়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া—এ নিয়ে গাফিলতির কথা প্রায়ই শোনা যায়। উল্টোপিঠে ব্যবসায়ীদের অনেকেই ভুগছেন ক্রেতাদের মাধ্যমে। কিছু ক্রেতা পণ্য গ্রহণ করেন না, পণ্য পৌঁছে গেলে কেউবা ফোন বন্ধ রাখেন। ফলে অনেকে শতভাগ ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ থেকে সরে আসছেন।
নতুন কোনো পণ্যের চাহিদা ফেসবুক বা অনলাইনের যেকোনো প্ল্যাটফর্মে বেশি। অনেকে পণ্য আমদানি করে তা বিক্রি করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে পুঁজির ঘাটতি পোষাতে অনেকে দলবদ্ধ হয়ে পণ্য আমদানি করে থাকেন। পরে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। অনেকে ঝোঁকের বশে ব্যবসা শুরুর চিন্তা করলেও পণ্য সংগ্রহ, নিয়মিতভাবে তা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আগে ভাবেন না। ফলে ব্যবসা শুরুর একটা পর্যায়ে গিয়ে থমকে যান। এ জন্য প্রথম থেকে পণ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
এফ কমার্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কলেবর বাড়ার সঙ্গে ব্যবসার আরও বিস্তৃতি প্রয়োজন হয়। প্রথমত, অনেকে ব্যবসা শুধু ফেসবুক দিয়ে শুরু করলেও পরে একটা ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। একটা ওয়েবসাইট থাকা মানে ক্রেতার কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠা। এর মাধ্যমে বিক্রেতা নানা সুবিধাও পেয়ে থাকেন। সুষ্ঠুভাবে অর্ডার পাওয়া, ডেটাবেইস তৈরি, পরে ক্রেতাকে ফিডব্যাক দেওয়া—সব ক্ষেত্রে ই-কমার্স সাইট বেশ কাজে দেয়। ওয়েবসাইট তৈরির আগেই অবশ্য ওয়েব ডেভেলপারের সঙ্গে বসে নিজের সব চাহিদা সুস্পষ্টভাবে জানাতে হয়। পরিকল্পনা ঠিক রেখে সঠিকভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি হলে তা ভবিষ্যতে চলার পথকে সহজ করে দেয়। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্য অ্যাপের প্রয়োজন পড়ে। যাঁরা নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করেন, তাঁদের অনেকেই অ্যাপে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। এ জন্য অ্যাপসহ অনলাইনের প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানাভাবে উপস্থিত থাকা জরুরি।
এফ কমার্স বলে শুধু ওয়েবের ঠিকানা কিন্তু অনেকে আস্থায় নেন না। এ জন্য প্রয়োজন একটি অফিসের ঠিকানা। গুগল ম্যাপে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি। ক্রেতাদের সরাসরি এসে কেনার সুযোগ দিলে তা ব্যবসার জন্য ভালো ফল বয়ে আনে। এক শ্রেণির মানুষ সব সময়ই পণ্য যাচাই করে কিনতে চান। হোম ডেলিভারিতে সেই সুযোগ কম থাকে বলেই তাঁরা মনে করেন।
এফ কমার্সকে কেন্দ্র করে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। যাঁরা নিজে ডেলিভারি করেন না, তাঁরা সহজেই এসব কোম্পানির সহায়তা নিয়ে পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন ক্রেতার কাছে। তবে, সঠিক কোম্পানি বাছাই করাটা জরুরি। অন্যথায় মূল্যবান পণ্য হারিয়ে যেতে বা সঠিকভাবে না-ও পৌঁছাতে পারে।
এফ কমার্স মূলত ব্যবসা। ফেসবুকের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেশাদারির সঙ্গে পথ চললে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়। ব্যবসা মানেই অনেক টাকা লাগে, এ চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পরিকল্পিতভাবে এ পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।
ফেসবুকে পেজ প্রমোট বা বুস্টের ক্ষেত্রে ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ বা সম্ভাব্য ক্রেতা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না করে বুস্ট বা প্রমোট করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে পিন পয়েন্ট করে নির্দিষ্ট একটা অঞ্চল যেমন ঠিক করা যায়, একইভাবে বয়স, লিঙ্গ ঠিক করে দেওয়া যায়। আবার সুনির্দিষ্ট ট্যাগও ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। মেটার এই সময়ে ফেসবুকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লিংক করে নেওয়া যায়। পাশাপাশি অনেকে মেসেজের অপশন হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ পছন্দ করেন। সেটাও বুস্টের সময় যুক্ত করলে ক্রেতাদের কল পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নিজে সব ঠিকমতো করতে না পারলে এই সহায়তা দেওয়ার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া ভালো। না বুঝে এগোলে পেজের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন থাকা প্রয়োজন। নাহলে আপনার দীর্ঘদিনের পেজ হ্যাক হয়ে যেতে পারে। অনেকে নিজের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করেন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারে সতর্ক থাকা উচিত। পণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচারণা চালালে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল লাভ করা যায়।
লেখক: সিইও, মিডিয়া ভিশন
তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ
১ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ফেসবুক পেজ একটি অপরিহার্য মাধ্যম। তবে ফেসবুক পেজ খুললেই শুধু হবে না, দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য সেটিকে আরও কার্যকরভাবে গুছিয়ে তুলতে হবে। আর ঠিক এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ‘অ্যাকশন বাটন’।
৩ ঘণ্টা আগেবন্ধুদের সঙ্গে রিলস ভাগাভাগির প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ‘ব্লেন্ড’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হলো ইনস্টাগ্রাম। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন তাঁদের বন্ধু বা গ্রুপ চ্যাটের সদস্যদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত ও কাস্টমাইজড রিলস ফিড শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই ফিচার ব্যবহার করতে হলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ...
২০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন ইরাকি কিশোর মুনতাধার মোহাম্মদ আহমেদ সালেহ। বাগদাদের আল-তারমিয়া জেলার আল-বায়ারিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের অসাধারণ প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে নাসার বিশেষ প্রশংসা
২১ ঘণ্টা আগে