মেজবাহ নূর, ঢাকা

চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। 
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী। 
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।

চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। 
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী। 
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।

মেজবাহ নূর, ঢাকা

চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। 
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী। 
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।

চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। 
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী। 
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।


ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগে
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং।
১৭ ঘণ্টা আগে
আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
ইউটিউব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০৮০ পিক্সেল-এর নিচে আপলোড করা ভিডিওগুলোর মান উন্নত করা হবে। অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন (এসডি) ভিডিওগুলোকে হাই ডেফিনেশনে (এইচডি) রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা ফোর-কে রেজ্যুলেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, ‘নির্মাতারা তাঁদের মূল ফাইল এবং মূল রেজ্যুলেশন আগের মতোই সংরক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে তাঁরা এই এআই উন্নত রেজ্যুলেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে ‘অপ্ট-আউট’ বা ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।’ অর্থাৎ, ইউটিউব ভিডিওর গুণমান বাড়ালেও কনটেন্টের ওপর নির্মাতাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
দর্শকেরাও চাইলে মূল রেজ্যুলেশনেই ভিডিও দেখতে পারবেন। উন্নত রেজ্যুলেশন ভিডিওগুলোর পাশে স্পষ্টভাবে লেবেল থাকবে, যাতে দর্শক নিজের পছন্দমতো সেটিং বেছে নিতে পারেন।
এ ছাড়া ইউটিউব থাম্বনেইলের ফাইল সাইজ সীমা ২ মেগাবাইট থেকে বাড়িয়ে ৫০ মেগাবাইট করছে। এতে করে নির্মাতারা এখন তাঁদের ভিডিওর জন্য ফোর-কে মানের থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারবেন।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, নির্বাচিত কিছু নির্মাতার সঙ্গে তারা বড় আকারের ভিডিও আপলোডের পরীক্ষাও শুরু করেছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের ভিডিও আপলোড করা সম্ভব হয়।
ইউটিউবের মতে, নতুন এই এআই আপস্কেলিং ফিচার টেলিভিশনে প্রিমিয়ার অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এর পাশাপাশি আসছে নতুন শপিং ফিচার, আরও ইমারসিভ সেটিং এবং টেলিভিশনের জন্য উন্নত সার্চ অভিজ্ঞতা।

ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
ইউটিউব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০৮০ পিক্সেল-এর নিচে আপলোড করা ভিডিওগুলোর মান উন্নত করা হবে। অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন (এসডি) ভিডিওগুলোকে হাই ডেফিনেশনে (এইচডি) রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা ফোর-কে রেজ্যুলেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, ‘নির্মাতারা তাঁদের মূল ফাইল এবং মূল রেজ্যুলেশন আগের মতোই সংরক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে তাঁরা এই এআই উন্নত রেজ্যুলেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে ‘অপ্ট-আউট’ বা ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।’ অর্থাৎ, ইউটিউব ভিডিওর গুণমান বাড়ালেও কনটেন্টের ওপর নির্মাতাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
দর্শকেরাও চাইলে মূল রেজ্যুলেশনেই ভিডিও দেখতে পারবেন। উন্নত রেজ্যুলেশন ভিডিওগুলোর পাশে স্পষ্টভাবে লেবেল থাকবে, যাতে দর্শক নিজের পছন্দমতো সেটিং বেছে নিতে পারেন।
এ ছাড়া ইউটিউব থাম্বনেইলের ফাইল সাইজ সীমা ২ মেগাবাইট থেকে বাড়িয়ে ৫০ মেগাবাইট করছে। এতে করে নির্মাতারা এখন তাঁদের ভিডিওর জন্য ফোর-কে মানের থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারবেন।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, নির্বাচিত কিছু নির্মাতার সঙ্গে তারা বড় আকারের ভিডিও আপলোডের পরীক্ষাও শুরু করেছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের ভিডিও আপলোড করা সম্ভব হয়।
ইউটিউবের মতে, নতুন এই এআই আপস্কেলিং ফিচার টেলিভিশনে প্রিমিয়ার অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এর পাশাপাশি আসছে নতুন শপিং ফিচার, আরও ইমারসিভ সেটিং এবং টেলিভিশনের জন্য উন্নত সার্চ অভিজ্ঞতা।


চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত
০৬ জুন ২০২৩
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং।
১৭ ঘণ্টা আগে
আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। মাত্র চার মাস আগেই কোম্পানিটি ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা ছুঁয়েছিল।
নিউইয়র্ক সময় গতকাল সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি শেয়ার ২১১.৪৭ ডলারে পৌঁছায়, যা এনভিডিয়াকে এই মাইলফলক অতিক্রম করতে সহায়তা করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্মাদনাকে নতুন উচ্চতায় নিতে একের পর এক চুক্তি করেছে কোম্পানিটি। আর এর ফলস্বরূপ এই সাফল্য। নকিয়া ওওয়াইজে, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো. এবং হুন্দাই মোটর গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চিপ সরবরাহের চুক্তি করেছেন সিইও হুয়াং।
তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে এনভিডিয়া নিজস্ব ধারায় এগিয়ে এই শীর্ষ অবস্থান দখল করে আছে। গত মঙ্গলবার বাজার বন্ধ হওয়া পর্যন্ত এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ২০২৫ সালে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১৭ শতাংশ উত্থানের প্রায় পাঁচভাগের একভাগের পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে এই শেয়ারের দাম বৃদ্ধি।
ট্রুইস্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ও প্রধান বাজার কৌশলবিদ কিথ লার্নার বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য ছিল অকল্পনীয়। এআই যে বিশ্বজুড়ে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখবে, বাজার স্পষ্টভাবে সেই ধারণার ওপর প্রচুর আস্থা রাখছে।’
গত মঙ্গলবার এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বেড়ে যায় এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম। ট্রাম্প কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল প্রসেসরের একটি ডাউনগ্রেডেড সংস্করণ চীনে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছেন এ বিষয়ে একটা চুক্তির আলোচনা দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতে হতে পারে।
একের পর এক নতুন অংশীদারত্ব ঘোষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘বুদবুদ’ (এআই বাবল) তৈরি হচ্ছে এমন উদ্বেগ উড়িয়ে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াং বলছেন, সর্বশেষ চিপগুলো থেকে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে কোম্পানিটি আরও একটি নতুন সিস্টেম উন্মোচন করেছে।
ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা এনভিডিয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে নিয়ে কাজ করা ৮০ জন বিশ্লেষকের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি এনভিডিয়ার শেয়ারকে ‘বাই’ বা তার সমতুল্য রেটিং দিয়েছেন। শুধুমাত্র সিপোর্ট গ্লোবাল সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক জে গোল্ডবার্গ এটিকে ‘সেল’ রেটিং দিয়েছেন। শেয়ারের গড় মূল্য লক্ষ্য (average price target) নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫.৪৮ ডলার, যা প্রায় ৭ শতাংশ উর্ধ্বগতির ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে এনভিডিয়ার শেয়ার অনুমানকৃত আয়ের তুলনায় ৩৪ গুণেরও কম দামে লেনদেন হচ্ছে, যা গত পাঁচ বছরের গড় (প্রায় ৩৯ গুণ) থেকে নিচে এবং ফিলাডেলফিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ সেমিকন্ডাক্টর সূচকের ২৯ গুণের কাছাকাছি।
তবুও সাম্প্রতিক নাটকীয় উত্থানের প্রেক্ষিতে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বাড়তে থাকবে কি না এ নিয়ে প্রচুর সংশয় রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত শেয়ারটির দাম ইতিমধ্যেই ১৩০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ফোর্ট পিট ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ড্যান আই বলেন, এনভিডিয়া সম্ভবত কিছু বাজার-শেয়ার হারাবে অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস ইনক. এবং ব্রডকম ইনক.-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছে।
তিনি বলেন, ‘যদি এআই নিয়ে সবার প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে বর্তমান মূল্যায়ন হয়তো যথার্থ বলা যেতে পারে। কিন্তু এর কিছু অংশ বাস্তবে অর্জন করা কঠিনও হতে পারে। এনভিডিয়ার শেয়ার না রাখা কঠিন হয়েছে, কিন্তু এটি এখন এমন দামে লেনদেন হচ্ছে যা অত্যন্ত উচ্চ প্রত্যাশার প্রতিফলন।’

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। মাত্র চার মাস আগেই কোম্পানিটি ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা ছুঁয়েছিল।
নিউইয়র্ক সময় গতকাল সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি শেয়ার ২১১.৪৭ ডলারে পৌঁছায়, যা এনভিডিয়াকে এই মাইলফলক অতিক্রম করতে সহায়তা করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্মাদনাকে নতুন উচ্চতায় নিতে একের পর এক চুক্তি করেছে কোম্পানিটি। আর এর ফলস্বরূপ এই সাফল্য। নকিয়া ওওয়াইজে, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো. এবং হুন্দাই মোটর গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চিপ সরবরাহের চুক্তি করেছেন সিইও হুয়াং।
তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে এনভিডিয়া নিজস্ব ধারায় এগিয়ে এই শীর্ষ অবস্থান দখল করে আছে। গত মঙ্গলবার বাজার বন্ধ হওয়া পর্যন্ত এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ২০২৫ সালে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১৭ শতাংশ উত্থানের প্রায় পাঁচভাগের একভাগের পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে এই শেয়ারের দাম বৃদ্ধি।
ট্রুইস্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ও প্রধান বাজার কৌশলবিদ কিথ লার্নার বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য ছিল অকল্পনীয়। এআই যে বিশ্বজুড়ে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখবে, বাজার স্পষ্টভাবে সেই ধারণার ওপর প্রচুর আস্থা রাখছে।’
গত মঙ্গলবার এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বেড়ে যায় এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম। ট্রাম্প কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল প্রসেসরের একটি ডাউনগ্রেডেড সংস্করণ চীনে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছেন এ বিষয়ে একটা চুক্তির আলোচনা দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতে হতে পারে।
একের পর এক নতুন অংশীদারত্ব ঘোষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘বুদবুদ’ (এআই বাবল) তৈরি হচ্ছে এমন উদ্বেগ উড়িয়ে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াং বলছেন, সর্বশেষ চিপগুলো থেকে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে কোম্পানিটি আরও একটি নতুন সিস্টেম উন্মোচন করেছে।
ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা এনভিডিয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে নিয়ে কাজ করা ৮০ জন বিশ্লেষকের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি এনভিডিয়ার শেয়ারকে ‘বাই’ বা তার সমতুল্য রেটিং দিয়েছেন। শুধুমাত্র সিপোর্ট গ্লোবাল সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক জে গোল্ডবার্গ এটিকে ‘সেল’ রেটিং দিয়েছেন। শেয়ারের গড় মূল্য লক্ষ্য (average price target) নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫.৪৮ ডলার, যা প্রায় ৭ শতাংশ উর্ধ্বগতির ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে এনভিডিয়ার শেয়ার অনুমানকৃত আয়ের তুলনায় ৩৪ গুণেরও কম দামে লেনদেন হচ্ছে, যা গত পাঁচ বছরের গড় (প্রায় ৩৯ গুণ) থেকে নিচে এবং ফিলাডেলফিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ সেমিকন্ডাক্টর সূচকের ২৯ গুণের কাছাকাছি।
তবুও সাম্প্রতিক নাটকীয় উত্থানের প্রেক্ষিতে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বাড়তে থাকবে কি না এ নিয়ে প্রচুর সংশয় রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত শেয়ারটির দাম ইতিমধ্যেই ১৩০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ফোর্ট পিট ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ড্যান আই বলেন, এনভিডিয়া সম্ভবত কিছু বাজার-শেয়ার হারাবে অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস ইনক. এবং ব্রডকম ইনক.-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছে।
তিনি বলেন, ‘যদি এআই নিয়ে সবার প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে বর্তমান মূল্যায়ন হয়তো যথার্থ বলা যেতে পারে। কিন্তু এর কিছু অংশ বাস্তবে অর্জন করা কঠিনও হতে পারে। এনভিডিয়ার শেয়ার না রাখা কঠিন হয়েছে, কিন্তু এটি এখন এমন দামে লেনদেন হচ্ছে যা অত্যন্ত উচ্চ প্রত্যাশার প্রতিফলন।’


চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত
০৬ জুন ২০২৩
ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগে
আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’। আপনার বাড়ির সব কাজ করে দিতে পারবে এই হিউম্যানয়েড রোবট।
২০ হাজার ডলারের এ রোবট চাইলে আপনি মাসিক ৪৯৯ ডলার সাবস্ক্রিপশন করেও নিতে পারবেন। ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাজারে আসবে নিও।
৩০ কেজি ওজনের নিও ৬৮ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলতে পারে এবং ২৫ কেজি পর্যন্ত বহন করতে সক্ষম। রোবটটির ডিজাইনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহস্থালি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ওপর। নরম পলিমার বডি, নিউট্রাল রং (ধূসর, বাদামি) ও বেশ শান্ত স্বভাবের (মাত্র ২২ ডেসিবেল শব্দের) নিওকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, মনে হবে সে আপনার ঘরেরই কেউ।
তবে নিও শুধু একটি সাধারণ রোবট নয়, এর মধ্যে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, ভিজ্যুয়াল ও অডিও ইন্টেলিজেন্স, কাজের সময়সূচি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রোবটটি রান্নাঘরের নানান উপকরণ চিনতে পারে এবং আপনি কী খাবেন, সে পরামর্শও দিতে পারে। ভয়েস বা অ্যাপের মাধ্যমে এটিকে নির্দেশ দেওয়া যায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস স্বীকার করেছে, শুরুতেই সব ধরনের গৃহস্থালি কাজ একা করতে পারবে না নিও। কিছু জটিল কাজের জন্য তাকে ‘বিশেষভাবে নির্দেশনা দিতে হবে’।
মার্কিন ব্যবসায়িক সাময়িকী ফাস্ট কোম্পানির তথ্যমতে, ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস একসময় হালোডি রোবটিকস নামে পরিচিত ছিল। এখন তাদের লক্ষ্য হিউম্যানয়েড রোবটকে দৈনন্দিন জীবনের অংশে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে তারা ওপেনএআই স্টার্টআপ ফান্ডসহ শত শত মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
নিও সফল হলে এটি ‘হোম অটোমেশন’-এর ধারণাকে পাল্টে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণ লাইট জ্বালানো থেকে শুরু করে কাপড় ভাঁজ করা এবং মুদিদোকানের জিনিস বহন করা—সবকিছুই করে দেবে এই রোবট। এর ফলে মানুষের সময় বাঁচবে, যা তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করতে পারবে।
তবে নিওর সাফল্য নির্ভর করবে কতটা নির্ভরযোগ্যভাবে এটি কাজ করতে পারবে, তার ওপর। সে সঙ্গে সফ্টওয়্যার আপডেট কত দ্রুত এর ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং ভোক্তাদের জন্য খরচ ও সুবিধার সমীকরণ কতটা অনুকূলে থাকে, তার ওপর। যদি নিও সফল হয়, তাহলে আমরা হয়তো রোবটকে সায়েন্স ফিকশন থেকে বাস্তব জীবনে দেখব।

আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’। আপনার বাড়ির সব কাজ করে দিতে পারবে এই হিউম্যানয়েড রোবট।
২০ হাজার ডলারের এ রোবট চাইলে আপনি মাসিক ৪৯৯ ডলার সাবস্ক্রিপশন করেও নিতে পারবেন। ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাজারে আসবে নিও।
৩০ কেজি ওজনের নিও ৬৮ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলতে পারে এবং ২৫ কেজি পর্যন্ত বহন করতে সক্ষম। রোবটটির ডিজাইনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহস্থালি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ওপর। নরম পলিমার বডি, নিউট্রাল রং (ধূসর, বাদামি) ও বেশ শান্ত স্বভাবের (মাত্র ২২ ডেসিবেল শব্দের) নিওকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, মনে হবে সে আপনার ঘরেরই কেউ।
তবে নিও শুধু একটি সাধারণ রোবট নয়, এর মধ্যে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, ভিজ্যুয়াল ও অডিও ইন্টেলিজেন্স, কাজের সময়সূচি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রোবটটি রান্নাঘরের নানান উপকরণ চিনতে পারে এবং আপনি কী খাবেন, সে পরামর্শও দিতে পারে। ভয়েস বা অ্যাপের মাধ্যমে এটিকে নির্দেশ দেওয়া যায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস স্বীকার করেছে, শুরুতেই সব ধরনের গৃহস্থালি কাজ একা করতে পারবে না নিও। কিছু জটিল কাজের জন্য তাকে ‘বিশেষভাবে নির্দেশনা দিতে হবে’।
মার্কিন ব্যবসায়িক সাময়িকী ফাস্ট কোম্পানির তথ্যমতে, ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস একসময় হালোডি রোবটিকস নামে পরিচিত ছিল। এখন তাদের লক্ষ্য হিউম্যানয়েড রোবটকে দৈনন্দিন জীবনের অংশে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে তারা ওপেনএআই স্টার্টআপ ফান্ডসহ শত শত মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
নিও সফল হলে এটি ‘হোম অটোমেশন’-এর ধারণাকে পাল্টে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণ লাইট জ্বালানো থেকে শুরু করে কাপড় ভাঁজ করা এবং মুদিদোকানের জিনিস বহন করা—সবকিছুই করে দেবে এই রোবট। এর ফলে মানুষের সময় বাঁচবে, যা তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করতে পারবে।
তবে নিওর সাফল্য নির্ভর করবে কতটা নির্ভরযোগ্যভাবে এটি কাজ করতে পারবে, তার ওপর। সে সঙ্গে সফ্টওয়্যার আপডেট কত দ্রুত এর ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং ভোক্তাদের জন্য খরচ ও সুবিধার সমীকরণ কতটা অনুকূলে থাকে, তার ওপর। যদি নিও সফল হয়, তাহলে আমরা হয়তো রোবটকে সায়েন্স ফিকশন থেকে বাস্তব জীবনে দেখব।


চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত
০৬ জুন ২০২৩
ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগে
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং।
১৭ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর পাশাপাশি বাড়ছে সমালোচনার ঝড়—বিশেষ করে, কপিরাইট লঙ্ঘন, ভুয়া ভিডিও ছড়ানো ও নৈতিকতার প্রশ্নে ওপেনএআইকে এখন কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে এই টুল।
২০২৪ সালের সীমিত সংস্করণের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘সোরা ২’ উন্মোচন করে ওপেনএআই। নতুন সংস্করণে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মুখের ছবি ও কণ্ঠের রেকর্ড আপলোড করে পছন্দের যে কোনো দৃশ্যে নিজেদের উপস্থিত করতে পারেন। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা যেমন সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনি এটি অপব্যবহারের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।
অল্প সময়েই দেখা গেছে, ‘সোরা ২’ ব্যবহার করে কেউ কেউ ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে নিয়ে বর্ণবাদী ও আক্রমণাত্মক ভিডিও তৈরি করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাঁর পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে ওপেনএআইয়ের কাছে দাবি জানায়। একইভাবে, ‘ব্রেকিং ব্যাড’-এর অভিনেতা ব্রায়ান ক্র্যানস্টন অভিযোগ করেছেন, তাঁর মুখ ও কণ্ঠ ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় ওপেনএআই দ্রুত নীতি পরিবর্তন করে। শুরুতে সংস্থাটি কপিরাইটকৃত কনটেন্ট ব্যবহার করতে দিত, যদি কপিরাইটধারীরা আপত্তি না জানায়। কিন্তু সমালোচনার মুখে এখন সেই নীতি বদলে দিয়ে বলা হয়েছে—কোনো কনটেন্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই কপিরাইটধারীর ‘অপ্ট-ইন’ অনুমতি লাগবে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, ভবিষ্যতে তারা আরও সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যোগ করবেন যাতে ব্যক্তির চেহারা বা কণ্ঠ ব্যবহার নিয়ে কারও অধিকার লঙ্ঘিত না হয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক এলিসা রেডমাইলস বলেছেন, ‘এই প্রযুক্তি এখনো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এটি সহজেই ডিপফেক তৈরি করতে সক্ষম, যেখানে কাউকে তাঁর অমতে ব্যবহার করা হতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সোরা ২’ এর মতো টুল শিশু ও তরুণীদের প্রতি অপব্যবহারের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
আরেক অধ্যাপক সারা বারগাল মনে করেন, এই প্রযুক্তি পূর্বের যে কোনো ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী ও বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘আগে ছবি সম্পাদনার জন্য দক্ষতা দরকার হতো, এখন শুধু কয়েকটি বাক্য লিখেই এমন ভিডিও তৈরি করা যায়, যা অভিজ্ঞরাও আসল বলে ভুল করতে পারেন।’
ভবিষ্যতে ভুয়া ভিডিও শনাক্তের প্রযুক্তি উন্নত হবে বলে আশা করা হলেও বারগাল সতর্ক করেছেন—আইন, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা সেই গতিতে এগোচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে ভিডিও আর প্রমাণ হিসেবে ধরা যায় না।’
এদিকে বিতর্কের মধ্যেও ‘সোরা ২’ অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে উঠে এসেছে। স্যাম অল্টম্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ইন্টারনেটে এখন অনেক ভুয়া ভিডিও থাকবে—কিন্তু সমাজকে এই বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
প্রযুক্তি কি তবে সত্যের সীমা মুছে দিচ্ছে, নাকি আমরা এক নতুন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছি—‘সোরা ২’ সেই প্রশ্নই সামনে এনে দিয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভিডিও তৈরির নতুন টুল ‘সোরা ২’ প্রকাশের পর থেকেই প্রযুক্তি জগতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। মাত্র কয়েকটি লাইনের টেক্সট লিখেই বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এই অ্যাপটি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর পাশাপাশি বাড়ছে সমালোচনার ঝড়—বিশেষ করে, কপিরাইট লঙ্ঘন, ভুয়া ভিডিও ছড়ানো ও নৈতিকতার প্রশ্নে ওপেনএআইকে এখন কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে এই টুল।
২০২৪ সালের সীমিত সংস্করণের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘সোরা ২’ উন্মোচন করে ওপেনএআই। নতুন সংস্করণে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মুখের ছবি ও কণ্ঠের রেকর্ড আপলোড করে পছন্দের যে কোনো দৃশ্যে নিজেদের উপস্থিত করতে পারেন। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা যেমন সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনি এটি অপব্যবহারের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।
অল্প সময়েই দেখা গেছে, ‘সোরা ২’ ব্যবহার করে কেউ কেউ ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে নিয়ে বর্ণবাদী ও আক্রমণাত্মক ভিডিও তৈরি করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাঁর পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে ওপেনএআইয়ের কাছে দাবি জানায়। একইভাবে, ‘ব্রেকিং ব্যাড’-এর অভিনেতা ব্রায়ান ক্র্যানস্টন অভিযোগ করেছেন, তাঁর মুখ ও কণ্ঠ ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় ওপেনএআই দ্রুত নীতি পরিবর্তন করে। শুরুতে সংস্থাটি কপিরাইটকৃত কনটেন্ট ব্যবহার করতে দিত, যদি কপিরাইটধারীরা আপত্তি না জানায়। কিন্তু সমালোচনার মুখে এখন সেই নীতি বদলে দিয়ে বলা হয়েছে—কোনো কনটেন্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই কপিরাইটধারীর ‘অপ্ট-ইন’ অনুমতি লাগবে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, ভবিষ্যতে তারা আরও সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যোগ করবেন যাতে ব্যক্তির চেহারা বা কণ্ঠ ব্যবহার নিয়ে কারও অধিকার লঙ্ঘিত না হয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক এলিসা রেডমাইলস বলেছেন, ‘এই প্রযুক্তি এখনো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এটি সহজেই ডিপফেক তৈরি করতে সক্ষম, যেখানে কাউকে তাঁর অমতে ব্যবহার করা হতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সোরা ২’ এর মতো টুল শিশু ও তরুণীদের প্রতি অপব্যবহারের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
আরেক অধ্যাপক সারা বারগাল মনে করেন, এই প্রযুক্তি পূর্বের যে কোনো ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী ও বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘আগে ছবি সম্পাদনার জন্য দক্ষতা দরকার হতো, এখন শুধু কয়েকটি বাক্য লিখেই এমন ভিডিও তৈরি করা যায়, যা অভিজ্ঞরাও আসল বলে ভুল করতে পারেন।’
ভবিষ্যতে ভুয়া ভিডিও শনাক্তের প্রযুক্তি উন্নত হবে বলে আশা করা হলেও বারগাল সতর্ক করেছেন—আইন, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা সেই গতিতে এগোচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে ভিডিও আর প্রমাণ হিসেবে ধরা যায় না।’
এদিকে বিতর্কের মধ্যেও ‘সোরা ২’ অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে উঠে এসেছে। স্যাম অল্টম্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ইন্টারনেটে এখন অনেক ভুয়া ভিডিও থাকবে—কিন্তু সমাজকে এই বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
প্রযুক্তি কি তবে সত্যের সীমা মুছে দিচ্ছে, নাকি আমরা এক নতুন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছি—‘সোরা ২’ সেই প্রশ্নই সামনে এনে দিয়েছে।


চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত
০৬ জুন ২০২৩
ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগে
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং।
১৭ ঘণ্টা আগে
আপনি কি বাড়ির কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা মুদিদোকান থেকে ভারী বাজার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না, অতিরিক্ত ১০০ টাকা খরচ করে রিকশাভাড়া করতে হচ্ছে? তাহলে আপনার জন্যই ওয়ান-এক্স টেকনোলজিস নিয়ে এসেছে হিউম্যানয়েড রোবট ‘নিও’।
১ দিন আগে