Ajker Patrika

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১২: ১১
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন? 
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম। 

এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন

 ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না। 

আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন। 

২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী। 

স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে। 

১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—

 ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer
  • People Per Hour
  •  99 designs
  • Guru
  • Toptal
  • We Work Remotely
  • Dribbble
  • SimplyHired
  • ClearVoice

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ

১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়। 

আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন। 

এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি। 

সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন। 

২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক। 

আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়। 

কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক। 

আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে। 

৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন। 

এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে। 

কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে। 

৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে। 

পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। 

৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট। 

কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন। 

এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন। 

৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়। 

এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম। 

 ৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। 

এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। 

৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়। 

এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও। 

উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে। 

৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন। 

বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন। 

১০. simplyhired.com 
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। 

SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক। 

১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। 

এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন। 

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন। 

১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন। 

যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে। 

 ১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ। 

এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে। 

আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৬
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ছবি: এন্ড্রয়েড হেডলাইনস
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ছবি: এন্ড্রয়েড হেডলাইনস

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্‌যাপন করছে।

অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।

কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্‌যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।

অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।

আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’

এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।

খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।

কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।

এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।

মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।

এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।

এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা আজ মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: এক্সে
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা আজ মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: এক্সে

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।

আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।

বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।

এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।

তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।

সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’

ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।

ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।

এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।

বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’

আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’

মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।

মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’

এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।

১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।

এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত