
যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইলও পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ।
কেমন হয়, যদি জানেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনি আয় করতে পারবেন? আজকের লেখাটি এ নিয়েই। পুরো লেখায় আমরা কথা বলব ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার নানা উপায় নিয়ে।
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। এগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজ আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে আপনিও জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়—
মোবাইলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ভেবে কখনোই আপনার ভাবা উচিত নয় যে, আপনি খুবই সহজে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করতে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার আয়ের উৎস।
কী কী লাগবে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার জন্য?
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে আমাদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় থাকলেই আপনি আজই শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয়—
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন
ইন্টারনেট কানেকশন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের অনলাইনে অ্যাপ
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা কর্মহীন এবং কাজ খোঁজার অপেক্ষায় বেকার বসে আছে। আপনি যদি চান ঘরে বসে সহজে কিছু টাকা আয় করতে, তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য খুলে নিতে পারেন।
কীভাবে করবেন টাকা উপার্জন? সমাধান হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ! আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনার অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে। আপনি যদি সত্যিই মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার লাগবে একটি স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে android apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর সফটওয়্যার/অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার/ অ্যাপ দিয়েও টাকা ইনকাম করার পথ বের করতে পারবেন। আর এই পথ সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই লেখা।
এ ধরনের অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। তবে কোন সফটওয়্যার থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। শুধু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে হবে না। সঙ্গে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জনের উপায় সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। দিনে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এরর জন্য নিচের সফটওয়্যার/অ্যাপগুলো দেখুন—
Roz Dhan App
Current Rewards
Poll Pay
Meesho App
Pocket Money.
উল্লেখিত অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি মোবাইলের টাকা আয় করতে পারবেন। যেকোনো একটি অ্যাপ দিয়েই কাজ শুরু করুন। একসঙ্গে অনেকগুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাবেন। যে অ্যাপ দিয়ে কাজ করবেন, সেটা মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে তাদের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এখান থেকে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আয় করা টাকা খুব সহজেই বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আপনি আরও কিছু অ্যাপ ফলো করতে পারেন, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করার।
ফেসবুকে থেকে টাকা আয়
আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু আপনার জানতে হবে সঠিক পথ। সত্যি বলতে অনেক উপায় রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয়ের। আপনি ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে, ফেসবুক গ্রুপে কী করে ইনকাম করবেন? আপনি গ্রুপে কাজ করতে চাইলে আপনাকে একটি গ্রুপ খুলতে হবে। আর যদি পেজে কাজ করতে চান, তাহলে পেজ খুলতে হবে। সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট বিক্রয় করা, অন্যের পেজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।
আপনার প্রথম কাজ হবে বেশি বেশি বন্ধু ইনভাইট করা এবং তারপর ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করা। এভাবে আপনি সহজেই আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা অন্যের ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।
আরেকটি হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং অনেকের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেও কিছু টাকা উপার্জন করার পথ আপনার সামনে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড থাকা জরুরি। যত বেশি ফ্রেন্ড ও ফলোয়ার থাকবে, তত বেশি দাম দিয়ে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন।
মোবাইল গেমস খেলে আয়
ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মোবাইল গেমস খেলে টাকা উপার্জন। যেমন ধরুন লুডু গেমস। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে লুডু খেলে টাকা আয় করছে অনেকেই। এ ক্ষেত্রেও আপনার প্রথম যে জিনিসটি দরকার, সেটা হচ্ছে একটি স্মার্ট Android মোবাইল ফোন। এই গেমস খেলে আপনি নিজের হাত খরচ খুব ভালো করেই চালাতে পারবেন।
আপনি এ বিষয়ে আগ্রহী হলে আজই লুডু গেমসটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারপর লুডু খেলায় বিজয়ী হলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা পাবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ওয়েবসাইট
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা নিজের ওয়েবসাইট দিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল/নিউজ বা গ্রাফিকসের কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
কীভাবে পারবেন কাজ করতে? ধরুন, আপনি যদি হতভাগা ডটকম ওয়েবসাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার, লিংক রেফারেল—এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি দুই প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন—ই-মেইল দিয়ে অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে। যেকোনো একটি বেছে নিন। নিচের নিয়মগুলো দেখলে আপনার এই কাজটি আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে—
Name:
Username:
E-mail Address:
Password:
Confirm Password:
Register:
উপরিউক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইলে আয়
আমরা সবাই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে জানি। আবার অনেকেই এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ভাবতে হবে না কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের কথা! আমাদের দেশে, এমনকি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেয়। যেমন, আমাজন, ফ্লিপকার্টসহ আরও কিছু বড় সাইট রয়েছে, যারা সব সময় চায় সব থেকে বেশি সেল করতে।
এই সাইটগুলো সেল বাড়াতে অন্যদের সুযোগ করে দেয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। আর এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ ক্ষেত্রে যে মানুষটি বা যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছে, তারা সেখান থেকে কিছু টাকা প্রফিট/কমিশন পায়। মোবাইল দিয়েই এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। এই সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে Amazon, eBay Partners, Shopify, Click-bank, Awin, CJ Affiliate, Rakuten Affiliate Network, AvanGate and LinkConnector. বাংলাদেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে Apsarah অন্যতম। সেখানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনভিত্তিক আনলিমিটেড আয় করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন সার্ভে থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম, শর্ট লিংক শেয়ার করে অনলাইন ইনকাম, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে আয়, পিটিসি সাইট থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে ইনকাম এবং আরও অনেক রকম পথ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
আপনার স্মার্টফোনটি কতটা কাজের, সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। এভাবেই আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো ফলো করে আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইলও পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ।
কেমন হয়, যদি জানেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনি আয় করতে পারবেন? আজকের লেখাটি এ নিয়েই। পুরো লেখায় আমরা কথা বলব ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার নানা উপায় নিয়ে।
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। এগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজ আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে আপনিও জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়—
মোবাইলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ভেবে কখনোই আপনার ভাবা উচিত নয় যে, আপনি খুবই সহজে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করতে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার আয়ের উৎস।
কী কী লাগবে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার জন্য?
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে আমাদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় থাকলেই আপনি আজই শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয়—
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন
ইন্টারনেট কানেকশন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের অনলাইনে অ্যাপ
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা কর্মহীন এবং কাজ খোঁজার অপেক্ষায় বেকার বসে আছে। আপনি যদি চান ঘরে বসে সহজে কিছু টাকা আয় করতে, তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য খুলে নিতে পারেন।
কীভাবে করবেন টাকা উপার্জন? সমাধান হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ! আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনার অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে। আপনি যদি সত্যিই মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার লাগবে একটি স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে android apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর সফটওয়্যার/অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার/ অ্যাপ দিয়েও টাকা ইনকাম করার পথ বের করতে পারবেন। আর এই পথ সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই লেখা।
এ ধরনের অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। তবে কোন সফটওয়্যার থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। শুধু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে হবে না। সঙ্গে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জনের উপায় সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। দিনে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এরর জন্য নিচের সফটওয়্যার/অ্যাপগুলো দেখুন—
Roz Dhan App
Current Rewards
Poll Pay
Meesho App
Pocket Money.
উল্লেখিত অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি মোবাইলের টাকা আয় করতে পারবেন। যেকোনো একটি অ্যাপ দিয়েই কাজ শুরু করুন। একসঙ্গে অনেকগুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাবেন। যে অ্যাপ দিয়ে কাজ করবেন, সেটা মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে তাদের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এখান থেকে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আয় করা টাকা খুব সহজেই বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আপনি আরও কিছু অ্যাপ ফলো করতে পারেন, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করার।
ফেসবুকে থেকে টাকা আয়
আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু আপনার জানতে হবে সঠিক পথ। সত্যি বলতে অনেক উপায় রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয়ের। আপনি ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে, ফেসবুক গ্রুপে কী করে ইনকাম করবেন? আপনি গ্রুপে কাজ করতে চাইলে আপনাকে একটি গ্রুপ খুলতে হবে। আর যদি পেজে কাজ করতে চান, তাহলে পেজ খুলতে হবে। সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট বিক্রয় করা, অন্যের পেজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।
আপনার প্রথম কাজ হবে বেশি বেশি বন্ধু ইনভাইট করা এবং তারপর ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করা। এভাবে আপনি সহজেই আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা অন্যের ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।
আরেকটি হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং অনেকের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেও কিছু টাকা উপার্জন করার পথ আপনার সামনে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড থাকা জরুরি। যত বেশি ফ্রেন্ড ও ফলোয়ার থাকবে, তত বেশি দাম দিয়ে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন।
মোবাইল গেমস খেলে আয়
ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মোবাইল গেমস খেলে টাকা উপার্জন। যেমন ধরুন লুডু গেমস। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে লুডু খেলে টাকা আয় করছে অনেকেই। এ ক্ষেত্রেও আপনার প্রথম যে জিনিসটি দরকার, সেটা হচ্ছে একটি স্মার্ট Android মোবাইল ফোন। এই গেমস খেলে আপনি নিজের হাত খরচ খুব ভালো করেই চালাতে পারবেন।
আপনি এ বিষয়ে আগ্রহী হলে আজই লুডু গেমসটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারপর লুডু খেলায় বিজয়ী হলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা পাবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ওয়েবসাইট
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা নিজের ওয়েবসাইট দিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল/নিউজ বা গ্রাফিকসের কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
কীভাবে পারবেন কাজ করতে? ধরুন, আপনি যদি হতভাগা ডটকম ওয়েবসাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার, লিংক রেফারেল—এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি দুই প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন—ই-মেইল দিয়ে অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে। যেকোনো একটি বেছে নিন। নিচের নিয়মগুলো দেখলে আপনার এই কাজটি আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে—
Name:
Username:
E-mail Address:
Password:
Confirm Password:
Register:
উপরিউক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইলে আয়
আমরা সবাই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে জানি। আবার অনেকেই এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ভাবতে হবে না কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের কথা! আমাদের দেশে, এমনকি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেয়। যেমন, আমাজন, ফ্লিপকার্টসহ আরও কিছু বড় সাইট রয়েছে, যারা সব সময় চায় সব থেকে বেশি সেল করতে।
এই সাইটগুলো সেল বাড়াতে অন্যদের সুযোগ করে দেয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। আর এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ ক্ষেত্রে যে মানুষটি বা যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছে, তারা সেখান থেকে কিছু টাকা প্রফিট/কমিশন পায়। মোবাইল দিয়েই এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। এই সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে Amazon, eBay Partners, Shopify, Click-bank, Awin, CJ Affiliate, Rakuten Affiliate Network, AvanGate and LinkConnector. বাংলাদেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে Apsarah অন্যতম। সেখানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনভিত্তিক আনলিমিটেড আয় করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন সার্ভে থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম, শর্ট লিংক শেয়ার করে অনলাইন ইনকাম, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে আয়, পিটিসি সাইট থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে ইনকাম এবং আরও অনেক রকম পথ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
আপনার স্মার্টফোনটি কতটা কাজের, সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। এভাবেই আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো ফলো করে আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইলও পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ।
কেমন হয়, যদি জানেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনি আয় করতে পারবেন? আজকের লেখাটি এ নিয়েই। পুরো লেখায় আমরা কথা বলব ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার নানা উপায় নিয়ে।
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। এগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজ আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে আপনিও জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়—
মোবাইলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ভেবে কখনোই আপনার ভাবা উচিত নয় যে, আপনি খুবই সহজে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করতে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার আয়ের উৎস।
কী কী লাগবে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার জন্য?
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে আমাদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় থাকলেই আপনি আজই শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয়—
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন
ইন্টারনেট কানেকশন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের অনলাইনে অ্যাপ
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা কর্মহীন এবং কাজ খোঁজার অপেক্ষায় বেকার বসে আছে। আপনি যদি চান ঘরে বসে সহজে কিছু টাকা আয় করতে, তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য খুলে নিতে পারেন।
কীভাবে করবেন টাকা উপার্জন? সমাধান হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ! আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনার অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে। আপনি যদি সত্যিই মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার লাগবে একটি স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে android apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর সফটওয়্যার/অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার/ অ্যাপ দিয়েও টাকা ইনকাম করার পথ বের করতে পারবেন। আর এই পথ সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই লেখা।
এ ধরনের অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। তবে কোন সফটওয়্যার থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। শুধু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে হবে না। সঙ্গে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জনের উপায় সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। দিনে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এরর জন্য নিচের সফটওয়্যার/অ্যাপগুলো দেখুন—
Roz Dhan App
Current Rewards
Poll Pay
Meesho App
Pocket Money.
উল্লেখিত অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি মোবাইলের টাকা আয় করতে পারবেন। যেকোনো একটি অ্যাপ দিয়েই কাজ শুরু করুন। একসঙ্গে অনেকগুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাবেন। যে অ্যাপ দিয়ে কাজ করবেন, সেটা মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে তাদের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এখান থেকে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আয় করা টাকা খুব সহজেই বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আপনি আরও কিছু অ্যাপ ফলো করতে পারেন, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করার।
ফেসবুকে থেকে টাকা আয়
আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু আপনার জানতে হবে সঠিক পথ। সত্যি বলতে অনেক উপায় রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয়ের। আপনি ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে, ফেসবুক গ্রুপে কী করে ইনকাম করবেন? আপনি গ্রুপে কাজ করতে চাইলে আপনাকে একটি গ্রুপ খুলতে হবে। আর যদি পেজে কাজ করতে চান, তাহলে পেজ খুলতে হবে। সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট বিক্রয় করা, অন্যের পেজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।
আপনার প্রথম কাজ হবে বেশি বেশি বন্ধু ইনভাইট করা এবং তারপর ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করা। এভাবে আপনি সহজেই আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা অন্যের ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।
আরেকটি হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং অনেকের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেও কিছু টাকা উপার্জন করার পথ আপনার সামনে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড থাকা জরুরি। যত বেশি ফ্রেন্ড ও ফলোয়ার থাকবে, তত বেশি দাম দিয়ে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন।
মোবাইল গেমস খেলে আয়
ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মোবাইল গেমস খেলে টাকা উপার্জন। যেমন ধরুন লুডু গেমস। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে লুডু খেলে টাকা আয় করছে অনেকেই। এ ক্ষেত্রেও আপনার প্রথম যে জিনিসটি দরকার, সেটা হচ্ছে একটি স্মার্ট Android মোবাইল ফোন। এই গেমস খেলে আপনি নিজের হাত খরচ খুব ভালো করেই চালাতে পারবেন।
আপনি এ বিষয়ে আগ্রহী হলে আজই লুডু গেমসটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারপর লুডু খেলায় বিজয়ী হলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা পাবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ওয়েবসাইট
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা নিজের ওয়েবসাইট দিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল/নিউজ বা গ্রাফিকসের কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
কীভাবে পারবেন কাজ করতে? ধরুন, আপনি যদি হতভাগা ডটকম ওয়েবসাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার, লিংক রেফারেল—এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি দুই প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন—ই-মেইল দিয়ে অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে। যেকোনো একটি বেছে নিন। নিচের নিয়মগুলো দেখলে আপনার এই কাজটি আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে—
Name:
Username:
E-mail Address:
Password:
Confirm Password:
Register:
উপরিউক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইলে আয়
আমরা সবাই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে জানি। আবার অনেকেই এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ভাবতে হবে না কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের কথা! আমাদের দেশে, এমনকি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেয়। যেমন, আমাজন, ফ্লিপকার্টসহ আরও কিছু বড় সাইট রয়েছে, যারা সব সময় চায় সব থেকে বেশি সেল করতে।
এই সাইটগুলো সেল বাড়াতে অন্যদের সুযোগ করে দেয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। আর এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ ক্ষেত্রে যে মানুষটি বা যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছে, তারা সেখান থেকে কিছু টাকা প্রফিট/কমিশন পায়। মোবাইল দিয়েই এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। এই সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে Amazon, eBay Partners, Shopify, Click-bank, Awin, CJ Affiliate, Rakuten Affiliate Network, AvanGate and LinkConnector. বাংলাদেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে Apsarah অন্যতম। সেখানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনভিত্তিক আনলিমিটেড আয় করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন সার্ভে থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম, শর্ট লিংক শেয়ার করে অনলাইন ইনকাম, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে আয়, পিটিসি সাইট থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে ইনকাম এবং আরও অনেক রকম পথ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
আপনার স্মার্টফোনটি কতটা কাজের, সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। এভাবেই আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো ফলো করে আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইলও পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ।
কেমন হয়, যদি জানেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনি আয় করতে পারবেন? আজকের লেখাটি এ নিয়েই। পুরো লেখায় আমরা কথা বলব ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার নানা উপায় নিয়ে।
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। এগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজ আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে আপনিও জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়—
মোবাইলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ভেবে কখনোই আপনার ভাবা উচিত নয় যে, আপনি খুবই সহজে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করতে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার আয়ের উৎস।
কী কী লাগবে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার জন্য?
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে আমাদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় থাকলেই আপনি আজই শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয়—
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন
ইন্টারনেট কানেকশন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের অনলাইনে অ্যাপ
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা কর্মহীন এবং কাজ খোঁজার অপেক্ষায় বেকার বসে আছে। আপনি যদি চান ঘরে বসে সহজে কিছু টাকা আয় করতে, তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য খুলে নিতে পারেন।
কীভাবে করবেন টাকা উপার্জন? সমাধান হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ! আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনার অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে। আপনি যদি সত্যিই মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার লাগবে একটি স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে android apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর সফটওয়্যার/অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার/ অ্যাপ দিয়েও টাকা ইনকাম করার পথ বের করতে পারবেন। আর এই পথ সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই লেখা।
এ ধরনের অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। তবে কোন সফটওয়্যার থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। শুধু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে হবে না। সঙ্গে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জনের উপায় সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। দিনে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এরর জন্য নিচের সফটওয়্যার/অ্যাপগুলো দেখুন—
Roz Dhan App
Current Rewards
Poll Pay
Meesho App
Pocket Money.
উল্লেখিত অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি মোবাইলের টাকা আয় করতে পারবেন। যেকোনো একটি অ্যাপ দিয়েই কাজ শুরু করুন। একসঙ্গে অনেকগুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাবেন। যে অ্যাপ দিয়ে কাজ করবেন, সেটা মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে তাদের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এখান থেকে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আয় করা টাকা খুব সহজেই বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আপনি আরও কিছু অ্যাপ ফলো করতে পারেন, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করার।
ফেসবুকে থেকে টাকা আয়
আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু আপনার জানতে হবে সঠিক পথ। সত্যি বলতে অনেক উপায় রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয়ের। আপনি ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে, ফেসবুক গ্রুপে কী করে ইনকাম করবেন? আপনি গ্রুপে কাজ করতে চাইলে আপনাকে একটি গ্রুপ খুলতে হবে। আর যদি পেজে কাজ করতে চান, তাহলে পেজ খুলতে হবে। সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট বিক্রয় করা, অন্যের পেজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।
আপনার প্রথম কাজ হবে বেশি বেশি বন্ধু ইনভাইট করা এবং তারপর ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করা। এভাবে আপনি সহজেই আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা অন্যের ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।
আরেকটি হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং অনেকের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেও কিছু টাকা উপার্জন করার পথ আপনার সামনে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড থাকা জরুরি। যত বেশি ফ্রেন্ড ও ফলোয়ার থাকবে, তত বেশি দাম দিয়ে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন।
মোবাইল গেমস খেলে আয়
ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মোবাইল গেমস খেলে টাকা উপার্জন। যেমন ধরুন লুডু গেমস। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে লুডু খেলে টাকা আয় করছে অনেকেই। এ ক্ষেত্রেও আপনার প্রথম যে জিনিসটি দরকার, সেটা হচ্ছে একটি স্মার্ট Android মোবাইল ফোন। এই গেমস খেলে আপনি নিজের হাত খরচ খুব ভালো করেই চালাতে পারবেন।
আপনি এ বিষয়ে আগ্রহী হলে আজই লুডু গেমসটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারপর লুডু খেলায় বিজয়ী হলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা পাবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ওয়েবসাইট
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা নিজের ওয়েবসাইট দিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল/নিউজ বা গ্রাফিকসের কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
কীভাবে পারবেন কাজ করতে? ধরুন, আপনি যদি হতভাগা ডটকম ওয়েবসাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার, লিংক রেফারেল—এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি দুই প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন—ই-মেইল দিয়ে অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে। যেকোনো একটি বেছে নিন। নিচের নিয়মগুলো দেখলে আপনার এই কাজটি আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে—
Name:
Username:
E-mail Address:
Password:
Confirm Password:
Register:
উপরিউক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইলে আয়
আমরা সবাই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে জানি। আবার অনেকেই এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ভাবতে হবে না কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের কথা! আমাদের দেশে, এমনকি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেয়। যেমন, আমাজন, ফ্লিপকার্টসহ আরও কিছু বড় সাইট রয়েছে, যারা সব সময় চায় সব থেকে বেশি সেল করতে।
এই সাইটগুলো সেল বাড়াতে অন্যদের সুযোগ করে দেয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। আর এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ ক্ষেত্রে যে মানুষটি বা যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছে, তারা সেখান থেকে কিছু টাকা প্রফিট/কমিশন পায়। মোবাইল দিয়েই এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। এই সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে Amazon, eBay Partners, Shopify, Click-bank, Awin, CJ Affiliate, Rakuten Affiliate Network, AvanGate and LinkConnector. বাংলাদেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে Apsarah অন্যতম। সেখানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনভিত্তিক আনলিমিটেড আয় করতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন সার্ভে থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম, শর্ট লিংক শেয়ার করে অনলাইন ইনকাম, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে আয়, পিটিসি সাইট থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে ইনকাম এবং আরও অনেক রকম পথ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।
আপনার স্মার্টফোনটি কতটা কাজের, সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। এভাবেই আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো ফলো করে আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।
এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:
আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।
অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে
অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।
এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।
যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে
১১ মার্চ ২০২২
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।
ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।
২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে
১১ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।
গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)
(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)
এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।
আলোচ্য বিষয়:
কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।
দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।
কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।
২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)
(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)
এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।
আলোচ্য বিষয়:
জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।
এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)
ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।
৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)
(সময়: ২ ঘণ্টা)
এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।
পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)
শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:
হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।
লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।
চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে
১১ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ বাজারে আসার খবর প্রকাশ হতেই যেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুর্দিন শুরু হয়ে গেল।
অনলাইন সার্চে গুগলকে বেআইনি একচেটিয়া আধিপত্যকারী ঘোষণার এক বছর পর ওপেনএআই এই ব্রাউজার নিয়ে এল।
গতকাল মঙ্গলবার দ্রুত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা ওয়েব ব্রাউজারের বাজারে চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসকে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ওপেনএআইর সিইও স্যাম অল্টম্যান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ কমে যায়।
অল্টম্যান জানান, চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ওয়েবসাইটটি গতকাল মঙ্গলবার অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই উইন্ডোজ ও মোবাইল ডিভাইসে এটির যাত্রা শুরু বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী এবং এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে নতুন উপায়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে ওপেনএআই। সেই লক্ষ্যেই ওয়েব ব্রাউজার আনল প্রতিষ্ঠানটি। অল্টম্যান বলেন, ‘আরও অনেক কিছু যোগ করার আছে। সবেমাত্র শুরু।’
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাটলাসে একটি পেইড ‘এজেন্ট মোড’ থাকবে। এর মাধ্যমে চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। তবে এজেন্ট মোড শুধু পেইড চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রাইবারদের জন্য থাকবে। এজেন্ট মোড ব্যবহারকারীর মাউস ও কীবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম।
অল্টম্যান জানান, অ্যাটলাসের এজেন্ট মোড আপাতত শুধু প্লাস এবং প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এই এজেন্টটি আপনার জন্য কাজ করবে, আপনাকে আরও ভালোভাবে জানবে, প্রয়োজনীয় তথ্য আগেভাগেই সংগ্রহ করবে, ইন্টারনেটে আপনি যা চাইতে পারেন তা খুঁজে বের করবে এবং সেগুলো একত্রিত করবে, যা আমরা একটু দেখিয়েছি। আমরা মনে করি, এটিকে আমরা যথেষ্ট দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব।’
মঙ্গলবার এই ঘোষণার আগে ওপেনএআই একাধিক চুক্তি এবং পণ্যের ঘোষণা দেয়। এনভিডিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানো এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের জন্য টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সোরা ২-এর লঞ্চ করে তারা।
ওয়েব ব্রাউজারগুলো ক্রমেই এআইর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে যাচ্ছে। গুগল ক্রোমসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জেমিনি এআইকে একীভূত করার কাজ করছে। মাইক্রোসফটও এজ ব্রাউজারে এআই ফিচার যুক্ত করেছে।
এছাড়াও, পারপ্লেক্সিটির মতো অনেক এআই স্টার্টআপ এআই ব্রাউজারের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি চালু হওয়া কমেট ব্রাউজার উল্লেখযোগ্য।
যদি কারও মনে দ্বিধা থাকে তাহলে ওপেনএআই আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ক্রোম, সাফারি বা এজ ছেড়ে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসবে। অ্যাটলাস স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ডাউনলোড পেজে। তারা লিখেছে, ‘চ্যাটজিপিটিকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করুন এবং ৭ দিনের জন্য বুস্টেড লিমিট পান।’
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটি। এই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ই-কমার্স সাইট ইটসি ও শপিফাই এবং বুকিং পরিষেবা এক্সপিডিয়া ও বুকিং ডটকমের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে
১১ মার্চ ২০২২
আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম...
২ দিন আগে