Ajker Patrika

ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশের মানুষ বৈষম্যের শিকার

ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশের মানুষ বৈষম্যের শিকার

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সূচকে দিন দিন বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নানা অভিনব পন্থায় সরকারি নজরদারির বার্তা এই পরিস্থিতির পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো নম্বরই পায়নি। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান।

এই সূচকে এবার বাংলাদেশ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪০ পয়েন্ট পেয়েছে। সূচকের তিনটি আলাদা বিভাগের মধ্যে এই পয়েন্টপ্রাপ্তি বাংলাদেশকে ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ফেলেছে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতা পরিস্থিতি একদমই ভালো নয়। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনে মত প্রকাশে অনেকটাই রুদ্ধ পরিবেশের শিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও তাদের সমমনাদের নানাভাবে নাজেহাল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

ফ্রিডম হাউসের ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ প্রতিবেদনে ইন্টারনেটে বাক্স্বাধীনতার সূচকে ১০০-তে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে ৪০ পয়েন্ট। গত বছর এই পয়েন্ট ছিল ৪২। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্রমে নিজেদের অবস্থান কিছুটা শক্ত হলেও তা কখনো ৫০ পয়েন্ট পার হয়নি। ২০১৮ সালের পর থেকে এতে আবার অবনমন শুরু হয়। ওই বছর এই সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৪৯। ২০১৯ সালে তা আরও কমে ৪৪-এ দাঁড়ায়।

প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে দেশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে ফ্রিডম হাউস। এর মধ্যে ১০০ থেকে ৭০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে তাকে ‘মুক্ত’, ৬৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে থাকলে ‘আংশিক মুক্ত’ এবং ৩৯-এর নিচে হলে ‘মুক্ত নয়’ বলে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এবারের অবনমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে ঢুকে পড়ল। এটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি এমন মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে যে, এর জেরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা রেকর্ড নিম্ন স্তরে গিয়ে ঠেকেছে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক ব্যবহারও সীমিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের ৭০টি দেশের পর্যালোচনা করা হয়েছে। ইন্টারনেটে স্বাধীনতার স্তর নির্ণয়ে ৩ ধরনের মোট ২১টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। এই তিন ধরন হলো সেবা ব্যবহারে বাধা, কনটেন্টের সীমাবদ্ধতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিবেদন তৈরিতে ২০২০ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ঘটনাবলি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, স্থান, শ্রেণি, গোষ্ঠী ইত্যাদি বিচারে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতায় কোনো তারতম্য ঘটে কিনা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর বেশ হতাশাজনক। প্রথম ক্ষেত্রে আগেরবার বাংলাদেশ ৬ পয়েন্টের মধ্যে ৩ পেলেও এবার তা কমে ২-এ নেমে এসেছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা স্থান, শ্রেণি ও গোষ্ঠীভেদে ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতায় তারতম্য প্রশ্নে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৬-এ পেয়েছে শূন্য। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে প্রবেশযোগ্যতা বিবেচনায় বাংলাদেশে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। 

নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, আটক অবস্থায় মৃত্যুর মতো একের পর এক ঘটনার কারণে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের সেলফ সেন্সরশিপ ঢুকে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল, বিরোধী মতের যেকোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি হেনস্তা করছে। দুর্নীতি এখনো বাংলাদেশের বড় সমস্যা হয়েই রয়েছে, যেখানে সতর্ককারীকেই সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়তে হয়। যথাযথ প্রক্রিয়া বলে যে বিষয়টি রয়েছে, সেখানে গরিবদের প্রবেশযোগ্যতা নেই। আর ধনীদের কোনো ভুল কাজের জবাবদিহি করতে হয় না।

ইন্টারনেট অবকাঠামো, গতি ও মান প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের চেষ্টাও উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তারপরও মান ও গতি প্রশ্নে এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সাম্প্রতিক তথ্যমতে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রবেশযোগ্যতার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী এ হার ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, বাংলাদেশের ১০ কোটি ৫০ লাখ লোক বর্তমানে মোবাইলে ফোনে ইন্টারনেট সেবার আওতায় রয়েছে।

প্রতিবেদনের সময়কাল ১ জুন, ২০২০ থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা নেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ২০১৯ সালে থ্রি–জি ও ফোর–জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের আগস্টে এই সেবা আবার চালু করা হয়। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় গত মার্চে চলমান আন্দোলনে তিন দিনের জন্য ফেসবুক ও ফেসবুক মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আল-জাজিরা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নজরদারি, হ্যাকিং ও মুঠোফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ। এই পেগাসাস সফটওয়্যার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় এ নিয়ে জল্পনা শুধু বেড়েছে। একই সঙ্গে এটি নজরদারি বিষয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে, যা নেট দুনিয়ায় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে। এতে এই আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনটির বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের জেরে গত বছরের মে মাসে আটক হয়েছিলেন মুশতাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের পোস্ট

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৪৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি

দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডিং (আইএসপি) খাতে ‘ভয়ংকর সাইবার ষড়যন্ত্রের’ তথ্য-প্রমাণ সরকারের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, জানা গেছে, কিছু অসাধু আইএসপি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সংগঠিত DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণ চালিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা ধ্বংসের চেষ্টা করছে। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে এবং তাদের বর্তমান লাইসেন্স বাতিলসহ নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করা হতে পারে। বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনো নেটওয়ার্কে বেআইনি প্রবেশ, হ্যাকিং বা ইচ্ছাকৃত সেবা বিঘ্ন ঘটানো একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

তিনি বলেন, সাইবার আক্রমণের পাশাপাশি আইএসপি খাতের আরেকটি বড় সমস্যা হলো বিপুল পরিমাণ আর্থিক বকেয়া এবং প্রতারণা। তথ্য অনুযায়ী, বহু আইএসপি কোম্পানি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে অর্থ পরিশোধ না করে কৌশলে অন্য আইটিসি বা আইআইজি প্রোভাইডারে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিটিআরসি স্পষ্ট জানিয়েছে, বকেয়া অপরিশোধিত রেখে কোনো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।

এ ছাড়া, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কিছু কোম্পানি কোটি কোটি টাকা পাওনার নামে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুয়া চেক দিয়ে প্রতারণা করেছে, যার ফলস্বরূপ চেক বাউন্সিং-এর মতো গুরুতর আর্থিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ‘আমরা নেটওয়ার্ক’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। এই গুরুতর আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।

নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় দ্রুত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের ইন্টারনেট সেবা খাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করতে বিটিআরসি সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে:

সুরক্ষা ব্যবস্থা: প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত অ্যান্টি-DDoS সেটআপ ও লোড-ব্যালান্সার স্থাপন করতে হবে।

বিনিয়োগ: নেটওয়ার্ক নিরাপত্তায় যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিযোগিতা: প্রতিযোগিতা সীমিত করতে টার্গেটেড অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে হবে।

আইনি সহায়তা: ক্ষতিগ্রস্ত আইএসপি-দের প্রতি বিটিআরসির আহ্বান— তারা যেন শুধু সরকারের ওপর নির্ভর না করে, বরং একত্র হয়ে DDoS আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে সরকার অপরাধ দমনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে সক্ষম হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় সাইটে পর্নো দেখা কমেছে ৭৭ শতাংশ, কীভাবে সম্ভব করল সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাজ্যে ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ (ওএসএ) কার্যকর হওয়ার পর থেকেই প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট দেখার প্রবণতায় বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। এই ধরনের সাইটে প্রবেশে বয়স যাচাই (এজ চেক) বাধ্যতামূলক করার পর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্ণ ওয়েবসাইট পর্নহাবের ট্রাফিক জুলাই মাসের তুলনায় ৭৭ শতাংশ কমে গেছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

পর্নহাবের দাবি, যে সমস্ত সাইট নতুন এই নিয়ম মানছে না, তারা অপ্রত্যাশিতভাবে লাভবান হচ্ছে। যদিও বিবিসি স্বাধীনভাবে এই দাবি যাচাই করতে পারেনি, তবে গুগলের ডেটা অনুযায়ী, আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে সাইটটির সার্চ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এই পতন ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখা কমানোর ফল হতে পারে, আবার অনেকে ভিপিএন বা অন্য বিকল্প উপায়ে সাইটটিতে প্রবেশ করছেন, সে কারণেও হতে পারে।

ওএসএ আইনের অধীনে, এখন যুক্তরাজ্যে যে কেউ প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে চাইলে অবশ্যই ফেসিয়াল আইডেনটিফিকেশন-এর মতো পদ্ধতির মাধ্যমে ১৮ বছরের বেশি বয়সের প্রমাণ দিতে হবে।

যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ পরিষেবা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই আইনটি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যে সাধারণভাবে পর্নোগ্রাফি সাইটগুলোতে ভিজিট প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, এই নতুন আইনের প্রধান উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে—যার ফলে শিশুরা এখন সহজে ‘সার্চ না করেও পর্ণ-এর সামনে আসছে না’। অফকম আরও বলেছে, এই আইনটি ‘বয়স নিরপেক্ষ ইন্টারনেট যুগের অবসান’ ঘটিয়েছে।

তবে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই অনেকে বয়স যাচাই এড়াতে ভিপিএন ব্যবহার করছেন। সাইবার নিউজ-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যুক্তরাজ্যে ১ কোটিরও বেশি ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর ড. হ্যান স্টিগম্যান বিবিসিকে জানিয়েছেন, গোপনীয়তার অজুহাতে যারা বয়স যাচাই করতে চান না, তাঁরা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। ভিপিএন ব্যবহারের ফলে সাইট ভিজিটরদের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।

সাইবার নিউজ-এর গবেষক আরস নজরোভাসের মতে, ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড ১ হাজার ৮০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো, পর্নহাবের ‘হারিয়ে যাওয়া’ ব্রিটিশ দর্শক আসলে গায়েব হয়ে যায়নি—তারা এখন ‘নন-ইউকে ট্রাফিক’ হিসেবে গণনা হচ্ছে। তবে তিনি মনে করেন, বাকি ব্যবহারকারীরা সত্যি সত্যিই এমন সাইটগুলোতে ভিজিট করছেন, যেখানে বয়স যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।

পর্নহাবের মূল কোম্পানি আইলো-এর নির্বাহী অ্যালেক্স কেকসি বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই নতুন নিয়ম বাস্তবে কার্যকর করা অসম্ভব। তাঁর মতে, প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক প্ল্যাটফর্মকে নিয়ম মানাতে চাওয়ার এই কাজটি অফকম-এর জন্য ‘অসাধ্য’।

কেকসি আরও দাবি করেন, কিছু পর্নোগ্রাফিক সাইট নিয়ম না মেনে লাভবান হচ্ছে এবং এই ধরনের সাইটে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট খোঁজার প্রবণতা রয়েছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইলো এই উদ্বেগের বিষয়ে অফকমকে তথ্য দিয়েছে।

তবে অফকম তাদের পদক্ষেপের পক্ষে অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, তারা সাইটের ঝুঁকি এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে তদন্তের অগ্রাধিকার স্থির করে। অফকম-এর ডেটা বলছে, শীর্ষ ১০টি জনপ্রিয় সাইটে বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু রয়েছে, যা যুক্তরাজ্য থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সাইট ভিজিটের এক-চতুর্থাংশ কভার করে।

কেকসি পরামর্শ দিয়েছেন, বয়স যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ওয়েবসাইট-এর বদলে ডিভাইস স্তরে করা উচিত। তিনি জানান, ফ্রান্সের মতো দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার থাকা সত্ত্বেও যেখানে তারা নিয়ম মানেনি, সেখানে যুক্তরাজ্যে নিয়মের ভিন্ন সমাধান (যেমন ই-মেল ভিত্তিক যাচাই) থাকার কারণেই তাঁরা নির্দেশ মেনে চলতে রাজি হয়েছেন।

অন্যদিকে, এজ ভেরিফিকেশন প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন (এভিপিএ)-এর ইয়ান করবি ডিভাইস-ভিত্তিক যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, বয়স যাচাই অবশ্যই ‘কঠোর বা ফাঁকি-জুকির’ ব্যাপার হওয়া উচিত নয়।

সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ চেলসি জার্ভি মনে করেন, ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইস—উভয় স্তরের যাচাই ব্যবস্থাই প্রয়োজন, কোনো একটি পদ্ধতিই অভেদ্য নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২০
১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

অনলাইন দুনিয়ায় লাখ লাখ ভক্ত জুটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি পরিবার। রীতিমতো ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে তারা। সম্প্রতি একটি ব্যতিক্রমী কারণে পুরো পরিবার যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ডিসেম্বর থেকে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে চলেছে। এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবারটি।

চার সদস্যের এই পরিবারে আছেন দুই মা বেক এবং বেক লি, তাঁদের ১৭ বছর বয়সী ছেলে প্রেজলি এবং ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শার্লট। তারা নিয়মিত তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও পোস্ট করে থাকে। দেশ ছাড়ার মূল কারণ হলো, তাদের কনিষ্ঠ সদস্য শার্লট যেন নির্বিঘ্নে কনটেন্ট তৈরি চালিয়ে যেতে পারে। শার্লটের (অনলাইনে ‘চার্লি’ নামে পরিচিত) ইউটিউবে প্রায় ৫ লাখ, টিকটকে ৩ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় ২ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন আইনকে ‘বিশ্বে প্রথম’ বলা হচ্ছে। এই নিয়ম কার্যকর হলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই ‘যুক্তিসংগত পদক্ষেপ’ নিতে হবে, যাতে ১৬ বছরের কম বয়সীরা অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে এবং পুরোনো অ্যাকাউন্টগুলোও নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।

এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো, অল্পবয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করা। যদি কোনো প্রযুক্তি সংস্থা এই নিয়ম অমান্য করে, তবে তাদের ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

প্রথম দিকে ইউটিউবকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হলেও সরকার পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ১৬ বছরের কম বয়সীরা ভিডিও দেখতে পারবে, তবে কনটেন্ট আপলোড বা প্ল্যাটফর্মে অবদান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে না।

এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো অস্পষ্ট। আইডি ডকুমেন্ট, পিতামাতার অনুমোদন এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব পদ্ধতি ডেটার গোপনীয়তা এবং বয়স যাচাই কতটা নির্ভুলভাবে করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে লন্ডনে স্থানান্তরের বিষয়ে এক ভিডিওতে মা বেক জানান, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধী নন। তিনি স্বীকার করেন, ‘আমরা বুঝি যে এটি ইন্টারনেট থেকে অল্পবয়সীদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্বেগ হলো, সরকার এখনো এটি কীভাবে কাজ করবে, তা সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি।’

তিনি আশা করেন, যুক্তরাজ্যে থাকার ফলে তাঁরা এই নিয়মের জটিলতা এড়াতে পারবেন।

অবশ্য এই পরিবারের ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। আর মেয়ে শার্লট অনলাইন স্কুলে পড়ার কারণে দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়া তাদের জন্য সহজ হয়েছে। বর্তমানে ছেলে প্রেজলির ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ২৮ লাখ এবং পারিবারিক অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। পারিবারিক চ্যানেলে মেকআপ টিউটোরিয়াল থেকে শুরু করে পারিবারিক ভ্রমণের ভিডিও পোস্ট করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন এআই ফিচারে কম রেজল্যুশনের ভিডিও আরও স্পষ্ট দেখাবে ইউটিউব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।

ইউটিউব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০৮০ পিক্সেল-এর নিচে আপলোড করা ভিডিওগুলোর মান উন্নত করা হবে। অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন (এসডি) ভিডিওগুলোকে হাই ডেফিনেশনে (এইচডি) রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা ফোর-কে রেজ্যুলেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, ‘নির্মাতারা তাঁদের মূল ফাইল এবং মূল রেজ্যুলেশন আগের মতোই সংরক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে তাঁরা এই এআই উন্নত রেজ্যুলেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে ‘অপ্ট-আউট’ বা ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।’ অর্থাৎ, ইউটিউব ভিডিওর গুণমান বাড়ালেও কনটেন্টের ওপর নির্মাতাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

দর্শকেরাও চাইলে মূল রেজ্যুলেশনেই ভিডিও দেখতে পারবেন। উন্নত রেজ্যুলেশন ভিডিওগুলোর পাশে স্পষ্টভাবে লেবেল থাকবে, যাতে দর্শক নিজের পছন্দমতো সেটিং বেছে নিতে পারেন।

এ ছাড়া ইউটিউব থাম্বনেইলের ফাইল সাইজ সীমা ২ মেগাবাইট থেকে বাড়িয়ে ৫০ মেগাবাইট করছে। এতে করে নির্মাতারা এখন তাঁদের ভিডিওর জন্য ফোর-কে মানের থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারবেন।

কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, নির্বাচিত কিছু নির্মাতার সঙ্গে তারা বড় আকারের ভিডিও আপলোডের পরীক্ষাও শুরু করেছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের ভিডিও আপলোড করা সম্ভব হয়।

ইউটিউবের মতে, নতুন এই এআই আপস্কেলিং ফিচার টেলিভিশনে প্রিমিয়ার অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এর পাশাপাশি আসছে নতুন শপিং ফিচার, আরও ইমারসিভ সেটিং এবং টেলিভিশনের জন্য উন্নত সার্চ অভিজ্ঞতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত