আব্দুর রহমান
সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন আপনার সামনে দুনিয়ার পরিচিত দৃশ্য আর নেই। তার বদলে পাঁচ তারকা হোটেলের জানালা দিয়ে আপনার সামনে দৃশ্যমান হলো মহাশূন্য-বিশাল মহাকাশ। তখন কেমন বোধ করবেন আপনি। নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং ভাববেন এমনটাও সম্ভব কী? হ্যাঁ! আলবৎ সম্ভব। মহাকাশ প্রতিষ্ঠান অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এবার মহাশূন্যেই হোটেল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
হোটেলটি মহাকাশচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ২০২৫ সালে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সময় তাঁরা সেই হোটেলের নাম দিয়েছিল ভন ব্রাউন স্টেশন। কিন্তু পরে তা, অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এই হোটেলের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুসারে এই হোটেলটি কয়েকটি পৃথক মডিউল নিয়ে তৈরি করা হবে। যেগুলো লিফট শ্যাফট দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এই হোটেলটি অনেকটা চাকার মতো দেখতে হবে যা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে।
এই হোটেলটিতে ২৮ জন মানুষকে আবাসন সুবিধা দেওয়া যাবে। তবে অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এই হোটেলটির মতো আরও একটি হোটেল তৈরি পরিকল্পনা করেছে। যেখানে অন্তত ৪০০ মানুষের সংকুলান হবে। প্রতিষ্ঠানটির সিওও টিম এলাটোরে বলেছেন, প্রথম হোটেলটি আগামী ৩ বছরের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে। টিম এলাটোরে আরও জানিয়েছেন, প্রথম হোটেলটি একটি মহাকাশ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। পক্ষান্তরে অপর হোটেলটি একটি ভ্রাম্যমাণ মহাকাশ যান হিসেবে কাজ করবে।
এই মহাকাশ স্টেশন ওরফে হোটেলটি দুনিয়ার আর সব বিলাসবহুল হোটেলের মতোই হবে। সব সুবিধাই থাকবে এই হোটেলে। মহাকাশ স্টেশন বলে মনে হবে না এটি তার-যন্ত্রাংশ সর্বস্ব কোনো ধাতব ক্যাপসুল। বরং এটি আপনাকে নিজের ঘরের মতোই অনুভূতি দেবে বলে দাবি এলাটোরের। তিনি বলেছেন, ‘আপনার কখনোই মনে হবে যে—আপনি একটি কারখানায় যাচ্ছেন কিংবা কোনো গবেষণাগারে যাচ্ছেন। এটি স্বপ্নের মতো। যেখানে সর্বত্র তারের ছাড়া ছড়ি নেই বরং এমনই আরামদায়ক স্থান যেখানে আপনি অনুভব করবেন আপনি বাড়িতেই রয়েছেন।’
দুটি হোটেলেরই অভ্যন্তরীণ নকশা ও সুযোগ-সুবিধা পৃথিবীর আর পাঁচটা বিলাসবহুল হোটেলের সঙ্গে খুব একটা ভিন্ন নয়। তবে এই দুই হোটেলের বাইরের দৃশ্যটা কোনোভাবেই পৃথিবীর সাধারণ দৃশ্যের মতো হবে না। এলাটোরে বলছেন, তিনি এই হোটেল দুটির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন স্ট্যানলি কিউব্রিকের সিনেমা ‘২০০১: আ স্পেস ওডেসি’ থেকে। তবে যেহেতু দুনিয়ার বিলাসবহুল হোটেলগুলো সর্বসাধারণের নাগালের অনেকটা বাইরেই থাকে এই মহাকাশ হোটেলও কি তাহলে সাধারণ মানুষের আওতার বাইরেই থাকবে। এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন টিম এলাটোর নিজেই। বলেছেন, ‘মহাকাশ ভ্রমণ কেবল কোটিপতিদের জন্যই হবে না। কেবল ধনী নয়, সকলের কাছেই এই হোটেল সহজলভ্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আমরা।’
তবে ঠিক কীভাবে সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাননি অরবিটাল অ্যাসেম্বলির সিওও। তবে এমন উদ্যোগ যে নিঃসন্দেহে স্পেস ট্রাভেলকে অনন্য মাত্রা দেবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র: সিএনএন
সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন আপনার সামনে দুনিয়ার পরিচিত দৃশ্য আর নেই। তার বদলে পাঁচ তারকা হোটেলের জানালা দিয়ে আপনার সামনে দৃশ্যমান হলো মহাশূন্য-বিশাল মহাকাশ। তখন কেমন বোধ করবেন আপনি। নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং ভাববেন এমনটাও সম্ভব কী? হ্যাঁ! আলবৎ সম্ভব। মহাকাশ প্রতিষ্ঠান অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এবার মহাশূন্যেই হোটেল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
হোটেলটি মহাকাশচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ২০২৫ সালে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সময় তাঁরা সেই হোটেলের নাম দিয়েছিল ভন ব্রাউন স্টেশন। কিন্তু পরে তা, অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এই হোটেলের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুসারে এই হোটেলটি কয়েকটি পৃথক মডিউল নিয়ে তৈরি করা হবে। যেগুলো লিফট শ্যাফট দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এই হোটেলটি অনেকটা চাকার মতো দেখতে হবে যা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে।
এই হোটেলটিতে ২৮ জন মানুষকে আবাসন সুবিধা দেওয়া যাবে। তবে অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এই হোটেলটির মতো আরও একটি হোটেল তৈরি পরিকল্পনা করেছে। যেখানে অন্তত ৪০০ মানুষের সংকুলান হবে। প্রতিষ্ঠানটির সিওও টিম এলাটোরে বলেছেন, প্রথম হোটেলটি আগামী ৩ বছরের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে। টিম এলাটোরে আরও জানিয়েছেন, প্রথম হোটেলটি একটি মহাকাশ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। পক্ষান্তরে অপর হোটেলটি একটি ভ্রাম্যমাণ মহাকাশ যান হিসেবে কাজ করবে।
এই মহাকাশ স্টেশন ওরফে হোটেলটি দুনিয়ার আর সব বিলাসবহুল হোটেলের মতোই হবে। সব সুবিধাই থাকবে এই হোটেলে। মহাকাশ স্টেশন বলে মনে হবে না এটি তার-যন্ত্রাংশ সর্বস্ব কোনো ধাতব ক্যাপসুল। বরং এটি আপনাকে নিজের ঘরের মতোই অনুভূতি দেবে বলে দাবি এলাটোরের। তিনি বলেছেন, ‘আপনার কখনোই মনে হবে যে—আপনি একটি কারখানায় যাচ্ছেন কিংবা কোনো গবেষণাগারে যাচ্ছেন। এটি স্বপ্নের মতো। যেখানে সর্বত্র তারের ছাড়া ছড়ি নেই বরং এমনই আরামদায়ক স্থান যেখানে আপনি অনুভব করবেন আপনি বাড়িতেই রয়েছেন।’
দুটি হোটেলেরই অভ্যন্তরীণ নকশা ও সুযোগ-সুবিধা পৃথিবীর আর পাঁচটা বিলাসবহুল হোটেলের সঙ্গে খুব একটা ভিন্ন নয়। তবে এই দুই হোটেলের বাইরের দৃশ্যটা কোনোভাবেই পৃথিবীর সাধারণ দৃশ্যের মতো হবে না। এলাটোরে বলছেন, তিনি এই হোটেল দুটির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন স্ট্যানলি কিউব্রিকের সিনেমা ‘২০০১: আ স্পেস ওডেসি’ থেকে। তবে যেহেতু দুনিয়ার বিলাসবহুল হোটেলগুলো সর্বসাধারণের নাগালের অনেকটা বাইরেই থাকে এই মহাকাশ হোটেলও কি তাহলে সাধারণ মানুষের আওতার বাইরেই থাকবে। এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন টিম এলাটোর নিজেই। বলেছেন, ‘মহাকাশ ভ্রমণ কেবল কোটিপতিদের জন্যই হবে না। কেবল ধনী নয়, সকলের কাছেই এই হোটেল সহজলভ্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আমরা।’
তবে ঠিক কীভাবে সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাননি অরবিটাল অ্যাসেম্বলির সিওও। তবে এমন উদ্যোগ যে নিঃসন্দেহে স্পেস ট্রাভেলকে অনন্য মাত্রা দেবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র: সিএনএন
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো এবার বাংলাদেশের বাজারে আনছে রেনো ১৩ সিরিজ। শিগগিরই দেশে উন্মোচন হতে যাচ্ছে এ সিরিজের স্মার্টফোন। প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত আকর্ষণীয় ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অনবদ্য ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে এই ডিভাইসটি গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাই বদলে দিতে পারে! বাটারফ্লাই শ্যাডো এবং লুম
৩ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। তাই সাইবার অপরাধীদের কাছে হ্যাকিংয়ের একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। ব্রাউজারটির বিভিন্ন দুর্বলতা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। সম্প্রতি এমন একটি সাইবার হামলা ক্রোমে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফ
১ দিন আগেমার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর মেটার বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে কোম্পানিটির কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে মেটার ফ্যাক্ট চেকিং ফিচার ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য। অবশেষে, গত বৃহস্পতিবার
১ দিন আগেসারা বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি করা নতুন এআই ভাষা মডেল ‘ডিপসিক আর১ ’। তাই এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে রিজনিং মডেল ‘ও ৩ মিনি’ বিনা মূল্যে ব্যবহারে সুযোগ দিচ্ছে ওপেনএআই।
১ দিন আগে