নাজিম আল শমষের, ঢাকা
বেলা ৩টায় শুরু হবে আন্তর্জাতিক রেটিং দাবার অষ্টম রাউন্ড। দুই মেয়েকে নিয়ে বেশ তাড়াহুড়ো করে দাবা ফেডারেশনে এলেন মা তাসলিমা খাতুন। দুই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মেয়েকে নিয়ে তাঁর এই ব্যস্ততা যেন মধুর যন্ত্রণার।
তাসলিমার দুই কন্যা ওয়ালিজা আহমেদ ও ওয়াদিফা আহমেদ বাংলাদেশের দাবায় বিরল এক ইতিহাস গড়েছেন। দুজনেই অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় জুনিয়র দাবার নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন। সেটিও টানা দুই বছর। ২০২২ সালে ওয়ালিজা জুনিয়র দাবায় মেয়েদের সেরা হয়েছিলেন। বড় বোনের দেখানো পথে পরের বছর ৪১তম জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ওয়াদিফা। ৯ ম্যাচে ৮.৫ পয়েন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন তিনি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওয়ালিজা বাংলাদেশের দাবায় বেশ পরিচিত মুখ। ২০১৬ সালে দাবা শুরু করে ২০১৮ সালে মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টারের খেতাবও পেয়ে গেছেন। ওয়াদিফাও রেটিংধারী খেলোয়াড়। গত বছর এশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পেয়েছেন মহিলা ফিদে মাস্টারের খেতাব এবং সেটি নিজের বড় বোনকেই হারিয়ে!
ওয়ালিজা-ওয়াদিফার দাবাপ্রীতি জড়িয়ে আছে রক্তেই। বাবা মইনউদ্দিন আহমেদ ১৯৯০ সালে খেলেছেন জাতীয় দাবায়। দাদাও দাবা খেলতেন। পরের বছর জীবিকার টানে চলে যান ইতালিতে। দুই বোনের জন্ম ইতালির মিলানে। ২০১৫ সালে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন তাসলিমা। দাবা নিয়ে বাবা-মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অনলাইনে। গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের ছাত্রী দুজনেই। ছোট বোনের দাবারও দেখভাল করেন ওয়ালিজা। বড় বোনকে ক্যারিয়ারে একবারই হারাতে পেরেছেন ইস্পাহানী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওয়াদিফা। ছোট বোনকে নিয়ে মজার একটা কাহিনিও শোনালেন ওয়ালিজা, ‘সাফ জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা একে অপরের মুখোমুখি। ওয়াদিফা তখন নতুন খেলছে। হারের অবস্থা দেখে এক ঘণ্টার জন্য গায়েব হয়ে গেল। ওয়াশরুমে গিয়ে কেঁদেকেটে একাকার। মা ওকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরে টেবিলে আনেন। এই এক ঘণ্টা ওর জন্য টেবিলে বসে অপেক্ষায়।’
প্রতিযোগিতামূলক দাবায় এখন প্রায়ই মুখোমুখি হন দুই বোন। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় ড্র। বড় বোনকে একবার হারিয়েই মহিলা ফিদে মাস্টারের খেতাব ওয়াদিফার। বোনকে হারাতে কেমন লাগে সেই প্রশ্নে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল জবাব, ‘খুব ভালো লেগেছিল। ওই ম্যাচটা জিতেই আমি ফিদে মাস্টার নর্ম পেয়েছিলাম।’
ওয়ালিজা ও ওয়াদিফা দুজনেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিতে আছেন। তাঁদের স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ওয়ালিজার। পড়াশোনার চাপের মধ্যে ফাঁক পেলেই দাবা নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন তিনি। ওয়াদিফারও স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। তবে পাঁচজনে আটকে থাকা বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টারের তালিকা নিয়ে তাঁর ভাবনা, ‘বাংলাদেশের পাইপলাইনটা আরও বড় হওয়া জরুরি। বেশি বেশি জিএম টুর্নামেন্টও হতে হবে। দেশে ১০ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার থাকলে অন্তত দুজন গ্র্যান্ডমাস্টার তো হওয়া সম্ভব!’
বেলা ৩টায় শুরু হবে আন্তর্জাতিক রেটিং দাবার অষ্টম রাউন্ড। দুই মেয়েকে নিয়ে বেশ তাড়াহুড়ো করে দাবা ফেডারেশনে এলেন মা তাসলিমা খাতুন। দুই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মেয়েকে নিয়ে তাঁর এই ব্যস্ততা যেন মধুর যন্ত্রণার।
তাসলিমার দুই কন্যা ওয়ালিজা আহমেদ ও ওয়াদিফা আহমেদ বাংলাদেশের দাবায় বিরল এক ইতিহাস গড়েছেন। দুজনেই অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় জুনিয়র দাবার নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন। সেটিও টানা দুই বছর। ২০২২ সালে ওয়ালিজা জুনিয়র দাবায় মেয়েদের সেরা হয়েছিলেন। বড় বোনের দেখানো পথে পরের বছর ৪১তম জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ওয়াদিফা। ৯ ম্যাচে ৮.৫ পয়েন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন তিনি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওয়ালিজা বাংলাদেশের দাবায় বেশ পরিচিত মুখ। ২০১৬ সালে দাবা শুরু করে ২০১৮ সালে মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টারের খেতাবও পেয়ে গেছেন। ওয়াদিফাও রেটিংধারী খেলোয়াড়। গত বছর এশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পেয়েছেন মহিলা ফিদে মাস্টারের খেতাব এবং সেটি নিজের বড় বোনকেই হারিয়ে!
ওয়ালিজা-ওয়াদিফার দাবাপ্রীতি জড়িয়ে আছে রক্তেই। বাবা মইনউদ্দিন আহমেদ ১৯৯০ সালে খেলেছেন জাতীয় দাবায়। দাদাও দাবা খেলতেন। পরের বছর জীবিকার টানে চলে যান ইতালিতে। দুই বোনের জন্ম ইতালির মিলানে। ২০১৫ সালে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন তাসলিমা। দাবা নিয়ে বাবা-মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অনলাইনে। গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের ছাত্রী দুজনেই। ছোট বোনের দাবারও দেখভাল করেন ওয়ালিজা। বড় বোনকে ক্যারিয়ারে একবারই হারাতে পেরেছেন ইস্পাহানী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওয়াদিফা। ছোট বোনকে নিয়ে মজার একটা কাহিনিও শোনালেন ওয়ালিজা, ‘সাফ জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা একে অপরের মুখোমুখি। ওয়াদিফা তখন নতুন খেলছে। হারের অবস্থা দেখে এক ঘণ্টার জন্য গায়েব হয়ে গেল। ওয়াশরুমে গিয়ে কেঁদেকেটে একাকার। মা ওকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরে টেবিলে আনেন। এই এক ঘণ্টা ওর জন্য টেবিলে বসে অপেক্ষায়।’
প্রতিযোগিতামূলক দাবায় এখন প্রায়ই মুখোমুখি হন দুই বোন। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় ড্র। বড় বোনকে একবার হারিয়েই মহিলা ফিদে মাস্টারের খেতাব ওয়াদিফার। বোনকে হারাতে কেমন লাগে সেই প্রশ্নে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল জবাব, ‘খুব ভালো লেগেছিল। ওই ম্যাচটা জিতেই আমি ফিদে মাস্টার নর্ম পেয়েছিলাম।’
ওয়ালিজা ও ওয়াদিফা দুজনেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিতে আছেন। তাঁদের স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ওয়ালিজার। পড়াশোনার চাপের মধ্যে ফাঁক পেলেই দাবা নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন তিনি। ওয়াদিফারও স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। তবে পাঁচজনে আটকে থাকা বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টারের তালিকা নিয়ে তাঁর ভাবনা, ‘বাংলাদেশের পাইপলাইনটা আরও বড় হওয়া জরুরি। বেশি বেশি জিএম টুর্নামেন্টও হতে হবে। দেশে ১০ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার থাকলে অন্তত দুজন গ্র্যান্ডমাস্টার তো হওয়া সম্ভব!’
ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
৩৩ মিনিট আগেএশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আজ ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। তবে এর আগে দলে যোগ ফারহান জুলকিফলি। গতি, ড্রিবলিং ও প্লেমেকিং সক্ষমতা দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ২২ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের। জাতীয় দলের হয়ে
২ ঘণ্টা আগেদুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
৫ ঘণ্টা আগে