Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো

এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো
রানা আব্বাস
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১০: ০৩

বাংলাদেশের আর্চারিতে গতকাল সকালটা ছিল অস্থিরতায় ভরা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল, আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিরন্দাজ রোমান সানা। অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে শুধু ক্ষোভই নয়, অনেক আফসোস-আক্ষেপও ঝরেছে দেশের তারকা তিরন্দাজের কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

প্রশ্ন: আপনার এত বড় সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ কী?
রোমান সানা: হতাশা, আক্ষেপ থেকে। ১৪ বছর ধরে আর্চারি খেললাম। এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যদি তাঁর স্ত্রী-পরিবার না চালাতে পারে, এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে...।

প্রশ্ন: আপনাদের হাত ধরে আর্চারি পরিচিতি পেয়েছে দেশে। কিন্তু এখানে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আপনার এই আর্থিক দুর্দশা না কাটার কারণ কী?
রোমান: ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। সেটাও ২০২৩ সাল থেকে। এর আগে ছিল ৫০ টাকা দৈনিক ভাতা। ২০১৯ সালে যখন তীর আসে স্পনসর হিসেবে, তখন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিল।  র‍্যাঙ্কিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়কে ৫ ও ৭ হাজার টাকা দিত। তখন আমি টপ হিসেবে ৭ হাজার টাকা পেতাম। আর পদক পেলে এদিক-সেদিক থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা আসত। বছর শেষে হয়তো এক, দেড় লাখ টাকা পেতাম। চিন্তা করুন, এই হচ্ছে অবস্থা। দেশের বাইরে খেলতে গেলে পুরো সফরে পকেটমানি দেয় ১০০ ডলার। দিনপ্রতি গড়ে ১৫ ডলার।  এভাবে কত দিন খেলব? আমার নিষেধাজ্ঞার পর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সব চলে গেল। তবু কত কিছু করে নিজেকে ফিরিয়েছি ভালো করে খেলব বলে। যত সঞ্চয় ছিল, সব শেষ। এখন সংসার চালাতে গেলে... আমাকে ঢাকায় থাকতে হবে। দলের সঙ্গে থাকতে পারি না, ৫ হাজার টাকা বেতন। একটি মোটামুটি বাসযোগ্য ভালো বাসাভাড়াও ১০ হাজার টাকার ওপরে। আনসারে বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। ১০-১৫ হাজার যদি বাসা ভাড়া যায়, মায়ের ওষুধ, থাকা-খাওয়া, চলার খরচ...এভাবে যদি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে জীবনযাপন করতে হয়! সবাই বলবে আপনি তাহলে কী আয়-উপার্জন করেছেন, সেসব দিয়ে কী করেছেন। আমি কী-ইবা আয় করেছি?     

প্রশ্ন: আপনার চরম আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে, কিন্তু এ সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারকেরা কী ভূমিকা রাখছেন এখানে?
রোমান: দেখুন, কোন ইভেন্ট থেকে ভালো ফল আনিনি? অল্পিম্পিক কোয়ালিফাই করলাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ—বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেটের এত ফল আছে দেখান। অথচ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়া অ্যাথলেটরা সবকিছু পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাদে আমাদের সোনার পদক দেখিয়ে দিন। আজ আমার কষ্টে দিন যায়, সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমি নাকি এত বড় খেলোয়াড়। অথচ ভারতে দুই বছর আর্চারি খেলা একজন খেলোয়াড়কে দেখেন, সুযোগ-সুবিধায় কত পার্থক্য। ১৪ বছর ধরে খেলি, আফসোস হয়। তারা ভালো খেলবে না কেন? পদকপ্রাপ্ত একজন অ্যাথলেটকে কী যত্ন নেয় তারা। আমাদের আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা আছে, তবে খেলোয়াড়দের টাকা নেই।   

প্রশ্ন: অবসর নিলেই যে আপনার জীবনের সংকট দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে, সে নিশ্চয়তাও কি পাচ্ছেন?
রোমান: আমার হাতে অনেক অপশন আছে। আনসার আমাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দেয়। জাতীয় পর্যায়ে খেলে বাকি ছয় মাস বাড়িতে থাকলাম। এই যে সময়টা, এ সময়ে যদি আমি রিকশাও চালাই, তবু মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। শুধু বোঝানোর জন্য বলছি। পৃথিবীতে কাজের তো অভাব নেই। তারা আমাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিশ্রমে ৩ হাজার টাকা দেয়। এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো! 

 প্রশ্ন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি আপনাকে আবার অনুরোধ করা হয় অবসর ভেঙে ফেরার, কী করবেন তখন?
রোমান: আমি অবশ্যই ফিরব, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আমাকে সুযোগ-সুবিধা দেবে, আমি খেলব। এ ছাড়া খেলব না, পরিষ্কার কথা। এই কথাটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমার জীবনে এ রকম পরিস্থিতি আসবে, কথা বলতে হবে—কল্পনাও করিনি।   

প্রশ্ন: কেউ কেউ বলছেন, ফর্ম হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন ইরাকের বাগদাদে হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে। সব মিলিয়ে হতাশ আপনি, এ রকম বিষয়ও আসছে।
রোমান: বাগদাদে যেতে পারিনি, আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কোচ যে দল নির্বাচন করে গেছেন, সেই দল বাদ দিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে মিলিয়ে আরেকটা নিয়ে গেছে। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো সবাই জানে না। এগুলো বললে সহ্য করতে পারবে না অনেকেই। আমি রোমান সানা কোনো কোয়ালিফাই ছাড়া গেছি, দেখাক। ট্রায়ালে সেরা পাঁচে থেকেছি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে। দয়ার ভিত্তিতে দলে সুযোগ পাইনি, প্রমাণ প্রতিবছরের প্রতিটি রেজাল্ট শিট। যারা এটা বলে, তাদের প্লিজ রেজাল্ট শিট দেখতে বলবেন। অন্য খেলোয়াড়েরা ভালো না করলেও দলে রাখছেন, তাদের নিয়ে তো এত কথা আসছে না। রোমান সানা চলে গেল, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন পারফরম্যান্স নিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৃষ্টির কারণে দুই দলের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ছবি: এক্স
বৃষ্টির কারণে দুই দলের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ছবি: এক্স

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ও ভারত। আগেই সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হওয়ায় দুই দলের লড়াইটি ছিল গুরুত্বহীন। বৃষ্টি বাগড়ায় ম্যাচটিতে ফলও হয়নি। এরপরও একটি কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটি।

নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের খেলা দেখতে হাজির হন ২৫,৯৬৫ জন দর্শক। যা কোনো নারী আইসিসি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সর্বোচ্চ উপস্থিতির রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। গত ২৩ অক্টোবর ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রীতি কৌরদের লড়াই দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিল ২৫,১৬৬ জন দর্শক। এই রেকর্ড ভেঙে গেল মাত্র তিনদিনেই।

বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় বাংলাদেশ ও ভারতে ম্যাচটি। কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।  ডিএলএস মেথডে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ৮.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে ভারত। এরপর আবার বৃষ্টি নামলে ম্যাচ পরিত্যক্ত করেন রেফারি।  

শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজক ভারত। মূলত স্বাগতিক দেশ হওয়ায় নিজেদের ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে প্রতি ম্যাচেই গ্যালারিতে ভারতীয়দের আধিপত্য দেখা যায়। এদিক থেকে অন্যান্য ভেন্যুর তুলনায় নভি মুম্বাইয়ের বেশ এগিয়ে। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের ক্রিকেটের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

নারী বিশ্বকাপে আরও বড় দুটি ম্যাচ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন নভি মুম্বাইয়ের দর্শকরা। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারের ম্যাচটি হবে এই ভেন্যু। এরপর ফাইনাল ম্যাচটিও হবে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারী ক্রিকেটার শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভারতীয় মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৪৮
সম্প্রতি ভারতে দুই অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার শ্লীলতাহানির শিকার হন। ছবি: এক্স
সম্প্রতি ভারতে দুই অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার শ্লীলতাহানির শিকার হন। ছবি: এক্স

অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানির পর নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে বিতর্কের মুখে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এরই মধ্যে নেক্কারজনক ঘটনাকে আরও উসকে দিলেন কৈলাশ বিজয়ভার্গিয়া নামের এক ভারতীয় মন্ত্রী। অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে অজি ক্রিকেটারদের জন্য ‘শিক্ষা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সম্প্রতি ওই দুই অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটারের গায়ে অশালীনভাবে স্পর্শ করে এক মোটরসাইকেল আরোহী। ইতোমধ্যে অভিযুক্ততে আটক করেছেন পুলিশ। এই ঘটনায় ফুঁসছে ক্রিকেটাঙ্গন। এমন নেক্কারজনক কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের ভক্ত সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা। সেখানে উল্টোপথে হাঁটলেন বিজয়ভার্গিয়া। সহমর্মিতা না দেখিয়ে বরং ভুক্তভোগী ক্রিকেটারদের দায় দিচ্ছেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রদেশের বিজেপির এই সাংসদ বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড় বা আমরা যখন বাইরে যাই তখন সংশ্লিষ্ট কাউকে অবহিত করি। এরপর থেকে ওই ক্রিকেটাররা এটা মাথায় রাখবে যে, আমরা যদি আমাদের ভেন্যু ছেড়ে যাই, তবে তাযর আগে নিরাপত্তা বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। কারণ ক্রিকেটারদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের অনেক বেশি আগ্রহ আছে।’

ভক্ত কর্তৃক ইংল্যান্ডের এক ফুটবলারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে টেনে ওই মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকটা ইংল্যান্ডের ফুটবল অঙ্গনের মতো। আমি ফুটবলারদের পোশাক টেনে ছিঁড়তে দেখেছি। আমরা হোটেলে থাকার সময় দেখেছি ফুটবলারের সঙ্গে দেখা করতে যুবকরা এসেছিল। কেউ একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়ের কাছ থেকে অটোগ্রাফ চাইছিল। একটি মেয়ে এসে তো ফুটবলারকে চুমুই দিয়ে বসে এবং পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। ওই ফুটবলার খুব বিখ্যাত ছিলেন।’

অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটারদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজয়ভার্গিয়া, ‘মাঝে মাঝে খেলোয়াড়রা তাদের জনপ্রিয়তা বুঝতে পারে না। খেলোয়াড়রা খুব জনপ্রিয়। তাই তাদের সতর্ক থাকা উচিত। যে ঘটনাটি ঘটল এটা তাদের জন্য একটি শিক্ষা হয়ে থাকবে। এটা আমাদের জন্যও একটি শিক্ষা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তামিমের নেতৃত্বে আফগান সিরিজের দলে আছেন কারা

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে যুবারা। ছবি: বিসিবি
নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে যুবারা। ছবি: বিসিবি

বড় ভাইয়েরা ব্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ নিয়ে। এবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে আজিজুল হাকিম তামিমরাও। নিজেদের মাঠে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের যুবারা। এজন্য তামিমের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল।

সিরিজে তামিমের ডেপুটির ভূমিকায় থাকবেন জাওয়াদ আবরার। দলে ফেরানো হয়েছে পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও বাঁহাতি স্পিনার রাফিউজ্জামান রাফিকে। সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন ফারহান শাহরিয়ার, সানজিদ মজুমদার ও শাহরিয়ার আল আমিন।

এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলটি। ১১ মাস পর আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে চেনা আঙিনায় ফিরছে যুবারা।

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে বসবে যুব বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। তার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে আগামী ডিসেম্বরে নেপালে যুব এশিয়া কাপ খেলতে যাবে তামিম, জাওয়াদরা।

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে। ২৮ ও ৩১ অক্টোবর বগুড়াতে প্রথম ম্যাচ দুটি খেলবে তারা। এরপর ৩,৬ ও ৯ নভেম্বর সিরিজের শেষ তিন ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুদল। ম্যাচগুলো হবে রাজশাহীতে।

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড: আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), সামিউন বসির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, স্বাধীন ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, রিফাত বেগ, সাদ ইসলাম রাজিন, মোঃ সুবুজ, রাফিউজ্জামান রাফি, আবদুর রহিম ও ইকবাল হোসেন ইমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাশেজ শুরুর আগেই ছিটক গেলেন কামিন্স, নেতৃত্ব দেবেন কে

ক্রীড়া ডেস্ক    
পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: এক্স
পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: এক্স

শেষ পর্যন্ত আর চোটের সঙ্গে পেরে উঠলেন না প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটক গেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে পার্থ টেস্টে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। অজিদের কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কামিন্সের সঙ্গী পিঠের চোট। গত জুলাই মাসে নতুন করে এই চোটে ফিরে আসে। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। এজন্য প্রথম টেস্ট থেকে তাঁর ছিটকে যাওয়া একরকম নিশ্চিত ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। চোট থাকার পরও অ্যাশেজ দিয়ে ফিরতে বদ্ধপরিকর ছিলেন কামিন্স। এজন্য সব ধরনের চেষ্টাই করে যাচ্ছিলেন তিনি। তাতে অবশ্য কোনো লাভই হলো না।

কামিন্স ছিটকে যাওয়ায় অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে সুযোগ পেতে পারেন স্কট বোল্যান্ড। ব্রিজবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। ম্যাকডোনাল্ডসের আশা, সে ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরবেন কামিন্স।

ম্যাকডোনাল্ডস বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম কামিন্সের সুস্থ হতে চার সপ্তাহ লেগে যাবে। সেই সময় পার হয়ে গেছে। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে পাব এই আশায় আছি আমরা। কামিন্স কবে ফিরবে সবার সেটা জানতে চায়। দ্বিতীয় টেস্টের আগে সে ফিরবে কিনা সেটা এখনই বলা কঠিন। সে এই সপ্তাহ থেকে বোলিং শুরু করবে। এটাই আশার কথা। তাঁর ফিট হওয়ার জন্য এটা খুবই দরকার ছিল। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি। আপাতত আমরা ব্রিজবেন টেস্টে কামিন্সকে পাওয়ার আশায় আছি।’

স্মিথ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ বলেন, ‘স্টিভ স্মিথের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। কামিন্সের সঙ্গে তাঁর দারুণ বোঝাপড়া আছে। খেলতে না পারলেও প্রথম টেস্টে কামিন্স দলের সঙ্গেই থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত