Ajker Patrika

ইম্প্যাক্ট-টিম্প্যাক্ট আসলে অজুহাত

হাসান মাসুদ
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ২৫
ইম্প্যাক্ট-টিম্প্যাক্ট আসলে অজুহাত

ওয়ানডের চেয়ে এখন টি-টোয়েন্টি বেশি জনপ্রিয়। ওয়ানডে খেলাটা ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। এই কারণে ওয়ানডের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে এবং টি-টোয়েন্টি অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। যেহেতু চার ঘণ্টার মধ্যেই খেলা শেষ হয়ে যায়, তাই দর্শকের সংখ্যাও অনেক বেশি। ওয়ানডে ক্রিকেট এখন অনেক একঘেয়ে হয়ে গেছে। বল খেলার চেয়ে বল মারার খেলা হওয়ায় মানুষ এখন বেশি আগ্রহী টি-টোয়েন্টিতে। আমার নিজের কাছেই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর মনে হয় টি-টোয়েন্টি।

বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রেডিকশনের কথা যদি বলি, বলব জিরো। বাছাইপর্ব থেকে যারা আসবে তাদের বিপক্ষে হয়তো একটা জয় পেতে পারি, বাকি ম্যাচগুলো নিয়ে প্রত্যাশা একেবারেই জিরো। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জেতা সম্ভব নয়, পাকিস্তানের সঙ্গেও যে সম্ভব নয়, সেটা আমরা গত এশিয়া কাপেই দেখেছি।

আসলে আমরা দেখব বিশ্বকাপ। কারা চ্যাম্পিয়ন হয়, কারা হয় রানার্সআপ— সেটাই দেখব। ভালো কোনো ম্যাচ দেখার আশা নিয়েই আমরা বিশ্বকাপ দেখব। তবে বাংলাদেশ যেহেতু আমাদের নিজের দেশ, চাইব বাংলাদেশও যেন ভালো খেলে। কিন্তু বিগত কয়েক ম্যাচের ফল যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে সত্যি বলতে বাংলাদেশের কোনো আশাই নেই।

খেলা যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মাঠে হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমি অস্ট্রেলিয়াকেই এগিয়ে রাখব। এরপর ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিসংখ্যান হচ্ছে সবচেয়ে বড় একটা মিথ্যা।

পরিসংখ্যান দিয়ে কোনো কিছু বিবেচনা করা যায় না। সব কিছু যদি বিবেচনা করে দেখা হয় তাহলে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে সবদিক দিয়ে সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল।

ইংল্যান্ডও ভালো তবে রিস টপলি চোটে পড়ায় ওরা একটু পিছিয়ে পড়েছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা হচ্ছে অন্য গ্রহের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে আপনি ফেলে দিতে পারেন না। হয় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড নয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যেই শিরোপা থাকবে। হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা এবারও ‘চোক’ করবে। তবু কাগজে-কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম সেরা দল। উপমহাদেশের দেশগুলোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না কারণ, এর মধ্যেই একটা রেষারেষি শুরু হয়ে গেছে। যেমন—ভারত পাকিস্তানে যাবে না, পাকিস্তান হয়তো ভারতের সঙ্গে ম্যাচ বয়কটও করতে পারে। শুরুর সময়ের ক্রিকেটটা এখন আর নেই, রাজনীতি ঢুকে গেছে। এই কারণে তাদের সম্ভাবনাও অনেক কমে এসেছে।

বাংলাদেশের কথা যদি বলি, যে দলের ওপেনাররা ফর্মেই নেই সেই দল প্রথম ১০ ওভারে কীভাবে রান করবে? পাওয়ার প্লেতে কত রানই আসবে? ব্যাটারদের এখন এত বেশি স্বাধীনতা হয়ে গেছে যে তারাই সিদ্ধান্ত নেয়, তারা কে কোন পজিশনে খেলবে। ওপেনিংয়ে দুই বাঁহাতি কম্বিনেশনটা ভালো হবে না, সেখানে লিটনকে যদি শুরুতে নিয়ে আসা হয় তাহলে শুরুটা হয়তো ভালো হতে পারে। আর এই যে ইম্প্যাক্ট-টিম্প্যাক্ট আসলে একটা অজুহাত। আপনাকে অবশ্যই একটা ভালো শুরু এনে দিতে হবে। ভালো স্কোর করতে হবে।

বাংলাদেশের এই দলে আমি মাহমুদউল্লাহর অভাবটা অনুভব করছি। নির্বাচকেরা কেন তাঁকে দলে রাখল না, বুঝতে পারছি না। মাহমুদউল্লাহ অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস আছে তাঁর। মাহমুদউল্লাহকে একটা টুর্নামেন্টের জন্য বাদ দিয়ে নির্বাচকেরা কাজটা ভালো করেননি।

লেখক: অভিনেতা ও সাবেক ক্রীড়া সাংবাদিক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত