Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

টেস্টে ৩৫০ উইকেট নিতে চাই

নাঈম হাসান। ফাইল ছবি

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো করা নাঈম হাসানের টেস্টে শুরুটা হয়েছিল দারুণ। তবে সাত বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিয়মিত টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। বিদেশে সুযোগ পান সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে ভালো করা নাঈমের লক্ষ্য আরও বড় কিছু। বোলিংয়ে পরিবর্তন, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে ২৬ বছর বয়সী অফ স্পিনার কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৬: ২৫

প্রশ্ন: টেস্টে আপনার সব উইকেট দেশের মাঠে। গল টেস্টে প্রথমবারের মতো বিদেশে ৫ উইকেট পেলেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

নাঈম হাসান: যত টেস্ট খেলেছি, সবই দেশের মাটিতে। যেহেতু টেস্ট খেলি, সব জায়গায় পারফর্ম করার ইচ্ছা থাকে। এবার যখন বিদেশে খেলার সুযোগ পেলাম, নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। তবে এখানে থেমে থাকতে চাই না, সামনে আরও ভালো করতে চাই; আরও ম্যাচ খেলতে চাই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে সাধারণত একাধিক অফ স্পিনার খেলানো হয় না। এবার মিরাজের অনুপস্থিতিতে আপনি সুযোগ পেয়েছেন এবং দ্বিতীয় টেস্টে খেলেছেন মিরাজের ফেরার পর। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

নাঈম: কখনো ভাবিনি যে কারও বদলি হিসেবে খেলছি। আমাকে দলে রাখা হয়েছে পারফর্ম করার জন্য। আমি সেই চেষ্টা করেছি। তাইজুল ভাই সিনিয়র, তিনি দারুণভাবে আমাকে গাইড করেছেন। সব সময় পাশে থেকেছেন।

প্রশ্ন: এখন টেস্টে একজন নির্ভরযোগ্য স্পিনার হিসেবে খেলছেন। সাদা বলে কখনো জাতীয় দলে খেলা হয়নি। তিন সংস্করণে খেলতে কীভাবে এগোচ্ছেন?

নাঈম: সাদা বলেও আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, পাঁচ-ছয়টা সিরিজে স্কোয়াডে থেকেছি, যদিও অভিষেক হয়নি। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সাদা বলে ম্যাচ খেলেছি; সেখানে পারফর্মও করেছি। যদি সুযোগ পাই এবং নিয়মিত খেলার পরিবেশ থাকে, ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারব। তখন যদি দল মনে করে যে আমার প্রয়োজন, নিশ্চয়ই সুযোগ আসবে। এমন নয় যে সাদা বলে খেলতে পারি না। আমরা প্রিমিয়ার লিগ খেলি, বিপিএল খেলি, সবখানে চেষ্টা করি ভালো করার। সব সময় প্রস্তুত থাকি, যেখানে সুযোগ পাব, সেখানে যেন নিজেকে প্রমাণ করতে পারি। তখন স্বাভাবিকভাবে নজরে আসা সম্ভব।

প্রশ্ন: আপনার বোলিং অ্যাকশনে, বিশেষ করে রিলিজ পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয়।

নাঈম: অ্যাকশনে বড় কোনো পরিবর্তন করিনি। তবে মুশতাক ভাইয়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে কিছু সূক্ষ্ম টেকনিক্যাল দিক বুঝেছি। বিশেষ করে রিলিজ পয়েন্টে বল কোথায় ফেললে বেশি টার্ন পাওয়া যাবে, কীভাবে ব্যাটারকে বিপাকে ফেলা যায়, এসব বিষয়ে তিনি পরিষ্কার করে বোঝান। আমি মন দিয়ে শুনেছি, অনুশীলন করেছি এবং এর সুফলও পেয়েছি। যেহেতু আমি তুলনামূলক লম্বা, সেটা বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে দল গড়তে কত সময় লাগতে পারে?

নাঈম: খেলাটা এমনই, এখানে কেউ সারা জীবন খেলতে পারে না। আমি খেলছি, আমাকেও একদিন বিদায় নিতে হবে। তবে যেকোনো দল গড়তে সময় লাগে। কিছুদিন আগেও শ্রীলঙ্কা খুব খারাপ সময় পার করেছে। কিন্তু তারা তাদের দলকে সময় দিয়েছে, এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেট এমনই, সময় দিলে সব বদলাবে। আমাদেরও ধৈর্য ধরতে হবে।

প্রশ্ন: একজন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে আপনার লক্ষ্য কী?

নাঈম: সবারই ইচ্ছা থাকে বিশ্বমানের খেলোয়াড় হওয়ার; কিন্তু সেটা এক দিনে সম্ভব নয়। আমাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। আমার লক্ষ্য খুব পরিষ্কার, দলের প্রয়োজন মেটানো, ম্যাচ জেতানো। হ্যাঁ,৩০০-৫০০ উইকেটের স্বপ্ন দেখতেই পারি, কিন্তু সেটা মাথায় নিলে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হয়। তখন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় আমরা ভাবি, এই ম্যাচে ১০ উইকেট নিতে হবে। কিন্তু এমন ভাবনা সব সময় কাজে আসে না। আমি বিশ্বাস করি, ধারাবাহিকভাবে কাজ করলে, সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চললে সাফল্য আসবেই। ইচ্ছা আছে টেস্টে অন্তত ৩৫০ উইকেট নেওয়ার।

প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময় কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? তখন কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন?

নাঈম: পুরো সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করে কাটিয়েছি। আমার দৈনন্দিন রুটিন ছিল সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নামাজ পড়ে মাঠে যাওয়া, নিয়মিত অনুশীলন ও জিম, তারপর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরা। রাত ৯টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতাম। খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দিয়েছি। আমার স্ত্রী আমাকে দারুণভাবে সাপোর্ট করেছে, বিশেষ করে ডায়েট মেনে চলতে অনেক সহযোগিতা করেছে। এখনো সেই রুটিন মেনে চলছি। যদিও এখন সন্তান আছে। আমরা দুজনেই পরিবার সামলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অ্যাশেজ হার ঠেকাতে ইংল্যান্ড একাদশে আছেন কারা

ক্রীড়া ডেস্ক    
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০১০-১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। খরা কাটাতে চলমান সিরিজের আগে প্রস্তুতির কোনো কমতি ছিল না সফরকারী দলের। এরপরও স্বস্তিতে নেই বেন স্টোকসের দল। প্রথম ২ ম্যাচ হেরে আরও একবার অ্যাশেজ হারের শঙ্কায় তারা। সিরিজে টিকে থাকতে চাইলে তৃতীয় টেস্টে হার ঠেকাতেই হবে ইংল্যান্ডকে।

অ্যাডিলেড ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। সে ম্যাচকে সামনে রেখে একাদশ দিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত গোলাপি বলের টেস্ট একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে অতিথিরা। বাদ পড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। একাদশে নেওয়া হয়েছে জশ টাংকে। ২৭ বছর বয়সী পেসার আস্থার প্রতিদান দিতে না পারায় একাদশে পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।

প্রথম ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে মাত্র ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন। পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। সে ম্যাচের ২ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি অ্যাটকিনসন। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসের ১ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ২ উইকেট। এই টেস্টেও সফরকারীরা হেরেছে ৮ উইকেটে।

অ্যাটকিনসনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া টাং এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। সবশেষ গত জুলাই-আগস্টে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ওভালে টেস্ট খেলেছেন তিনি। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ২ টেস্টে সুযোগ হয়নি তাঁর। অ্যাটকিনসনের অধারাবাহিকতায় ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি।

অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডের একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার এবং জশ টাং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পান্ডিয়ার অনন্য ডাবল, ফর্মে ফেরার বার্তা দিলেন সূর্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। দলের সহজ জয়ের দিনে অনন্য এক কীতি গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিন নিজের ফর্ম নিয়ে সূর্যকুমারের কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর।

টি–টোয়েন্টিতে আরও আগেই ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পান্ডিয়া। ৯৯ উইকেট নিয়ে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। এদিন ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন। তাঁর করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার গ্লাভস বন্দী হন স্টাবস। তাতেই প্রথম পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত এক হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়লেন পান্ডিয়া।

সব মিলিয়ে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেট এবং ১ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেন এই ভারতীয় তারকা। এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নবি, সিকান্দার রাজা ও বিরানদীপ সিং। এরা সবাই স্পিনিং অলরাউন্ডার। এদিক থেকে ব্যতিক্রম কেবল পান্ডিয়া।

এদিন আরও একটি কীর্তি গড়েছেন পান্ডিয়া। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সমান ১০০ উইকেট এবং ছক্কা ও ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এই ক্লাবের আগের তিনজন হলেন নবি, রাজা ও বিরানদীপ।

লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই সূর্য। সবশেষ ২২ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৫১ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেন মাত্র ১২ রান। এরপরও নিজের ফর্ম নিয়ে শঙ্কিত নন ভারতীয় দলপতি। সেরা ছন্দে ফেরার বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি। সূর্য বলেন, ‘আমি নেটে দারুণ সময় পার করছি। আমার ব্যাটে রান ফিরবে। এটা ঠিক যে এখন রান পাচ্ছি না। রানে না থাকলেও ফর্মে আছি। আমি শিগগিরই ফর্মে ফিরব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘একদম শোয়াই ফেলব’ শান্তর হুঙ্কারের জবাব দিলেন মিরাজও

ক্রীড়া ডেস্ক    
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামীকাল একটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। ‘বাংলাদেশ অল স্টার্স ম্যাচ’ নামক ম্যাচটিতে অংশ নেবে ‘অদম্য’ এবং ‘অপরাজেয়’ দল। ২ দলের নেতৃত্বে থাকছেন যথাক্রমে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচের আগে আজ সকালে মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন দুই দলের অধিনায়ক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় বাকি দশটা ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনের মতো পেশাদার আচরণ নয়, বরং রসিকতায় মেতে উঠেছিলেন শান্ত ও মিরাজ। হাসি, ঠাট্টায় পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন দুজন।

শান্ত বলেন, ‘আমরা খুবই উত্তেজিত। এরকম ম্যাচ খেলার সুযোগ আগে হয়নি। কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না, শোয়াই ফেলব একদম। প্রস্তুতি মাঠে দেখতে পাবেন না। সব প্রস্তুতি মুখে মুখে হচ্ছে। মাঠে শোয়াই ফেলতে পারি, না হলে শুয়েও যাইতে পারি। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’

আম্পায়ারিং নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি শান্ত, ‘উত্তাপ তো থাকবেই। তবে বেশি দেখানো যাবে না। শুনলাম ভালো আম্পায়ার থাকবে। তবে বেশি উত্তাপ আবার দেখানো যাবে না। পরে ডিমেরিট পয়েন্ট খেয়ে যাব। একটু ভয়েই আছি। শুনলাম আমাদের দলের পাঁচজন খেলতে পারবে না। এখন সন্দেহ হচ্ছে যে ফোন-টোন করে হুমকি খেয়েছে নাকি তারা।’

শান্তর পর মিরাজের কথাতেও ছিল রসিকতা। ম্যাচ জিতেই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের হুঙ্কারের জবাব দিতে চান তিনি, ‘সেটা (অপরাজেয় দলের কয়েকজনের খেলা নিয়ে শঙ্কা) তো ওদের ব্যর্থতা। ওরা হয়তো খেলোয়াড়েদের ঠিকমতো গাইড করতে পারেনি (হাসি)। প্রতিপক্ষ দল হুমকি দেয় এরপর আমরাও যদি দেই... একটা পক্ষকে তো সেভ করতে হবে। তাই আমরা মাঠে চেষ্টা করব ম্যাচটা জিতে যেন ওদের কথার জবাব দিতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিষেকে খরুচে তাসকিন, স্বরূপে ফিরলেন মোস্তাফিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি–টোয়েন্টি) অভিষেক হলো তাসকিন আহমেদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেকে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ঢাকা এক্সপ্রেস। বল হাতে খরুচে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে এক ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পর স্বরূপে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তাসকিনের অভিষেক ম্যাচে এমআই এমিরেটসকে ৬ রানে হারিয়েছে তাঁর দল শারজা ওয়ারিয়র্স। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জনসন চার্লসের ফিফটিতে ১৭৪ রান তোলে তারা। ৫৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। এছাড়া টম কোলার ক্যাডমোর ৩০ ও সিকান্দার রাজা করেন ২৯ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৮ রানে থামে এমিরেটস।

৪ ওভারে ৩৯ রান দেন তাসকিন। ছিলেন উইকেটশূন্য। শারজার হয়ে এদিন তাসকিন সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন না। ৪ ওভারে বল করে ৪১ রান দেন শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানা। সমান ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৫ রান দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। শারজার হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন এই জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি।

টানা ২ জয়ের পর হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা। ২ বল হাতে রেখে দুবাইয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভাইপার্স। নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। ভাইপার্সের বিপক্ষে ৩০ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট। এদিন প্রথম ২ ওভারে ২১ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। কিন্তু ডেথ ওভারে ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ স্পেলে তারঁ খরচ মাত্র ৯ রান। এরপরও জিততে পারেনি দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত