Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য’

‘আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য’

৬ ইনিংসে ৯৮.৪০ গড়ে করেছেন ৪৯২ রান, টানা তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি—পরিসংখ্যানই বলছে, এবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) জাকের আলী অনিক কতটা দুর্দান্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অসাধারণ হলেও তাঁর দল মধ্যাঞ্চল ফাইনালে হেরে যায় দক্ষিণাঞ্চলের কাছে। তবু এই বিসিএল বিশেষ হয়ে থাকছে জাকেরের কাছে। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিন ম্যাচে, সর্বোচ্চ রান করে হলেন টুর্নামেন্টসেরাও। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যাঞ্চলের এই ক্রিকেটার জানালেন নিজের পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে। 

লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৭

প্রশ্ন: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৮ ম্যাচ খেলে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না, এরপরই টানা তিন সেঞ্চুরি—এই পরিবর্তনের রহস্য কী?

জাকের আলী: পরিবর্তনটা আসলে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম সেঞ্চুরি করতে, বড় রান করতে। ফিফটি পাচ্ছিলাম (১৪-১৫টা) নিয়মিতই। গত কিছুদিনে কাজ করছিলাম বিশেষ করে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলা ও বাংলা টাইগার্সের সঙ্গে অনুশীলনে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেললে সাহসটা এমনিই বেড়ে যায়। ভারতের ‘এ’ দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেছি। উমেশ যাদবের মতো বোলারের বিপক্ষে খেলেছিলাম। এভাবেই হয়েছে।

প্রশ্ন: বিপিএলে ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন, আন্তর্জাতিক (রাসেল-রিজওয়ানদের) ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী?

জাকের: এবারের বিপিএল আমার কাছে অন্য রকম ছিল। অনেক কিছু শিখেছি। ছোট ছোট ইনিংস ছিল, আমার যে ভূমিকা ছিল, কম বলে বেশি রান করা। রিজওয়ান ভাই আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। কিছু টিপস দিয়েছেন। ক্রিকেট, ব্যক্তিগত জীবন—সব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা ফাইনাল খেলেছি। পুরো টুর্নামেন্টে চাপ নিতে শিখেছি। যেটা বিসিএলে আমাকে পরে সহায়তা করেছে। আসলে এ বিষয়গুলো অনেক এগিয়ে দেয়।

প্রশ্ন: ফিনিশার রোল বা ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং করেছেন, পাওয়ার হিটিং নিয়ে কি বিশেষ কাজ করেছেন?

জাকের: হ্যাঁ, করেছি। বিপিএল শুরুর আগে থেকেই সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি নিজেও কাজ করেছি। যেখানে মনে হচ্ছে, নিজেকে আরেকটু প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এখন তো শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্যও প্রস্তুত হতে হবে। সেভাবেই চেষ্টা করছি, পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছি।

প্রশ্ন: বিসিএলের ফাইনালে কিপিং থেকে বেরিয়ে এসে এনামুল হক বিজয় আপনাকে বোল্ড করলেন, আপনার উইকেট তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একজন খণ্ডকালীন বোলারের বলে আউট হয়ে কি আফসোস হচ্ছিল?

জাকের: এটা তেমন কিছু না। যখন আউট করতে পারছিল না তারা, এর একটু আগে উইকেটকিপিং থেকে বেরিয়ে আসেন বিজয় ভাই। আমাদের ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, চেষ্টা করছিলাম বাউন্ডারি মারতে। তখন বোল্ড হয়ে যাই, মারার চেষ্টা করছিলাম। এটা ক্রিকেট, যে কেউ আউট করতে পারে।

প্রশ্ন: নিজে দুর্দান্ত খেলেছেন কিন্তু দল জিততে পারেনি, নিশ্চয়ই আফসোস কাজ করছে?

জাকের: অবশ্যই, খারাপ লাগা তো কাজ করে। ভালো খেলেই তো ফাইনাল পর্যন্ত এসেছিলাম আমরা। অপ্রত্যাশিতভাবে ফাইনালটাই আমাদের খারাপ হয়ে যায়। ব্যাটিং ওভাবে ভালো হয়নি কারও। চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমার ইনিংসও বড় হয়নি।

প্রশ্ন: নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

জাকের: ভালো। আমি মনে করি, এই ইনিংসগুলো সামনে আমাকে আরও ভালো করতে সহায়তা করবে, বড় ইনিংস খেলতে সহায়তা করবে। অনেক দিন ধরেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বড় রান করার চেষ্টা করেছি। টানা সেঞ্চুরি করেছি। এতে ভালো লাগছে।

প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ খেললেন। আর সব ক্রিকেটারের মতো নিশ্চয়ই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটাও উঁকি দিতে শুরু করেছে মনে?

জাকের: জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন সবাই বোনে। সবারই লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার। এটা নির্বাচকদের ওপর নির্ভর করবে, আমাকে কখন নেবে, কোন পজিশনে খেলাবে, কোন ফরম্যাটে খেলাবে। কিন্তু আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য। যখনই সুযোগ আসে যেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারি।

প্রশ্ন: আপনি কোন পজিশনে ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন?

জাকের: এটা আসলে নির্ভর করে সাদা বলের ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি। আমি টেস্টে (প্রথম শ্রেণি) সাধারণত পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেভাবে নির্ধারিত পজিশন নেই। সব পজিশনেই খেলি। এটা আসলে উপভোগ করি, আমাকে দলের প্রয়োজনে একেক জায়গায় খেলানো হয়।

প্রশ্ন: মাঝে দুটো বছর ক্রিকেটেই দেখা যায়নি আপনাকে। এর পেছনে কারণ কী ছিল? 

জাকের: মাঝে দুই বছর আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। বাবার মৃত্যুর পর এক বছর হারিয়ে ফেলি। তিনটা বছর প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে পরিবারের সমর্থন কেমন ছিল? 

জাকের: ২০০৭ সাল থেকে আমি ক্রিকেট শুরু করি, তখন থেকে যে সমর্থন দিয়ে এসেছে, সেটা প্রকাশ করার মতো না। 

প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে নির্দিষ্টভাবে সবচেয়ে অবদান বেশি ছিল কার?

জাকের: আমার মা। বড় ভাই-বোন। আমার বড় ভাইও ক্রিকেটার ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট খেলতেন। আমি যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা যদি বড় ভাই পেতেন আরও ভালো কিছু করতে পারতেন। 

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?

জাকের: মুশফিকুর রহিম ভাই আমার আদর্শ। আমিও বিকেএসপি থেকে এসেছি। তাঁর সবকিছুই আমার ভালো লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারও জিতলেন দেম্বেলে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৫
২০২৫ ফিফা বর্ষসেরার ট্রফি হাতে উসমান দেম্বেলে। ছবি: ফিফা
২০২৫ ফিফা বর্ষসেরার ট্রফি হাতে উসমান দেম্বেলে। ছবি: ফিফা

ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি তাঁর হাতেই উঠবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। লামিনে ইয়ামাল, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাফিনিয়াদের পেছনে ফেলে ফরাসি এই ফরোয়ার্ড জিতে নিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এই পুরস্কার।

আলো ছড়ানো বছরে এর আগে ব্যালন ডি’অর তথা ইউরোপসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন দেম্বেলে। এবার ফিফা দ্য বেস্ট জিতে হয়ে গেলেন বিশ্বসেরাও। মেয়েদের বিভাগে ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। স্প্যানিশ এই নারী ফুটবলার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জিতলেন এই পুরস্কার। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট হয়েছেন দেম্বেলে।

২০২৪ সালের ১১ অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২ অগাস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার। এই সময়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন পিএসজিকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই সময়ে ৩৫ গোল করেন তিনি, সতীর্থদের গোল করিয়েছেন আরও ১৬টি। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তিনিই ছিলেন এগিয়ে। ব্যালন ডি’অরের পর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জয় তাঁর সে অর্জনেরই স্বীকৃতি।

কাতারের রাজধানী দোহার ফেয়ারমন্ট কাতারা হলে ফিফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দেম্বেলের হাতে তুলে দেওয়া বর্ষসেরার ট্রফি। অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন লুইস এনরিকে। নারী বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন সারিনা ভিগমান। বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন পুরুষ বিভাগে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও নারী বিভাগে সারিনা ভিগমান। ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। এর বাইরেও অনলাইনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ফুটবলপ্রেমী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্ব ছাড়লেন আজহার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজহার মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আজহার মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের অংশ হিসেবে আগামী মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। লম্বা সংস্করণে আপাতত কোনো সিরিজ না থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই চুক্তি শেষ করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

আজহারের অধীনে একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেই সিরিজটি ১-১ ড্র করে দলটি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দেন আজহার। সাদা বলের ক্রিকেটে গ্যারি কার্স্টেন এবং লাল বলের ক্রিকেটে জেসন গিলেস্পির ডেপুটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার আগের মাসে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে একটি সাদা বলের সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দলটির বোলিং কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন আজহার।

পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্ব ছেড়ে আজহার বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাকে নিয়োগ দিয়েছিল। পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই সময়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। দলের সামনের দিনগুলোর জন্য শুভকামনা জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলের আগে ‘কোটিপতি’ নাঈমের বার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাঈম শেখ। ফাইল ছবি
নাঈম শেখ। ফাইল ছবি

শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। তবে সাবেকদের পাশাপাশি এবার মিলন মেলা হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদেরও। অলস্টার টি-টোয়েন্টি শিরোনামের ম্যাচে সন্ধ্যা মুখোমুখি হয়েছিল টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন অপরাজেয় দল এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন অদম্য দল। বিজয় দিবসের এই প্রদর্শনী ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছে মিরাজের দল।

টস হেরে আগে ব্যাট করে অপরাজেয় ৯ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় শান্তর দল। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান জাতীয় দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর জিশান আলমের সঙ্গে শান্তর ৫০ রানের জুটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জিশান আলম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাটে।

লক্ষ্য তাড়ায় ৪৮ রানের মধ্যে মিরাজের দল ২ উইকেট খুইয়ে ফেললেও এবারের বিপিএলে নিলামে কোটি টাকারও বেশি দাম পাওয়া নাঈম শেখ ৪৪ বলে ৭৬ রান তুলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। শেষ দিকে খেলা বল আর রানের সমীকরণে চলে এলেও অধিনায়ক মিরাজ (১৪ *) ও সাইফউদ্দিন (৫ *) অপরাজিত থেকে ১৯.২ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে সকালে বিজয় দিবসের আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে শহীদ মুশতাক একাদশ ৩৮ রানে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশকে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ১৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন শহীদ মুশতাক একাদশ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়ায় শহীদ জুয়েল একাদশ ১৫ ওভার খেললেও ৪ উইকেটে ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি।

শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। তাঁর ২৬ বলে সাজানো ইনিংসটিতে আছে ২টি চার ও ৪টি ছয়। দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২* করেন তুষার ইমরান। লক্ষ্য তাড়ায় শাহরিয়ার নাফিস ৩৬ এবং তালহা জুবায়ের ২৬* রান করলেও ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বধীন শহীদ জুয়েল একাদশ।

বিজয় দিবসের এই খেলায় জয় পরাজয়টাই বড় কিছু নয়, বিজয়ের আনন্দে ডুবে খেলাটাই আসল। দুই দলের ক্রিকেটাররা সেই চেষ্টাই করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইডেনে মোস্তাফিজের সুইং দেখার অপেক্ষায় কলকাতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৫
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: এক্স
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: এক্স

সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।

মিনি নিলাম থেকে চমক উপহার দিয়ে কলকাতা যেসব ক্রিকেটারকে দলে টেনেছে মোস্তাফিজুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশিদের মধ্যে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ রুপিতে এই পেসারকে নিয়েছে শাহরুখ খানের দল। কাটার মাস্টারকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কলকাতা। নিজেদের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মোস্তাফিজের কাটার দেখতে মুখিয়ে আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

মোস্তাফিজকে নিয়ে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দুটি পোস্ট করেছে কলকাতা। একটি পোস্টে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ছবিসহ টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাপশনে কলকাতা লিখেছে, ‘মাঠ প্রস্তুত, সুইং (কাটার) নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। ফিজকে তার কাজটি করতে দেওয়ার সময় এসেছে।’

আরেকটি পোস্টে মোস্তাফিজকে নিয়ে কিছুটা রসিকতা করেছে কলকাতা। সামনে বিরিয়ানির থালা নিয়ে বসে থাকা বাঁ হাতি পেসারের একটি ছবি পোস্ট করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ক্যাপশনে বাংলায় লিখেছে, ‘মোস্তাফিজের সুইং এখন ইডেনে।’

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। সে আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। কলকাতা আইপিএলের তাঁর ষষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। বোলিং গড় ২৮.৪৪ এবং স্ট্রাইকরেট ৮.১৩।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত