Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নেই

অভিজ্ঞতা বাড়াতে দেশের বাইরে লিগেও খেলতে চান নাহিদ রানা। ছবি: বিসিবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছর না হতেই বিশেষ একটা পরিচিত পেয়েছেন নাহিদ রানা। গতিই তাঁকে বিশেষ পরিচিত করে তুলেছে। রানা এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যস্ত। প্রথমবারের মতো পেশোয়ার জালমিরের হয়ে পিএসএল খেলতে এরই মধ্যে বিসিবির কাছে এনওসি চেয়ে আবেদন করেছেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানা বলেছেন তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সসহ প্রাসঙ্গিক আরও কিছু বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ১৪: ০৯

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন। বিপিএল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর রমজানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ততা—ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট কি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

নাহিদ রানা: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। রোজা রেখে ম্যাচ খেলা কঠিন, স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি আসে। রোজার আগে যেভাবে ফিট থেকে খেলতাম, এখন ছন্দ কিছুটা হেরফের হয়। তবে সবকিছুর পরও মানিয়ে নিচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। .

প্রশ্ন: কখনো কি সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার বা ব্রেট লির সঙ্গে দেখা হয়েছে?

রানা: এখনো দেখা হয়নি।

প্রশ্ন: যদি কখনো দেখা হয়, তাঁদের কাছে কী জানতে চাইবেন?

রানা: ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে অবশ্যই কথা বলার চেষ্টা করব। তাঁরা ক্রিকেটের কিংবদন্তি, তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁরা কীভাবে অনুশীলন করতেন, কীভাবে নিজেদের গতি ও স্কিল ধরে রেখেছেন—এসব জানতে চাইব, যেন আমি সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারি।

প্রশ্ন: আপনি কি স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ মাইল গতিতে বল করার?

রানা: গতি আমার শক্তির জায়গা, তবে এটা নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না। আমি ফিটনেস ঠিক রেখে স্কিল বাড়ানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। স্কিল ঠিক থাকলে গতি এমনিতেই বাড়বে। যারা গতিতে বল করে, তারা কখনো নির্দিষ্ট বলে জোর দিয়ে করে না—সবটাই স্কিলের বিষয়। আমিও সেই প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি, নিয়মিত কাজ করছি। সময়ের সঙ্গে দেখব, কত দূরে যেতে পারি।

প্রশ্ন: পেস বোলারদের কেউ চান শত শত উইকেট শিকার করতে, কেউ চান বড় কোনো মাইলফলক স্পর্শ করতে। আপনার লক্ষ্য কী?

রানা: নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নেই। ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চাই, যত দিন ভালোভাবে খেলতে পারব, তত দিন খেলে যেতে চাই। বাড়তি কিছু ভাবছি না, শুধু নিজের খেলাটা উপভোগ করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।

প্রশ্ন: গতি দিয়ে বিশেষ নজর কেড়েছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও আপনাকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাড়তি প্রত্যাশার চাপ অনুভব করছেন?

রানা: সত্যি বলতে, বাইরের আলোচনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলি। এসব নিয়ে ভাবতে গেলে নিজের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হয়। আমি শুধু নিজের খেলায় মনোযোগ দিই। মাঠে যে কাজটা করতে নামি, সেটাই ঠিকঠাকভাবে করতে চাই। অন্য কিছুতে সময় নষ্ট করতে চাই না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তেমন কারও সঙ্গে আলাপের সুযোগ হয়নি। আর আমাদের প্রস্তুতির সময়ও কোনো বিখ্যাত সাবেক খেলোয়াড়ের দেখা হয়নি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের এক্সপ্রেস বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার হাত ধরে। এরপর তালহা জুবায়ের-রুবেল-তাসকিনেরা এসেছেন। সবাই গতি ধরে রাখতে গিয়ে চোটেও পড়েছেন। কারও ক্যারিয়ার বিকশিত হয়নি ঠিকঠাক। আপনার ওয়ার্কলোড নিয়ে তাই অনেক আলোচনা হচ্ছে। কীভাবে সামলাচ্ছেন বিষয়টা?

রানা: একজন পেসারের সত্যিই অনেক পরিশ্রম করতে হয়, তার জীবনধারাই বদলে যায়। ক্রিকেট খেলার আগে আর এখনকার জীবনে অনেক পার্থক্য। খাওয়া-দাওয়া, জিম, ঘুম—সবকিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আমি সেটাই মানিয়ে নিয়েছি। পেশাদার ক্রিকেটার হতে হলে সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে হবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। তাঁর সঙ্গে কী ধরনের আলোচনা হয়?

রানা: ছোটবেলা থেকে মোস্তাফিজ ভাই, তাসকিন ভাইদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। তাঁরা যে পরামর্শ দেন, সেটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশফিক-রিয়াদ ভাইদের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখতাম, এখন সেটা বাস্তব হয়েছে। সিনিয়ররা আমার ভুল ধরিয়ে দেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন—আমি সেসব গুরুত্ব দিয়ে শুনি, নিজের উন্নতি করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: পেসারদের মধ্যে সাধারণত আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আপনি একেবারেই সরল উদ্যাপন করেন। ওই আক্রমণাত্মক মেজাজ খুব একটা দেখা যায় না, কারণ কী?

রানা: চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব শান্ত থেকে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে। আগ্রাসন তো স্বাভাবিকভাবে আসে, কিন্তু আমি মনে করি, ঠান্ডা মাথায় খেললে ব্যাটারকে আউট করার সুযোগ বেশি থাকে। আমার আগ্রাসন একেবারে নেই, তা নয়। মাঠে ধৈর্য ধরে খেলতে পছন্দ করি।

প্রশ্ন: গতির সঙ্গে ইনসুইং নিয়ে কাজ করছেন, অগ্রগতি কতটা হলো?

রানা: আমার বোলিংয়ে ইনসুইংয়ের কিছুটা ঘাটতি আছে, সেটা ঠিক করতে সময় লাগবে। নিয়মিত এই ডেলিভারিটি রপ্ত করার চেষ্টা করছি। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।

প্রশ্ন: এনওসি পেলে পিএসএলে কী শেখার লক্ষ্য নিয়ে যাবেন?

রানা: অবশ্যই পিএসএলে খেলতে চাই। তবে আমার কাছে দেশের ক্রিকেট সবার আগে। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ থাকলে সেটাই আমার অগ্রাধিকার। যদি এনওসি পাই, অবশ্যই যাব এবং চ্যালেঞ্জ উপভোগ করব। এই ধরনের লিগে বড় বড় কোচ, অভিজ্ঞ বোলারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকে, যা আমার স্কিলের উন্নতিতে সহায়তা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনদের পাশে বাহরাইনের পেসার

ক্রীড়া ডেস্ক    
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

কার্বন কপি বলতে যা বোঝায়, ঠিক তা-ই করলেন বাহরাইনের পেসার আলী দাউদ। ক্রিকেট বিশ্বে খুব একটা পরিচিত না হলেও আজ তিনি দুর্দান্ত বোলিং করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। ২০২৫ বিপিএলে তাসকিন আহমেদ যেমন বোলিং করেছেন, স্কোরকার্ড খুললে দাউদেরটাও দেখা যাচ্ছে তেমনই।

বাহরাইন ক্রিকেট দল এখন ভুটান সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ব্যস্ত। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল ভুটানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন দাউদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সৈয়াজরুল ইদ্রিস, নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারমান, বাংলাদেশের তাসকিন ও বাহরাইনের দাউদ আছেন এই তালিকায়। যাঁদের মধ্যে তাসকিন ও দাউদের বোলিং হুবহু একই। এ বছরের ২ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট তাসকিন নিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।

যে চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়ার ইদ্রিস ও বাহরাইনের দাউদের রেকর্ড আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চীনের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ইদ্রিস। এক ওভার মেডেনও দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা এখন পর্যন্ত। এই তালিকায় এখন দুইয়ে বাহরাইনের দাউদ। তাঁর ৭ উইকেটের মধ্যে ভুটানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ তম ওভারে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন ১৮ তম ওভারে।

দাউদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাহরাইন পায় ৩৫ রানের আয়েশী জয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাহরাইন ৪ উইকেটে করে ১৬০ রান। ১৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে ভুটান পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায়। ৭ উইকেট নেওয়া দাউদই পেয়েছেন ম্যাচসেরা। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ বাহরাইন জিতেছে ৪২ রানে। এবার দাউদ পেয়েছেন ১ উইকেট। তাসকিনের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ৭ উইকেট নেওয়া আরেক বোলার কলিন অ্যাকারমান। ২০১৯ ভাইটালিটি ব্লাস্টে বার্মিংহামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অ্যাকারমান তখন খেলেছিলে লেস্টারশায়ার হয়ে।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সেরা বোলিং

দল বোলিং প্রতিপক্ষ সাল

সৈয়াজরুল ইদ্রিস মালয়েশিয়া ৭/৮ চীন ২০২৩

কলিন অ্যাকারমান লেস্টারশায়ার ৭/১৮ বার্মিংহাম ২০১৯

তাসকিন আহমেদ দুর্বার রাজশাহী ৭/১৯ ঢাকা ক্যাপিটালস ২০২৫

আলী দাউদ মালয়েশিয়া ৭/১৯ ভুটান ২০২৫

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৩৩ রান করে নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ৪৩৩ রানের পাহাড় গড়ল ভারত। ছবি: এসিসি
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ৪৩৩ রানের পাহাড় গড়ল ভারত। ছবি: এসিসি

সরাসরি খেলা সম্প্রচার হচ্ছে বা নাকি পুরোনো কোনো ম্যাচের হাইলাইটস—দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ দেখে ধন্ধে পড়তেই পারেন। আমিরাতের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ৪২৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত ভেঙেছে নিজেদেরই রেকর্ড।

গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছে শারজা থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। ১১ বছরের ব্যবধানে এই দুই শহরকে একবিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছেন ভারতের যুবারা। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে ৪২৯ রান করে যুব এশিয়া কাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের রেকর্ডটা নিজেদের নামে করে নিল ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটা ভারতেরই। ২০১৪ সালে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল ভারত।

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক ইয়াইন কিরন রাই। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আয়ুশ মাত্রেকে (৪) ফেরান যুগ শর্মা। ধীরস্থির শুরু করা ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল তাণ্ডব চালানো শুরু করে। ভারতের এই ইনিংসটা আবর্তিত হয়েছে বৈভব সূর্যবংশীকে ঘিরে। টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে খুনে মেজাজে ব্যাটিং করেন, ওয়ানডেতেও সেই একই ধাঁচে খেলতে পছন্দ করেন তিনি। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৯৫ বলে ৯ চার ও ১৪ ছক্কায় ১৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন।

দ্বিতীয় উইকেটে অ্যারন জর্জের সঙ্গে ২১২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন সূর্যবংশী। ৬৯ রান করে জর্জ যখন আউট হয়েছেন, তখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্কোর ২৭.১ ওভারে ২ উইকেটে ২২০ রান। ৮.১০ রানরেট থেকে ভারতের রানরেট ৮.৬৬ হয়েছে শেষের ঝড়ে। শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান যোগ করেছে তারা। কনিষ্ক চৌহান ১২ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ছয় নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার অভিজ্ঞান কুন্ডুও কম যাননি। ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রান করে ভারত। আরব আমিরাতের উদ্দিশ সুরি, যুগ শর্মা নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

৯৫ বলে ১৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী একটা রেকর্ড নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে এক ইনিংসে তাঁর মতো ১৪ ছক্কা আর কেউ মারতে পারেননি। এই তালিকায় দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল হিল। ২০০৮ অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে তিনি নামিবিয়ার বিপক্ষে মেরেছিলেন ১২ ছক্কা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেসি জ্বরে কাঁপছে ভারত, তৈরি হয়েছে ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৫
রাতে ভারত আসছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ফাইল ছবি
রাতে ভারত আসছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ফাইল ছবি

লিওনেল মেসি বলে কথা। আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে একনজর সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা বছরের পর বছর পুষে রাখেন ফুটবলপ্রেমীরা। ২০১১ সালের পর আরও একবার সে ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে ভারতের ভক্তদের। স্বপ্ন নয়, দ্বিতীয়বারের মতো মেসির এশিয়ার দেশটিতে আসা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

এর আগে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ভারত সফর করেছিলেন মেসি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ রাত ২টায় ফের ভারতের মাটিতে পা রাখবেন ইন্টার মায়ামি তারকা। এই ফরোয়ার্ডের আগমনে সাজ সাজ রব ভারতজুড়ে। উত্তেজনা, উন্মাদনা চারিদিকে। তবে সব আয়োজন এবং উত্তেজনা, উন্মাদনা পাশ কাটিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে মেসির ভাস্কর্য। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের আগমনে ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে কলকাতায়। অতীতে কোনো ফুটবলারকে নিয়ে এত বিশাল ভাস্কর্য তৈরি হয়নি।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আনতে ব্যর্থ হয়ে মেসিকে নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেন ভারতের শীর্ষ স্পোর্টস প্রোমোটার ও উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত্। শেষ পর্যন্ত এই মিশনে সফল তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘দ্য শতদ্রু দত্ত ইনিশিয়েটিভ’। ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’ ২০২৫ এর অংশ হিসেবে তিন দিন ভারত থাকবেন মেসি। এ সময়কালে চারটি শহর ভ্রমণ করবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এই শহরগুলো হলো কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও নয়াদিল্লি।

মেসির ভারত সফর শুরু হবে কলকাতা দিয়ে। আগামীকাল সকাল সাড়ে নয়টায় মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এই ফুটবলার। ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন না মেসি। নিরাপত্তাজনিত কারণে ভার্চুয়ালি ভাস্কর্য উন্মোচন করবেন। কলকাতায় আরও কিছু অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটায় হায়দরাবাদের বিমানে চড়বেন মেসি।

হায়দরাবাদের কার্যক্রম শেষে ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাই ভ্রমণ করবেন বার্সেলোনা, পিএসজির সাবেক এই ফুটবলার। পরদিন নয়াদিল্লি দিয়ে মেসির ভারত সফর শেষ হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পাশাপাশি অংশ নেবেন আরও কিছু অনুষ্ঠানে। এই সফরে মেসির সঙ্গী হিসেবে থাকছেন তাঁর দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো দি পল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে এত বেশি হারাতে পারেনি আর কোনো দল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৩
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫১ রানে হেরেছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫১ রানে হেরেছে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে চন্ডিগড়ের মহারাজা ইয়াদাভিন্দ্র সিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় থাকল তিক্ততায় ভরা। প্রোটিয়াদের কাছে ৫১ রানে হেরেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। তাদের হারিয়ে একটি রেকর্ড গড়ল সফরকারী দল।

টি-টোয়েন্টিতে এত দিন ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জেতার রেকর্ড ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সমান ১২টি করে ম্যাচ হারিয়েছিল এই দুই দল। কিন্তু গতকাল এই রেকর্ড এককভাবে নিজেদের করে নিয়েছে আফ্রিকান জায়ান্টরা। ভারতের বিপক্ষে এই সংস্করণে এখন সর্বোচ্চ ১৩টি জয় তাদের।

২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও দারুণ হয়েছিল ভারতের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাত্তা না দিয়ে ১০১ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ঘুরে দাঁড়াল সফরকারীরা। আগে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো ফিফটিতে ২১৩ রান তোলে তারা। ৪৬ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯০ রান করেন তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩০ রান এনে দেন ডনোভান ফেরেইরা।

জবাবে ৫ বল রেখে অলআউট হওয়ার আগে ১৬২ রান করে ভারত। ৩৪ বলে ৬২ রান করেন তিলক বর্মা। ২৭ রান আসে জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে। ভারতকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওটনিল বার্টম্যান।

জয়-পরাজয় পাশ কাটিয়ে ভারতের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে সূর্য ও গিলের ছন্দহীনতা। তবে তাঁদের ওপর আস্থা রাখছেন সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট। তিনি বলেন, ‘আমি গিলের মানসিকতায় কিছু পরিবর্তন দেখেছি। কটকে প্রথম ম্যাচে ও যেভাবে আউট হয়েছে, সেটি ছিল কঠিন উইকেট। দল থেকেই বলা হয়েছিল যেন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। দ্বিতীয় ম্যাচে সে দারুণ বল পেয়েছে, ফর্ম খুঁজতে গেলে এমনটা হতেই পারে। আইপিএল রেকর্ডই বলে দেয় গিল কত দ্রুত ফর্মে ফিরতে পারে। কয়েক মৌসুমে ৬০০-৮০০ রান করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, খুব শিগগির সে বড় ইনিংস খেলবে।'

অধিনায়ককে নিয়ে ডেসকাট বলেন, ‘সূর্যকে নিয়েও আমার বিকল্প কিছু বলার নেই। আমরা দল হিসেবে পরিকল্পনায় অনেক দূর আগেই এগিয়ে গেছি। এমন একজন অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখা উচিত। বাইরে থেকে যা-ই ভাবা হোক না কেন, আমার বিশ্বাস আছে, তারা ফর্মে ফিরবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত