হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত পাঁচ মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: বাংলাদেশে কেমন লাগছে সবকিছু? কী কী সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
কিউবা মিচেল: ভালোই চলছে। খাবারের কথা বলতে হবে। বাড়িতে আমার মা অনেক ভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার রান্না করেন। এখন মনে হচ্ছে প্রতিদিনই তা খেতে পারি। সকাল, দুপুর, রাত—সব সময়। এটাই সম্ভবত অন্যতম সেরা ব্যাপার।
প্রশ্ন: কোন বিষয়টি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লাগছে?
কিউবা: টাইম জোন। ঘুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলাটাও। এখানে যখন বেলা ২টা, সেখানে তারা তখনো সজাগ হয়নি। সময় পার্থক্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন: ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও কেন জাতীয় দলে খেলতে বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
কিউবা: (বাংলাদেশ ফুটবল) ফেডারেশন প্রথমে যেভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভক্তদের কাছ থেকে যেভাবে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, সেটা অন্যতম বড় কারণ। তারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং খেলতে দেখতে চায়, সেটা উৎসাহিত করেছে (বাংলাদেশে) খেলতে। তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও গভীর হয়েছে। আমি বলব এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
প্রশ্ন: বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তি করার পেছনে কোন বিষয়টি বেশি কাজ করেছে?
কিউবা: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর মানসিকভাবে কঠিন সময় যাচ্ছিল আমার। বুঝতে পারছিলাম না, পরবর্তী দুই-তিন বছরে আমার ক্যারিয়ার কোথায় যাবে। তখন ক্লাব (কিংস) যোগাযোগ করল এবং আমাকে যে প্রজেক্টের অংশ হতে বলল, সেটার অংশ হতে চেয়েছিলাম। এখানে গেম টাইম এবং মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা পাব। হ্যাঁ, সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল।
প্রশ্ন: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর কি মনে হয়েছিল ইউরোপে খেলার সুযোগ পাবেন না?
কিউবা: হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি। সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর নতুন গন্তব্য খুঁজছিলাম। তবে খুব বেশি অপশন ছিল না আমার হাতে। সবাই জানে ইউরোপ খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। যদি জাতীয় দলে খেলতে চাই, যেসব মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলব এবং নিজের উন্নতি করতে মনে হয়েছে, এটাই সেরা পদক্ষেপ—আমার জন্য এটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে নতুন কিছু যোগ করতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
কিউবা: হ্যাঁ, অবশ্যই মাঠে আমার সৃজনশীলতা এবং গোল করার সক্ষমতা দিয়ে আমি দল ও ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। হয়তো বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটি বড় কিছু হবে। এখানে সবকিছুই উন্মুক্ত। আশা করি, ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: বিপিএল খেলে কি মনে হয় বাংলাদেশের ফুটবলকে হামজা ও শমিতের চেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন আপনি?
কিউবা: আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা মনে করে এই ক্লাবে যোগ দেওয়াটা জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করবে। সবাই জানে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় কিংসের হয়ে খেলে। মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা অনেক কিছু সহজ করে দেবে। মাঠে আমার কাজও সহজ করে দেবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবল প্রায়ই সমালোচিত হয় বাজে সুযোগ সুবিধা ও মাঠের জন্য। আপনার নিশ্চয়ই জানা?
কিউবা: এখানে যোগ দেওয়ার আগেই আমি তা জানতাম। তবে এটা অন্যতম কারণ, কেন আমি এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশের মধ্যে তাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা, সেরা জিম আছে। তাদের সবকিছুই সেরা। আমি মনে করি, সেসব আমার উন্নতিতে বাধা হবে না। সে কারণে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। তারা মনে করে প্রবাসী ফুটবলারেরা এসেই পারফর্ম করতে পারবে। এটা কি আপনার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয়?
কিউবা: চাপ তো কিছুটা থাকবে। তবে শুধু সমর্থকেরা নয়, আমিও নিজের কাছে এমন প্রত্যাশা করি। আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখান থেকে এসে পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্যই এখানে আসা। নিজেকে নিয়ে আমার ও সমর্থকদের তাই একই প্রত্যাশা। আমার মনে হয় না খুব বেশি চাপ থাকবে। তবে এটা এমন কিছু নয়, যেটাতে আমি অভ্যস্ত নই।

প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী?
কিউবা: আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা সম্ভবত প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন। পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার এবং পরিবারের জন্য বড় সম্মানের। জাতীয় দলের জন্য লক্ষ্য বলতে বোঝায় বড় টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। দলের অনেকে তা করতে চাইবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় জাতীয় দলে আরও বেশি প্রবাসী ফুটবলার আসা উচিত?
কিউবা: অবশ্যই আসা উচিত। আমি ইতিমধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। হামজা আসার পর দেখেছেন শমিত এসেছে। আমিও খেলতে চাই জাতীয় দলে। আমার আসাটা লিগের জন্য অবশ্যই বড় ব্যাপার হতে পারে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক খেলোয়াড়ই আমাকে দেখবে এবং তারাও বাংলাদেশের লিগে খেলতে চাইবে।
প্রশ্ন: অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
কিউবা: অবশ্যই আশাবাদী। আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো একটি দল গড়েছেন তিনি। সব খেলোয়াড় টুর্নামেন্টটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। অনূর্ধ্ব-২৩ হোক বা জাতীয় দল, দিন শেষে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে কোয়ালিফাই করার। না করতে পারলে সেটা হবে হতাশার। আমাদের যথেষ্ট ভালো স্কোয়াড রয়েছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে কেমন লাগছে সবকিছু? কী কী সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
কিউবা মিচেল: ভালোই চলছে। খাবারের কথা বলতে হবে। বাড়িতে আমার মা অনেক ভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার রান্না করেন। এখন মনে হচ্ছে প্রতিদিনই তা খেতে পারি। সকাল, দুপুর, রাত—সব সময়। এটাই সম্ভবত অন্যতম সেরা ব্যাপার।
প্রশ্ন: কোন বিষয়টি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লাগছে?
কিউবা: টাইম জোন। ঘুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলাটাও। এখানে যখন বেলা ২টা, সেখানে তারা তখনো সজাগ হয়নি। সময় পার্থক্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন: ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও কেন জাতীয় দলে খেলতে বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
কিউবা: (বাংলাদেশ ফুটবল) ফেডারেশন প্রথমে যেভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভক্তদের কাছ থেকে যেভাবে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, সেটা অন্যতম বড় কারণ। তারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং খেলতে দেখতে চায়, সেটা উৎসাহিত করেছে (বাংলাদেশে) খেলতে। তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও গভীর হয়েছে। আমি বলব এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
প্রশ্ন: বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তি করার পেছনে কোন বিষয়টি বেশি কাজ করেছে?
কিউবা: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর মানসিকভাবে কঠিন সময় যাচ্ছিল আমার। বুঝতে পারছিলাম না, পরবর্তী দুই-তিন বছরে আমার ক্যারিয়ার কোথায় যাবে। তখন ক্লাব (কিংস) যোগাযোগ করল এবং আমাকে যে প্রজেক্টের অংশ হতে বলল, সেটার অংশ হতে চেয়েছিলাম। এখানে গেম টাইম এবং মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা পাব। হ্যাঁ, সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল।
প্রশ্ন: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর কি মনে হয়েছিল ইউরোপে খেলার সুযোগ পাবেন না?
কিউবা: হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি। সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর নতুন গন্তব্য খুঁজছিলাম। তবে খুব বেশি অপশন ছিল না আমার হাতে। সবাই জানে ইউরোপ খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। যদি জাতীয় দলে খেলতে চাই, যেসব মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলব এবং নিজের উন্নতি করতে মনে হয়েছে, এটাই সেরা পদক্ষেপ—আমার জন্য এটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে নতুন কিছু যোগ করতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
কিউবা: হ্যাঁ, অবশ্যই মাঠে আমার সৃজনশীলতা এবং গোল করার সক্ষমতা দিয়ে আমি দল ও ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। হয়তো বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটি বড় কিছু হবে। এখানে সবকিছুই উন্মুক্ত। আশা করি, ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: বিপিএল খেলে কি মনে হয় বাংলাদেশের ফুটবলকে হামজা ও শমিতের চেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন আপনি?
কিউবা: আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা মনে করে এই ক্লাবে যোগ দেওয়াটা জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করবে। সবাই জানে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় কিংসের হয়ে খেলে। মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা অনেক কিছু সহজ করে দেবে। মাঠে আমার কাজও সহজ করে দেবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবল প্রায়ই সমালোচিত হয় বাজে সুযোগ সুবিধা ও মাঠের জন্য। আপনার নিশ্চয়ই জানা?
কিউবা: এখানে যোগ দেওয়ার আগেই আমি তা জানতাম। তবে এটা অন্যতম কারণ, কেন আমি এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশের মধ্যে তাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা, সেরা জিম আছে। তাদের সবকিছুই সেরা। আমি মনে করি, সেসব আমার উন্নতিতে বাধা হবে না। সে কারণে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। তারা মনে করে প্রবাসী ফুটবলারেরা এসেই পারফর্ম করতে পারবে। এটা কি আপনার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয়?
কিউবা: চাপ তো কিছুটা থাকবে। তবে শুধু সমর্থকেরা নয়, আমিও নিজের কাছে এমন প্রত্যাশা করি। আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখান থেকে এসে পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্যই এখানে আসা। নিজেকে নিয়ে আমার ও সমর্থকদের তাই একই প্রত্যাশা। আমার মনে হয় না খুব বেশি চাপ থাকবে। তবে এটা এমন কিছু নয়, যেটাতে আমি অভ্যস্ত নই।

প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী?
কিউবা: আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা সম্ভবত প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন। পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার এবং পরিবারের জন্য বড় সম্মানের। জাতীয় দলের জন্য লক্ষ্য বলতে বোঝায় বড় টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। দলের অনেকে তা করতে চাইবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় জাতীয় দলে আরও বেশি প্রবাসী ফুটবলার আসা উচিত?
কিউবা: অবশ্যই আসা উচিত। আমি ইতিমধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। হামজা আসার পর দেখেছেন শমিত এসেছে। আমিও খেলতে চাই জাতীয় দলে। আমার আসাটা লিগের জন্য অবশ্যই বড় ব্যাপার হতে পারে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক খেলোয়াড়ই আমাকে দেখবে এবং তারাও বাংলাদেশের লিগে খেলতে চাইবে।
প্রশ্ন: অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
কিউবা: অবশ্যই আশাবাদী। আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো একটি দল গড়েছেন তিনি। সব খেলোয়াড় টুর্নামেন্টটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। অনূর্ধ্ব-২৩ হোক বা জাতীয় দল, দিন শেষে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে কোয়ালিফাই করার। না করতে পারলে সেটা হবে হতাশার। আমাদের যথেষ্ট ভালো স্কোয়াড রয়েছে।
হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত পাঁচ মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: বাংলাদেশে কেমন লাগছে সবকিছু? কী কী সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
কিউবা মিচেল: ভালোই চলছে। খাবারের কথা বলতে হবে। বাড়িতে আমার মা অনেক ভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার রান্না করেন। এখন মনে হচ্ছে প্রতিদিনই তা খেতে পারি। সকাল, দুপুর, রাত—সব সময়। এটাই সম্ভবত অন্যতম সেরা ব্যাপার।
প্রশ্ন: কোন বিষয়টি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লাগছে?
কিউবা: টাইম জোন। ঘুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলাটাও। এখানে যখন বেলা ২টা, সেখানে তারা তখনো সজাগ হয়নি। সময় পার্থক্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন: ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও কেন জাতীয় দলে খেলতে বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
কিউবা: (বাংলাদেশ ফুটবল) ফেডারেশন প্রথমে যেভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভক্তদের কাছ থেকে যেভাবে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, সেটা অন্যতম বড় কারণ। তারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং খেলতে দেখতে চায়, সেটা উৎসাহিত করেছে (বাংলাদেশে) খেলতে। তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও গভীর হয়েছে। আমি বলব এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
প্রশ্ন: বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তি করার পেছনে কোন বিষয়টি বেশি কাজ করেছে?
কিউবা: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর মানসিকভাবে কঠিন সময় যাচ্ছিল আমার। বুঝতে পারছিলাম না, পরবর্তী দুই-তিন বছরে আমার ক্যারিয়ার কোথায় যাবে। তখন ক্লাব (কিংস) যোগাযোগ করল এবং আমাকে যে প্রজেক্টের অংশ হতে বলল, সেটার অংশ হতে চেয়েছিলাম। এখানে গেম টাইম এবং মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা পাব। হ্যাঁ, সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল।
প্রশ্ন: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর কি মনে হয়েছিল ইউরোপে খেলার সুযোগ পাবেন না?
কিউবা: হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি। সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর নতুন গন্তব্য খুঁজছিলাম। তবে খুব বেশি অপশন ছিল না আমার হাতে। সবাই জানে ইউরোপ খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। যদি জাতীয় দলে খেলতে চাই, যেসব মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলব এবং নিজের উন্নতি করতে মনে হয়েছে, এটাই সেরা পদক্ষেপ—আমার জন্য এটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে নতুন কিছু যোগ করতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
কিউবা: হ্যাঁ, অবশ্যই মাঠে আমার সৃজনশীলতা এবং গোল করার সক্ষমতা দিয়ে আমি দল ও ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। হয়তো বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটি বড় কিছু হবে। এখানে সবকিছুই উন্মুক্ত। আশা করি, ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: বিপিএল খেলে কি মনে হয় বাংলাদেশের ফুটবলকে হামজা ও শমিতের চেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন আপনি?
কিউবা: আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা মনে করে এই ক্লাবে যোগ দেওয়াটা জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করবে। সবাই জানে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় কিংসের হয়ে খেলে। মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা অনেক কিছু সহজ করে দেবে। মাঠে আমার কাজও সহজ করে দেবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবল প্রায়ই সমালোচিত হয় বাজে সুযোগ সুবিধা ও মাঠের জন্য। আপনার নিশ্চয়ই জানা?
কিউবা: এখানে যোগ দেওয়ার আগেই আমি তা জানতাম। তবে এটা অন্যতম কারণ, কেন আমি এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশের মধ্যে তাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা, সেরা জিম আছে। তাদের সবকিছুই সেরা। আমি মনে করি, সেসব আমার উন্নতিতে বাধা হবে না। সে কারণে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। তারা মনে করে প্রবাসী ফুটবলারেরা এসেই পারফর্ম করতে পারবে। এটা কি আপনার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয়?
কিউবা: চাপ তো কিছুটা থাকবে। তবে শুধু সমর্থকেরা নয়, আমিও নিজের কাছে এমন প্রত্যাশা করি। আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখান থেকে এসে পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্যই এখানে আসা। নিজেকে নিয়ে আমার ও সমর্থকদের তাই একই প্রত্যাশা। আমার মনে হয় না খুব বেশি চাপ থাকবে। তবে এটা এমন কিছু নয়, যেটাতে আমি অভ্যস্ত নই।

প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী?
কিউবা: আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা সম্ভবত প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন। পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার এবং পরিবারের জন্য বড় সম্মানের। জাতীয় দলের জন্য লক্ষ্য বলতে বোঝায় বড় টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। দলের অনেকে তা করতে চাইবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় জাতীয় দলে আরও বেশি প্রবাসী ফুটবলার আসা উচিত?
কিউবা: অবশ্যই আসা উচিত। আমি ইতিমধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। হামজা আসার পর দেখেছেন শমিত এসেছে। আমিও খেলতে চাই জাতীয় দলে। আমার আসাটা লিগের জন্য অবশ্যই বড় ব্যাপার হতে পারে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক খেলোয়াড়ই আমাকে দেখবে এবং তারাও বাংলাদেশের লিগে খেলতে চাইবে।
প্রশ্ন: অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
কিউবা: অবশ্যই আশাবাদী। আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো একটি দল গড়েছেন তিনি। সব খেলোয়াড় টুর্নামেন্টটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। অনূর্ধ্ব-২৩ হোক বা জাতীয় দল, দিন শেষে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে কোয়ালিফাই করার। না করতে পারলে সেটা হবে হতাশার। আমাদের যথেষ্ট ভালো স্কোয়াড রয়েছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে কেমন লাগছে সবকিছু? কী কী সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
কিউবা মিচেল: ভালোই চলছে। খাবারের কথা বলতে হবে। বাড়িতে আমার মা অনেক ভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার রান্না করেন। এখন মনে হচ্ছে প্রতিদিনই তা খেতে পারি। সকাল, দুপুর, রাত—সব সময়। এটাই সম্ভবত অন্যতম সেরা ব্যাপার।
প্রশ্ন: কোন বিষয়টি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লাগছে?
কিউবা: টাইম জোন। ঘুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলাটাও। এখানে যখন বেলা ২টা, সেখানে তারা তখনো সজাগ হয়নি। সময় পার্থক্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন: ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও কেন জাতীয় দলে খেলতে বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
কিউবা: (বাংলাদেশ ফুটবল) ফেডারেশন প্রথমে যেভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভক্তদের কাছ থেকে যেভাবে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, সেটা অন্যতম বড় কারণ। তারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং খেলতে দেখতে চায়, সেটা উৎসাহিত করেছে (বাংলাদেশে) খেলতে। তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও গভীর হয়েছে। আমি বলব এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
প্রশ্ন: বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তি করার পেছনে কোন বিষয়টি বেশি কাজ করেছে?
কিউবা: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর মানসিকভাবে কঠিন সময় যাচ্ছিল আমার। বুঝতে পারছিলাম না, পরবর্তী দুই-তিন বছরে আমার ক্যারিয়ার কোথায় যাবে। তখন ক্লাব (কিংস) যোগাযোগ করল এবং আমাকে যে প্রজেক্টের অংশ হতে বলল, সেটার অংশ হতে চেয়েছিলাম। এখানে গেম টাইম এবং মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা পাব। হ্যাঁ, সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল।
প্রশ্ন: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর কি মনে হয়েছিল ইউরোপে খেলার সুযোগ পাবেন না?
কিউবা: হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি। সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর নতুন গন্তব্য খুঁজছিলাম। তবে খুব বেশি অপশন ছিল না আমার হাতে। সবাই জানে ইউরোপ খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। যদি জাতীয় দলে খেলতে চাই, যেসব মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলব এবং নিজের উন্নতি করতে মনে হয়েছে, এটাই সেরা পদক্ষেপ—আমার জন্য এটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে নতুন কিছু যোগ করতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
কিউবা: হ্যাঁ, অবশ্যই মাঠে আমার সৃজনশীলতা এবং গোল করার সক্ষমতা দিয়ে আমি দল ও ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। হয়তো বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটি বড় কিছু হবে। এখানে সবকিছুই উন্মুক্ত। আশা করি, ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: বিপিএল খেলে কি মনে হয় বাংলাদেশের ফুটবলকে হামজা ও শমিতের চেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন আপনি?
কিউবা: আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা মনে করে এই ক্লাবে যোগ দেওয়াটা জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করবে। সবাই জানে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় কিংসের হয়ে খেলে। মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা অনেক কিছু সহজ করে দেবে। মাঠে আমার কাজও সহজ করে দেবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ফুটবল প্রায়ই সমালোচিত হয় বাজে সুযোগ সুবিধা ও মাঠের জন্য। আপনার নিশ্চয়ই জানা?
কিউবা: এখানে যোগ দেওয়ার আগেই আমি তা জানতাম। তবে এটা অন্যতম কারণ, কেন আমি এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশের মধ্যে তাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা, সেরা জিম আছে। তাদের সবকিছুই সেরা। আমি মনে করি, সেসব আমার উন্নতিতে বাধা হবে না। সে কারণে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। তারা মনে করে প্রবাসী ফুটবলারেরা এসেই পারফর্ম করতে পারবে। এটা কি আপনার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয়?
কিউবা: চাপ তো কিছুটা থাকবে। তবে শুধু সমর্থকেরা নয়, আমিও নিজের কাছে এমন প্রত্যাশা করি। আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখান থেকে এসে পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্যই এখানে আসা। নিজেকে নিয়ে আমার ও সমর্থকদের তাই একই প্রত্যাশা। আমার মনে হয় না খুব বেশি চাপ থাকবে। তবে এটা এমন কিছু নয়, যেটাতে আমি অভ্যস্ত নই।

প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী?
কিউবা: আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা সম্ভবত প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন। পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার এবং পরিবারের জন্য বড় সম্মানের। জাতীয় দলের জন্য লক্ষ্য বলতে বোঝায় বড় টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। দলের অনেকে তা করতে চাইবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় জাতীয় দলে আরও বেশি প্রবাসী ফুটবলার আসা উচিত?
কিউবা: অবশ্যই আসা উচিত। আমি ইতিমধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। হামজা আসার পর দেখেছেন শমিত এসেছে। আমিও খেলতে চাই জাতীয় দলে। আমার আসাটা লিগের জন্য অবশ্যই বড় ব্যাপার হতে পারে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক খেলোয়াড়ই আমাকে দেখবে এবং তারাও বাংলাদেশের লিগে খেলতে চাইবে।
প্রশ্ন: অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
কিউবা: অবশ্যই আশাবাদী। আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো একটি দল গড়েছেন তিনি। সব খেলোয়াড় টুর্নামেন্টটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। অনূর্ধ্ব-২৩ হোক বা জাতীয় দল, দিন শেষে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে কোয়ালিফাই করার। না করতে পারলে সেটা হবে হতাশার। আমাদের যথেষ্ট ভালো স্কোয়াড রয়েছে।

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৭ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত চার মাস বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন...
২৪ আগস্ট ২০২৫
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত চার মাস বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন...
২৪ আগস্ট ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৭ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত চার মাস বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন...
২৪ আগস্ট ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৭ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম আসার পর গত চার মাস বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে ফুটবলার তুমুল আলোচিত, সেই কিউবা মিচেল এখন বাংলাদেশে। তিন বছরের চুক্তি করে বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখানো ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরশু সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলন শেষে সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। কিউবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন...
২৪ আগস্ট ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৭ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৮ ঘণ্টা আগে