তাসনীম হাসান, ঢাকা
লিওনেল মেসি মানেই যেন শিরোপা আর ফুটবলের দৃঢ় বন্ধন। একটি শিরোপার ‘হ্যাং ওভার’ কাটতে না কাটতে আরেকটি শিরোপা হাতে উঠে যাওয়া! কিন্তু সে সবই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে আকাশি–সাদা পোশাকে একটি শিরোপা জেতার জন্য তাই মেসির হাহাকারটা ছিল অনেকটা কবির সুমনের গানের মতো, ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই…।’
মেসির সেই দুঃখ ছুঁয়েছিল ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদেরও। ফাইনালে নিজেদের দেশ আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হওয়ার পরেও অনেক ব্রাজিলিয়ান মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন শিরোপাটা উঠুক ফুটবলের সোনার ছেলের হাতেই। আজ মারাকানার ‘মায়াভরা রাতের’ ফাইনালে আনহেল দি মারিয়ার পায়ে ভর করে মেসির হাত সেই শিরোপা ছুঁতেই পৃথিবীজুড়ে লাখো–কোটি মেসি–ভক্তের মতো নিশ্চয়ই ফুটবলের পুণ্যভূমির এই সমর্থকেরাও এখন খুশি। এমনকি নিজের দেশের শিরোপা জলাঞ্জলি হওয়ার পরেও!
সেই ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপার ট্রফি জিতেছিল। গত ২৮ বছর আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপার স্বাদ পাচ্ছিল না ম্যারাডোনার দেশ। এই সময়ে ব্রাজিলের ঘরে ঢুকেছে একের পর এক শিরোপা। বিশ্বকাপ থেকে কোপা আমেরিকা—কনফেডারেশনস কাপ; কী জেতেননি রোনালদো–নেইমাররা। সব মিলিয়ে একটা আন্তর্জাতিক শিরোপার জন্য আর্জেন্টিনার তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা ছিল। অপেক্ষাটা মেসির যেন একটু বেশিই ছিল। সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে—এ নিয়ে যেখানে পেলে–ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর তুলনা চলছে, সেখানে শুধু দেশের হয়ে একটি ট্রফি না জেতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল রোনালদোর কাছেও। গত বিশ্বকাপে তাই মেসি বলেই দিয়েছিলেন, তাঁর সব শিরোপার বিনিময়ে বিশ্বকাপটা ছুঁতে চান। সেটি না হওয়ায় এবার কোপার শিরোপাটাকে পাখির চোখ করে রেখেছিলেন। শিরোপা জিততে যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার তাঁকে বেশিই মরিয়া দেখা গেছে। আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচেই অন্য এক আবেগী মেসিকে আবিষ্কার করেছেন সবাই।
কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিলিয়ান অনেক সমর্থক কোরাস তোলেন, মেসির হাতেই উঠুক শিরোপা। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্তসের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, মেসির হয়ে গলা ফাটাতে অনেক অনেক ব্রাজিলিয়ান রাস্তায় পর্যন্ত নেমেছেন। মেসির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়া এই ব্রাজিলিয়ানদের অনেকের হাতে–পা–পিঠে শোভা পেয়েছে মেসির ছবি আঁকা ট্যাটু। মেসি–ভক্ত এই ব্রাজিলিয়ানদের প্রত্যাশা ছিল, ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে মেসি দেশের হয়ে অন্তত একটা শিরোপা জিতুক। না হলে তাঁর প্রতি অবিচার হয়ে যায়!
নিজের দেশের মানুষদের এমন ‘দেশদ্রোহী’ কথার পরে নেইমার ক্ষোভ ঝাড়লেও অলক্ষ্যে তিনিও যেন বুঝিয়ে দেন মেসি তাঁর হৃদয়ের কতটা কাছের, ‘আমি সব সময় এটা বলেছি। আমার দেখা সে (মেসি) সেরা খেলোয়াড়। সে ভালো বন্ধু। আমি জানি, আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জেতার জন্যই সে অনেক লড়াই করেছে। যদি আমি ব্রাজিলিয়ান না হতাম, তাহলে সব সময় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করতাম।’
ফাইনালে দুই বন্ধুর লড়াইয়ে শেষ হাসি মেসিরই। যদিও খেলা শেষ হতেই দুজনই ফিরে গেছেন আগের পরিচয়ে—‘বন্ধু’। হারার পর নেইমার যখন শোকস্তব্ধ, মুছছেন চোখ, তখন মেসিই বাড়িয়ে দিলেন তাঁর দুই হাত। মেসি নিজের বুকে লুকিয়ে যেন ভাগ নিলেন নেইমারের দুঃখের। শেষের দৃশ্যটা তো ফুটবলেরই সৌন্দর্যেরই দারুণ উদাহরণ। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ‘দামি’ জার্সিটা মেসি তুলে দিয়েছেন নেইমারের হাতে। পাশাপাশি বসে শেষ পর্যন্ত নেইমারকে হাসিয়েই ছাড়লেন মেসি! এমন মেসিকে সমর্থন না করে উপায় আছে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের?
লিওনেল মেসি মানেই যেন শিরোপা আর ফুটবলের দৃঢ় বন্ধন। একটি শিরোপার ‘হ্যাং ওভার’ কাটতে না কাটতে আরেকটি শিরোপা হাতে উঠে যাওয়া! কিন্তু সে সবই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে আকাশি–সাদা পোশাকে একটি শিরোপা জেতার জন্য তাই মেসির হাহাকারটা ছিল অনেকটা কবির সুমনের গানের মতো, ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই…।’
মেসির সেই দুঃখ ছুঁয়েছিল ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদেরও। ফাইনালে নিজেদের দেশ আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হওয়ার পরেও অনেক ব্রাজিলিয়ান মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন শিরোপাটা উঠুক ফুটবলের সোনার ছেলের হাতেই। আজ মারাকানার ‘মায়াভরা রাতের’ ফাইনালে আনহেল দি মারিয়ার পায়ে ভর করে মেসির হাত সেই শিরোপা ছুঁতেই পৃথিবীজুড়ে লাখো–কোটি মেসি–ভক্তের মতো নিশ্চয়ই ফুটবলের পুণ্যভূমির এই সমর্থকেরাও এখন খুশি। এমনকি নিজের দেশের শিরোপা জলাঞ্জলি হওয়ার পরেও!
সেই ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপার ট্রফি জিতেছিল। গত ২৮ বছর আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপার স্বাদ পাচ্ছিল না ম্যারাডোনার দেশ। এই সময়ে ব্রাজিলের ঘরে ঢুকেছে একের পর এক শিরোপা। বিশ্বকাপ থেকে কোপা আমেরিকা—কনফেডারেশনস কাপ; কী জেতেননি রোনালদো–নেইমাররা। সব মিলিয়ে একটা আন্তর্জাতিক শিরোপার জন্য আর্জেন্টিনার তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা ছিল। অপেক্ষাটা মেসির যেন একটু বেশিই ছিল। সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে—এ নিয়ে যেখানে পেলে–ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর তুলনা চলছে, সেখানে শুধু দেশের হয়ে একটি ট্রফি না জেতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল রোনালদোর কাছেও। গত বিশ্বকাপে তাই মেসি বলেই দিয়েছিলেন, তাঁর সব শিরোপার বিনিময়ে বিশ্বকাপটা ছুঁতে চান। সেটি না হওয়ায় এবার কোপার শিরোপাটাকে পাখির চোখ করে রেখেছিলেন। শিরোপা জিততে যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার তাঁকে বেশিই মরিয়া দেখা গেছে। আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচেই অন্য এক আবেগী মেসিকে আবিষ্কার করেছেন সবাই।
কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিলিয়ান অনেক সমর্থক কোরাস তোলেন, মেসির হাতেই উঠুক শিরোপা। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্তসের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, মেসির হয়ে গলা ফাটাতে অনেক অনেক ব্রাজিলিয়ান রাস্তায় পর্যন্ত নেমেছেন। মেসির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়া এই ব্রাজিলিয়ানদের অনেকের হাতে–পা–পিঠে শোভা পেয়েছে মেসির ছবি আঁকা ট্যাটু। মেসি–ভক্ত এই ব্রাজিলিয়ানদের প্রত্যাশা ছিল, ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে মেসি দেশের হয়ে অন্তত একটা শিরোপা জিতুক। না হলে তাঁর প্রতি অবিচার হয়ে যায়!
নিজের দেশের মানুষদের এমন ‘দেশদ্রোহী’ কথার পরে নেইমার ক্ষোভ ঝাড়লেও অলক্ষ্যে তিনিও যেন বুঝিয়ে দেন মেসি তাঁর হৃদয়ের কতটা কাছের, ‘আমি সব সময় এটা বলেছি। আমার দেখা সে (মেসি) সেরা খেলোয়াড়। সে ভালো বন্ধু। আমি জানি, আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জেতার জন্যই সে অনেক লড়াই করেছে। যদি আমি ব্রাজিলিয়ান না হতাম, তাহলে সব সময় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করতাম।’
ফাইনালে দুই বন্ধুর লড়াইয়ে শেষ হাসি মেসিরই। যদিও খেলা শেষ হতেই দুজনই ফিরে গেছেন আগের পরিচয়ে—‘বন্ধু’। হারার পর নেইমার যখন শোকস্তব্ধ, মুছছেন চোখ, তখন মেসিই বাড়িয়ে দিলেন তাঁর দুই হাত। মেসি নিজের বুকে লুকিয়ে যেন ভাগ নিলেন নেইমারের দুঃখের। শেষের দৃশ্যটা তো ফুটবলেরই সৌন্দর্যেরই দারুণ উদাহরণ। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ‘দামি’ জার্সিটা মেসি তুলে দিয়েছেন নেইমারের হাতে। পাশাপাশি বসে শেষ পর্যন্ত নেইমারকে হাসিয়েই ছাড়লেন মেসি! এমন মেসিকে সমর্থন না করে উপায় আছে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের?
কাল ভোর ৬টায় শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। নতুন কলেবরে সাজানো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও সৌদি ক্লাব আল আহলি। ম্যাচটি সরাসরি কোনো টেলিভিশন সম্প্রচার করবে না। ফিফা সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছে ব্রিটিশ ব্রিটিশ ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) স্পোর্টস স্ট্রিমিং...
১ ঘণ্টা আগেযে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ৮ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে, সেই প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলকে নিয়ে। ফুটবলের জন্য যেটিকে ‘নতুন যুগে’র সূচনা বলছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
২ ঘণ্টা আগেচীনে গত মাসে আর্চারি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের। র্যাঙ্কিং বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গেলেও কেউই উঠতে পারেননি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হতাশা ভুলে এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের পদকের মঞ্চে দেখতে চান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ।
২ ঘণ্টা আগেগ্যালারিতে ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক। জাতীয় দলের ম্যাচে সবশেষ এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে তা মনে করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা এসেছিল, সেটা পূরণ হয়নি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলে।
২ ঘণ্টা আগে