মেয়েদের সাফের ফাইনাল আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সবুজ পাহাড়ে ঘেরা নেপাল। দূর থেকে ছোট্ট ছোট্ট গ্রামের সারি দেখলে যে কারও প্রাণ ভরে যাওয়ার কথা। যেখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পাহাড়ের চূড়াগুলো থাকে সাদা বরফে ঢাকা। এমন শ্বেত সুন্দর হিমালয়ের বুকে আজ আরেকটি আশাজাগানিয়া ফাইনাল খেলতে নামছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০২২ সালে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় নেপালকে হারিয়ে সাফের সব রং নিজেদের করে নিয়েছিলেন সাবিনারা। এবার একই মঞ্চে একই প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে দ্বিতীয় ট্রফিটা নিয়ে আরও জমকালো উৎসবে মাতবে লাল-সবুজের দেশটি। প্রতিপক্ষ নেপাল হলেও এবারের লড়াইয়ে জেতাটা পিটার বাটলারের দলের জন্য মোটেও সহজ হবে না।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এই প্রধান কোচকেও কিছুটা চিন্তিত মনে হয়েছে। যদিও তিনি সেই চিন্তা শিষ্যদের গায়ে মাখতে দেননি। ফাইনালের আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রস্তুতি নিয়ে পিটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো দলের ভেতরে-বাইরে অনেকে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। এগুলো আমি সূক্ষ্মভাবে টের পাচ্ছি। এটা সাময়িকভাবে আমাকে চিন্তায় ফেললেও দলের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সুযোগ নেই। আসলে এবারের ফাইনালটা আমাদের জন্য একটু কঠিনই। নেপাল বেশ গোছানো টিম। তাদের একতাকে সম্মান জানাই। আমাদের দলেও দারুণ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে প্রস্তুত। আমি এমন সেরাদের নিয়েই মাঠে নামতে চাই।’
নেপালে পা রাখার পরই দলের ভেতর শুরু হয় গৃহদাহ। গত কদিনে সেই জল কম দূর গড়ায়নি। কোচ বাটলারের কথায় মনে হচ্ছে, এখনো ড্রেসিংরুমে শান্তির সুবাতাস ফেরেনি। সে জন্যই চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। তা ছাড়া নেপালও এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে। গতবারের ভুল এবার আর করতে চায় না তারা। তা ছাড়া সাফের সামগ্রিক পরিসংখ্যানও নেপালের পক্ষে। এখন পর্যন্ত চারবার এই প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ২০২২ সালের ফাইনাল বাদে আগের তিনবারই নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
স্বাগতিক কোচ রাজেন্দ্রা তামাংও ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তামাং বললেন, ‘গতবার আমরা তাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলাম, আমাদের কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুল হয়েছিল বলে হেরেছিলাম। আশা করি, এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। অতীত অতীতই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা।’
এবার সাবিত্রা ভান্ডারিকে আটকানোও হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গতবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। এবার পুরোপুরি প্রস্তুত সাবিত্রা। সেমিফাইনালে যার ঝলকে ঝলসে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সাবিত্রাই প্রথম নারী ফুটবলার, যিনি ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলছেন। এবার এই তারকাই সাবিনাদের স্বপ্ন জয়ের পথে হতে পারেন অন্যতম বাধা। তাই বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মতো দলও বাংলাদেশ নয়। নেপালের কোচ তামাং তেমনটা মেনে নিয়েছেন, ‘ইংলিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, তাদের খেলার ধরন এখন ইংলিশদের মতো। তাই এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলা বলে যদিও সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা আমাদের পক্ষে থাকবে, কিন্তু টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
হয়তো হোমের সুবিধাটা পুরোপুরি পাচ্ছে নেপাল। যেমনটা নেপালের কোচও বললেন। তবে তাদের এ-ও ভুললে চলবে না, চাপটা তাদের ওপরই বেশি থাকবে। দশরথ রঙ্গশালায় উপস্থিত হাজারো সমর্থকের চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে কোনো কারণে কক্ষচ্যুত হলেই সব আশা চুরমার। বাংলাদেশের চাওয়া তো সেটাই!
সবুজ পাহাড়ে ঘেরা নেপাল। দূর থেকে ছোট্ট ছোট্ট গ্রামের সারি দেখলে যে কারও প্রাণ ভরে যাওয়ার কথা। যেখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পাহাড়ের চূড়াগুলো থাকে সাদা বরফে ঢাকা। এমন শ্বেত সুন্দর হিমালয়ের বুকে আজ আরেকটি আশাজাগানিয়া ফাইনাল খেলতে নামছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০২২ সালে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় নেপালকে হারিয়ে সাফের সব রং নিজেদের করে নিয়েছিলেন সাবিনারা। এবার একই মঞ্চে একই প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে দ্বিতীয় ট্রফিটা নিয়ে আরও জমকালো উৎসবে মাতবে লাল-সবুজের দেশটি। প্রতিপক্ষ নেপাল হলেও এবারের লড়াইয়ে জেতাটা পিটার বাটলারের দলের জন্য মোটেও সহজ হবে না।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এই প্রধান কোচকেও কিছুটা চিন্তিত মনে হয়েছে। যদিও তিনি সেই চিন্তা শিষ্যদের গায়ে মাখতে দেননি। ফাইনালের আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রস্তুতি নিয়ে পিটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো দলের ভেতরে-বাইরে অনেকে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। এগুলো আমি সূক্ষ্মভাবে টের পাচ্ছি। এটা সাময়িকভাবে আমাকে চিন্তায় ফেললেও দলের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সুযোগ নেই। আসলে এবারের ফাইনালটা আমাদের জন্য একটু কঠিনই। নেপাল বেশ গোছানো টিম। তাদের একতাকে সম্মান জানাই। আমাদের দলেও দারুণ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে প্রস্তুত। আমি এমন সেরাদের নিয়েই মাঠে নামতে চাই।’
নেপালে পা রাখার পরই দলের ভেতর শুরু হয় গৃহদাহ। গত কদিনে সেই জল কম দূর গড়ায়নি। কোচ বাটলারের কথায় মনে হচ্ছে, এখনো ড্রেসিংরুমে শান্তির সুবাতাস ফেরেনি। সে জন্যই চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। তা ছাড়া নেপালও এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে। গতবারের ভুল এবার আর করতে চায় না তারা। তা ছাড়া সাফের সামগ্রিক পরিসংখ্যানও নেপালের পক্ষে। এখন পর্যন্ত চারবার এই প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ২০২২ সালের ফাইনাল বাদে আগের তিনবারই নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
স্বাগতিক কোচ রাজেন্দ্রা তামাংও ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তামাং বললেন, ‘গতবার আমরা তাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলাম, আমাদের কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুল হয়েছিল বলে হেরেছিলাম। আশা করি, এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। অতীত অতীতই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা।’
এবার সাবিত্রা ভান্ডারিকে আটকানোও হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গতবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। এবার পুরোপুরি প্রস্তুত সাবিত্রা। সেমিফাইনালে যার ঝলকে ঝলসে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সাবিত্রাই প্রথম নারী ফুটবলার, যিনি ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলছেন। এবার এই তারকাই সাবিনাদের স্বপ্ন জয়ের পথে হতে পারেন অন্যতম বাধা। তাই বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মতো দলও বাংলাদেশ নয়। নেপালের কোচ তামাং তেমনটা মেনে নিয়েছেন, ‘ইংলিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, তাদের খেলার ধরন এখন ইংলিশদের মতো। তাই এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলা বলে যদিও সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা আমাদের পক্ষে থাকবে, কিন্তু টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
হয়তো হোমের সুবিধাটা পুরোপুরি পাচ্ছে নেপাল। যেমনটা নেপালের কোচও বললেন। তবে তাদের এ-ও ভুললে চলবে না, চাপটা তাদের ওপরই বেশি থাকবে। দশরথ রঙ্গশালায় উপস্থিত হাজারো সমর্থকের চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে কোনো কারণে কক্ষচ্যুত হলেই সব আশা চুরমার। বাংলাদেশের চাওয়া তো সেটাই!
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে আয়োজক পাকিস্তান। তবে শেষ মুহূর্তে সাইম আইয়ুবকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত স্কোয়াড ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগলে আজ তৃতীয় দিনে খেলেছে শুধু বৃষ্টি। এতটাই বৃষ্টির দাপট ছিল যে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে কেবল ২৭ ওভার। তবে অস্ট্রেলিয়া এক ইনিংসে যে রানের পাহাড় গড়ছে, তাতেই লঙ্কানদের হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা।
৭ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত এক অভ্যাসে পরিণত করেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম দুইবারই ফাইনালে উঠল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দলটির ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
৭ ঘণ্টা আগেনিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
৯ ঘণ্টা আগে