Ajker Patrika

মেসির জোড়া গোলে শেষ ষোলোয় মায়ামি

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১১: ০১
মেসির জোড়া গোলে শেষ ষোলোয় মায়ামি

যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন লিওনেল মেসি। সর্বশেষ ম্যাচে জোড়া গোলের পর আজও জোড়া গোল করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাঁর জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির শেষ ষোলোও নিশ্চিত হয়েছে।

অরল্যান্ডো সিটিকে ৩–১ গোলে হারানোর ম্যাচে অন্য গোলটি করেছেন জোসেফ মার্তিনেজ। গত ম্যাচের মতো গোল উৎসবের শুরুটা আজও করেছেন মেসি। সেদিন আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৮ মিনিটে গোল করলেও আজ এক মিনিট আগেই গোল পেয়েছেন। রবার্ট টেলরের বাড়ানো চিপ বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে গোল করেন মেসি।

তবে মেসিরা লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। ১০ মিনিট পরেই গোল শোধ দেয় অরল্যান্ডো। প্রথমবার প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার সেভ করলেও ফিরতি বলে জটলার মধ্যে থেকে সিজার আরাউহো গোল করেন। বিরতিতে ১–১ সমতায় যাওয়ার আগে মায়ামি আবারও লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ৩১ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মেসির নেওয়া শট বারে লাগায় তা আর হয়নি। দ্বিতীয়বার মেসিকে হতাশ করেন অরল্যান্ডের গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালিসে। ৪৫ মিনিটে সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নেওয়া ফ্রিকিককে দুর্দান্তভাবে সেভ দেন তিনি।

মেসিকে হলুদ কার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি। ছবি: এএফপিবিরতির পর অবশ্য গোল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। ৪৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে মার্তিনেজকে ফাউল করেন অরল্যান্ডের এক ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে তা নিতে আসেননি মেসি। সতীর্থ মার্তিনেজকে শট নিতে দেন তিনি। উপহার পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ভেনেজুয়েলার স্ট্রাইকার। পরে অবশ্য মেসিকে দিয়ে এক গোল করিয়ে উপহারও পরিশোধ করেছেন তিনি।

পরিশোধ করার ঘটনাটি ৭২ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে বলে নিজে গোল করার চেষ্টা না করে কিছুটা পাশে দাঁড়ানো মেসিকে পাস দেন মার্তিনেজ। মায়ামির অধিনায়ক বক্সের মধ্যে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখান থেকে গোল করা সময়ের ব্যাপার ছিল। ডান পায়ের ভলিতে তিনি তা-ই করলেন। জোড়া গোলের পর উদ্‌যাপনটা ছিল দেখার মতো। সতীর্থ মার্তিনেজের কোলের ওপরে চড়ে বসলেন।

চাইলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও করতে পারতেন মেসি, যদি সতীর্থকে স্পটকিকটা নিতে না দিতেন। অন্যথায় গোল পোস্টও বাধা না হলে। তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে গোল করলেন তিনি। তাঁর মোট গোল এখন ৫। তবে চাওয়ার জিনিস না পেলেও যা কখনোই চাননি, সেটি পেয়েছেন মেসি। প্রথমবারের মতো মায়ামির হয়ে হলুদ কার্ড পেয়েছেন ২১ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ল্যাং মেরে। এর মাঝে ৫৭ মিনিটে তাঁকে কনুই দিয়ে বুকে ধাক্কা মারায় কিছুটা হাতাহাতিও হয়েছে ম্যাচে। আর ৬৩ মিনিটে একটা ছোট মিলনমেলাও হলো মাঠে। মেসি–বুসকেতসের সঙ্গে সে সময় মাঠে বদলি নেমেছিলেন জর্দি আলবা। এতে করে ২০২১ সালের পর আবারও একসঙ্গে মাঠে জুটি বাধলেন বার্সেলোনার সাবেক তিন খেলোয়াড়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত