Ajker Patrika

জোতার ‘২০’ নম্বর জার্সি আর কারও গায়ে উঠবে না

ক্রীড়া ডেস্ক    
জোতার ‘২০’ নম্বর জার্সি চিরতরে তুলে ফেলল লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত
জোতার ‘২০’ নম্বর জার্সি চিরতরে তুলে ফেলল লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় জীবন থেমে গেছে পর্তুগিজ তারকা দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভার। তবে লিভারপুল চায় না, সে স্মৃতি কখনো মুছে যাক। জোতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চিরতরে ২০ নম্বর জার্সি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। জোতার স্ত্রী রুতে কারদোসো ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর ক্লাব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে আর কোনো খেলোয়াড় লিভারপুলে ২০ নম্বর জার্সি পরবেন না।

এক বিবৃতিতে লিভারপুল ফুটবল ক্লাব জানায়, ‘পুরুষ, নারী ও অ্যাকাডেমি—সব পর্যায়ে ২০ নম্বর তুলে রাখা হবে দিয়োগো (জোতা) সম্মানে ও স্মরণে। মাঠে তার অনবদ্য অবদান, আর মাঠের বাইরেও যে ভালোবাসা তিনি সবাইকে দিয়েছেন, সেই গভীর প্রভাবের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত ৩ জুলাই গভীর রাতে একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় জোতা ও আন্দ্রের ল্যাম্বোরগিনি গাড়ির চাকা ফেটে গিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই দুজনে মারা যান। চিকিৎসকের পরামর্শে উড়োজাহাজে না উঠে গাড়িতে করেই ফিরছিলেন ক্লাবের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে যোগ দিতে।

২০২০ সালে উলভস থেকে লিভারপুলে যোগ দেন জোটা। এরপর পাঁচ মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ১৮২ ম্যাচে করেন ৬৫ গোল। ২০২২ সালে এফএ কাপ ও লিগ কাপ, ২০২৪ সালে আবার লিগ কাপ, আর ২০২৫ সালে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার অংশ ছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। গত মৌসুমে জোতা যখন ক্লাবকে এনে দেন তাদের ২০ তম লিগ শিরোপা, তার গায়ে ছিল সেই ২০ নম্বর জার্সিই।

তাই হয়তো প্রতীকীভাবেই, শুক্রবার রাতে লিভারপুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে একটি ভিডিও। যার শিরোনাম ‘ফরএভার আওয়ার নম্বর ২০ ’।

ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের ফুটবল বিভাগের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এডওয়ার্ডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, সমর্থকেরা কী অনুভব করছেন—আমরাও ঠিক তেমনি অনুভব করেছি। এ কারণে সিদ্ধান্তের আগে দিয়োগোর স্ত্রী রুতে ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলাটা ছিল আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, লিভারপুলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো খেলোয়াড়কে সম্মান জানাতে এমন কিছু করা হলো। আমরা চাই, এই জার্সি নম্বর চিরতরে জোতার হয়ে থাকুক—যাতে তাকে কখনো ভুলে না যাই।’

গত শনিবার জোতা ও আন্দ্রের শেষকৃত্য হয় পর্তুগালের গন্দোমার শহরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লিভারপুলের একটি বড় প্রতিনিধি দল—সতীর্থ, কোচিং স্টাফ এবং বোর্ড সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারী ফুটবলার তুলে আনতে ফিফার সঙ্গে মিলে বাফুফের উদ্যোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফিফা কর্মকর্তাকে (ডানে) জার্সি তুলে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ছবি: বাফুফে
ফিফা কর্মকর্তাকে (ডানে) জার্সি তুলে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ছবি: বাফুফে

বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি ও ভিত্তি তৈরি করা।

নারী কোচের বর্তমান সংখ্যা নিয়ে সাইমন বলেন, ‘আমরা একটা জরিপ করেছি। সেখানে দেখা গেছে নারী-পুরুষ লিগ মিলিয়ে নারী কোচের সংখ্যা মাত্র ২২ শতাংশ। আমরা এই চার বছরে অনেক নারী কোচ বাড়াতে চাই।’ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ফিফার এই উদ্যোগের সঙ্গে বাফুফে সম্পৃক্ত হতে পেরে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ফুটবলে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন, ‘নারী ফুটবলে আমাদের ক্লাব সংখ্যা কম। নারীদের ঘরোয়া লিগ বাড়ানো, তাদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। ফিফা আমাদের টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করবে।’

বাফুফে ২০২৫-২৮ সালে নারী ফুটবলে কী কী করতে চায় সেই পরিকল্পনা ডিসপ্লেও করেনি কিংবা পুরোপুরি প্রকাশও করেনি। মাঠের খেলা বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ফুটবলারদের সুরক্ষার বিষয়টিও বাফুফে সভাপতি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু নারী ফুটবলারদের খেলার মান উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকব না। নারী হিসেবে তাদের সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতার পাশেও দাঁড়াব। অনেক সময় নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। আমরা সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা, মরক্কো দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। মরক্কো দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে মরক্কো সব সময় পাশে থাকবে।’ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্য আনছে এটা আসলেই বেশ গর্বের বিষয়।’

বাংলাদেশের নারী ফুটবলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংক। আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। আগামী দিনেও ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলারদের সাথে থাকবে।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ফিফা কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের পক্ষে জার্সি তুলে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটবল নিয়ে আসিফ

‘মারপিট করব বলেছি, করিনি, তারা তো করে ফেলেছে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিসিবির পরিচালক, জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা। ছবি: বিসিবি
বিসিবির পরিচালক, জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা। ছবি: বিসিবি

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে বাফুফে সভাপতি আসিফের কিছু শব্দচয়ন নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে লিখেছেন, ‘যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘‘অভিজাত’’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘‘মারামারি’’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি? এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী।’

গত পরশু ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে।...ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’ বিসিবিকে বাফুফের দেওয়া চিঠি নিয়ে আজ রাতে আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা চিঠি দিয়েছে, আমি হ্যাপি, থ্যাংক ইউ বাফুফে! খুশি হইছি। এই চিঠি আমার জন্য একটা অনার! বাফুফে আমাকে চেনে, কাউন্ট করেছে। এটা জরুরি।’

কেন ওই বক্তব্য, সেটির ব্যাখ্যায় আসিফ বলেছেন, ‘তাদের আচরণ তো খারাপই, এটা সত্য কথা তো। এটা সারা দেশে হচ্ছে, ফুটবলাররা সারা দেশে রংবাজি করে। ক্রিকেটের ডিসিপ্লিন আর ফুটবলের স্টাইল আমি বুঝিয়েছি। প্রশ্ন হতে পারে আমার অবস্থান থেকে (কেন?), হ্যাঁ, এটাও ঠিক আছে। আমারও অনেক ছোট ভাই-বন্ধুবান্ধব আছে ফুটবলে, আমার যে কথাটা ‘‘অভদ্র আচরণ’’, তারা কুমিল্লায় গিয়ে তদন্ত করুক। কুমিল্লায় যারা অভদ্র ব্যবহার করেছে, গেটে তালা মেরে দিয়েছে, ডিসি সাহেবকে হুমকি দিয়েছে, তদন্ত করে দেখে বিচার করুক আগে। তখন না হয় ভালো আচরণের কথা বলব। তারা কুমিল্লায় যাক। যারা খারাপ ব্যবহার করছে, যারা ভুক্তভোগী—তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলুক। যদি মনে করে ওই ফুটবলার দোষী, তাদের শাস্তি দিক। তারপর বলব, হ্যাঁ ফুটবল ফেডারেশন খুব ভালো। ফুটবলাররা খুব ভালো। আমার সঙ্গে চলতে গেলে লজিকে চলতে হবে।’

ফুটবলাররা যতই দুঃখপ্রকাশ করার দাবি তুলুন, আসিফ তাঁর বক্তব্যে অটুটই আছেন, ‘তাদের যদি খারাপ লাগে, তাদের জন্য আমারও খারাপ লাগে। কারণ, তারা আমারই লোক। ফুটবলে দুনিয়ার বন্ধু। আমাকে তবু বলতে হয়েছে। আমার অধিকারের কথা বলতে হবে। সেখানে তদন্ত করুক যে আসিফের এ কথা বলার উদ্দেশ্য কী। কষ্ট না পেয়ে কাজ করতে বলেন।’ আসিফ আরও যোগ করেন, ‘তারা মারপিট করে, তারা গেট লক করে দিয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে। পিচ খোঁড়াখুঁড়ি করে। আমি মারপিট করব বলেছি, করিনি। তারা তো (মারপিট) করে ফেলেছে। ইট হ্যাজ ডান! আমরা করিনি এগুলো। বলছি শুধু। বলাতেই এত রাগ! আমরা এত দিন সহ্য করেছি কীভাবে? একটা কথা তারা নিতে পারে না। আর আমরা ৩৭–৩৮ বছর সহ্য করছি কীভাবে?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ইন্ডিয়ার সঙ্গে আমরা জিতমু ইনশা আল্লাহ’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ১৯
ভারতের বিপক্ষে এবার বাংলাদেশ জিতবে বলে আশা হামজা চৌধুরীর। ছবি: বাফুফে
ভারতের বিপক্ষে এবার বাংলাদেশ জিতবে বলে আশা হামজা চৌধুরীর। ছবি: বাফুফে

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার গোলশূন্য ড্র হলেও ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হামজা। বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের আশা, এবার হবে ভিন্ন কিছু।

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ফিরতি দেখায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচ। সুদূর ইংল্যান্ড থেকে আজ বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। বাফুফের এক ভিডিও বার্তায় ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘এমন দারুণ অভ্যর্থনা দেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ। আমি ঢাকা ফেরত এসেছি। ভারতের সঙ্গে এত বড় একটা ম্যাচ হবে ইনশাআল্লাহ। তার আগে নেপালের সঙ্গে একটা ম্যাচ আছে। শেষ ম্যাচে জিততে পারিনি। কিন্তু খেলায় উন্নতি হয়েছে। ইন্ডিয়ার সঙ্গে জিতমু ইনশাআল্লাহ। সবাই আমরা রোমাঞ্চিত। কঠোর পরিশ্রম করছি।’

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বেলা ১২টায় ঢাকায় পা রাখতেন হামজা চৌধুরী। কিন্তু ফ্লাইট মিস করায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় আসতে পারেননি। নেপাল-ভারতের বিপক্ষে খেলতে অবশেষে বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। প্রথম ফ্লাইট মিসের পর আরেকটি ফ্লাইট ধরতে হয়েছে তাঁকে। অতিরিক্ত জ্যামের কারণে ইংল্যান্ডে বাফুফে থেকে দেওয়া নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি হামজা। নিজ খরচে ঢাকায় আসতে হচ্ছে তাঁকে। বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে যে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেই সময়ের মধ্যেই আসতে পেরেছেন তিনি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এরপর সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছানোর পর ফের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে।

১৩ ও ১৮ নভেম্বর নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুটি ম্যাচই হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর ‎গত ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ খেলার আশা শেষ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ড্র করেছে ও দুটি ম্যাচ হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পঞ্চম ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এত তুষারপাতের মধ্যেও কীভাবে খেললেন শমিতরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৩১
তুষারপাতের মধ্যে খেলেছে শমিত শোমের ক্যাভালরি এফসি। ছবি: সংগৃহীত
তুষারপাতের মধ্যে খেলেছে শমিত শোমের ক্যাভালরি এফসি। ছবি: সংগৃহীত

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ার টিডি প্লেস স্টেডিয়ামে গত রাতে কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া মুখোমুখি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অটোয়ার আবহাওয়া নিয়ে। দ্য অ্যাথলেটিকের গতকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশজুড়ে মৌসুমের প্রথম বড় তুষারঝড় শুরু হয়েছে। ফাইনালের দিন অটোয়ায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার তুষার জমা হয়েছিল। ম্যাচজুড়ে তুষারপাত এতই বেশি ছিল যে তুষার সরাতে অনেক সময় লেগেছে। যে খেলা দুই ঘণ্টায় শেষ হতো, শেষ হতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা।

তুষারের মধ্যে ফুটবল কানাডায় নতুন কিছু না হলেও এমন পরিস্থিতিতে মাঠের টাচলাইন, পেনাল্টি এলাকার দাগ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তুষার সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল তুষার পরিষ্কারক যান স্নোপ্লাউ, তুষার ওড়ানোর যন্ত্র স্নোব্লোয়ার্স আর কোদাল। এত কিছু করেও খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়েছে। তুষারের মধ্যে খেলার ব্যাপারে ফুটবলাররা রোমাঞ্চ অনুভব করলেও খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো পাস দিতে পারছিলেন না। বল প্রায়ই আটকে যাচ্ছিল।

কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া ফাইনালে প্রথম গোলের দেখা মেলে ৩৩ মিনিটে। মিডফিল্ডার ফ্রেজার এয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেছেন পেনাল্টি থেকেই। ৭ মিনিট পরই সেই গোল অটোয়া শোধ করে। তুষারের মধ্যে লাফিয়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান অটোয়া দাভিদ রদ্রিগেজ। ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হতো, সেটা হয়নি। টানা আধা ঘণ্টা খেলা হয়েছে। ১০৫ মিনিটে আরেক গোল করে অটোয়াকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। তাতেই কানাডা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত