Ajker Patrika

নেপালকে হারিয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নেপালকে হারিয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের

সুযোগের পর সুযোগ হাতছাড়া। কখনো সেটা নিজেদের ভুলে, আবার কখনো নেপালের রক্ষণের দক্ষতায়। সেই দেয়ালে প্রথম ফাটল ধরালেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। জোড়া গোলে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখালেন লাল-সবুজ ফরোয়ার্ড। 

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আগামী পরশু এই ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগে নেপালকে ৩-১ হারিয়ে ভারতকেও পাল্টা বার্তা দিয়ে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গত বছর এই কমলাপুরেই অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। 

চার দলের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল খেলবে ৮ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে। সেই ফাইনালে খেলতে নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু। কোচের চাওয়া পূরণ করে নেপালের বিপক্ষে একপেশে জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। 

ক্রসবার বাধা না হলে ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় দলকে দারুণ এক গোল উপহার দিতে পারতেন স্বপ্না রানী। ৩০ গজ দূর থেকে তাঁর ফ্রি কিকের বল ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ফিরতি বলে হেড নেন মুনকি আক্তার। সেই হেড ফেরে নেপালের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। 

নেপালকে হারিয়ে সাফে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে দুই মিনিট পরে আরও এক সুযোগ হাতছাড়া করেন মুনকি আক্তার। মোসাম্মৎ সাগরিকার সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড। সেই শট ঠেকান নেপালি গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। 

১৪ মিনিটে পূজা দাসের কোনাকুনি শটে বল ডান পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ছয় মিনিট পর পূজার আরেকটি শট অল্পের জন্য চলে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। 

বারবার সুযোগ নষ্টে প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে ঘিরে যখন হতাশা বাড়ছিল, তখনই ৪০ মিনিটে স্বাগতিক দর্শকেদের উল্লাসে ভাসালেন সাগরিকা। বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ মিডফিল্ডার স্বপ্না রানীর দিকে শট নেন নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। হেডে স্বপ্না বল বাড়ান বক্সের সামনে থাকা সাগরিকার দিকে। দুই পাশে নেপালের দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে হার মানিয়ে বল জালে পাঠান বাংলাদেশি স্ট্রাইকার। 

দুই মিনিট পর ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে স্বাগতিকদের ব্যবধান বাড়ান মুনকি আক্তার। ৪২ মিনিটে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো ইতি খাতুনের পায়ে তুলে দেন নেপাল গোলরক্ষক। নেপালের গোলপোস্ট তখন ফাঁকা। ইতি বল বাড়ান বক্সে থাকা মুনকির দিকে। ঠান্ডা মাথায় চিপ শটে নেপাল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পোস্টে পাঠান মুনকি। 

নেপালকে হারিয়ে সাফে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে প্রথমার্ধেই ব্যবধান ৩-০ করতে পারত বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে সাগরিকাকে বক্সে ফেলে দেন নেপালের সিমরান রায়, রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। পেনাল্টি নেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আফঈদা খন্দকার। কিন্তু সেই শট আটকে যায় ক্রসবারে। ফিরতি বলে সাগরিকাও শট নিলেন ঠিকই, কিন্তু হার মানানো যায়নি নেপাল গোলরক্ষককে। 

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা রানীর ভুলে ব্যবধান কমায় নেপাল। ৫৪ মিনিটে বাংলাদেশের বক্সে বল বাড়ান নেপাল অধিনায়ক সারাহ বজ্রচারিয়া। স্বর্ণা সামনে এগিয়ে এসেছিলেন বল গ্লাভসে নেওয়ার জন্য। বল তার গ্লাভসে যাওয়ার আগেই আচমকা টোকায় বল জালে পাঠান সুকরিয়া মিয়া। 

নেপালকে সমতায় ফেরার সুযোগ না দিয়ে বাংলাদেশকে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন সাগরিকা। ৫৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ইতি খাতুন লম্বা করে বাড়ান সাগরিকার পায়ে। গায়ে লেগে থাকা নেপালি ডিফেন্ডার মায়া মাসকের বাধা পেরিয়ে, গোলরক্ষককে হার মানিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন সাগরিকা। 

হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন সাগরিকা। ৮৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে একাই বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। বক্সে তখন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে বদলি খেলোয়াড় নবীরন খাতুন। নবীরনকে সুযোগ না দিয়ে নিজেই কোনাকুনি শট নেন সাগরিকা, কিন্তু নেপাল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে সেই শট প্রতিহত হলে হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি তার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

সাতকানিয়ায় ডাকাত পড়েছে বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মারধর, নিহত ২

ইউএনওর সামনেই ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতারা

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত