Ajker Patrika

ট্রেনিং সেন্টারে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী ফুটবলারের আকস্মিক মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১২: ১৪
৫৩ বছর বয়সে মারা যান হোর্হে কস্তা। ছবি: এএফপি
৫৩ বছর বয়সে মারা যান হোর্হে কস্তা। ছবি: এএফপি

কখন যে মৃত্যু কার দরজায় কড়া নাড়বে, সেটা ভীষণ অনিশ্চিত। হোর্হে কস্তা কি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পেরেছিলেন, এই দিনটিই তাঁর জীবনের শেষ দিন? হঠাৎই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী এই ফুটবলার।

পোর্তোর অনুশীলন সেন্টারে গতকাল হৃদ্‌রোগে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন কস্তা। চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী এই ফুটবলারের মৃত্যুর সময় কস্তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে পোর্তো। সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে পর্তুগিজ ক্লাবটি লিখেছে, ‘পোর্তোর কিংবদন্তি অধিনায়ক ও পেশাদার ফুটবল পরিচালক কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের শিকার হয়ে গতকাল মারা গেছেন। ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ফুটবলারে মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। জীবদ্দশায় মাঠ ও মাঠের বাইরে আত্মনিবেদন, নেতৃত্ব, স্পিরিটের মাধ্যমে পোর্তোকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।অনেক ভক্ত-সমর্থককে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন। পোর্তোর বড় প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।’

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে পোর্তোসহ পাঁচ ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন পোর্তো। ক্লাব ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৩৬৮ ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ২০ গোল। অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৫ গোলে, যার মধ্যে পোর্তোর জার্সিতে ৩২৫ ম্যাচ খেলেছিলেন। ক্লাব ক্যারিয়ারের সব গোল ও অ্যাসিস্ট তাঁর এই পোর্তোর জার্সিতেই। পর্তুগিজ ক্লাবটির জার্সিতে খেলোয়াড় হিসেবে আটবার পর্তুগিজ প্রিমেইরা লিগা জিতেছিলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। পোর্তোর অনুশীলন সেন্টারে গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কস্তা। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

পর্তুগালের জার্সিতে শিরোপা জয়ের স্বাদ না পেলেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কস্তা। ১৯৯১ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। কস্তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর সাবেক কোচ হোসে মরিনিও। কস্তার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মরিনিও বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মরিনিও বলেন, ‘আমার সঙ্গে এখন কথা বলতে পারলে সে এটা বলত, সংবাদ সম্মেলন শেষ করুন, আগামীকালের ম্যাচটা খেলে জিতুন। আমার কথা ভুলে যান। আজ এবং আগামীকাল নিজের কাজটা সারার চেষ্টাটাই আমি করব।’ বর্তমানে মরিনিও ফেনারবাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফুটবল ছাড়ার পর ১৬টি ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন কস্তা। ২০২৪-২৫ মৌসুমে পোর্তোয় ফেরেন ক্লাবটির ফুটবল পরিচালক হিসেবে। লুইস ফিগো, রুই কস্তা, রুই বেন্তো,লুইস মিগুয়েল—পর্তুগালের সোনালি প্রজন্মের ফুটবলারদের সঙ্গে ১৯৯১ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কস্তা। পর্তুগালের জার্সিতে ৫০ ম্যাচ খেলেছিলেন কস্তা। ম্যানেজার হিসেবে পর্তুগালের এস সি ওলহানেন্সের হয়ে ২০০৮-০৯ মৌসুমে জিতেছিলেন সেকুন্দা লিগের শিরোপা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

জাপায় নতুন মোড়: আনিসুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বহিষ্কৃতদের পুনর্বহাল

জুলাই ঘোষণাপত্র: গণ-অভ্যুত্থানের দলিলে যা যা রয়েছে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের শুল্ক অনেক বাড়িয়ে দেব: ট্রাম্পের হুমকি

আফগানিস্তানে তালেবানের শাসন: বাস্তবতা বনাম প্রচারণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত