Ajker Patrika

সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাংলাদেশের ‘মাথাব্যথার’ কারণ হতে পারেন তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৫, ১৭: ৩৬
মালদ্বীপের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন ইখসান ফান্দি। ছবি: ফুটবল সিঙ্গাপুর।
মালদ্বীপের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন ইখসান ফান্দি। ছবি: ফুটবল সিঙ্গাপুর।

ফুটবল তাঁর রক্তে বইছে। বাবা ফান্দি আহমাদ সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ছেলে হিসেবে তিনি হাঁটছেন বাবাকে অনুসরণ করেই। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে সিঙ্গাপুরের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি গোল নেই আর কারও। সবশেষ মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচেও জোড়া গোল করেছেন তিনি। তাই সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার জন্য মাথাব্যথার কারণ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন ইখসান ফান্দি।

গত এক বছরে একাধিক চোটের কারণে ফান্দি ছিলেন মাঠের বাইরে। সিঙ্গাপুরও ছিল গোলখরায়। তবে মালদ্বীপের বিপক্ষে ফিরেই ১২ মিনিটের মধ্যে হেডে দুই গোল করেন ২৬ বছর এই ফরোয়ার্ড। উচ্চতার ৬ ফুট হওয়ার কারণে হেড করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পান তিনি। বক্সের ভেতর প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের নামই বলা যায় তাঁকে। তাই জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিয়ে রাখলেন সিঙ্গাপুর কোচ সুতোমু ওগুরা। ৩৯ ম্যাচে ২০ গোল করা ফান্দিকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে ৬০ মিনিট খেলতে পারায় আমি খুশি। সেট পিস ও ওপেন প্লে থেকে গোল করেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে তার এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে। আমরা যদি ভালোভাবে তাকে বল সরবরাহ করতে পারি, তাহলে সে গোল করতে পারবে।’

মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতলেও পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন সিঙ্গাপুর কোচ। এভাবে খেললে বাংলাদেশকে হারানোর সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি, ‘৬০ মিনিটের পর খেলার গতি বদলে যায়। আমরা বল দখলে রাখতে পারিনি, ভারসাম্য হারিয়ে ফেলি এবং দেখতে পাচ্ছিলাম প্রতিপক্ষ পাল্টা আক্রমণে আসছে। স্কোরলাইন ৩-৩ হওয়ারও শঙ্কা ছিল। আমরা যদি এভাবে খেলি, তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো সুযোগ পাব না, আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।’

একই সুর ১২৩ ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডার সাফুয়ান বাহারুদিনের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই, কারণ শেষ দিকে আমাদের খেলা অতোটা মসৃণ ছিল না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ম্যাচটি নিয়ে বিশ্লেষণ করব, যাতে করে বুঝতে পারি কোথায় আমাদের আরও উন্নতির প্রয়োজন।’

৭ জুন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে সিঙ্গাপুর দল। বাহারুদিন বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হবে, কারণ তাদের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের দলেও মানসম্মত খেলোয়াড় আছে এবং ফলাফল পাওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের সেরাটা দেব আমরা।’

প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুর গোল তিনটি করে ম্যাচের প্রথমার্ধেই। তবে তা যথেষ্ট ছিল না ওগুরার কাছে, ‘আমি ফুটবল দেবতায় বিশ্বাসী। যদি আমরা এভাবে দুই-তিনটি সুযোগ নষ্ট করি, তাহলে প্রতিপক্ষ তাদের একটা সুযোগেই গোল করে ফেলবে। তাই দলকে বলেছি ৩-‍ ০ যথেষ্ট নয়, চার, পাঁচ কিংবা ছয় গোল করলে প্রতিপক্ষ ভেঙে পড়বে, হাল ছেড়ে দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত