Ajker Patrika

সৌদি আরবে গোল করা অনেক কঠিন, দাবি রোনালদোর

ক্রীড়া ডেস্ক    
আল নাসরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি
আল নাসরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়তো এখানে আর কেউ নেই। ৪০ বছর বয়সে একের পর এক গোল ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। কিন্তু তারকা ফুটবলারদের যে জ্বালা-যন্ত্রণার অন্ত নেই। একটু বাজে খেললেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় কড়া সমালোচনা।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান রোনালদো। আল নাসরের জার্সিতে আড়াই বছরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১১৬ ম্যাচ খেলেছেন। গোলের পর গোল করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। তবে যখন গোলখরায় থাকেন, তখন নেটিজেনরা ধুয়ে দেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডকে। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন, সৌদি প্রো লিগকে অনেকে ঠিকভাবে মূল্যায়ন করেন না। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘মানুষ যা খুশি তা-ই বলতে পারেন। আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সংখ্যাগুলো তো মিথ্যা না। সৌদি লিগ নিয়ে নানা কথা বলেন। অথচ যারা কখনো এখানে আসেননি, কখনো খেলেননি, তারা কী করে বুঝবেন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলার কষ্ট। আমার মতে পর্তুগিজ লিগের চেয়ে সৌদি লিগ অনেক অনেক ভালো।’

আল নাসরের হয়ে আড়াই বছরের ক্যারিয়ারে কেবল ২০২৩ সালে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ জিতেছেন রোনালদো। আর সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছাকাছি হয়েও শিরোপা জিততে পারেনি রোনালদোর দল। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে সৌদি ক্লাবটির বাদ পড়ার ঘটনা তো রয়েছেই। সৌদির ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলতে যে কত কষ্ট হয়, সেটা সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সৌদি লিগ বাদে ইউরোপের কোনো লিগে খেললেও নিজের সেরাটা দিতে পারতেন বলে দাবি তাঁর। রোনালদো বলেন, ‘বাজে একটি মৌসুমেও আল নাসর যখন কোনো ট্রফি জেতেনি, সে সময় আমার ২৫ গোল ছিল। প্রিমিয়ার লিগে খেললেও একই ভাবে গোল করতাম। ভালো দলে খেললে ৪০ বছর বয়সেও একই পারফর্ম করতাম।’

সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে। ২৮ বছর বয়সী জোতার মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে শোকপ্রকাশ করেছিলেন। তবে তাঁর শেষকৃত্যে যাওয়া হয়নি রোনালদোর। কেন তখন যাননি, সেই ব্যাখ্যায় পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ অনেক সমালোচনা করে আমার। বিবেকের কাছে আপনি যখন ঠিক , তখন কারও কথা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই আমি কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনেন, তারা ব্যাপারটা জানেন। যেখানেই যাই, সেখানেই ভিড় হয়। হইচই শুরু হয়ে যায়। সার্কাসের মতো অবস্থা।’

স্পোর্টিং সিপি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস, আল নাসরসহ ক্লাব ক্যারিয়ারে ১০৬৪ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। ৮০৩ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ২৫৮ গোলে। ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তৎকালীন কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ইউনাইটেড ছেড়ে আল নাসরে পাড়ি জমান রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সেটা ছিল ম্যান ইউতে দ্বিতীয় দফা। এর আগে ইংলিশ ক্লাবটিতে প্রথম দফা ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০০-এর আগে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকেই শুধু বাঁচল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৫
বোলিংটা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এবারও হারল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো
বোলিংটা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এবারও হারল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

বগুড়ায় ২৮ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর জিততেই যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জেতা যেন দূরে থাক, আফগানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারছে না আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সবশেষ দুই ওয়ানডেতে আফগান যুবাদের কাছে বাজেভাবে হারলেন তামিমরা।

ডাকওয়ার্থ লুইস এন্ড স্টার্ন মেথডে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রানে জয়ের পর বাংলাদেশের যুবারা সিরিজে আর জয়ই পায়নি। সেই বগুড়ায় এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। ভেন্যু বদলে এরপর সিরিজের তিন ওয়ানডে চলে যায় রাজশাহীতে। কিন্তু নতুন ভেন্যুতে এসে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশ। পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানরা জিতেছে ১০২ রানে। সেই রাজশাহীতে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪৭ রানে হেরে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তামিমের বাংলাদেশ। ১০০ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার মতো যে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়তে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই অবস্থা থেকেই শুধু উদ্ধার হয়েছে স্বাগতিকেরা।

২৫৯ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকেন আফগানিস্তানের আগুনে বোলিংয়ে। ৭.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। কত দ্রুত ম্যাচ জিততে পারে, আফগানরা ছিল সেই অপেক্ষাতেই। কিন্তু সফরকারীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান দেবাশীষ সরকার দেবা ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সপ্তম উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন দেবাশীষ-আব্দুল্লাহ। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে দেবাশীষকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নুরিস্তানি ওমরজাই। আট নম্বরে নেমে ৬১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রান করেন দেবাশীষ।

দেবাশীষ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩২.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ১০৭ বলে ১১১ রানের সমীকরণ মেলানোর সম্ভাবনা তখনো টিকে ছিল স্বাগতিকদের সামনে। উইকেটে একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ। তবে ৬.২২ রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি সেভাবে খেলতে পারেননি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আব্দুল্লাহ স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন নাজিফুল্লাহ আমিরিকে তুলে মারতে গিয়ে। ১৬০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় আব্দুল্লাহ করেন ৯৫ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ আটকে যায় ৯ উইকেটে ২১১ রানে। আফগানিস্তানের আব্দুল আজিজ খান ৬.২ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহবুব খান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১১২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ১১৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০ চার ও ৪ ছক্কা। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। যেখানে ২৭ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন ৯.৩ ওভারে ৫১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। পরশু রাজশাহীতে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক ওভারে ছয় ছক্কা মারলেন পাকিস্তানি বোলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
পঞ্চ ওভারে ওই কীর্তি গড়েন আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চ ওভারে ওই কীর্তি গড়েন আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

আব্বাস আফ্রিদি একজন বোলার। তাঁর আসল কাজটা বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাবু করা। কিন্তু হংকং সিক্সেসে আজ রীতিমতো ব্যাটার হয়ে উঠেছিলেন এই পেসার। কুয়েতের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকান তিনি।

কুয়েতের করা ১২৩ রানের জবাবে শেষ দুই ওভারে ৬৭ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় পাকিস্তানের সামনে। কঠিন মনে হলেও আফ্রিদির ছক্কা বৃষ্টিতে এই সমীকরণ মিলিয়েছে দলটি। ইয়াসিন প্যাটলের করা পঞ্চম ওভারে ঝড় তোলেন আফ্রিদি। টানা ছয়বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। ষষ্ঠ ডেলিভারিটা নো করেন ইয়াসিন। তাঁর শেষ বলে লেগ বাই থেকে আসে এক রান। সব মিলিয়ে সে ওভারে ৩৮ রান দেন ইয়াসিন।

এর আগে এবং পরে আরও একটি করে ছক্কা মারেন আফ্রিদি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১২ বলে খেলেন ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৮ ছয়ের পাশাপাশি একটি চার মারেন আফ্রিদি। বাকি কাজটুকু সারেন শাহিদ আজিজ। ৫ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এছাড়া দলটির হয়ে খাজা নাফে ২৫ ও মোহাম্মদ শেহজাদ করেন ১৪ রান। কুয়েতের হয়ে ২ ওভারে ৫৫ রান দেন ইয়াসিন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার কীর্তি আছে ছয়জনের। তাঁরা হলেন হার্শেল গিবস, যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ড, জাসকারান মালহোত্রা ও মানান বশির। এর আগে ১০ জন ব্যাটার স্বীকৃত ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছেন। এই তালিকার সবশেষ সংযোজন আফ্রিদি।

গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্ট অভিষেক হয় আফ্রিদির। সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২৪ টি–টোয়েন্টির ২৩ ইনিংস বল করে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট। ১৫ ইনিংস ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৩৫ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উগান্ডার লিগে ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক মেয়র

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০০
নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি একসময় ক্রিকেটও খেলতেন। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি একসময় ক্রিকেটও খেলতেন। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানিকে নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। এবার তাঁর সম্পর্কে জানা গেল চমকপ্রদ এক তথ্য। নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত এই মেয়র এক সময় নাকি ক্রিকেট খেলতেন! শুধু তাই নয়, ছক্কা মারতেও ওস্তাদ ছিলেন মামদানি।

মামদানির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টতার খবর গত রাতে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ক্রিকেট উগান্ডা গত রাতে নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করার পরই নেটিজেনদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। ছবিতে সাত তরুণ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে ক্রিকেট উগান্ডা লিখেছে, ‘আপনি ঠিকই দেখেছেন। নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) এক সময় আমাদের ক্যাসল ডেভেলপমেন্ট ক্রিকেট দলে খেলতেন। স্থানীয় লিগে একের পর এক ছক্কা মেরেছেন।’ ক্রিকেট খেলতেন কি না সেটা নিয়ে যখন নানা আলোচনা, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্পোর্টিং নিউজ’ও তাঁর ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘ক্রিকেট উগান্ডা’র সুরে সুর মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের সুরে বলছে, ‘উগান্ডায় বেড়ে ওঠার সময়ে স্থানীয় ডেভেলপমেন্ট ক্রিকেট লিগে ক্যাসল ডেভেলপমেন্ট দলের হয়ে খেলেছেন মামদানি।’

মামদানির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টটা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যমেও। পরশু এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘নিউইয়র্কে ব্রোনক্স হাই স্কুল অব সায়েন্সে পড়ার সময় তাঁর স্কুলের প্রথম ক্রিকেট দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মামদানির সেই দল যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুল অ্যাথলেটিক লিগে (পিএসএএল) প্রথম মৌসুমে অংশ নিয়েছিল। ঐক্য কাকে বলে, ক্রিকেট থেকেই সেটা তিনি শিখেছেন।’

ফুটবলেরও দারুণ ভক্ত মামদানি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আর্সেনাল তাঁর প্রিয় দল। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ফিফার ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ বা পরিবর্তনশীল মূল্যনীতি বাতিল করতে পিটিশনও দায়ের করেছিলেন মামদানি। তাঁর মা-বাবা ভারতীয়। মা মীরা নায়ার ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাবা মাহমুদ মামদানি নৃবিজ্ঞানী। ১৯৮৯ সালে উগান্ডায় মাহমুদ মামদানি ও মীরা নায়ারের প্রথম দেখা হয়েছিল। ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর মাহমুদ-মীরার ঘরে জন্ম হয়েছিল উগান্ডার কাম্পালায়। জোহরান মামদানির সাত বছর বয়সেই তাদের পরিবার স্থায়ীভাবে নিউইয়র্কে চলে যায় বলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্পোর্টিং নিউজ’ জানিয়েছে।

যে উগান্ডার স্থানীয় লিগে জোহরান মামদানি খেলতেন, সেই উগান্ডা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল টি-টোয়েন্টিই খেলে। ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১১৮ ম্যাচ খেলেছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। এই বিশ্বকাপ দিয়েই প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিয়েছে উগান্ডা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

ফাইল ছবি

জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও নারী বিভাগের সাবেক ইনচার্জ প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। নিজের ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার পেছনে কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়ের ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেছেন জাহানারা। বছর দুয়েক আগে মঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদও। কাল রাতে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগসহ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের করুণ চিত্র তুলে ধরলেন রুমানা। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা 
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৯

প্রশ্ন: জাহানারা আলমের বিস্ফোরক অভিযোগের পর যে প্রশ্ন সামনে চলে আসছে, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের ভেতরের ছবিটা তাহলে এতটাই করুণ?

রুমানা আহমেদ: এতটা খারাপ হতো না, যদি কথাগুলো তারা শুনত। যদি আমাদের বিষয়গুলো তারা দেখত, তাহলে এতটা খারাপ হতো না। অভিভাবকের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। জাস্ট শোনার দরকার শুনেছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার করা হয়নি। আমাদের কষ্টগুলো দেখেনি, এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি?

প্রশ্ন: জাহানারা যেসব অভিযোগ সামনে এনেছে, সেগুলো নিয়ে আপনার মতামত কী?

রুমানা: এর মধ্যে দুই-একটি হালকা বিষয় আছে, যেমন—সালমাকে সাল্লু বলে ডেকেছে জ্যোতি। হয়তো খারাপ লাগা থেকে বলেছে জাহানারা। এগুলো বড় কোনো অভিযোগ না। তবে বেশির ভাগ অভিযোগ ভ্যালিড। এটা শুধু আমাদের কথা না, অনেকেরই। বর্তমানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কেউ মুখ খুলতে চাইবে না। কারণ, তারা চুক্তিবদ্ধ, ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাইবে না। কিন্তু এর বাইরে অনেক ক্রিকেটার আছে তারা বলতে পারে।

প্রশ্ন: যদ্দূর জানি, আপনি এসব ব্যাপারে যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন, কথা বলেছেন।

রুমানা: আমি বরাবরই সোচ্চার ছিলাম, প্রতিবাদ করেছি। তাতে আমি ভুগেছি। আমাকে দল থেকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা তো দেখেছেনই। বোর্ডের চোখে গুড ফর নাথিং হয়েছি! আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, যেন দেশের নারী ক্রিকেটে আমার কোনো অবদানই নেই!

জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। ছবি: ফাইল ছবি
জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। ছবি: ফাইল ছবি

প্রশ্ন: জাহানারার অভিযোগের পর স্বাভাবিকভাবে যে প্রশ্ন আসবে, এ রকম আরও কত ভিকটিম আছে দলে?

রুমানা: দলে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা নিজের ক্যারিয়ারের কথা বেশি চিন্তা করে, তারা সহজে বলবে না। তারা (ভিকটিম হলেও) মন খারাপ করে, সিনিয়রদের সঙ্গে শেয়ার করে যে আপু আমার সঙ্গে এমন হয়েছে...এই বিষয়টা ওভাবে সামনে আসে না বা আসেনি। জাহানারার প্রথম কথাগুলো কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যে লম্বা সময় সার্ভিস দিয়েছে, তার কথাগুলো শোনা উচিত ছিল, গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।

প্রশ্ন: নারী দলের সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর আচরণগত সমস্যার কথা দুই বছর আগেই কিছুটা প্রকাশ্যে এসেছিল। এখন তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, এটা তো ভয়ংকর!

রুমানা: ওনার একটা বাজে অভ্যাস ছিল। জুনিয়র-সিনিয়র (নারী ক্রিকেটারদের) যাকেই জিজ্ঞেস করবেন, বলবে, তিনি টাচ করে কথা বলতে পছন্দ করতেন।

প্রশ্ন: ওই সময় আপনারা তাঁর বিরুদ্ধে সবাই অভিযোগ করেননি?

রুমানা: কার কাছে অভিযোগ দেব? যাকে (নারী বিভাগের ইনচার্জ প্রয়াত তৌহিদ) দেব, তিনি তো ওনার কলিজার টুকরা ছিল! অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের কেন দল থেকে সরাল, বলতে পারেন? কোন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আমাকে বাদ দিল? আমি নিয়মিত পারফর্ম করেছি, আমাকে দলে রাখল না অথচ একজন আনফিট মেয়েকে নিয়ে গেল খেলাতে। কারণ জানতে চাইলে তৌহিদ ভাই আমার সঙ্গে মশকারা করেন। হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি মারা গেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আর কিছু বলব না। তবে তিনি আমাদের জন্য ভালো কিছু করে যাননি। আমাদের গুহায় ফেলে দিয়েছেন, আমাদের পরিশ্রম মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে গেছেন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের অন্ধকার দিক যেভাবে উন্মোচিত হচ্ছে, মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য এটা বিরাট ধাক্কা।

রুমানা: এভাবেই তো চলছে। জাহানারা সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে মুখ খুলেছে। কিন্তু যারা জুনিয়র ক্রিকেটার, অ্যাবিউজ হবে, ওরা কি মুখ খুলতে পারবে? অনেক জুনিয়র ক্রিকেটার তো অ্যাবিউজ হলে বুঝতেও পারবে না। দলে এখন এতটাই ক্রিকেটারের সংকট, দুধের শিশুকেও নিতে হচ্ছে!

প্রশ্ন: অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ এসেছে।

রুমানা: এই মুহূর্তে জ্যোতির ব্যাপারে কিছু বলব না। চাইছি সরাসরি সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে। তবে যা রটে সেটার পুরোপুরি না হলেও অধিকাংশ তো ঘটে।

প্রশ্ন: নারী দলে একজন মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। দল একটা পরিবারের মতো। নিজের পরিবারের মধ্যে কেউ যদি নিরাপদ বোধ না করে, নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে—এটা ভয়াবহ পরিস্থিতি বলতে হবে। এ পরিবেশে একজন ক্রিকেটার কীভাবে স্বস্তিতে খেলবেন?

রুমানা: শান্তিতে তো খেলতে পারিনি। ২০২১ সাল থেকে আমি, জাহানারা বিসিবির প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ থেকে বঞ্চিত। খেলেছি নিজেদের প্রতিভা আর পরিশ্রমের জোরে। এমনও হয়েছে, ম্যাচে তিনি (মঞ্জু) আমাকে পুরোপুরি বোলিং করাননি, বলও দেননি।

মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। ফাইল ছবি
মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। ফাইল ছবি

প্রশ্ন: মঞ্জু এসব করতেন কোন চিন্তা থেকে?

রুমানা: তাঁর লক্ষ্যই ছিল সিনিয়রদের বাদ দেওয়া। কারণ, সিনিয়ররা ওনার বিষয়গুলো ধরে ফেলছিল, মুখ খুলছিল। শুধু ক্রিকেটারদের সঙ্গেই নয়, তখন ফিজিও সুরাইয়া ম্যাডামকে বাদ দিয়েছিলেন। ফিজিও ম্যাডাম যদি বলতেন, জ্যোতি আনফিট, এই ম্যাচটা খেলানো যাবে না। তিনি (মঞ্জু) তবু জোর করে ওকে খেলাতেন। ভিডিও অ্যানালিস্ট শাওন ভাইকে বাদ দিয়ে নিজের বন্ধু রাশেদ স্যারকে আনলেন। রাশেদ স্যার আমাদের সহযোগিতা করেননি। (মঞ্জু) আনকোরা ট্রেনার রাসেলকে নিয়ে বিশ্বকাপে গেলেন, যাতে ওনার হাত-পা টেপাতে পারেন।

প্রশ্ন: আপনি নিজে কখনো মঞ্জুর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন?

রুমানা: হ্যাঁ, ওনার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছি। এটাকে তারা (বিসিবি) কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। একবার মনে হয় আপনাদের খেয়াল আছে, (ফেসবুকে) লিখেছিলাম নো মোর ক্রিকেট! টানা তিন-চারটা সিরিজ দলের বাইরে থাকায় ভেঙে পড়েছিলাম। তখন সিইওকে (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) ফোন দিয়ে বলেছিলাম, আপনার সঙ্গে বসতে চাই। আমার পারফরম্যান্স দেখেন। তিনি ওই সময়ে বললেন, ঠিক আছে সামনে প্রিমিয়ার লিগ আছে, ওখানে প্রমাণ করো। সিইও স্যার তৌহিদ ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলেন, পরের টুর্নামেন্ট কত দিন পর? তৌহিদ ভাই বললেন, সাত মাস পর। সিইও স্যার বললেন, ও এই সাত মাস অপেক্ষা করবে? সে তো ভালো খেলোয়াড়। তৌহিদ ভাই বললেন, আমাদের দল হয়ে গেছে। ওই সময়ে বোর্ড রুমে বসে নির্বাচক (সাজ্জাদ আহমেদ) শিপন ভাইও অনেক অপমান করলেন। আমাকে বলেন, তুমি দেশের জন্য কী করেছ? তুমি মডার্ন ক্রিকেট খেলেছ? তুমি কি ১০ ওভার বোলিং করার যোগ্য? আমি বললাম, আপনি আমার রেকর্ড-পরিসংখ্যান দেখেন। তিনি পরামর্শ দিলেন, ক্লাব ক্রিকেটে ছোট দলে খেলতে। ভারতের হারমানপ্রীতের বয়স কি আমার চেয়ে কম? তাদের কি দল থেকে আমাদের মতো ছাঁটাই করা হয়েছে?

প্রশ্ন: একজন খেলোয়াড় তো সারা জীবন খেলবেন না, তবে সবাই চায় শেষটা হোক সম্মানের সঙ্গে।

রুমানা: দেখুন, আমার দায়িত্ব না একজন জুনিয়র খেলোয়াড়কে লালন-পালন করা। আমার দায়িত্ব দেশকে সেরাটা দেওয়া। কদিন আগে শেষ হওয়া বিশ্বকাপে দেখুন, অন্য দলগুলো তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের কী সম্মানের সঙ্গে বিদায় দিয়েছে। আমাদের দেশে কোনো সিনিয়রকে এই সম্মান দেওয়া হয়? আমরা কদিন খেলব? সিনিয়রদের হুট করে ঝেড়ে ফেলে জাতীয় দল কি শিক্ষানবিশদের শেখানোর জায়গা করা যায়?

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সিনিয়রদের শেষ দিক আর জুনিয়রদের উঠে আসার যে ট্রানজিশনাল সময়, সেটা খুব একটা মসৃণ হয় না।

রুমানা: বোর্ডের কাছে কখনো দাবি করিনি—সিনিয়র বলেই দলে রাখেন। আমাকে রাখবেন পারফরম্যান্স দেখে। যোগ্যতা দেখে।

প্রশ্ন: যেসব নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে, আপনারা কি কখনো আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবেননি?

রুমানা: সে চেষ্টা করিনি, ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের মতো পরিশ্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: তবে এটা ঠিক, আপনারা কি বিসিবিকে জানিয়েছেন?

রুমানা: হ্যাঁ, আমাদের অভিভাবক বিসিবি। বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানালে তাঁরা বিষয়টি মানুষের সামনে অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। ধরুন, তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, রুমানাকে কেন দলে রাখা হয়নি, তার পারফরম্যান্স তো ভালো। তখন তাঁরা উত্তর দেবেন, রুমানা আনফিট। কিন্তু যে পারফর্ম করে, সে আনফিট হয় কী করে? একদিন আমাকে বোর্ড রুমে বলা হলো, তুমি ক্রিকেট ছেড়ে অন্য কিছু করার চিন্তা করো। বললাম, এখনো আমার ধ্যানজ্ঞান সব ক্রিকেটজুড়ে। ক্রিকেটের জন্য জীবনে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করেছি। ফ্যামিলি ছেড়ে দিনের পর দিন ঢাকায় প্র্যাকটিস করেছি। যদি পারফর্ম না করতে পারতাম, মেনে নিতাম।

প্রশ্ন: জাহানারার বিস্ফোরক সব অভিযোগের পর বিসিবি তদন্ত কমিটি গঠন করছে। তাদের এই তদন্তের ওপর কতটা আস্থা রাখছেন?

রুমানা: বোর্ডের প্রথম সাপোর্ট থাকবে (অধিনায়ক) জ্যোতির ওপর। শুরুতে দেখেছেন, ওকে আগলে রাখার চেষ্টা করেছে, বোর্ড অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাহানারার অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা থাকতে পারে যে এসব ঘটেনি, কেউ দেখেনি। মঞ্জু ভাইয়ের ডান হাত ছিল জ্যোতি। এখন জ্যোতি তো মঞ্জু ভাইকে নিয়ে নেতিবাচক কিছু বলবে না, সে বর্তমানে অধিনায়ক। আমি মনে করি, সুষ্ঠু তদন্ত করতে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে হবে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে হবে না।

প্রশ্ন: আপনি ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য। নারী ক্রিকেটারদের নিরাপদ ক্যারিয়ার গঠনে আপনাদের চাওয়া কী থাকবে?

রুমানা: এরই মধ্যে কোয়াবের সভাপতি মিঠুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে, জোরালো আওয়াজ তোলা হবে।

আরও পড়ুন:

হেনস্তার শিকার সব নারী ক্রিকেটারকে মুখ খোলার আহ্বান তামিমের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত