Ajker Patrika

দিয়াবাতের জোড়া গোলে বসুন্ধরাকে হারাল মোহামেডান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। ফাইল ছবি
বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। ফাইল ছবি

ঘরের মাঠে বসুন্ধরা কিংসের সামনে সুযোগ ছিল প্রথম লেগে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। সুযোগ ছিল পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধান কমিয়ে শিরোপা লড়াই জমিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তা হতে দেয়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে বসুন্ধরাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল করল আলফাজ আহমেদের দল।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুতে মোহামেডানকে কিছুটা চাপে রাখে বসুন্ধরা। তবে ১৮ মিনিটে কিংস ডিফেন্ডার দাসিয়েল এলিস ও গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল কেড়ে নেন দিয়াবাতে। এরপর ফাঁকা পোস্টে শট নিয়ে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক। সেই ভুল শোধরাতে অবশ্য ছয় মিনিট লাগে বসুন্ধরার। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সোহেল রানার শট মেহেদী হাসান প্রতিহত করলেও ফিরতি বল পেয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান রাকিব হোসেন।

৪৮ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। ইমানুয়েল সানডেকে পেছন থেকে টেনে ধরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রিমন। একজন বেশি নিয়ে খেলায় বসুন্ধরার ওপর চড়াও হয় মোহামেডান। তাই আক্রমণের ধার বাড়াতে একসঙ্গে তিন বদল আনেন বসুন্ধরা কোচ ভালেরিউ তিতা। জনাথন ফার্নান্দেজ, মজিবর রহমান জনি ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে তুলে নিয়ে ইভান্স এত্তি, সাব্বির হোসেন ও হুয়ান লেসকানোকে মাঠে নামান তিনি।

তবে ৭০ মিনিটে মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রাকিব। এর প্রভাব পড়ে গ্যালারিতেও। ক্ষুব্ধ হয়ে দুই দলের সমর্থকেরা বোতল-জুতা ছোড়াছুড়ি করতে থাকেন একে অপরের ওপর। যার ফলে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৮ মিনিটের মতো।

খেলা শুরু হওয়ার পর ৮৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে মোহামেডানকে ফের উল্লাসে ভাসান দিয়াবাতে। সানডের লং পাস থেকে আবারও সেই দাসিয়েল ও শ্রাবণকে দারুণভাবে পরাস্ত করে জালে বল ঠেলেন তিনি। লিগে এটি তাঁর নবম গোল।

ম্যাচের শেষ দিকে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। এই হার শিরোপা লড়াই থেকে যেন ছিটকেই দিল তাদের। কারণটাও বেশ ভালোভাবে দৃশ্যমান। ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা। তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষে মোহামেডান (৩০)। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আবাহনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরুর একাদশে ফিরলেন জামাল, আছেন হামজাও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামাল ফিরেছেন শুরুর একাদশে। তাঁর সঙ্গে আছেন হামজা চৌধুরীও। ছবি: ফাইল ছবি
জামাল ফিরেছেন শুরুর একাদশে। তাঁর সঙ্গে আছেন হামজা চৌধুরীও। ছবি: ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবশেষ বাংলাদেশ খেলেছে ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না জামাল ভূঁইয়া। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ নেপালের বিপক্ষে জামালকে নিয়েই শুরুর একাদশ সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অনুমিতভাবেই শুরুর একাদশে আছেন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে শুরুর একাদশ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গোলরক্ষকের দায়িত্বে আছেন মিতুল মারমা। জামাল-হামজার সঙ্গে মাঝমাঠের আক্রমণে আছেন দুই সোহেল রানা। রক্ষণভাগে আছেন সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী ও জায়ান আহমেদ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন থাকবেন আক্রমণভাগে।

নেপালের বিপক্ষে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন শেখ মোরসালিন, শমিত সোম ও শাকিল আহাদ তপু। তাঁদের পরিবর্তে আজ একাদশে এসেছেন জামাল, সোহেল রানা সিনিয়র ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। নেপালের বিপক্ষে শমিত শুরুর একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে নামতে পারেন। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলছে মূলত ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে। জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। এই ম্যাচটি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের অন্তর্গত।

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর একাদশ

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা

রক্ষণভাগ: সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, জায়ান আহমেদ

মধ্যমাঠ: জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা জুনিয়র, সোহেল রানা সিনিয়র

আক্রমণভাগ: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কয়টি ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো, ফাইনাল কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ছবি: সংগৃহীত
৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গত বছর ইউরো জিতেছিল স্পেন। আগামী ইউরোতে স্প্যানিশরা নামবে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নতুন আসরের ইউরো শুরু হতে এখনো আড়াই বছর বাকি থাকলেও দামামা যেন বেজে হেছে। ২০২৮ সালে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট হবে ৯ ভেন্যুতে।

ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গতকাল বুধবার লন্ডনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ৯ জুন কার্ডিফে শুরু হবে আগামী ইউরোর প্রথম ম্যাচ। ফাইনাল হবে ৯ জুলাই ওয়েম্বলিতে। ৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে ৫১ ম্যাচ হবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড—২০২৮ ইউরো হবে এই চার দেশে। আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে টুর্নামেন্টের মূল পর্বে যারা উঠবে, ঘরের মাঠেই তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো খেলবে।

আগের বারের মতো এবার সরাসরি খেলার কোনো সুযোগ নেই। বাছাইপর্ব পেরিয়ে তাই ২০২৮ ইউরোর মূলপর্বে খেলতে হবে। প্রথমে চার আয়োজক দেশকে বাছাইপর্বে আলাদা আলাদা গ্রুপে রাখা হবে। যারা সরাসরি উঠতে পারবে না মূল পর্বে, তাদের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে থাকা দুই দল উঠবে মূলপর্বে। ফাইনালের পাশাপাশি সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে ম্যাচও ওয়েম্বলিতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালের অন্যান্য ম্যাচগুলোর ভেন্যু ডাবলিন, গ্লাসগো ও কার্ডিফ। ওয়েম্বলি, ডাবলিন, গ্লাসগো, কার্ডিফের পাশাপাশি ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ, নিউক্যাসলের সেন্ট জেমস পার্ক, লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম, লিভারপুলের হিল ডিকিনসন স্টেডিয়াম ও বার্মিংহামের ভিলা পার্কে হবে আগামী ইউরো।

২০২৮ ইউরোর কারণে ২০২৮ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৩৬০ কোটি পাউন্ড আয় হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে উয়েফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৫৭ হাজার ৮৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২৮ ইউরোয় আমরা সবাই এক হয়ে ফুটবলের ভাষায় কথা বলব। যেখানে এই খেলার জন্ম, ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামগুলোতে লাখ লাখ সমর্থককে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা।’

এখন পর্যন্ত ১৭ আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার ইউরো জিতেছে স্পেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার ইউরো জিতেছে জার্মানি। দুইবার করে জিতেছে ইতালি ও ফ্রান্স। একবার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও গ্রিস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করছে ক্রীড়া পরিষদও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ক্রীড়া পরিষদও করছে তদন্ত কমিটি। ছবি: ফাইল ছবি
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ক্রীড়া পরিষদও করছে তদন্ত কমিটি। ছবি: ফাইল ছবি

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত কমিটি আগেই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার এই ঘটনার তদন্ত কমিটি করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও (এনএসসি)।

এনএসসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ক্রীড়া পরিষদের অন্তর্গত সকল ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনকে ন্যুনতম ৩ (তিন) জন নারী সদস্যসহ ৫ সদস্যের একটি অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে। ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সেটা এনএসসিতে পাঠাতে হবে। যদি সেই কমিটির মাধ্যমে কোনো ভুক্তভোগী প্রতিকার না পান বা অভিযোগের পর সুষ্ঠু বিচার না পান, তাহলে ক্রীড়া পরিষদের কাছে আবারও অভিযোগ করার সুযোগ থাকবে।

বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম কদিন একাধিক সাক্ষাৎকারে সতীর্থ, অধিনায়ক, কোচিং স্টাফ, নির্বাচক ও বিসিবির নারী বিভাগের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং বিসিবির নারী বিভাগের প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর ও স্পর্শকাতর অভিযোগ এসেছে তাঁর সাক্ষাৎকারে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৮ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছিল বিসিবি। সেই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সাবেক বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও ব্যারিস্টার সরওয়াত সিরাজ শুক্লা রয়েছেন এবং বিসিবি পরিচালক রুবাবা দৌলা। সেই কমিটিতে নতুন করে গতকাল যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাইমা হক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের সামনে এখন ইনিংস জয়ের হাতছানি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১১
উইকেট নেওয়ার পর এভাবেই উদযাপন করেছেন নাহিদ রানা। ছবি: বিসিবি
উইকেট নেওয়ার পর এভাবেই উদযাপন করেছেন নাহিদ রানা। ছবি: বিসিবি

টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়ার সুযোগ থাকলেও সেটা কাজে লাগায়নি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের পাহাড় গড়া বাংলাদেশের সামনে এখন ইনিংস জয়ের হাতছানি।

সিলেটে পরশু শুরু হওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ফিল্ডিংয়ে যা একটু গুবলেট পাকিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের দুই দিন দাপট দেখিয়ে খেলেছে শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই বোলিংটাও স্বাগতিকদের হচ্ছে দুর্দান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৮৬ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। ইনিংস পরাজয় এড়াতে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে এখনো ২১৫ রান করতে হবে সফরকারীদের।

বাংলাদেশ ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণার পরই দ্রুত ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাড কারমাইকেলকে (৫) বোল্ড করেন নাহিদ রানা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৪৭ রানের জুটি গড়েন পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্লিংয়ের (৪৩) বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন, সেটা চমকে দেওয়ার মতোই। তাইজুল ইসলামের বলে প্রথমে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেছেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। স্লিপ থেকে এরপর সরাসরি থ্রোতে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন শান্ত।

স্টার্লিংয়ের বিদায়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ১৭.২ ওভারে ২ উইকেটে ৬১ রান। এখান থেকেই ধসের শুরু সফরকারীদের ইনিংসে। মুহূর্তেই আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২৬.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৫ রান। যেখানে আইরিশদের একটা উইকেটে বোলার হাসান মুরাদের চেয়ে সাদমান ইসলামের কৃতিত্বই বেশি। ২৫তম ওভারের প্রথম বলে মুরাদকে কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন কার্টিস কাম্ফার (৫)। বাজপাখির মতো উড়ে ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ২৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে আয়ারল্যান্ড। হাসান মুরাদ নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।

প্রথম ইনিংসে ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছিল মুমিনুল হককেও। কিন্তু কোনোটির কিছুই হয়নি। লাঞ্চের আগেই জয় (১৭১) ও মুমিনুল হকের (৮২) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই সেট ব্যাটারের উইকেট হারানোর পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের (২৩) উইকেটও লাঞ্চের আগে হারায় স্বাগতিকেরা। ১১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪৭ রানে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে শান্তর দল।

লাঞ্চের পরই শান্ত গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ১১২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে সেটা চতুর্থ। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন মুশফিক ও শান্ত। তবে রেকর্ড গড়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ১১৪ বলে ১৪ চারে ১০০ রান করার পর বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যারি ম্যাকার্থি।

শান্তর মতো ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছেন লিটন দাসও। ৬৬ বলে ৬০ রান করে আউট হয়েছেন লিটন। বাংলাদেশের ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। কিন্তু সাদমান ইসলাম (৮০) ও মুমিনুল (৮২) ৮০-এর ঘরে আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। আয়ারল্যান্ডের ম্যাথু হামফ্রিস ৪৩ ওভারে ১৭০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান বাংলাদেশ করেছিল ২০১৩ সালে। ১২ বছর আগে গলে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির (২০০) পাশাপাশি মোহাম্মদ আশরাফুল (১৯০) ও নাসির হোসেনের (১০০) জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পর সিলেটে বাংলাদেশ নিজেদের রেকর্ড প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত