রানা আব্বাস, নিউইয়র্ক থেকে

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
মার্কিন মুলুকে আসা মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাভার করতে। যুক্তরাষ্ট্র-পর্বের পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এখন সেটির শেষ অংশ মঞ্চস্থ হওয়ার অপেক্ষা। সুপার এইট থেকে বাংলাদেশ দলের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা অধিকাংশ বাংলাদেশি সাংবাদিকের মতো এই প্রতিবেদকেরও সময় হয়েছে দেশে ফেরার। নিউইয়র্ক থেকে ফেরার আগে আকস্মিকভাবে সুযোগ মিলে গেল কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা-চিলি ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে দেখার। আরও একটি কারণে ম্যাচটি দেখা, বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনে কেন এই মাঠকেই বেছে নিয়েছে ফিফা, সেটিও বোঝার চেষ্টা।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামটা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কাছে একচিলতে বেদনার ভিটেমাটিও। এ স্টেডিয়ামেই ২০১৬ সালে কোপার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার পরে আবার ফিরেছেন এবং তাঁর অর্জনের খাতায় কী কী যোগ হয়েছে, সেসব তো জানাই। কাল সেই চিলির বিপক্ষে মেটলাইফে আরেকটি কোপার ম্যাচে কী করে মেসির আর্জেন্টিনা, সেটাই ছিল দেখার।
ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামে চিলির লাল জার্সি পরিহিত দর্শকেরা যেন লীন হয়ে গেল আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা জার্সির স্রোতে। ‘ভামোস আর্হেন্তিনা-আর্হেন্তিনা’ আর ‘মেসি-মেসি-মেসি’ কোরাস ম্যাচজুড়ে; তাতে বিশাল স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চিলির দর্শকদের লাল লাল কিছু বিন্দুর মতো দেখায়। ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো ওলে-ওলে গানের সুরে কেমন এক অদ্ভুত মাদকতা তৈরি করে চারদিকে। কাছাকাছি বসা এক চিলিয়ান নারী সমর্থক নিয়ে এসেছেন ছোট্ট দুই শিশুপুত্রকে। দুই খুদে সমর্থকের একজনের গায়ে মেসির ‘১০’ নম্বর জার্সি, আরেকজনের গায়ে চিলিয়ান তারকা অ্যালেক্সিস সানচেজের।
ম্যাচের প্রথমার্ধ যায়, দ্বিতীয়ার্ধও প্রায় শেষ হয়ে আসে, আর্জেন্টিনা কেন যেন চিলির গোলমুখ খুলতে পারছিল না। মেসিকে অধিকাংশ সময়ে ছোট ছোট পায়ে হেঁটেই বেড়াতে দেখা গেল। তাঁর কাছে বল আসার পকেটগুলো কড়া পাহারায় বন্ধ করে রেখেছিল চিলিয়ান জমাট রক্ষণ। তবু বল এলেই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন জাদুকর তাঁর পায়ের জাদু দেখানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন। আর মেসির পায়ে বল মানেই বিশাল গ্যালারি কেঁপে ওঠা। চিলির ডিফেন্ডারের বাজে ট্যাকলে মেসি পড়ে গেলে ‘উউউউ...’ বলে বিকট আওয়াজ। আবার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ত্রাতা হয়ে দলকে রক্ষা করলে স্বস্তির করতালি। তাদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আসে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে মেসির কর্নারে রিবাউন্ড শটে লাওতারো মার্তিনেজ গোল করলে। সেই গোলের পর যখন ভিএআর চেক হচ্ছিল, তখন আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের দুরুদুরু অপেক্ষাটাও ছিল দেখার মতো।
সবকিছু ছাপিয়ে আর্জেন্টিনা-সমর্থকেরা ঘরে ফিরেছে ম্যাচ জয় আর কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে। ঠিক দুই বছরে এ মাঠে যখন বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে, আর্জেন্টিনাকে দেখা যাবে তো? গ্যালারি থেকে বের হতে হতে আর্জেন্টাইন সমর্থক ক্রিশ্চিয়ানো আশাবাদী, আর্জেন্টিনা আবারও ফাইনালে উঠবে। বাংলাদেশের নাম শুনেছেন? ক্রিশ্চিয়ানোর ত্বরিত জবাব, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমাদের কাছে বাংলাদেশ অতি পরিচিত এক নাম। বিশ্বকাপের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, তারা আমাদের কী মাত্রায় সমর্থন দেয়। উই লাভ বাংলাদেশ।’

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
মার্কিন মুলুকে আসা মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাভার করতে। যুক্তরাষ্ট্র-পর্বের পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এখন সেটির শেষ অংশ মঞ্চস্থ হওয়ার অপেক্ষা। সুপার এইট থেকে বাংলাদেশ দলের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা অধিকাংশ বাংলাদেশি সাংবাদিকের মতো এই প্রতিবেদকেরও সময় হয়েছে দেশে ফেরার। নিউইয়র্ক থেকে ফেরার আগে আকস্মিকভাবে সুযোগ মিলে গেল কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা-চিলি ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে দেখার। আরও একটি কারণে ম্যাচটি দেখা, বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনে কেন এই মাঠকেই বেছে নিয়েছে ফিফা, সেটিও বোঝার চেষ্টা।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামটা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কাছে একচিলতে বেদনার ভিটেমাটিও। এ স্টেডিয়ামেই ২০১৬ সালে কোপার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার পরে আবার ফিরেছেন এবং তাঁর অর্জনের খাতায় কী কী যোগ হয়েছে, সেসব তো জানাই। কাল সেই চিলির বিপক্ষে মেটলাইফে আরেকটি কোপার ম্যাচে কী করে মেসির আর্জেন্টিনা, সেটাই ছিল দেখার।
ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামে চিলির লাল জার্সি পরিহিত দর্শকেরা যেন লীন হয়ে গেল আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা জার্সির স্রোতে। ‘ভামোস আর্হেন্তিনা-আর্হেন্তিনা’ আর ‘মেসি-মেসি-মেসি’ কোরাস ম্যাচজুড়ে; তাতে বিশাল স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চিলির দর্শকদের লাল লাল কিছু বিন্দুর মতো দেখায়। ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো ওলে-ওলে গানের সুরে কেমন এক অদ্ভুত মাদকতা তৈরি করে চারদিকে। কাছাকাছি বসা এক চিলিয়ান নারী সমর্থক নিয়ে এসেছেন ছোট্ট দুই শিশুপুত্রকে। দুই খুদে সমর্থকের একজনের গায়ে মেসির ‘১০’ নম্বর জার্সি, আরেকজনের গায়ে চিলিয়ান তারকা অ্যালেক্সিস সানচেজের।
ম্যাচের প্রথমার্ধ যায়, দ্বিতীয়ার্ধও প্রায় শেষ হয়ে আসে, আর্জেন্টিনা কেন যেন চিলির গোলমুখ খুলতে পারছিল না। মেসিকে অধিকাংশ সময়ে ছোট ছোট পায়ে হেঁটেই বেড়াতে দেখা গেল। তাঁর কাছে বল আসার পকেটগুলো কড়া পাহারায় বন্ধ করে রেখেছিল চিলিয়ান জমাট রক্ষণ। তবু বল এলেই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন জাদুকর তাঁর পায়ের জাদু দেখানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন। আর মেসির পায়ে বল মানেই বিশাল গ্যালারি কেঁপে ওঠা। চিলির ডিফেন্ডারের বাজে ট্যাকলে মেসি পড়ে গেলে ‘উউউউ...’ বলে বিকট আওয়াজ। আবার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ত্রাতা হয়ে দলকে রক্ষা করলে স্বস্তির করতালি। তাদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আসে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে মেসির কর্নারে রিবাউন্ড শটে লাওতারো মার্তিনেজ গোল করলে। সেই গোলের পর যখন ভিএআর চেক হচ্ছিল, তখন আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের দুরুদুরু অপেক্ষাটাও ছিল দেখার মতো।
সবকিছু ছাপিয়ে আর্জেন্টিনা-সমর্থকেরা ঘরে ফিরেছে ম্যাচ জয় আর কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে। ঠিক দুই বছরে এ মাঠে যখন বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে, আর্জেন্টিনাকে দেখা যাবে তো? গ্যালারি থেকে বের হতে হতে আর্জেন্টাইন সমর্থক ক্রিশ্চিয়ানো আশাবাদী, আর্জেন্টিনা আবারও ফাইনালে উঠবে। বাংলাদেশের নাম শুনেছেন? ক্রিশ্চিয়ানোর ত্বরিত জবাব, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমাদের কাছে বাংলাদেশ অতি পরিচিত এক নাম। বিশ্বকাপের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, তারা আমাদের কী মাত্রায় সমর্থন দেয়। উই লাভ বাংলাদেশ।’

আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
১০ মিনিট আগে
আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে...
৩৮ মিনিট আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
প্রথমবারের মতো এনসিএলে দল পেয়েছে ময়মনসিংহ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে দলটির। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬৮ রান। ময়মনসিংহের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরিফুল। আসাদুল্লাহ আল গালিবের বলে সৈকত আলীর হাতে ধরা পড়ার আগে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটার।
৬৫ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে। তাহজিবুল ইসলাম করেন ৪৩ রান। আবু হায়দার রনি ১৬ ও শহিদুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা। মার্শাল একাই করেন ১০৫ রান। জিসান আলমের অবদান ৭১ রান। জবাবে ৬৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রংপুর। আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৩ ও নবিন ইসলাম করেন ২১ রান।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন শেখ জীবন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। ইমরানুজ্জামান করেন ৪৩ রান। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে চট্টগ্রাম–রাজশাহীর ম্যাচে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪০১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী দল। ইয়াসিরের অবদান ১২৯ রান। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জয় খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস। ইরফান শুক্কুরের অবদান ৭২ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১ রান করতেই ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রাজশাহী।

আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
প্রথমবারের মতো এনসিএলে দল পেয়েছে ময়মনসিংহ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে দলটির। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬৮ রান। ময়মনসিংহের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরিফুল। আসাদুল্লাহ আল গালিবের বলে সৈকত আলীর হাতে ধরা পড়ার আগে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটার।
৬৫ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে। তাহজিবুল ইসলাম করেন ৪৩ রান। আবু হায়দার রনি ১৬ ও শহিদুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা। মার্শাল একাই করেন ১০৫ রান। জিসান আলমের অবদান ৭১ রান। জবাবে ৬৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রংপুর। আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৩ ও নবিন ইসলাম করেন ২১ রান।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন শেখ জীবন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। ইমরানুজ্জামান করেন ৪৩ রান। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে চট্টগ্রাম–রাজশাহীর ম্যাচে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪০১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী দল। ইয়াসিরের অবদান ১২৯ রান। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জয় খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস। ইরফান শুক্কুরের অবদান ৭২ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১ রান করতেই ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রাজশাহী।

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টে
২৭ জুন ২০২৪
আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে...
৩৮ মিনিট আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
এক সময়ের প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের কতটা ভগ্নদশা, সেটা ছোট একটা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয় একরকম স্বস্তি বয়ে এনেছে। ছেলেদের ক্রিকেটের সমান্তরালে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররাও ব্যস্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে। নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ভারতে চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচে কেবল ১ ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট পেয়েছে।
যে পাঁচ ম্যাচ বিশ্বকাপে হেরেছে, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। ভুলের খেসারত দিয়ে নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন জ্যোতিরা। গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে আজ এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাঁর আশা, মিরাজদের আগেই বিশ্বকাপ জিতবেন জ্যোতিরা। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘অবশ্যই ছেলেদের ক্রিকেট ভালো করবে। কিন্তু আমার মনে হয় ছেলেদের আগে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। সেই সম্ভাবনাটা আমাদের আছে। আমাদের যে চলমান বিশ্বকাপ চলছে, ছোট ছোট ভুল না করলে আমরা হয়তো পাঁচটা ম্যাচ জিততাম। সেমিফাইনাল খেলার অন্যতম এক প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতাম।’
এ বছরের মে মাসে বুলবুল সভাপতি হয়েছিলেন ফারুকের পরিবর্তে। তখন কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার আশার কথা শুনিয়েছিলেন বুলবুল। হাতে নিয়েছিলেন ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ এক প্রোগ্রাম। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের পর চার বছরের মেয়াদে বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। আজ গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এই চার বছরের মেয়াদে আমাদের কয়েকটা লক্ষ্যের মধ্যে একটা হচ্ছে যে বাংলাদেশে শুধু আমরা ক্রিকেটার তৈরি করব না। ক্রিকেটারের মাধ্যমে ভালো নাগরিক তৈরি করব। সেজন্য ট্রিপল সেঞ্চুরির অধীনে একটা প্রোগ্রাম চালাচ্ছি। যেটার ভিত্তি হচ্ছে ট্রিপল সেঞ্চুরি। শতভাগ বিশ্বাস, শতভাগ রিচ, শতভাগ পারফরম্যান্স—এটার ওপর ভিত্তি করে আমাদের ক্রিকেটের উন্নয়নে পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি।’
আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। আইসিসি ইভেন্ট তো বটেই, ভারত-ইংল্যান্ড, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো সিরিজেও আম্পায়ারিং করেছেন। সৈকতের মতো আম্পায়ার তৈরি হওয়ার পেছনে বুলবুল কৃতিত্ব দিয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠুকে। বর্তমানে মিঠু বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। মিঠু প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘এখানে আছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। তার সময়ে একজন এলিট আম্পায়ার হয়েছেন। আমাদের ছয় আম্পায়ার, যাঁদের মধ্যে আছেন তিন আম্পায়ার। তাঁরা আইসিসির প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার।’
বুলবুল আজ গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে বিসিবির বর্তমান সহসভাপতি ফারুক আহমেদ, বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমসহ অনেকের নামই উল্লেখ করেছেন। তিনি যখন ছোট ছিলেন, সেই সময়ে দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব বারবার রানার্সআপ হতো বলে আজ জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি জেলা, উপজেলায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেরা প্রতিভাগুলো বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে নিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
এক সময়ের প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের কতটা ভগ্নদশা, সেটা ছোট একটা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয় একরকম স্বস্তি বয়ে এনেছে। ছেলেদের ক্রিকেটের সমান্তরালে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররাও ব্যস্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে। নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ভারতে চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচে কেবল ১ ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট পেয়েছে।
যে পাঁচ ম্যাচ বিশ্বকাপে হেরেছে, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। ভুলের খেসারত দিয়ে নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন জ্যোতিরা। গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে আজ এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাঁর আশা, মিরাজদের আগেই বিশ্বকাপ জিতবেন জ্যোতিরা। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘অবশ্যই ছেলেদের ক্রিকেট ভালো করবে। কিন্তু আমার মনে হয় ছেলেদের আগে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। সেই সম্ভাবনাটা আমাদের আছে। আমাদের যে চলমান বিশ্বকাপ চলছে, ছোট ছোট ভুল না করলে আমরা হয়তো পাঁচটা ম্যাচ জিততাম। সেমিফাইনাল খেলার অন্যতম এক প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতাম।’
এ বছরের মে মাসে বুলবুল সভাপতি হয়েছিলেন ফারুকের পরিবর্তে। তখন কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার আশার কথা শুনিয়েছিলেন বুলবুল। হাতে নিয়েছিলেন ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ এক প্রোগ্রাম। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের পর চার বছরের মেয়াদে বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। আজ গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এই চার বছরের মেয়াদে আমাদের কয়েকটা লক্ষ্যের মধ্যে একটা হচ্ছে যে বাংলাদেশে শুধু আমরা ক্রিকেটার তৈরি করব না। ক্রিকেটারের মাধ্যমে ভালো নাগরিক তৈরি করব। সেজন্য ট্রিপল সেঞ্চুরির অধীনে একটা প্রোগ্রাম চালাচ্ছি। যেটার ভিত্তি হচ্ছে ট্রিপল সেঞ্চুরি। শতভাগ বিশ্বাস, শতভাগ রিচ, শতভাগ পারফরম্যান্স—এটার ওপর ভিত্তি করে আমাদের ক্রিকেটের উন্নয়নে পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি।’
আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। আইসিসি ইভেন্ট তো বটেই, ভারত-ইংল্যান্ড, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো সিরিজেও আম্পায়ারিং করেছেন। সৈকতের মতো আম্পায়ার তৈরি হওয়ার পেছনে বুলবুল কৃতিত্ব দিয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠুকে। বর্তমানে মিঠু বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। মিঠু প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘এখানে আছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। তার সময়ে একজন এলিট আম্পায়ার হয়েছেন। আমাদের ছয় আম্পায়ার, যাঁদের মধ্যে আছেন তিন আম্পায়ার। তাঁরা আইসিসির প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার।’
বুলবুল আজ গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে বিসিবির বর্তমান সহসভাপতি ফারুক আহমেদ, বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমসহ অনেকের নামই উল্লেখ করেছেন। তিনি যখন ছোট ছিলেন, সেই সময়ে দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব বারবার রানার্সআপ হতো বলে আজ জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি জেলা, উপজেলায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেরা প্রতিভাগুলো বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে নিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টে
২৭ জুন ২০২৪
আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
১০ মিনিট আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি। কোহলির সামনে এখন কেবল ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছে ভারত। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য নিয়মরক্ষার। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে জয়ে ফিরেছে সফরকারী দল। অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ধবলধোলাই এড়িয়েছে তারা। দলের জয়ের দিনে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি।
১৪২৩৪ রান নিয়ে লম্বা সময় ধরে ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার দুইয়ে ছিলেন সাঙ্গাকারা। ১৪১৮১ রান নিয়ে সিডনিতে খেলতে নামেন কোহলি। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলতে ৫৪ রান দরকার ছিল তাঁর। দল জিতিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন কোহলির নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ১৪২৫৫ রান।
এই রান করতে ২৯৩ ইনিংস ব্যাট করলেন কোহলি। অন্যদিকে সাঙ্গাকারা খেলেছেন ৩৮০ ইনিংস। তালিকার শীর্ষে থাকা শচীনের সংগ্রহ ১৮৪২৬ রান। এই রান করতে ৪৫২ ইনিংস ব্যাট করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, ‘মাঝে মাঝে খেলার বাইরে থাকাটা ভালো। এই পর্যায়েও খেলা থেকে কিছু শেখা যায়। পরিস্থিতি পক্ষে না গেলে তখন সেটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। মাঝের ওভারের পরিস্থিতি আমার সেরাটা বের করে আনে। রোহিতের সাথে ব্যাট করা সহজ। ম্যাচ শেষ করে আসতে পারায় আমি অনেক খুশি।’
অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের উদ্দ্যেশে কোহলি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দল এটাও জানে যে রোহিত ও আমি যদি একসাথে ২০ ওভার ব্যাট করি তাহলে ম্যাচ জিতে যাব। আমরা এই দেশে আসতে ভালোবাসি। এখানে আমাদের কিছু সেরা ম্যাচ খেলেছি। এখানকার দর্শকরা দারুণ।’

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি। কোহলির সামনে এখন কেবল ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছে ভারত। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য নিয়মরক্ষার। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে জয়ে ফিরেছে সফরকারী দল। অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ধবলধোলাই এড়িয়েছে তারা। দলের জয়ের দিনে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি।
১৪২৩৪ রান নিয়ে লম্বা সময় ধরে ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার দুইয়ে ছিলেন সাঙ্গাকারা। ১৪১৮১ রান নিয়ে সিডনিতে খেলতে নামেন কোহলি। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলতে ৫৪ রান দরকার ছিল তাঁর। দল জিতিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন কোহলির নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ১৪২৫৫ রান।
এই রান করতে ২৯৩ ইনিংস ব্যাট করলেন কোহলি। অন্যদিকে সাঙ্গাকারা খেলেছেন ৩৮০ ইনিংস। তালিকার শীর্ষে থাকা শচীনের সংগ্রহ ১৮৪২৬ রান। এই রান করতে ৪৫২ ইনিংস ব্যাট করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, ‘মাঝে মাঝে খেলার বাইরে থাকাটা ভালো। এই পর্যায়েও খেলা থেকে কিছু শেখা যায়। পরিস্থিতি পক্ষে না গেলে তখন সেটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। মাঝের ওভারের পরিস্থিতি আমার সেরাটা বের করে আনে। রোহিতের সাথে ব্যাট করা সহজ। ম্যাচ শেষ করে আসতে পারায় আমি অনেক খুশি।’
অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের উদ্দ্যেশে কোহলি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দল এটাও জানে যে রোহিত ও আমি যদি একসাথে ২০ ওভার ব্যাট করি তাহলে ম্যাচ জিতে যাব। আমরা এই দেশে আসতে ভালোবাসি। এখানে আমাদের কিছু সেরা ম্যাচ খেলেছি। এখানকার দর্শকরা দারুণ।’

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টে
২৭ জুন ২০২৪
আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
১০ মিনিট আগে
আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে...
৩৮ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
পার্থে ১৯ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অ্যাডিলেডে অজিরা পেয়েছিল ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। সিডনিতে আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া নেমেছিল ভারতকে ধবলধোলাই করতে। কিন্তু রোহিত যেদিন জ্বলে ওঠেন, সেদিন তাঁকে থামানো অনেক কঠিন। তাঁর ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংসে ভারত পেয়েছে ৯ উইকেটের জয়। শুধু রোহিতই নন, কোহলিও গত কদিন ধরে চলতে থাকা সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মাঠে। আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া কোহলি আজ সিডনিতে তুলে নিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি।
২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে রয়েসয়ে শুরু করে ভারত। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা করেছে ১১ রান। ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শুবমান গিল ও রোহিত। ৬২ বলে ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তাঁরা (রোহিত-গিল)। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গিলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জশ হ্যাজলউড। ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন গিল।
গিল আউট হওয়ার পর এরপর সিডনিতে ‘রো-কো শো’। রোহিত তুলনামূলক আক্রমণাত্মক খেললেও কোহলি খেলেছেন ঠাণ্ডা মাথায়। দুজনেই ৯০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। রোহিত ১০৫ বলে তুলে নিয়েছেন তাঁর ৩৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ভারতের জিততে যখন ২৩ রান বাকি, তখন জীবন পেয়েছেন রোহিত। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে নাথান এলিসকে তুলে মারতে যান রোহিত। হ্যাজলউড মিড অন থেকে দৌড়ে এসেও ক্যাচ ধরতে পারেননি। যদিও এলিস জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন হ্যাজলউডের জন্য।
১০৮ রানে রোহিত জীবন পাওয়ার পর ভারতের খেলা শেষ করতে দুই ওভারও লাগেনি। শেষটা হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে এলিসকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে ভারতকে ৯ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রোহিত। ১২৫ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ বলে ১৬৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন রোহিত-কোহলি। ৮১ বলে ৭ চারে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি।
টস জিতে আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মার্শ। একটা পর্যায়ে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ৩৩.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান। সেখান থেকেই ধস নামে মার্শের দলের ইনিংসে। ৫৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অজিরা ৪৬.৪ ওভারে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ম্যাট রেনশ। ভারতের হার্ষিত রানা ৮.৪ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন রোহিত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৬৭.৩৩ গড়ে করেছেন ২০২ রান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিত শর্মা খেলছেন শুধু ওয়ানডেই। তবে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ৯ মাস পর ফিরে করেছিলেন ৮ রান। অ্যাডিলেডে এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। আজ রোহিত ছাপিয়ে গেছেন আগের দুই ইনিংসকেই।
পার্থে ১৯ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অ্যাডিলেডে অজিরা পেয়েছিল ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। সিডনিতে আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া নেমেছিল ভারতকে ধবলধোলাই করতে। কিন্তু রোহিত যেদিন জ্বলে ওঠেন, সেদিন তাঁকে থামানো অনেক কঠিন। তাঁর ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংসে ভারত পেয়েছে ৯ উইকেটের জয়। শুধু রোহিতই নন, কোহলিও গত কদিন ধরে চলতে থাকা সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মাঠে। আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া কোহলি আজ সিডনিতে তুলে নিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি।
২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে রয়েসয়ে শুরু করে ভারত। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা করেছে ১১ রান। ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শুবমান গিল ও রোহিত। ৬২ বলে ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তাঁরা (রোহিত-গিল)। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গিলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জশ হ্যাজলউড। ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন গিল।
গিল আউট হওয়ার পর এরপর সিডনিতে ‘রো-কো শো’। রোহিত তুলনামূলক আক্রমণাত্মক খেললেও কোহলি খেলেছেন ঠাণ্ডা মাথায়। দুজনেই ৯০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। রোহিত ১০৫ বলে তুলে নিয়েছেন তাঁর ৩৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ভারতের জিততে যখন ২৩ রান বাকি, তখন জীবন পেয়েছেন রোহিত। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে নাথান এলিসকে তুলে মারতে যান রোহিত। হ্যাজলউড মিড অন থেকে দৌড়ে এসেও ক্যাচ ধরতে পারেননি। যদিও এলিস জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন হ্যাজলউডের জন্য।
১০৮ রানে রোহিত জীবন পাওয়ার পর ভারতের খেলা শেষ করতে দুই ওভারও লাগেনি। শেষটা হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে এলিসকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে ভারতকে ৯ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রোহিত। ১২৫ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ বলে ১৬৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন রোহিত-কোহলি। ৮১ বলে ৭ চারে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি।
টস জিতে আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মার্শ। একটা পর্যায়ে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ৩৩.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান। সেখান থেকেই ধস নামে মার্শের দলের ইনিংসে। ৫৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অজিরা ৪৬.৪ ওভারে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ম্যাট রেনশ। ভারতের হার্ষিত রানা ৮.৪ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন রোহিত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৬৭.৩৩ গড়ে করেছেন ২০২ রান।

ওলে, ওলে, ওলে...এ গান এত কর্ণভেদী আর এত শক্তিশালী, এত দিন শুধু দূর থেকেই জানা হয়েছে। পরশু সেটি খুব কাছ থেকে দেখা হলো। মাঠে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের উত্তেজনা, প্রিয় দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা-সমর্থনের প্রকাশটা কেমন, সেটি দেখার সুযোগ হলো। সেটিও আবার নিউজার্সির ৮২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেটলাইফ স্টে
২৭ জুন ২০২৪
আজ শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসর। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব।
১০ মিনিট আগে
আকবর আলীর নেতৃত্বে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে...
৩৮ মিনিট আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রানে ফিরলেন কোহলি। সেই সঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারাকে টপকে এই সংস্করণের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে