Ajker Patrika

এমবাপ্পে-বেলরা যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতেন

এমবাপ্পে-বেলরা যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতেন

অলিম্পিকের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ১০০ মিটারের দৌড়ে কাল বোল্ট-পরবর্তী নতুন তারকার নাম জানা গেল—ইতালির লামন্ত মার্সেল জ্যাকবস। ট্র্যাকে ঝড় তোলা এ নায়কদের সঙ্গে কখনো কখনো কিন্তু তুলনাও হয় ফুটবলারদের।

গ্যারেথ বেলের কথাই ধরুন। ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে দুর্দান্ত এক গোল করতে বেল ঘণ্টায় ২৬ দশমিক ৮ মাইল গতিতে দৌড়েছিলেন। তাঁর এই দৌড়ের সঙ্গে ২০০৯ সালে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে উসাইন বোল্টের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার গতির তুলনা করেছিলেন অনেকে। যদিও এ তুলনা কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন কেউ কেউ।

ভিন্ন দুই খেলার সঙ্গে এই তুলনা নিয়ে হেপ্টাথলন ইভেন্টে তিনটি অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদকধারী কেলি সদার্টন বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে খেলার জগতে দ্রুতগতিসম্পন্ন এমন অনেক তারকা আছে। কিন্তু কোনোভাবেই তারা বোল্টের ধারেকাছে যাওয়ার যোগ্য নয়। এই ধরনের পরিসংখ্যান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অ্যাথলেটদের খেপিয়ে তুলতে যথেষ্ট!’ 
বেল-বোল্টের তুলনা অবশ্য ব্যতিক্রম কোনো ঘটনা ছিল না। বিভিন্ন সময় থিও ওয়ালকট, কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ অনেককেই এই তুলনায় জড়ানো হয়েছে। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো ফুটবলারকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ১০০ মিটার ইভেন্টে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, তবে তাঁর কি আসলেই পদক জেতার সম্ভাবনা আছে? সদার্টন বলেন, ‘আমার মনে হয়, তাদের (ফুটবলারদের) দৌড় শেষ করতে ১১ সেকেন্ডের মতো লাগবে!’

এখন এমবাপ্পে, হালান্ড কিংবা আলফানসো ডেভিসের মতো সময়ের দ্রুতগতির ফুটবলাররা যদি টোকিওতে ১১ সেকেন্ডেও দৌড় শেষ করেন, তবে সেই টাইমিং একেবারে খারাপ কিছু হবে না। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে হলে তাঁরা সোনার পদকও জিততে পারতেন! কিন্তু বর্তমান সময়ে?

 গতকালের ১০০ মিটারে দৌড়ে যদি এমবাপ্পেরা অংশ নিতেন, তাহলে সেটি শেষ করতেন ১১ সেকেন্ডে! কাল ইতালির মার্সেল জ্যাকবস সোনা জিতেছেন ৯ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে। তার মানে ১০০ মিটারের দৌড় শেষ করতেন এমবাপ্পেরা ১৫-২০ মিটার পেছনে থেকে।

এমনকি নারী এককে পরশু সোনা জেতা এলেইন থম্পসন-হেরাহসহ বাকি পাঁচ অ্যাথলেটের পেছনে থেকে শেষ করবেন ফুটবলাররা। সদার্টন তাই বলেন, ‘আমার মনে হয়, সম্ভবত ৩০-৪০ মিটার পথ তাঁরা ভালোভাবেই পাল্লা দিতে পারবেন কিন্তু দৌড়ের শেষ পর্যন্ত গতি ধরে রাখতে পারবেন না।’

খুব সহজে অবশ্য এই বিতর্ক থামবে বলে মনে হয় না। সমাধানটা অবশ্য সদার্টনই দিলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হয়, দুই পক্ষকে একসঙ্গে দৌড়ে নামিয়ে দেওয়া। কেন এটি করা হচ্ছে না?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তামিমের নেতৃত্বে আফগান সিরিজের দলে আছেন কারা

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে যুবারা। ছবি: বিসিবি
নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে যুবারা। ছবি: বিসিবি

বড় ভাইয়েরা ব্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ নিয়ে। এবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে আজিজুল হাকিম তামিমরাও। নিজেদের মাঠে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের যুবারা। এজন্য তামিমের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল।

সিরিজে তামিমের ডেপুটির ভূমিকায় থাকবেন জাওয়াদ আবরার। দলে ফেরানো হয়েছে পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও বাঁহাতি স্পিনার রাফিউজ্জামান রাফিকে। সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন ফারহান শাহরিয়ার, সানজিদ মজুমদার ও শাহরিয়ার আল আমিন।

এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলটি। ১১ মাস পর আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে চেনা আঙিনায় ফিরছে যুবারা।

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে বসবে যুব বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। তার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে আগামী ডিসেম্বরে নেপালে যুব এশিয়া কাপ খেলতে যাবে তামিম, জাওয়াদরা।

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে। ২৮ ও ৩১ অক্টোবর বগুড়াতে প্রথম ম্যাচ দুটি খেলবে তারা। এরপর ৩,৬ ও ৯ নভেম্বর সিরিজের শেষ তিন ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুদল। ম্যাচগুলো হবে রাজশাহীতে।

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড: আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), সামিউন বসির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, স্বাধীন ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, রিফাত বেগ, সাদ ইসলাম রাজিন, মোঃ সুবুজ, রাফিউজ্জামান রাফি, আবদুর রহিম ও ইকবাল হোসেন ইমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাশেজ শুরুর আগেই ছিটক গেলেন কামিন্স, নেতৃত্ব দেবেন কে

ক্রীড়া ডেস্ক    
পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: এক্স
পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: এক্স

শেষ পর্যন্ত আর চোটের সঙ্গে পেরে উঠলেন না প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটক গেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে পার্থ টেস্টে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। অজিদের কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কামিন্সের সঙ্গী পিঠের চোট। গত জুলাই মাসে নতুন করে এই চোটে ফিরে আসে। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। এজন্য প্রথম টেস্ট থেকে তাঁর ছিটকে যাওয়া একরকম নিশ্চিত ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। চোট থাকার পরও অ্যাশেজ দিয়ে ফিরতে বদ্ধপরিকর ছিলেন কামিন্স। এজন্য সব ধরনের চেষ্টাই করে যাচ্ছিলেন তিনি। তাতে অবশ্য কোনো লাভই হলো না।

কামিন্স ছিটকে যাওয়ায় অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে সুযোগ পেতে পারেন স্কট বোল্যান্ড। ব্রিজবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। ম্যাকডোনাল্ডসের আশা, সে ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরবেন কামিন্স।

ম্যাকডোনাল্ডস বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম কামিন্সের সুস্থ হতে চার সপ্তাহ লেগে যাবে। সেই সময় পার হয়ে গেছে। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে পাব এই আশায় আছি আমরা। কামিন্স কবে ফিরবে সবার সেটা জানতে চায়। দ্বিতীয় টেস্টের আগে সে ফিরবে কিনা সেটা এখনই বলা কঠিন। সে এই সপ্তাহ থেকে বোলিং শুরু করবে। এটাই আশার কথা। তাঁর ফিট হওয়ার জন্য এটা খুবই দরকার ছিল। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি। আপাতত আমরা ব্রিজবেন টেস্টে কামিন্সকে পাওয়ার আশায় আছি।’

স্মিথ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ বলেন, ‘স্টিভ স্মিথের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। কামিন্সের সঙ্গে তাঁর দারুণ বোঝাপড়া আছে। খেলতে না পারলেও প্রথম টেস্টে কামিন্স দলের সঙ্গেই থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এল ক্লাসিকোতে সেই পুরোনো উত্তেজনা, ক্ষুব্ধ বার্সা কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ১৮
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বাজিমাত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এক্স
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বাজিমাত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এক্স

এল ক্লাসিকো মানেই যেন ভিন্ন আমেজ। যেখানে মাঠে খেলার মতো আলোচনার খোরাক হয়ে উঠে উত্তেজনা এবং দুই দলের ফুটবলারদের শরীরী লড়াই। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের সবশেষ দ্বৈরথেও এসবের কমতি ছিল না। বরং মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ময়দানি ছাপিয়ে সামনে চলে এসেছে বিতর্ক।

গত মৌসুমটা ভালো যায়নি রিয়ালের। চার এল ক্লাসিকোর সব কটিতেই হেরেছে তারা। দুঃস্মৃতি ভুলে নতুন মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতেই বাজিমাত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলের জয়ে তারা যেন বুঝিয়ে দিতে চাইল, এবার প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। স্কোরবোর্ডের ছাপটা মাঠের খেলাতেও স্পষ্ট ছিল। বল দখলে বার্সা নেতৃত্ব দিলেও আক্রমণের ঝান্ডা উড়িয়েছে স্বাগতিকেরা। সব মিলিয়ে দারুণ এক এল ক্লাসিকো উপভোগ করেছে ভক্তরা।

এল ক্লাসিকোর আগে উত্তেজনার রসদ তৈরি করেছিলেন লামিনে ইয়ামাল। সম্প্রতি রিয়ালকে ‘চোর’ এবং ‘অভিযোগকারী’ বলে মন্তব্য করেন এই উইঙ্গার। এমন মন্তব্যের কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল রিয়ালের ফুটবলার এবং সমর্থকেরা। ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের স্পিকারে যতবারই এই স্প্যানিশ ফুটবলারের নাম উচ্চারিত হয়েছে, ততবারই দুয়ো দিয়েছেন স্বাগতিক সমর্থকেরা। এর প্রভাব ছিল ইয়ামালের পারফরম্যান্সে। এদিন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন কাতালানদের আক্রমণভাগের তুরুপের তাস। ম্যাচ শেষেও প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের তোপের মুখে পড়েন ইয়ামাল। শেষ বাঁশি বাজতেই তাঁর দিকে তেড়ে আসেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, দানি কারভাহাল, থিবো কোর্তায়ারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন দুই দলের ফুটবলার, কোচিং স্টাফরা। তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

শুধু ইয়ামালই নয়, এল ক্লাসিকোতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল পেদ্রির লাল কার্ড। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দশম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় দুই দলের ডাগআউটে। রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজানো নিয়েও বেশ অসন্তোষ দেখা যায় বার্সার খেলোয়াড়েদর মধ্যে। সব মিলিয়ে এল ক্লাসিকো শেষ হলেও মাঠের বেশকিছু বিতর্কিত ঘটনায় এর রেশ থেকেই গেল।

ম্যাচ শেষে ইয়ামালের প্রতি রিয়ালের ফুটবলারদের বাজে আচরণের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন বার্সার সহকারী কোচ মার্কাস সর্গ। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচটি ইয়ামালের জন্য খুবই কঠিন ছিল। দর্শকদের বাজে আচরণের পাশাপাশি তাঁর প্রতি রিয়ালের ফুটবলারদের আচরণও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’

বার্সার বিপক্ষে এই জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল রিয়াল। ১০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে বার্সা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে উপভোগ্য সিরিজের প্রত্যাশা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুই দলের অধিনায়ক। ছবি: বিসিবি
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুই দলের অধিনায়ক। ছবি: বিসিবি

ট্রফি উন্মোচনের সময় দুই অধিনায়কের মুখেই হাসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপের চেয়ে হাসিটা বেশি স্পষ্ট বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের মুখে। ওয়ানডে সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়েই আজ শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া লিটন এই সিরিজ দিয়েই ফিরছেন মাঠে, হাসি তো তাঁর একটু বেশি হবেই।

ট্রফি উন্মোচনে সিরিজের আয়োজক বিসিবি বেছে নিয়েছিল বন্দরনগরীর ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) প্রাঙ্গণকে। একদিকে ইংরেজের আমলে গড়ে ওঠা লাল বিল্ডিং, আরেক দিকে গাছগাছালি। দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই ক্রিকেট পর্যটনের অংশ হিসেবেই সিআরবি প্রাঙ্গণে ট্রফির উন্মোচন; যেটা সবারই কমবেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে।

প্রশংসা কুড়িয়েছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের উইকেটও। এখানকার উইকেট সবুজাভ; যা দেখতে মিরপুর শেরেবাংলার চেয়ে পুরোপুরি বিপরীত। আচরণটাও কি বিপরীত হবে? সে রকমই আশা করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ, ‘দেখতে তো এটা মিরপুরের উইকেটের চেয়ে আলাদা। কেমন আচরণ করে, এখন এটাই দেখতে হবে।’ তবে সিরিজে খেলে ‘দেখার’ আগেই চট্টগ্রামের উইকেটকে ভালোর সনদ দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস, ‘সব সময়ই আমরা জেনেছি যে ক্রিকেট খেলার জন্য চট্টগ্রাম ভালো একটা গ্রাউন্ড। দুই দলই এখানে এনজয় করবে।’

আর দুই দলই ‘এনজয়’ করলে তো জমজমাট একটা সিরিজই অপেক্ষা করছে। তবে প্রথম ম্যাচের আগে মিরপুরের কালো উইকেটে দারুণ টার্ন পাওয়া বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে এখনো চিন্তিত শাই হোপ। ক্যারিবীয় অধিনায়ক বললেন, ‘রিশাদ মিরপুরে চমৎকার বোলিং করেছে, কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে আমাদের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছিল। কিন্তু এটা নতুন সিরিজ, নতুন উইকেট। তবে লক্ষ্য একই, আগের ভুলগুলো থেকে শেখা।’

ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশও যে ভুল করেনি, তা নয়। শেষ ওয়ানডেতে সাইফ-সৌম্যর দেড় শ পেরোনো জুটির সুবাদে বড় ব্যবধানে জিতলেও আগের দুই ম্যাচে দলের ব্যাটিং ছিল নড়বড়ে। দুর্বল টেকনিক, বাজে শট নির্বাচন ও প্রিডিটারমাইন্ডেড শট খেলার বরাবরের প্রবণতা ছিল এই সিরিজেও। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের কাছে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখতে চান লিটন। দেখতে চান ওয়ানডে থেকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরার দক্ষতাও। অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা এই সংস্করণে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবে, আমাদের জন্য ততই ভালো হবে।’

দলের ব্যাটিং নিয়েও বললেন লিটন, ‘কোনো কোনো সিরিজে দেখবেন টপ অর্ডার ভালো করবে না, তখন মনে হবে যে টপ অর্ডারে গ্যাপ। আবার কোনো সিরিজে দেখবেন মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার অর্ডার ভালো করছে, তখন মনে হবে মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার অর্ডারে গ্যাপ, তবে ব্যাপারটা এমন নয়। যারাই মিডল অর্ডারে খেলছে, অনেক দিন ধরেই পরীক্ষিত, বাংলাদেশের হয়ে তারা অনেক ভালো কিছু করেছে। দু-একটা সিরিজে এটা হবেই, এটাই ক্রিকেট। বড় বড় খেলোয়াড়ও ব্যর্থ হয়। আমরাও হব। সেটা কীভাবে কাটিয়ে ওটা যায়, এটা নিয়ে কাজ করছি এবং আমার মনে হয়, শিগগির এটা কাটিয়ে উঠতে পারব।’

লিটনের কাটিয়ে ওঠার আশাটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত