জহির উদ্দিন মিশু
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার।
দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে। এই উল্লাসে বাংলাদেশ ভেসেছে ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও। গতকাল বুধবার সেই সাফল্যেরই পুনরাবৃত্তি কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায়। সাফের এভারেস্টে আবারও উঠলেন সাবিনারা। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের কাছেই রাখলেন সাবিনা-তহুরারা।
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় বোধ হয় শিল্পীর ভূমিকায় হাজির হন ঋতুপর্ণা চাকমা। টুর্নামেন্টজুড়ে দ্যুতি ছড়ানো এই বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড ফাইনালে বলকে যেন রংতুলির মতোই ব্যবহার করেছেন।
মনের ক্যানভাসকে যে স্বপ্ন দিয়ে সাজিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই গতকাল বল পায়ে আঁকাবুঁকি করেন টুর্নামেন্টসেরা হওয়া ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৮১ মিনিটে চোখধাঁধানো গোলে ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচটির সব আলো নিজের করে নিলেন ঋতুপর্ণা। আর ঘুরেফিরে একই দুর্গে ডোবে নেপালের তরি। যেখানে এর আগেও পাঁচবার ডুবেছিল তারা। বলা যায় সাফের ফাইনাল এখন নেপালিদের কাছে অভিশপ্ত এক লড়াই! এক-দুবার নয়, এ নিয়ে ছয়বার ফাইনাল খেলেছে দলটি। কিন্তু একবারও স্বপ্নের শিরোপাটা ছোঁয়া যায়নি। সেখানে তিনবার ফাইনাল খেলে দুবারই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আফসোস, আক্ষেপ আর না পাওয়ার বেদনা বুকে নিয়েই স্টেডিয়াম থেকে ঘরে ফিরতে হলো নেপালি দর্শকদের। অন্যদিকে এক আকাশ ভালোবাসা আর প্রাপ্তির মালা গলায় নিয়ে আজ বীরের বেশে দেশে ফিরছেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। তাঁদের জন্য এই ইংলিশ কোচেরও গর্ব হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আজকের পত্রিকাকে বাটলার বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি এত বাধার সম্মুখীন হয়েছি যে বলে শেষ করা যাবে না। তবে সবকিছু মেনে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। সত্যি এদের (বাংলাদেশ দল) নিয়ে এখন আমার গর্ব হয়।’
শুধু পিটার নয়, সারা দেশ এখন মেয়েদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। টানা দুবার সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যেখানে একটা সময় ছিল ভারতের দাপট। যারা পাঁচবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই ভারতের দুর্গে হানা দিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে তাদের দম্ভ চূর্ণ করে ফাইনালে লিখল দারুণ এক ইতিহাস। যে ইতিহাসের পরতে পরতে থাকবে মনিকা-মারিয়াদেরও নাম। শুরুটা অবশ্য মনিকাই করেছিলেন। ৫২ মিনিটে জোরালো এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণ তছনছ করে দেয় বাংলাদেশ। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে চমৎকারভাবে ড্রিবল করে আলতো শটে বল তহুরা খাতুনকে দেন। তহুরাকে ততক্ষণে ঘিরে ধরেন নেপালের দুজন।
কিন্তু বিচক্ষণতার সঙ্গে তহুরাও বলটা মনিকার উদ্দেশে সামনে বাড়িয়ে দেন। এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করে! মাথা ঠান্ডা রেখে নিখুঁতভাবে বলটা নেপালের জালে পাঠিয়ে দেন মনিকা। যদিও সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি নেপাল। তবে ঋতুপর্ণার মুগ্ধ করা ফিনিশিংয়ে তাদের স্বপ্নের জলাঞ্জলি আর বাংলাদেশের উল্লাসধ্বনি! ৮১ মিনিটে বাংলাদেশকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন এই ফরোয়ার্ড। তাতেই নেপালকে আশ্চর্য নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে বাংলাদেশ মাতে জয়োৎসবে।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার।
দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে। এই উল্লাসে বাংলাদেশ ভেসেছে ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও। গতকাল বুধবার সেই সাফল্যেরই পুনরাবৃত্তি কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায়। সাফের এভারেস্টে আবারও উঠলেন সাবিনারা। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের কাছেই রাখলেন সাবিনা-তহুরারা।
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় বোধ হয় শিল্পীর ভূমিকায় হাজির হন ঋতুপর্ণা চাকমা। টুর্নামেন্টজুড়ে দ্যুতি ছড়ানো এই বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড ফাইনালে বলকে যেন রংতুলির মতোই ব্যবহার করেছেন।
মনের ক্যানভাসকে যে স্বপ্ন দিয়ে সাজিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই গতকাল বল পায়ে আঁকাবুঁকি করেন টুর্নামেন্টসেরা হওয়া ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৮১ মিনিটে চোখধাঁধানো গোলে ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচটির সব আলো নিজের করে নিলেন ঋতুপর্ণা। আর ঘুরেফিরে একই দুর্গে ডোবে নেপালের তরি। যেখানে এর আগেও পাঁচবার ডুবেছিল তারা। বলা যায় সাফের ফাইনাল এখন নেপালিদের কাছে অভিশপ্ত এক লড়াই! এক-দুবার নয়, এ নিয়ে ছয়বার ফাইনাল খেলেছে দলটি। কিন্তু একবারও স্বপ্নের শিরোপাটা ছোঁয়া যায়নি। সেখানে তিনবার ফাইনাল খেলে দুবারই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আফসোস, আক্ষেপ আর না পাওয়ার বেদনা বুকে নিয়েই স্টেডিয়াম থেকে ঘরে ফিরতে হলো নেপালি দর্শকদের। অন্যদিকে এক আকাশ ভালোবাসা আর প্রাপ্তির মালা গলায় নিয়ে আজ বীরের বেশে দেশে ফিরছেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। তাঁদের জন্য এই ইংলিশ কোচেরও গর্ব হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আজকের পত্রিকাকে বাটলার বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি এত বাধার সম্মুখীন হয়েছি যে বলে শেষ করা যাবে না। তবে সবকিছু মেনে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। সত্যি এদের (বাংলাদেশ দল) নিয়ে এখন আমার গর্ব হয়।’
শুধু পিটার নয়, সারা দেশ এখন মেয়েদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। টানা দুবার সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যেখানে একটা সময় ছিল ভারতের দাপট। যারা পাঁচবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই ভারতের দুর্গে হানা দিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে তাদের দম্ভ চূর্ণ করে ফাইনালে লিখল দারুণ এক ইতিহাস। যে ইতিহাসের পরতে পরতে থাকবে মনিকা-মারিয়াদেরও নাম। শুরুটা অবশ্য মনিকাই করেছিলেন। ৫২ মিনিটে জোরালো এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণ তছনছ করে দেয় বাংলাদেশ। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে চমৎকারভাবে ড্রিবল করে আলতো শটে বল তহুরা খাতুনকে দেন। তহুরাকে ততক্ষণে ঘিরে ধরেন নেপালের দুজন।
কিন্তু বিচক্ষণতার সঙ্গে তহুরাও বলটা মনিকার উদ্দেশে সামনে বাড়িয়ে দেন। এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করে! মাথা ঠান্ডা রেখে নিখুঁতভাবে বলটা নেপালের জালে পাঠিয়ে দেন মনিকা। যদিও সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি নেপাল। তবে ঋতুপর্ণার মুগ্ধ করা ফিনিশিংয়ে তাদের স্বপ্নের জলাঞ্জলি আর বাংলাদেশের উল্লাসধ্বনি! ৮১ মিনিটে বাংলাদেশকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন এই ফরোয়ার্ড। তাতেই নেপালকে আশ্চর্য নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে বাংলাদেশ মাতে জয়োৎসবে।
টানা তিনটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের তাজা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাল এশিয়া কাপ মিশনে নামছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে লিটন দাসের দলের প্রতিপক্ষ হংকং। লক্ষ্য একটাই— ইতিহাস গড়া। তা সামনে রেখে বাংলাদেশ এগোচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে।
৩২ মিনিট আগেবোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স লক্ষ্যটা থেকেছে হাতের নাগালে। ভারত পাওয়ার প্লের মধ্যে নাকি আরও পরে ম্যাচ শেষ করতে পারে সেটাই যেন দেখার অপেক্ষা ছিল। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে মাত্র ২৭ বল খেলতে হয়েছে তাদের। রান তাড়ায় নেমে এত কম বলে কখনো ম্যাচ শেষ করতে পারেনি ভারত।
২ ঘণ্টা আগে‘যশপ্রীত বুমরা একাদশে থাকলে আমি ধর্মঘটে যাব’—টিভি অনুষ্ঠানে বসে এমনই কথা বলেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য জাদেজার কথা রাখেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ঠিকই খেলিয়েছে বুমরাকে। তাঁর এনে দেওয়া ব্রেকথ্রুর পর ভারতের স্পিন আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে
৩ ঘণ্টা আগেস্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নেপালের কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি। এক দিনেরও বেশি সময় বন্ধের পর আজ দুপুরে খুলে দেওয়া হয়েছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফেরার আশায় ক্ষণ গুনছে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
৬ ঘণ্টা আগে