সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে লিভারপুলের। যে দলটি গত কয়েক মৌসুম ধরেই ক্লাব ফুটবলের সব প্রতিযোগিতায় রাজত্ব করছিল তারাই এবার ঘরোয়া-চ্যাম্পিয়নস লিগে হতশ্রী অবস্থায়। আগামী মৌসুমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ।
এমন কঠিন সময়েই আবার ইংলিশ ক্লাবটি পাশে পাচ্ছে না তাদের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। গত এপ্রিলে রেফারি পল টিয়ার্নিকে নিয়ে কটু মন্তব্য করায় গত পরশু ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছেন অলরেডদের কোচ। ২ ম্যাচের একটি আজ কার্যকর হচ্ছে। অন্যটি যদির উপর নির্ভর করছে। দ্বিতীয়বার নিয়ম ভঙ্গ করলে বাকিটি কার্যকর হবে। আগামী মৌসুম পর্যন্ত এর মেয়াদ রয়েছে।
এই মৌসুমে ক্লপ প্রথম হলেও তাঁর আগে প্রিমিয়ার লিগে আরও ৫ জন কোচ রেফারির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় নিষিদ্ধ হয়েছেন। তালিকায় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, আর্সেন ওয়েঙ্গার ও জোসে মরিনহোর মতো কোচরাও আছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক আগের ৫ জনের নিষিদ্ধের গল্প।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন—৫ ম্যাচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ২০১১)
প্রিমিয়ার লিগে তো অবশ্যই ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সেরা কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। কোচিং ক্যারিয়ারে ৫০ শিরোপাজয়ী একমাত্র কোচ তিনি। তবে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী কোচও নিষিদ্ধর হাত থেকে রক্ষা পাননি। দুই মেয়াদে ৫ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। প্রথমবার ২০০৯ সালে রেফারি অ্যালান উইলির শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় ২ ম্যাচ এবং ২০১১ সালে চেলসির কাছে হারার পর ডাগআউটের বাইরে এসে রেফারি মার্টিন অ্যাটকিনসনের সমালোচনা করায় ৩ ম্যাচ। সব মিলিয়ে মোট ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল ২০১১ সালে।
আর্সেন ওয়েঙ্গার—৩ ম্যাচ (আর্সেনাল, ২০১৮)
‘তুমি কেবল অসৎ নও...নির্লজ্জও’—রেফারি মাইক ডিনকে এমন মন্তব্য করার জন্য ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। ২০১৭ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ব্রমের বিপক্ষে আর্সেনালের ম্যাচ শেষে এমনটি বলেছিলেন ফরাসি কোচ। সেদিন এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, পরে রেফারিদের ড্রেসিংরুমে গিয়েও ডিনকে শাসিয়েছেন তিনি। সেই অপরাধের শাস্তি ২০১৮ সালে ভোগ করেন তিনি। সঙ্গে ৫৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানাও দেন এই কোচ।
মরিসিও পচেত্তিনো—২ ম্যাচ (টটেনহাম, ২০১৯)
রেফারি মাইক ডিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে ২০১৯ সালে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান মরিসিও পচেত্তিনোও। বার্নলির বিপক্ষে সেদিন টটেনহামের ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে ডিনের ভুল কর্নারকে দায়ী করেছিলেন পচেত্তিনো। পরে এই কর্নার থেকেই ম্যাচ জিতে বার্নলি। আর ম্যাচ হারার সঙ্গে রেফারিকে নিয়ে মন্তব্য করায় ২ ম্যাচের শাস্তি ভোগ করেন আর্জেন্টাইন কোচ।
হ্যারি রেডনাপ—২ ম্যাচ (পোর্টসমাউথ, ২০০৩)
নিষিদ্ধর শুরুটা হয়েছিল হ্যারি রেডনাপকে দিয়েই। রেফারি অ্যান্ডি ডি’উরসোর সমালোচনা ও চতুর্থ রেফারি লি ম্যাসনকে অভিযোগ জানানোর কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাবেক পোর্টসমাউথের ম্যানেজার। তবে শাস্তির বিষয়ে সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। ইংলিশ সাবেক কোচ বলেন, ‘আমি শুধু রেফারির পুরো পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছিলাম। তাকে উচ্চ স্বরে কথা কিংবা গালিও দিইনি। এমনকি চতুর্থ রেফারির কাছে যখন অভিযোগ করি তিনিও আমার সঙ্গে একমত ছিলেন।’
জোসে মরিনহো—১ ম্যাচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ২০১৬)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের অভিষেক মৌসুমে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছ থেকে ১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন জোসে মরিনহো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বার্নলির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করে ঠিক তখনই রেফারি মার্ক ক্ল্যাটেনবার্গের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পর্তুগিজ কোচ। যার শাস্তি হিসেবে ১ ম্যাচ রেড ডেভিলসদের ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। একই মৌসুমে আরেক রেফারি মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ৬৬ লাখ ৬০ জরিমানাও গুনেছেন তিনি। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও জরিমানা গুনেছেন বর্তমান রোমার কোচ।
সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে লিভারপুলের। যে দলটি গত কয়েক মৌসুম ধরেই ক্লাব ফুটবলের সব প্রতিযোগিতায় রাজত্ব করছিল তারাই এবার ঘরোয়া-চ্যাম্পিয়নস লিগে হতশ্রী অবস্থায়। আগামী মৌসুমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ।
এমন কঠিন সময়েই আবার ইংলিশ ক্লাবটি পাশে পাচ্ছে না তাদের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। গত এপ্রিলে রেফারি পল টিয়ার্নিকে নিয়ে কটু মন্তব্য করায় গত পরশু ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছেন অলরেডদের কোচ। ২ ম্যাচের একটি আজ কার্যকর হচ্ছে। অন্যটি যদির উপর নির্ভর করছে। দ্বিতীয়বার নিয়ম ভঙ্গ করলে বাকিটি কার্যকর হবে। আগামী মৌসুম পর্যন্ত এর মেয়াদ রয়েছে।
এই মৌসুমে ক্লপ প্রথম হলেও তাঁর আগে প্রিমিয়ার লিগে আরও ৫ জন কোচ রেফারির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় নিষিদ্ধ হয়েছেন। তালিকায় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, আর্সেন ওয়েঙ্গার ও জোসে মরিনহোর মতো কোচরাও আছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক আগের ৫ জনের নিষিদ্ধের গল্প।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন—৫ ম্যাচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ২০১১)
প্রিমিয়ার লিগে তো অবশ্যই ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সেরা কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। কোচিং ক্যারিয়ারে ৫০ শিরোপাজয়ী একমাত্র কোচ তিনি। তবে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী কোচও নিষিদ্ধর হাত থেকে রক্ষা পাননি। দুই মেয়াদে ৫ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। প্রথমবার ২০০৯ সালে রেফারি অ্যালান উইলির শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় ২ ম্যাচ এবং ২০১১ সালে চেলসির কাছে হারার পর ডাগআউটের বাইরে এসে রেফারি মার্টিন অ্যাটকিনসনের সমালোচনা করায় ৩ ম্যাচ। সব মিলিয়ে মোট ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল ২০১১ সালে।
আর্সেন ওয়েঙ্গার—৩ ম্যাচ (আর্সেনাল, ২০১৮)
‘তুমি কেবল অসৎ নও...নির্লজ্জও’—রেফারি মাইক ডিনকে এমন মন্তব্য করার জন্য ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। ২০১৭ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ব্রমের বিপক্ষে আর্সেনালের ম্যাচ শেষে এমনটি বলেছিলেন ফরাসি কোচ। সেদিন এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, পরে রেফারিদের ড্রেসিংরুমে গিয়েও ডিনকে শাসিয়েছেন তিনি। সেই অপরাধের শাস্তি ২০১৮ সালে ভোগ করেন তিনি। সঙ্গে ৫৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানাও দেন এই কোচ।
মরিসিও পচেত্তিনো—২ ম্যাচ (টটেনহাম, ২০১৯)
রেফারি মাইক ডিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে ২০১৯ সালে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান মরিসিও পচেত্তিনোও। বার্নলির বিপক্ষে সেদিন টটেনহামের ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে ডিনের ভুল কর্নারকে দায়ী করেছিলেন পচেত্তিনো। পরে এই কর্নার থেকেই ম্যাচ জিতে বার্নলি। আর ম্যাচ হারার সঙ্গে রেফারিকে নিয়ে মন্তব্য করায় ২ ম্যাচের শাস্তি ভোগ করেন আর্জেন্টাইন কোচ।
হ্যারি রেডনাপ—২ ম্যাচ (পোর্টসমাউথ, ২০০৩)
নিষিদ্ধর শুরুটা হয়েছিল হ্যারি রেডনাপকে দিয়েই। রেফারি অ্যান্ডি ডি’উরসোর সমালোচনা ও চতুর্থ রেফারি লি ম্যাসনকে অভিযোগ জানানোর কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাবেক পোর্টসমাউথের ম্যানেজার। তবে শাস্তির বিষয়ে সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। ইংলিশ সাবেক কোচ বলেন, ‘আমি শুধু রেফারির পুরো পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছিলাম। তাকে উচ্চ স্বরে কথা কিংবা গালিও দিইনি। এমনকি চতুর্থ রেফারির কাছে যখন অভিযোগ করি তিনিও আমার সঙ্গে একমত ছিলেন।’
জোসে মরিনহো—১ ম্যাচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ২০১৬)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের অভিষেক মৌসুমে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছ থেকে ১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন জোসে মরিনহো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বার্নলির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করে ঠিক তখনই রেফারি মার্ক ক্ল্যাটেনবার্গের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পর্তুগিজ কোচ। যার শাস্তি হিসেবে ১ ম্যাচ রেড ডেভিলসদের ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। একই মৌসুমে আরেক রেফারি মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ৬৬ লাখ ৬০ জরিমানাও গুনেছেন তিনি। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও জরিমানা গুনেছেন বর্তমান রোমার কোচ।
ডায়েরির পাতার পাশে সাঁটানো হলুদ এক চিরকুটে লেখা, ‘২০২৫ এর ঐ বছর শেষ হবার আগে আমার সেঞ্চুরি থাকবে ৫০ টা।’ উপরে তারিখটি ছিল ৮ এপ্রিল, ২০১৪। ১১ বছর আগে নিজের করা সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যিতে রূপ দিলেন এনামুল হক বিজয়। স্বীকৃত ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হলেন..
১৬ মিনিট আগেটেস্টে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয়েছে চার বছর পর। ২০২১ সালে হারারের পর এবার তারা খেলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে সকালে ধাক্কা খেলেও সেই ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে ঠিকই। কিন্তু হঠাৎ ধসের সেই রোগ থেকে তো আর বাংলাদেশ সহসা বের হতে পারছে না।
১ ঘণ্টা আগেএকটু এদিক-সেদিক হলে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের পরিবর্তে উঠত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত নিগার সুলতানা জ্যোতির বাংলাদেশ কেটেছে মূলপর্বের টিকিট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা একাদশে নাম আছেন দুই বাংলাদেশি।
২ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে, সমিত সোমও দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এবার আলোচনায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে খেলানো চেষ্টা করছে বাফুফে। কিউবাও মৌখিকভাবে খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে