Ajker Patrika

মেসির বিপক্ষে আর্জেন্টাইন কোচের অধীনে নামবেন রোনালদো

মেসির বিপক্ষে আর্জেন্টাইন কোচের অধীনে নামবেন রোনালদো

লা লিগায় খেলার সময় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ প্রায়ই দেখা যেত। পর্তুগিজ তারকা ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে গেলে দুজনের লড়াই দেখা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে চ্যাম্পিয়ন লিগের সৌজন্যে তখন দেখা হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই গিয়েছিল।

সেই সুযোগটাও এসেছিল ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। সেদিনের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের পর আর দেখা হয়নি রোনালদো ও মেসির। দুজনেই এখন ক্লাব পরিবর্তন করেছেন।

মাঝে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার পর এ মৌসুমে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছেন রোনালদো। আর মেসি প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে দুই মৌসুম ধরে খেলছেন পিএসজির হয়ে। সিআর সেভেন ইউরোপ ছাড়ায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের সম্ভাবনায় এবার দাঁড়িই পড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু পূর্বনির্ধারিত এক ম্যাচের সৌজন্যে আবারও দেখা হচ্ছে রোনালদো ও মেসির। মাঝে করোনার কারণে হতে না পারায় আগামী ১৯ জানুয়ারি ম্যাচটি হবে। আল নাসরের মাঠ মরসুল পার্কের ম্যাচে পিএসজির প্রতিপক্ষ দেশটির দুই ক্লাব আল-হিলাল ও আল নাসরের সম্মিলিত দল। এ ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখা যাবে।

কেননা সৌদির দুই ক্লাবের সঙ্গে পিএসজি মালিকও হচ্ছেন সৌদির। আর এই প্রীতি ম্যাচটি হচ্ছে রিয়াদ ঋতুর একটি অংশ। যা সৌদি ঋতু নামে পরিচিত একটি বৃহত্তর উদ্‌যাপনের অংশ। এই উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের কাছে দেশটির পর্যটন খাত প্রসার করা। ২০১৯ সাল থেকেই এমন আয়োজন করে আসছে দেশটি। তাই রোনালদো ও মেসিকে নিশ্চিতভাবেই খেলাবে ক্লাবগুলোর মালিকেরা। সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমাররাও তো থাকছেনই। ফলে বলা যায়, করোনার কারণে সে সময় ম্যাচটি না হওয়ায় দেশটির জন্য শাপেবর হয়েছে।

পিএসজির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হলেও সৌদির দুই ক্লাবের কোচ ভিন্ন ভিন্ন। তাই এ ম্যাচে অভিন্ন কোচ হিসেবে কে ডাগআউটে দাঁড়াবেন তা নিয়ে একটা সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। সেই সমস্যার এবার সমাধান হয়েছে। রিভার প্লেটকে দুবার কোপা লিবার্তোদোরেস জেতানো মার্সেলো গ্যালার্দোর অধীনে ম্যাচটি খেলবে সৌদির দুই ক্লাব। আর্জেন্টাইন ক্লাবটির দায়িত্ব ছেড়ে আপাতত কোচিং পেশার বাইরেই আছেন ৪৬ বছর বয়সী কোচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় গ্যালার্দো নিজেই কোচ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আগে জানত না, বিশ্বকাপের পর এখন বাংলাদেশকে সবাই চেনে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: বিএইচএফ
বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: বিএইচএফ

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংবাদকর্মীদের ভিড়। শেষ কবে হকির ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গিয়েছিল মনে করা কঠিন। দেশের হকি আলোচনায় আসে বিতর্কিত ঘটনায়। এবার নেতিবাচক কিছু নয়, ভালো খেলে সুনাম বয়ে আনল অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েছে তারা। মাথা উঁচু করেই ভারত থেকে আজ ফিরেছে দেশে।

২৪ দলের বিশ্বকাপ বাংলাদেশ শেষ করেছে ১৭ নম্বরে থেকে। এই অবস্থান দেখে অর্জনটা পরিষ্কার হবে না। বাংলাদেশ অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে জিতেছে চ্যালেঞ্জার ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে হারলেও লড়াই করেছে চোখে চোখ রেখে। বিশেষ করে আমিরুল ইসলাম তো তাঁর ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিকের ক্ষমতা দিয়ে নজর কেড়েছেন পুরো হকি বিশ্বের। ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করে জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

আজ আমিরুল বলেন, ‘আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, তা আমরা পূরণ করে এসেছি। খুব ভালো খেলেছি।’ আমিরুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ সিগফ্রাইড আইকম্যানও, ‘অবশ্যই সে স্পেশাল। কিন্তু আমরা তার গুণগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। পুরো দল তার শক্তির জন্য খেলেছে, তাকে গোল করার অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। আমরা পেনাল্টি কর্নার নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করেছি। ফরোয়ার্ডরা পিসি আদায়ের চেষ্টা করেছে।’

বাংলাদেশের সাফল্যের রহস্য জানতে উদ্গ্রীব ছিল অন্য দলগুলোও। আইকম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু চ্যালেঞ্জার কাপ জেতেনি, পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। টুর্নামেন্টে থাকা সব দলই বাংলাদেশের কথা বলছিল। হঠাৎ করে সবাই বাংলাদেশকে চিনেছে। আগে খুব একটা জানত না, এখন জানে। আর আমাদের খেলোয়াড়দের তারা ভালোবেসেছে। জিজ্ঞেস করছে, তোমাদের রহস্য কী? এমনটা আগে কখনো হয়নি। বড় বড় দেশও জানতে চাইছে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কীভাবে এমনটা করল।’

সাফল্য এখন জমা পড়েছে অতীতের খাতায়। আইকম্যান আর চুক্তি নবায়ন করছেন না। তবে ঠিকই পরামর্শ দিয়েছেন সামনে এগোতে হলে কী করতে হবে। ডাচ কোচ বলেন, ‘আমি চাই তারা আরও অনুশীলন করুক, এই যাত্রা চালিয়ে যাক। কিন্তু অর্থের প্রয়োজন। আর যদি এগুলো না আসে, তিন সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে সবকিছু থেমে যাবে। এখন যে গতি তৈরি হয়েছে, সেটা হারানো যাবে না।’

সেই ছন্দ ধরে রাখতে খেলোয়াড়দের রাখতে হবে খেলার মধ্যে। অতীত পেছনে ফেলে আমিরুলরা ভাবতে চান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে, ‘যদি খেলাটা নিয়মিত থাকে, তাহলে আমাদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল আনব। লিগে সবচেয়ে বেশি জোর দেব। লিগের কোনো বিকল্প নেই। এই প্রিমিয়ার লিগ, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ—এই টুর্নামেন্টগুলো যখন হবে, তখন বিদেশি যারা বা টপ লেভেলের খেলোয়াড়েরা আসবে, তখন তাদের থেকে আমরা নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারব।’

অনিশ্চয়তার ছায়া দূর করতে পারছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসানও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় তিন মাস আগে একটা মিটিং করছিলাম প্রথম বিভাগের ক্লাবদের ডেকে। আমরা লিগটা শুরু করতে চাই। তারা আমাদের জানাল যে এখন টাকাপয়সার অভাব আছে। তিন-চার মাস করে সময় চেয়েছিল। এই ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত সময় চাইছিল। এ মাসে আমরা একটা চিঠি দেব।’

হকির এত বড় সাফল্য আসার পরও আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পুরস্কারের ঘোষণা আসেনি। রিয়াজুল বলেন, ‘আমি অপেক্ষায় আছি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের কী জানায়। সচিবের কাছে বলব যে এগিয়ে আসুন, আমরাও কিছু এগিয়ে আসি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিবিতে আসা মার্শাল কীভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িত ক্রিকেটারদের ধরেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অ্যালেক্স মার্শাল, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের স্বাধীন চেয়ারম্যান। ফাইল ছবি
অ্যালেক্স মার্শাল, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের স্বাধীন চেয়ারম্যান। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অতীতে অনেকবারই কলঙ্কিত হয়েছে ফিক্সিংয়ের কালো দাগে। গত বিপিএল যেন আগের সব টুর্নামেন্ট ছাড়িয়ে গেছে। এবার দুর্নীতি দমনে বিসিবি যুক্ত করেছে অ্যালেক্স মার্শালকে, যিনি আইসিসিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন সফলভাবে। ফিক্সিং কিংবা ক্রিকেটে দুর্নীতি দমন অ্যালেক্স কীভাবে সাফল্যে পেয়েছেন, সেটিই আজ ব্যাখ্যা করলেন সংবাদ সম্মেলনে।

ক্রিকেটে যাঁরা ফিক্সিং বা খেলাটা কলুষিত করার চেষ্টা করে, তাঁদের অনেকের কাছে আতঙ্কের নাম অ্যালেক্স মার্শাল। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের এই স্বাধীন চেয়ারম্যান জানালেন, তিনি কীভাবে পাকড়াও করেন ফিক্সিংয়ে জড়িতদের, ‘আমি ৮ বছর ধরে ক্রীড়া দুর্নীতি দমনে কাজ করছি। আমি অন্য কারও চেয়ে ক্রিকেটে বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং তাদের অভিযুক্ত করেছি এবং নিষিদ্ধ করেছি ক্রিকেটের পুরো ইতিহাসে। এবং দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার সময় আমি কী করছি তা জানি। এগুলো অনেক সময় নেয়, আমি এটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করি, আমি এটা সঠিকভাবে করি, সব সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করি। যখন আমি ট্রাইব্যুনালে যাই, তখন আমার সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশের মতো হয়। কারণ, আমি হোমওয়ার্ক করি এবং যখন এটি ট্রাইব্যুনালে যায়, তখন আমার মামলায় প্রায় সবসময়ই (অভিযুক্তরা) দোষী সাব্যস্ত হয়। দুই-একটি ব্যতিক্রম থাকতে পারে। হ্যাঁ, সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাইনি এবং এখনো সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।’

এরই মধ্যে বিসিবি ৯ অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে রাখেনি সর্বশেষ বিপিএলের নিলামে। ২০২৬ বিপিএলকে পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার মার্শালের, ‘কিছু লোক আছে যারা বিপিএলের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘন করে পার পেয়ে গেছে। সেই লোকেরা এই ইভেন্টটিকে টার্গেট করবে। আমি এবং আমার দল আইসিসির সহায়তায়, সেই লোকদের ছেঁটে ফেলার এবং তাদের এটি করা থেকে বিরত রাখতে অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছি। এবং কিছু লোক এখন থেকে বিপিএলে কিছু অপ্রীতিকর চমক দেখাবে।’

মার্শাল ক্রিকেটে জড়িত মানুষদের আহ্বান করছেন সন্দেহজনক যেকোনো কিছু মন খুলে শেয়ার করতে, যে সব গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁরা দেখবেন, ‘এখন সময় এসেছে গোপনে এগিয়ে আসার এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলার। আপনার কথা শুনব, আমরা এটি গুরুত্ব সহকারে নেব, আপনি আমাদের যা বলবেন তা মিডিয়াতে প্রকাশিত হবে না।’

ফিক্সিং হওয়ার ক্ষেত্রে টিম হোটেল একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে কীভাবে সন্দেহভাজন কিংবা জুয়াড়িমুক্ত করা হবে, সেটির কিছুটা ধারণা দিলেন মার্শাল, ‘খেলোয়াড়েরা যখন ক্রিকেট ম্যাচ থেকে দূরে থাকে, তখন তারা তালাবদ্ধ থাকে না এবং আমি সারা বিশ্বে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছি। খেলোয়াড়েরা গলফ খেলে, তারা কেনাকাটা করতে যায়, যাই হোক না কেন। হোটেলের পরিবেশ খুবই আকর্ষণীয়। কারণ, দুর্নীতি দমন আইনের কিছু লঙ্ঘন হোটেলের পরিবেশে ঘটে যাওয়া নৈমিত্তিক কথোপকথন এবং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের মাধ্যমে তৈরি হয়। হোটেলে লোকেদের কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করব আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপে কলকাতায় বাংলাদেশের ম্যাচ দেখবেন ১৩৫ টাকায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ১৩৫ টাকা। ছবি: ক্রিকইনফো
বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ১৩৫ টাকা। ছবি: ক্রিকইনফো

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষের তিন মাসের মাথায় উপমহাদেশে মাঠে গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) আরও এক ইভেন্ট। ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই ইভেন্টে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ সব ম্যাচ খেলবে ভারতে। বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের জন্য কম দামে খেলা দেখার ব্যবস্থা করল আইসিসি।

এক মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে আজ আইসিসি টিকিটের সর্বনিম্ন দাম প্রকাশ করেছে। ভারতে প্রথম পর্বের জন্য সর্বনিম্ন দাম ১০০ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৩৫ টাকা। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ কলকাতায়। একটি ম্যাচ লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা খেলবেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। শ্রীলঙ্কা অংশে প্রথম পর্বে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ১০০০ লঙ্কান রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৩৯৬ টাকা। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ৩০০ ভারতীয় রুপি (৪০৫ টাকা)। বাংলাদেশ-ইতালি ম্যাচের টিকিট বিক্রি হবে ১০০ ভারতীয় রুপি থেকে। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২৫০ রুপি (৩৩৮ টাকা) থেকে। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে টিকিট বিক্রির কাজ শুরু হবে।

মাঠে বেশি দর্শক টানতেই টিকিটের দাম এত কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী সংযোগ গুপ্তা। আইসিসির মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ১০০ রুপি ও শ্রীলঙ্কান ১০০০ রুপিতে শুরু হবে টিকিট বিক্রি। লাখো ভক্ত-সমর্থক যেন মাঠে এসে খেলা উপভোগ করতে পারেন, সেজন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০ দলের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হবে ৫৫ ম্যাচ। ইতিহাসের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রতিযোগিতামূলক দিক থেকেই নয়। ভক্ত-সমর্থকেরা টুর্নামেন্টটা দারুণ ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।’

২০২৪ সালের মতোই থাকছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সংস্করণ। ২০ দল নিয়ে হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাঁচটি করে দল থাকবে প্রতিটি গ্রুপে। সে ক্ষেত্রে গ্রুপ হবে চারটি। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার এইটে। দুই গ্রুপ থাকবে সুপার এইটে। এখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল। সেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সেমিফাইনালে। এরপর হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।

আট ভেন্যুতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই—ভারতের এই পাঁচ ভেন্যুতে হচ্ছে বিশ্বকাপ। আর শ্রীলঙ্কায় কলম্বোর প্রেমাদাসা, সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব ও ক্যান্ডিতে হবে আইসিসির এই ইভেন্ট। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে টি-টোয়েনটি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। তার আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্বের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে কলম্বোর প্রেমাদাসায়।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই মাঠে ৯ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালি ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন লিটনরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ১৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। এবারের বিশ্বকাপ দিয়েই ইতালি প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে আইসিসি ইভেন্টে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চার ফুটবলারকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খেল রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক    
এনদ্রিকসহ রিয়াল মাদ্রিদের চার ফুটবলার নিষিদ্ধ হয়েছেন। ছবি: ফাইল ছবি
এনদ্রিকসহ রিয়াল মাদ্রিদের চার ফুটবলার নিষিদ্ধ হয়েছেন। ছবি: ফাইল ছবি

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। মাঠের পারফরম্যান্সে মিলছে না সুখবর। চ্যাম্পিয়নস লিগে গত রাতে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে রিয়াল। জাবি আলোনসোর রিয়াল খেল এবার বড় ধাক্কা।

রিয়ালের তিন ফুটবলারকে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করেছে লা লিগার শৃঙ্খলা কমিটি। লা লিগা কর্তৃপক্ষের শাস্তি পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের এই তিন ফুটবলার হলেন আলভারো ক্যারেরাস, দানি কারভাহাল ও এনদ্রিক। লা লিগায় রোববার রাতে সেলতা ফিগোর বিপক্ষে হারের পর বাজে প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণেই মূলত নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের গত রাতের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। আরেক রিয়াল ফুটবলার ফ্রান গার্সিয়া নিষিদ্ধ হয়েছেন এক ম্যাচ।

আলভারো ক্যারেরাস, দানি কারভাহাল, এনদ্রিক ও গার্সিয়ার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে শুধু লা লিগাতেই। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববার সেলতা ফিগোর বিপক্ষে লা লিগার সেই ম্যাচে গার্সিয়া, ক্যারেরাস ও এনদ্রিক দেখেছেন লাল কার্ড। যাদের মধ্যে এনদ্রিক বেঞ্চে বসে দেখেছেন লাল কার্ড। চোটে পড়ায় কারবাহাল সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি। ম্যাচ শেষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর টানেলে রেফারিদের প্রতি অসম্মান করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের রেফারি ছিলেন আলোহান্দ্রো কুইন্টেরো গঞ্জালেস। ক্যারেরাস শাস্তি পেয়েছেন রেফারি গঞ্জালেসের প্রতি বাজে আচরণ করে। রেফারিং পছন্দ হয়নি বলে সরাসরি ক্যারেরাস মন্তব্য করেছিলেন বলে জানা গেছে। এনদ্রিকও রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে সবশেষ আট ম্যাচের মধ্যে কেবল দুটিতে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল এখন ২০২৫-২৬ মৌসুমের লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। লা লিগায় সেলতা ফিগোর বিপক্ষে সেদিন জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন গার্সিয়া। স্প্যানিশ এই লিগে রিয়ালের পরবর্তী প্রতিপক্ষ আলাভেস। মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে আলাভেস-রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগার ম্যাচ।

৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত