Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

ফুটবলার না হলে শিক্ষক হতাম

সাফের দুটি শিরোপার সঙ্গে ঋতুপর্ণা চাকমা এবার হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরাও। ছবি: বাফুফে

সাফের দুটি শিরোপা উঠেছে তাঁর হাতে। এবার হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরাও। সেই ঋতুপর্ণা চাকমার সাফল্যের সিঁড়িগুলো কিন্তু সহজ ছিল না। জীবন আর ফুটবলকে সমানভাবে এগিয়ে নিতে কঠিন এক যুদ্ধই করতে হয়েছে তাঁকে। সে গল্পই তিনি শুনিয়েছেন আজকের পত্রিকাকে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই ফরোয়ার্ডের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জহির উদ্দিন মিশু

জহির উদ্দিন মিশু
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৬

প্রশ্ন: দুবার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলেন। সেই সঙ্গে এবার হলেন সেরা খেলোয়াড়ও। ভালো লাগার ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলবেন?

ঋতুপর্ণা চাকমা: টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি। এমন দিন দ্বিতীয়বার দেখতে পাব কখনো ভাবিনি। এটা ঠিক, সেরা হওয়াটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারণ, এত দূর আসতে সবাইকে অনেক শ্রম, অনেক বাধা টপকাতে হয়েছে। তবে দেশবাসীর দোয়া, সমর্থন না থাকলে কিছুই করা সম্ভব হতো না। সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। তারা আমাদের যে পরিমাণ ভালোবাসা দিয়েছে, তার কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে।

প্রশ্ন: ফাইনালে আপনার ম্যাজিক্যাল গোলেই জিতেছে বাংলাদেশ। ওই গোল এবং ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু শুনতে চাই।

ঋতুপর্ণা: অবশ্যই ওই গোলের অবদান পুরো দলের, সতীর্থদের। তাদের সহযোগিতা ছাড়া হয়তো এমন সুন্দর একটি গোল করতে পারতাম না। তবে আমাদের একটা বিশ্বাস ছিল যে এত দূর যেহেতু এসেছি, আমরা হারতে চাই না। অবশ্যই ট্রফিটা নিয়েই বাড়ি যাব—এমন একটা জেদ, একটা আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যে কাজ করেছে। সেই লক্ষ্য আর আত্মবিশ্বাস নিয়েই সবাই ফাইনালে মাঠে নামি। আমার একটা টার্গেট ছিল, যদি ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে যাই, সেটা সরাসরি পোস্টে শট নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ, নেপাল কিন্তু সমতার পর একটু রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করেছিল। এরপর পেয়েও যাই সুযোগটা।

প্রশ্ন: দুটি সাফ জয়ের পর দেশের জন্য, দেশের ফুটবলের জন্য ভবিষ্যতে আর কী কী করতে চান?

ঋতুপর্ণা: আমার ক্যারিয়ার তো সবে শুরু। এই দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। সামনে আরও দারুণ কিছু উপহার দিতে চাই। দেশের মানুষ আমাদের যতটা মূল্যায়ন করেছে, যতটা সম্মান দিয়েছে, আমরা চেষ্টা করব তার প্রতিদান দিতে। সামনের সাফেও এমন সাফল্যের প্রত্যাশায় আছি। দেশকে আরও জেতাতে চাই। সবাই দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া আর আমাদের পরিশ্রমে যেন ফুটবল আরও এগিয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন: যত দূর জানি, আপনার বাবা সব সময় চাইতেন, আপনি সেরা হন। আপনার সাফল্য আর তিনি দেখে যেতে পারেননি...

ঋতুপর্ণা: বাবা এবং ভাই—দুজনই কিন্তু ফুটবল ভীষণ পছন্দ করতেন। বিশেষ করে বাবা, তিনি ফুটবলকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। যেদিন ফুটবল খেলার কথা বাসায় প্রথম জানিয়েছিলাম, সবার আগে বাবা ‘হ্যাঁ’ বলে দেন। তিনি শুরু থেকেই আমার এই লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বাবাকে হারিয়ে ফেললাম। এরপর ভাইটাও চলে গেল। জানি না তাঁরা কেমন আছেন। তবে বাবা চলে যাওয়ার পর আমার পথচলাও খানিকটা থমকে যায়। পুরো পরিবারকেই দীর্ঘদিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। কী সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো! বাবা আমার হাত ধরে অনুশীলনে নিয়ে যেতেন, আবার নিয়ে আসতেন। বাবাকে আজ খুব মনে পড়ছে। এবার আমি দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা খেলোয়াড় হলাম। কিন্তু বাবা দেখে যেতে পারলেন না। আজ বাবা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন।

প্রশ্ন: বাবাহীন পৃথিবীতে ফুটবলে আপনাকে কে প্রেরণা জোগান, সব সময় কাকেই-বা পাশে পাচ্ছেন?

ঋতুপর্ণা: এখন মা-ই আমার সব। তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে নির্দিষ্ট একটা সময় রাখি মায়ের জন্য। সত্যি আমি খুবই গর্বিত যে এমন একজন মা পেয়েছি। যাঁকে সব সময় পাশে পাওয়া যায়। সুখে-দুঃখে আমাকে মা সাহস জুগিয়ে যান। যেদিন আমাদের ফাইনাল ম্যাচ, ওই দিন মাঠে নামার আগে মাকে কল দিয়েছিলাম। মা খুব আগ্রহ নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘আমার মন বলছে, তোমরাই জিতবে। ট্রফিটা তোমাদের হাতেই উঠবে। দেখো, মায়ের মন কখনো মিথ্যা বলে না।’ শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। নেপালকে হারিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হলাম। শুধু ফাইনালের দিন নয়, প্রতি ম্যাচের আগেই মা আশীর্বাদ করতেন। সবার মঙ্গল কামনা করতেন। এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে।

প্রশ্ন: মেয়েদের ফুটবলে আসা ততটা সহজ নয়। এই পর্যন্ত আসতে আপনাকে কতটা বাধা আর লড়াই করতে হয়েছে?

ঋতুপর্ণা: এমন ঘটনা আমিও শুনেছি। অনেক মেয়েকেই পরিবার থেকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু আমার বেলায় পুরো উল্টো। যেহেতু বাবা ছিলেন ফুটবলের একজন দারুণ সমর্থক। তাই ফুটবলে আমার আসা, এরপর এগিয়ে যেতে পরিবার থেকে অন্তত কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি। সবাই খুবই আন্তরিক ছিলেন। তবে দুজনের অবদান কখনো ভুলতে পারব না। একজন আমার স্যার বিয়াশন চাকমা; সম্পর্কে তিনি কাকা হন। আরেকজন শান্তমনি চাকমা। দুজনই আমার ছোটবেলার কোচ। আমি, রুপনা ও মনিকা—তিনজনের বাড়ি পাশাপাশি। তিনজনই তাঁদের কাছ থেকে ফুটবলটা শিখেছিলাম। বলতে পারেন হাতেখড়ি।

প্রশ্ন: ছোটবেলায় অনেকের অনেক ইচ্ছা থাকে। যদি ফুটবলার না হতেন, কী হতে চাইতেন?

ঋতুপর্ণা: আমারও অনেক স্বপ্ন ছিল। শুরুতে কিন্তু ভাবিনি ফুটবলার হব। কিন্তু কীভাবে যেন হয়ে গেলাম। ছোটবেলায় তো অনেক কিছু হওয়ারই ইচ্ছা ছিল। তবে একটা ইচ্ছা এখনো আছে—শিক্ষক হওয়া। যদি ফুটবলার না হতাম, তাহলে নিশ্চিত শিক্ষকই হতে চাইতাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষমা চাইলেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়কে লাথি-ঘুষি মারা বাংলাদেশি ডিফেন্ডার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মারছিলেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টারের ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ান। ছবি: সংগৃহীত
আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মারছিলেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টারের ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ানের লাল কার্ড দেখা।

জাতীয় স্টেডিয়ামে পরশু আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত আতলেতিকো চার্লনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহাসান হাবিব রিদওয়ান আর্জেন্টিনার এক ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মেরে বসেন। তখনই দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রেফারিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

ম্যাচের পর থেকেই রিদওয়ানকে শুনতে হচ্ছে দুয়ো, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কঠোর সমালোচনা করছেন দর্শকেরা। তীব্র সমালোচনায় বেশ ভেঙে পড়েছেন রিদওয়ান। এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লাতিন বাংলা কাপে খেলা একজন ফুটবলার। গতকাল ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এই ম্যাচে আমি যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছি এতে বাংলাদেশের দর্শক ও সমর্থকদের হতাশ করেছি। আসলে খেলার মাঠে অনেক সূক্ষ্ম সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটে। আমার সঙ্গেও এমন হয়েছিল। আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। যে আচরণ করেছি, সেটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’

লাথি-ঘুষির কাণ্ডে আর্জেন্টিনা দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রিদওয়ান। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলকেও একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই ডিফেন্ডার, ‘এটা আমার ভুল ও ভুলের পুরো দায় নিচ্ছি। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলের কাছে আমার একটাই বার্তা, সহিংস আচরণ ফুটবলে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে যে পরিণত আচরণ দেখানো উচিত ছিল, আমি সেটা দেখাতে পারিনি। আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড় ও কোচদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তারা এটাকে খেলার অংশ হিসেবে নিয়েছে।’

লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব সাও বের্নার্দোর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। ক্যাসপার হক, বীতশোক চাকমা, ইব্রাহিম নাওয়াজ, ইশান মালিক—লাতিন বাংলা সুপার কাপে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এই চার প্রবাসী ফুটবলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোড়া সেঞ্চুরি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেলেন বিরাট কোহলি

ক্রীড়া ডেস্ক    
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেন কোহলি। ছবি: ক্রিকইনফো
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেন কোহলি। ছবি: ক্রিকইনফো

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

২ ধাপ উন্নতি করে দুইয়ে উঠে এসেছেন কোহলি। তারকা ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৭৩ রেটিং পয়েন্ট। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২০ বলে ১৩৫ রান করেন কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ৪৫ বলে খেলেন ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩ ম্যাচে ৩০২ রান করে সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে সংস্করণেই খেলে যাচ্ছেন ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের একজন।

সিরিজে কোহলির মতো দুর্দান্ত ফর্মে না থাকলেও কম যাননি রোহিত শর্মা। ২ ফিফটিতে ১৪৬ রান করেন এই ওপেনার। যথারীতি ওয়ানডে ব্যাটারের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এই মারকুটে ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৮১ রেটিং পয়েন্ট। সতীর্থ কোহলির কাছে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কায় আছেন রোহিত।

সেরা দশে পরিবর্তন আছে আরও চারটি। এক ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন ড্যারেল মিচেল। আফগানিস্তানের ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানেরও এক ধাপ অবনমন হয়েছে। চারে নেমে গেছেন তিনি। এক ধাপ উন্নতি করে নয়ে উঠে এসেছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা। এক ধাপ পিছিয়ে বর্তমানে দশে অবস্থান করছেন ভারতের তারকা ব্যাটার শ্রেয়াশ আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া সফরে চোট পান তিনি। এরপর থেকেই দলের বাইরে আছেন। কবে ফিরবেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোচকে গুরুতর জখমের অভিযোগ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ক্রিকেটারদের হামলার শিকার হয়েছেন কোচ এস ভেঙ্কটরমন। ছবি: সংগৃহীত
ক্রিকেটারদের হামলার শিকার হয়েছেন কোচ এস ভেঙ্কটরমন। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচের বাকবিতণ্ডার ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নানা কারণে বনিবনা হয় না। কিন্তু ভারতের পুডুচেরিতে যা হলো, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। কোচকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন তিন ক্রিকেটার।

সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোচ এস ভেঙ্কটরমনকে জখমের অভিযোগ উঠেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েন অব পুডুচেরির (সিএপি) অনুশীলন সেন্টারের ভেতরে সোমবার বেলা ১১টায় পুডুচেরির অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ভেঙ্কটরমনের ওপর তিন স্থানীয় ক্রিকেটার আক্রমণ করেছেন। ইন্ডোর নেটে হামলার এই ঘটনায় কোচ মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। তাতে ২০ সেলাই লেগেছে তাঁর মাথায়। কোচের ঘাড়ের হাড়ের স্থানচ্যুতিও হয়েছে।

দল থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষোভে ক্রিকেটাররা কোচ ভেঙ্কটরমনের ওপর এমন হামলা করেছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। পুডুচেরির সেদারাপাত পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের উপপরিদর্শক এস রাজেশ বলেন, ‘ভেঙ্কটরমনের কপালে ২০ সেলাই দিতে হয়েছে। কিন্তু তার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা এখনো পলাতক। তাদের ধরার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত ঘটনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানো যাবে।’ ভেঙ্কটরমনের অভিযোগের তালিকায় থাকা তিন ক্রিকেটার হলেন কার্তিকিয়ান জয়াসুন্দরম, এ অরবিন্দরাজ ও এস সন্তোষ কুমারন। এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে ৩২ বছর বয়সী জয়াসুন্দরম সবচেয়ে বয়স্ক।

ভারতীদাসান পুডুচেরি ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি জি চন্দরনও আছেন ভেঙ্কটরমনের অভিযুক্তদের তালিকায়। তিন ক্রিকেটারকে চন্দরন উস্কেছেন বলে অভিযোগ ভেঙ্কটরমনের। অভিযোগপত্রে পুডুচেরি অনুর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘অরবিন্দরাজ আমাকে ধরে রাখে। কার্তিকিয়া ব্যাটটা নিয়েছে সন্তোষ কুমারনের থেকে। আক্রমণের উদ্দেশ্যই ছিল আমাকে হত্যা করা। আঘাতের সময় চন্দরনকে বলতে শুনেছি, ‘সুযোগ পেলে ঠিকই তাকে মেরে যেতাম।’ কোচ ভেঙ্কটরমনের আরেক পরিচয় তিনি সিএপির সাবেক সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোচের চাকরি বাঁচানোর লড়াইয়ে কি জিততে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ

ক্রীড়া ডেস্ক    
কোচ জাবি আলোনসোর চাকরি বাঁচানোর লড়াইয়ে আজ রাতে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: সংগৃহীত
কোচ জাবি আলোনসোর চাকরি বাঁচানোর লড়াইয়ে আজ রাতে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: সংগৃহীত

নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে মৌসুমের শুরুতেই যে চমক দেখিয়েছিল রিয়াল, ক্রমেই সেটি ফিকে হয়ে এসেছে। মাঠের বাজে পারফরম্যান্স দর্শকদের সামনে টেনে আসছে কার্লো আনচেলত্তির শেষ দিকের নিষ্প্রভ রিয়ালকেই। এমন রিয়াল মানেই কোচের চাকরি যাওয়া। লিগে ঘরের মাঠে সেলতা ভিগোর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর কেউ কেউ কোচ আলোনসোরও ‘শেষ’ দেখছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ সাত ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয়, এমন পরিস্থিতে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রিয়াল কোচ। তবে আলোনসোর বিশ্বাস, রিয়াল মাদ্রিদের পরিস্থিতি দ্রুতই বদলে যাবে।

আজকের পত্রিকা গ্রাফিক্স
আজকের পত্রিকা গ্রাফিক্স

এই বদলে যাওয়ার উপলক্ষটা কী? চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে লড়াইকে ঘিরে সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আলোনসো বললেন, ‘এই দল, এই ক্লাব সবাই একসঙ্গে আছে। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হলে এমন পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায়, ঐক্য ধরে রেখে, দায়িত্বশীলভাবে সামলাতে জানতে হয়। আমি সামনে যা আসছে, তার জন্য উদ্‌গ্রীব। জানি, রোববারের যে ক্ষোভ ছিল, তা থেকে সিটির বিপক্ষে ম্যাচের উত্তেজনায় সবকিছুই বদলে যেতে পারে। ফুটবলে ভালো বা খারাপ, সবকিছুই খুব দ্রুত বদলে যায়। দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যায়। আমরা এখন সেই মুহূর্তে আছি।’

তবে পরিস্থিতি বদলানোর জন্য ম্যান সিটির বিপক্ষে জিততেই হবে রিয়ালকে। জয়ের আশাই করছেন রিয়াল কোচ, ‘আমরা মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত। দল একতাবদ্ধ। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে।’ জিততে পারবে কি রিয়াল মাদ্রিদ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত