Ajker Patrika

মানসিক প্রশান্তির খোঁজে মিয়ামিতে মেসি

আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ১০: ০৪
মানসিক প্রশান্তির খোঁজে মিয়ামিতে মেসি

ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে লিওনেল মেসির আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে যাওয়ার বিষয়টি আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড নিজেই। গত পরশু দুই স্প্যানিশ ক্রীড়ামাধ্যম স্পোর্ত ও মুন্দো দেপার্তিভোকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা। তার কিছু চুম্বক অংশ তুলে দেওয়া হলো এখানে—

প্রশ্ন: যদি বার্সেলোনা না হয়, পরের গন্তব্য কোথায়? সৌদি আরব? মিয়ামি? 
লিওনেল মেসি: আমি মিয়ামিতে (ইন্টার) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনো শতভাগ কিছুই হয়নি। কিছু চূড়ান্ত বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।

প্রশ্ন: সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবার সঙ্গে? 
মেসি: মিডিয়া আরেকটি বিষয় জানিয়েছে যে, বুসি ও আলবার সঙ্গে আমি সৌদি আরবে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকে তাদের নিজের ভবিষ্যৎ খোঁজে। কোনো সময়ে আমরা এক জায়গায় যেতে রাজি ছিলাম না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং জানি না তারা কী করতে যাচ্ছে। আমি কারও সঙ্গে কোনো কিছু ব্যবস্থা করে রাখি না। 

প্রশ্ন: আপনি যেমন বলছেন, এটা স্পটলাইট ছেড়ে যাওয়া? 
মেসি: হ্যাঁ, ইউরোপ ছাড়ছি। আরেকটি ইউরোপিয়ান দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সে ব্যাপারে ভেবেও দেখিনি। ইউরোপ হলে আমার পরিকল্পনায় ছিল শুধু বার্সেলোনায় যাওয়া। বিশ্বকাপ জেতার পর এবং বার্সায় ফেরা সম্ভব না হওয়ায় সময় এসেছে আমেরিকান লিগে ফুটবলকে ভিন্নভাবে ও প্রতিদিন উপভোগের অভিজ্ঞতা নেওয়ার। নিঃসন্দেহে সেই একই দায়িত্ব ও একই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জিততে চাই এবং সব সময় ভালো করতে চাই। তবে সেটা আরও বেশি মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে। 

প্রশ্ন: আমরাও এখানে এসেছি বার্সার ব্যাপারে কথা বলতে। আপনি কি তাদের মিস করেন? 
মেসি: হ্যাঁ, আসলেই আমি তাদের মিস করি। এমনকি শুরুর চেয়েও বেশি, যখন এখানে আমার প্রথম বছর খুব কঠিন ছিল। আমি চলে যাওয়ার পরেও আমি তাদের অনুসরণ করেছি। সব সময় তাদের খেলা দেখতাম, সব সময় স্মৃতিগুলো মনে পড়ত—আহ, যদি ওখানে থাকা হতো! 

প্রশ্ন: তাদের খেলা দেখেন। আমার মনে হয়, তারা যখন লিগ জিতল, তখন বার্সার অন্যান্য সমর্থকের মতো আপনিও খুশি হয়েছিলেন। 
মেসি: হ্যাঁ, অবশ্যই। সারা বছর আমি তাদের খেলা দেখি এবং বার্সেলোনার সব সমর্থকের মতো আমিও চেয়েছিলাম বার্সা লিগ জিতুক। এমনকি প্রথম বছরেও (ছেড়ে আসার), কয়েক ম্যাচ পর আমি জাভির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। 

প্রশ্ন: ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? 
মেসি: সত্যি হলো, হ্যাঁ। আমি সত্যিই ফিরতে চেয়েছিলাম, সত্যি এই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে আমাকে সেখান থেকে যেভাবে চলে যেতে হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার পরে আমি চাইনি আবারও একই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে। কী ঘটছে সেটি দেখতে অপেক্ষা করছি। নিজের ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইনি। নিজের ও আমার পরিবারের জন্য নিজের সিদ্ধান্তটা নিজে নিতে চেয়েছিলাম। এমনও শুনেছি, তারা জানিয়েছিল লিগ সবকিছু মেনে নিয়েছে এবং আমার ফিরে আসতে সব ঠিক আছে…তবে সেখানে অনেক কিছুর ঘাটতি ছিল। আমি শুনেছি তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করতে হচ্ছে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হচ্ছে। আমি এর মধ্যে যেতে চাইনি, এমন কোনো কিছুর জন্য দায়ী হতে চাইনি।

বার্সেলোনায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠেছিল, যেটা সত্য ছিল না এবং এতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আবারও আমি এসবের মধ্যে যেতে চাইনি। ভয় পাচ্ছিলাম, একই বিষয়গুলো না আবার ঘটে এবং আগেকার মতো তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাকে প্যারিসে আসতে হয়েছিল এবং পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন হোটেলে থাকতে হয়েছে, এখনো হোটেলেই আছি। আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে চেয়েছি। বার্সায় এ কারণে ফিরিনি। 

প্রশ্ন: আপনি কি আপনার হৃদয়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন? 
মেসি: আমি ফিরতে চেয়েছি (বার্সায়)। এমন এক অবস্থায় আছি, একটু স্পটলাইট থেকেও বেরিয়ে আসতে চাই। পরিবার নিয়ে আরেকটু ভাবতে চাই। যেমনটা বলেছি, দুই বছর ছিলাম (প্যারিসে), যা আমার পরিবারের জন্য ভালো ছিল না এবং নিজেও উপভোগ করিনি। আমার জন্য উচ্ছ্বাসের মাস ছিল যেবার আমরা বিশ্বকাপ জিতলাম। এর বাইরে কঠিন সময় কেটেছে এবং আমার পরিবার ও সন্তানের জন্য আনন্দকে পুনরায় আবিষ্কার করতে চাই, এ কারণে বার্সায় ফেরা হয়নি। 

প্রশ্ন: সিদ্ধান্ত নিতে কোন বিষয়টি বেশি মূল্যায়ন করেছেন? 
মেসি: বিশ্বকাপ জেতার পর অন্যকিছু খুঁজছিলাম এবং কিছুটা মানসিক প্রশান্তিও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘরের মাঠে খেলতে না পারার আক্ষেপ বাংলাদেশ কোচের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অনুশীলনে ফুটবলারদের নিয়ে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। ছবি: বাফুফে
অনুশীলনে ফুটবলারদের নিয়ে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। ছবি: বাফুফে

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?

দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।

খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র‍্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’

প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’

থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’

এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জীবনে যে এক দিন লুডুও খেলেনি, সে কেন সাধারণ সম্পাদক’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৪৯
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা। ছবি: সংগৃহীত
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গতকাল ঘোষিত কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই এই কমিটির বিলুপ্তি চান সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকেরা।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানাসহ ৬ সাবেক নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক।

নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লাকে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফিরোজ করিম নেলী। দুজনেই আগের কমিটির সদস্য ছিলেন।

ডানা বলেন, ‘যেহেতু সরকার বলেছে ক্রীড়াঙ্গনের লোক থাকবে। এই কমিটিতে ৫০ শতাংশ লোকও নাই। আমরা অবশ্যই আশা করব, কালকের মধ্যে কমিটি ভেঙে দিতে হবে। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা ফিরোজা করিম নেলীকে চাই না। উনি তো খেলোয়াড় নন। অনেক সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক আছে, তারা সুযোগ পায় না। এই কমিটির বিলুপ্তি চাই।’

নেলীকে নিয়ে সাবেক সাঁতারু মাহফুজা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি সাঁতার ফেডারেশনে অনেক নন-স্পোর্টসম্যান ছিল। এখন মহিলা ক্রীড়া সংস্থাতেও সেসব দেখছি। নেলী করিম আমাদের সঙ্গে যা করেছে, সেসব মানার মতো না। এসব আশা করি না। তা ছাড়া সার্চ কমিটি যাদের নাম দিল, তাদের কেউ তো কমিটিতে নেই। আমরা চাই সুস্থ কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি।’

নতুন অ্যাডহক কমিটির অনেকেই কোনো দিন খেলাধুলায় ছিলেন না বলে মনে করেন সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজমা সিদ্দিকী শিমুল, ‘নেলী জীবনে এক দিন লুডুও খেলেনি, সে কেন জেনারেল সেক্রেটারি। এখানে কমিটিতে যারা আছে, তাদের কাউকে চিনি না। ডানা আপার একজনের যোগ্যতা এদের কারও নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফিফের হ্যাটট্রিকের দিনে নাঈম–রনির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।

আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।

সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসায় বসে ক্রিকেট দেখাও কষ্টদায়ক: লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’

কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত