Ajker Patrika

আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ ছাপিয়ে ‘অলিম্পিকো গোল’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বাংলাদেশে ঘরোয়া ফুটবল লিগে খেলা বিদেশিদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরাদের একজন দানিয়েল কলিনদ্রেস। কোস্টারিকার হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলা এই ফরোয়ার্ড বিপিএল ফুটবলে উপহার দিয়েছেন মনে রাখার মতো সব মুহূর্ত। কোস্টারিকান তারকার ফুটবল-জাদু আজ দেখেছে কুমিল্লার দর্শক। 

অতীতের মতো জৌলুশ না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ রোমাঞ্চকর কয়েকটি ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান। এবারের বিপিএল ফুটবলের প্রথম লেগে যেমন সাদা-কালোদের বিপক্ষে মাত্র এক গোলে জিতেছিল আবাহনী। তবে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের দিক থেকে প্রথম লেগের ম্যাচকে পানসে বানিয়েছে কুমিল্লায় দুই দলের দ্বিতীয় দলের লেগ ম্যাচ। 

চোখ জুড়ানো সব গোল, লাল কার্ড নিয়ে উত্তেজনা, শেষ সময়ে মোহামেডানের গোল বাতিল হওয়া-কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে আজ বেশ টান টান এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে মোহামেডান-আবাহনী। উত্তেজনা শেষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেছে আবাহনী। গোলের শুরুটা কলিনদ্রেসের দারুণ কর্নার কিক থেকে। 

ম্যাচের তখন ৮ মিনিট। শুরু থেকেই মোহামেডানকে চাপে রেখে কর্নার আদায় করে নেয় আবাহনী। বাঁ প্রান্তে কর্নার বলে স্পট কিক নেন কলিনদ্রেস। এর আগের মিনিটেও একটা কর্নার কিক নিয়েছিলেন, সেই শট ফিরিয়ে দেন মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু এবার এমন এক শটই নিয়েছেন কলিনদ্রেস যে ফেরানোর সাধ্য ছিল না কারও! ডান পায়ে রংধনুর মতো বাঁকানো শট মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। দূর পোস্টে দাঁড়িয়েছিলেন মোহামেডান মিডফিল্ডার আশরাফুল হক আসিফ। লাফিয়েও কলিনদ্রেসের শট ঠেকাতে পারেননি তিনি। 

ম্যাচে হারলেও ম্যাচে মোহামেডানের দুই গোলও ছিল মনে রাখার মতো। দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করা মোহামেডানকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। আলমগীর হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে ১৮ মিনিটে দিয়াবাতের উড়ন্ত সাইড ভলিতে পরাস্ত হন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। 

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে শাহরিয়ার ইমনের গোলটিও ছিল চোখে লেগে থাকার মতন। বক্সের ভেতর আবাহনীর তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে করা শাহরিয়ারের গোলটি এ মৌসুমে দেশি ফুটবলারদের করা গোলের মধ্যে অন্যতম সেরা। 

ম্যাচের সব গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। কলিন্দ্রেসের গোলে এগিয়ে গেলেও আবাহনীকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান দরিয়েলটন গোমেজ। ১০ ও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে করেছেন দুই গোল। আকাশি-নীলদের চতুর্থ গোলটি ইমন মাহমুদের। 

৮০ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার রেজাউল করিম। ৯০ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন বদলি নামা সাহেদ মিয়া কিন্তু অফসাইডের পতাকা তা বাতিল করে দেন সহকারী রেফারি। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকল আবাহনী। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে মোহামেডান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত