বোরহান জাবেদ ও সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়। বিজয়ের ৫০ বছরে আজকের পত্রিকার তিন পর্বের আয়োজনের শেষ পর্বে আজ থাকছে ক্রিকেট।
১৯৭১-১৯৮০
ক্রিকেট বোর্ড গঠন
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেটের বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি)।
বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তবে মূল কাণ্ডারি ছিলেন কার্যনির্বাহী সম্পাদক রেজা-ই-করিম। তিনিই সে সময় প্রায় এক হাতে চালিয়েছেন দেশের ক্রিকেট।
বোর্ডের আসল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সর্বস্তরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেট তুলে ধরা। শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণটাও অনুমেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়ার আগে অন্য ক্ষেত্র বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ছিল ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। স্টেডিয়ামেরই একটি কক্ষে ছিল বোর্ড কার্যালয়। আসবাবপত্র বলতে একটি করে টেবিল-চেয়ার আর স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। রেজা-ই-করিম বিদ্যুৎহীন বোর্ড অফিসে বসে মোমবাতির আলোয় কাজ চালিয়েছেন। আর্থিক দুরবস্থা মেটাতে কখনো ধর্ণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের কাছে, কখনো ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে।
বাংলাদেশিদের ক্রিকেটপ্রীতি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নাম তখনো অনেকে শোনেননি। এ পরিস্থিতিতেই একজন মানুষ আঁচ করেছিলেন এ দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তিনি ইংল্যান্ডের রবিন মারলার। এই ক্রিকেট সাংবাদিক ১৯৭৬ সালে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলেন ‘উইদার বাংলাদেশ’ (যেখানে বাংলাদেশ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্ব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বিশদ ধারণা পায়। তাতে নড়চড়ে বসে বিসিসিবি।
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের বাংলাদেশ সফর
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ঘরোয়া লিগ শেষে রেজা-ই-করিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) একটি চিঠি পাঠান। চিঠির মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশকে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। ১৯৭৬ সালের জুনে আইসিসির সভায় ওঠে বিষয়টি। আইসিসি বিসিসিবিকে পরামর্শ দেয় ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবকে (এমসিসি) আমন্ত্রণ জানাতে। বিসিবি আমন্ত্রণ জানায় এমসিসিকে। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে এমসিসি। পরের বছরের শুরুতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিসিসিবির বিপক্ষে খেলে তিন দিনের ম্যাচ। সেটিই ছিল বাংলাদেশ দলের প্রথম অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ।
আইসিসির সদস্যপদ লাভ
এমসিসির ওই সফরের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পদচ্ছাপের সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা সত্যি হয় পরের বছর। ১৯৭৭ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হয় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টটা অম্লমধুর কাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয়-হার। টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেন রকিবুল হাসান। যিনি একাত্তরে একটি ম্যাচে ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নেমে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
১৯৮১-১৯৮৯
বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক
আইসিসির সদস্য হওয়ার ৯ বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। সেটিও বেশ নাটকীয়ভাবে। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কানদের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের জেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে বাংলাদেশ। ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৭ উইকেটে। তবে ফল ছাপিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন কারণে। বাংলাদেশের অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপুর সঙ্গে নাকি বাউন্ডারির বাইরেই টস সেরেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তাতে বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার মতো কোনো ব্যাপার ছিল না।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর বসে বাংলাদেশে। সেটি ছিল স্বাধীন দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আসরে মোট সাতটি ম্যাচ হয় দুটি ভেন্যু ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশ পায়নি সাফল্যের দেখা। হেরেছে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই।
১৯৯০-২০০০
প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ
গত এক দশকে কিংবা তারও আগে থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির ম্যাচই দর্শকের চাহিদা তুঙ্গে। তবে বাংলাদেশ প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচের সাক্ষী হয় ১৯৯০ সালে। ঢাকা স্টেডিয়ামে বিসিবি অনূর্ধ্ব-২৫ (তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) বিপক্ষে খেলে ডেকান ব্লুস। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। কপিল দেবের ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যেও ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম স্বাগতিক
এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিশীলতায় লিগ পর্বেই বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে স্বাগতিকেরা। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৮ ওভার খেলা হওয়ার পরই ম্যাচসহ টুর্নামেন্ট বাতিল হয়। সার্কের পরের দুটি টুর্নামেন্টেরও স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের কাছে শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তৃতীয়টির শিরোপা যায় পাকিস্তানের ঘরে।
আইসিসি ট্রফি জয়
এক-দুই-তিনবার নয়, ষষ্ঠবারের চেষ্টায় কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসি ট্রফি জেতার লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। এর আগে টুকটাক সাফল্য পেলেও ক্রিকেটে পুরো জাতিকে এক করার এটাই প্রথম উপলক্ষ্য। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের হাত ধরে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের চেনানোর সেই শুরু। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত কেলাব ক্লাব মাঠের গর্জন সেদিন পোঁছে গিয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। তবে তার চেয়েও বড় সুখবর বাংলাদেশ পেয়ে যায় সেমিফাইনালে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ২২ ম্যাচ হারের পর। ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে (৭৭ রান ও ৩ উইকেট) কেনিয়ার বিপক্ষে ভারতের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর এই দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকে নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি ও টেস্ট অভিষেক
প্রথম শ্রেণির জাতীয় ক্রিকেট লিগ দেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালের ২৬ জুন ক্রিকেটের কুলীন জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষেকে যাই ঘটে সেটাই রেকর্ড-এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস জেতেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আরও একটি রেকর্ডেও নাম তোলেন দুর্জয়। দেশের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারী বোলার। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দলীয় ৪০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ে বাংলাদেশ।
২০০১-২০১০
প্রথম টেস্ট খেলতে নামা আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। এই দশকের প্রথম বিশ্বকাপটা (২০০৩) দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও পরের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখে বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় হাবিবুল বাশারের সুমনের দল। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আরেকবার বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেয় বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের (সাকিব, তামিম, মুশফিক) পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু। ভারতের বিপক্ষে তিনজনই ফিফটি করেন। জহির খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে তামিমের সেই বিখ্যাত বনে যাওয়া ছক্কা কিংবা কাভার দিয়ে মুনাফ প্যাটেলকে মুশফিকের সেই ড্রাইভ-সবই স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
২০১১-বর্তমান
প্রথমবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। জমকালো এক উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠের বাইরের আয়োজনেও নিজেদের সক্ষমতা দেখায় বাংলাদেশ। তবে মাঠের ক্রিকেটে মনে রাখার মতো মুহূর্ত খুব বেশি দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউটে যাওয়া হয়নি। এই দশকে বাংলাদেশের আক্ষেপের গল্পগুলোর একটি ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনাল। ভারত-শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনানে জায়গা করে নেওয়া। সেখান থেকে পাকিস্তানের কাছে হৃদয় ভাঙার সেই হার। ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া আর হারানোর সমকক্ষ হয়ে থাকবে এই বিশ্বকাপ।
প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে
২০১৪ বিশ্বকাপের হতাশা মুছতে পরের বছর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্য রূপে হাজির হয় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বপ্নের বিশ্বকাপ বলাই যায়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনাল কিংবা ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেনের ‘বাংলাদেশ টাইগার্স হেভ নকড দ্য ইংলিশ লায়ন্স আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ’ দশকের সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকবে। পরের বছর ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার কিংবা একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের কাছে এক রানের হার-সবই তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্প হয়ে আছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর আইসিসি টুর্নামেন্টের পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের আরেক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরিতে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি সময় পার করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতকে সিরিজ হারায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ওয়ানডেতে ভালো করলেও এই সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সব সমালোচনার জবাব দেয় বাংলাদেশ।
অন্য খেলার সঙ্গে তুলনায় ক্রিকেট বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচয়, এশিয়ান গেমসের সোনা। কিন্তু সোনালি প্রজন্মের সারথি সাকিব, মাশরাফিরা একটি অতৃপ্তি রেখে দিচ্ছিলেন বারবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো শিরোপা জিতে উৎসবের সুযোগ করে দিতে পারেননি তাঁরা। ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপ, ২০১৬ এশিয়া কাপ-সবই এতো কাছে তবু এতো দূরের গল্প হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ছেলেদের অতৃপ্তি ঘোচানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন মেয়েরা। রুমানা-আয়েশাদের হাত ধরে ২০১৮ সালের ১০ জুন এশিয়ার ক্রিকেটের হিমালয় সমদূরত্বে থাকা ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯৯৭ সালে পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে সেই কুয়ালামাপুরেই এল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। ভারতকে ৩ উইকেটে হারানোর অন্যতম রুপকার রুমানা হন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
বলা হয়ে থাকে, একটা সাফল্যে নাকি আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোতে পরাজয়ের গ্লানির সঙ্গে একটা শিরোপার হাহাকার ততদিনে আক্ষেপ গাঁথায় রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ মে। অবশেষে সেই গোরো খোলে। বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। প্রথম শিরোপা জয়ের তারিখটাতে (১৭ মে) চাইলে আপনি স্মৃতিকাতর হতে পারেন। ২১ বছর আগে-পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকটা পথ পেরিয়ে এলেও স্মৃতিতে অম্লান থাকে সব প্রথমই। ১৯৯৮ সালের ১৭ মে এমনই একদিনে ভারতের হায়দরাবাদে প্রথম ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে এই শিরোপা জিতে যতটা খুশি হয়েছিল বাংলাদেশ ততটাই হতাশ হতে হয়েছিল বিশ্বকাপে। আশার বেলুন ফুলিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপটাই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ডুবিয়েছে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল তো বটেই নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সাকিব বিশ্বকাপটা আপন আলোয় আলোকিত করেন এসেছিলেন। বলে-ব্যাটে সাকিবের ওমন পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের ইতিহাসেই বিরল।
যুবাদের বিশ্বজয়
ওপরেই বলছিলাম, একটা সাফল্যে আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর শিরোপার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে গত তিন বছরে তিনটি শিরোপা জেতে। যার শেষটা আবার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সাফল্যে হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুনের কেতন উড়িয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা স্বাদ পান আকবর আলী-রাকিবুলরা।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়। বিজয়ের ৫০ বছরে আজকের পত্রিকার তিন পর্বের আয়োজনের শেষ পর্বে আজ থাকছে ক্রিকেট।
১৯৭১-১৯৮০
ক্রিকেট বোর্ড গঠন
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেটের বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি)।
বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তবে মূল কাণ্ডারি ছিলেন কার্যনির্বাহী সম্পাদক রেজা-ই-করিম। তিনিই সে সময় প্রায় এক হাতে চালিয়েছেন দেশের ক্রিকেট।
বোর্ডের আসল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সর্বস্তরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেট তুলে ধরা। শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণটাও অনুমেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়ার আগে অন্য ক্ষেত্র বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ছিল ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। স্টেডিয়ামেরই একটি কক্ষে ছিল বোর্ড কার্যালয়। আসবাবপত্র বলতে একটি করে টেবিল-চেয়ার আর স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। রেজা-ই-করিম বিদ্যুৎহীন বোর্ড অফিসে বসে মোমবাতির আলোয় কাজ চালিয়েছেন। আর্থিক দুরবস্থা মেটাতে কখনো ধর্ণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের কাছে, কখনো ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে।
বাংলাদেশিদের ক্রিকেটপ্রীতি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নাম তখনো অনেকে শোনেননি। এ পরিস্থিতিতেই একজন মানুষ আঁচ করেছিলেন এ দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তিনি ইংল্যান্ডের রবিন মারলার। এই ক্রিকেট সাংবাদিক ১৯৭৬ সালে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলেন ‘উইদার বাংলাদেশ’ (যেখানে বাংলাদেশ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্ব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বিশদ ধারণা পায়। তাতে নড়চড়ে বসে বিসিসিবি।
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের বাংলাদেশ সফর
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ঘরোয়া লিগ শেষে রেজা-ই-করিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) একটি চিঠি পাঠান। চিঠির মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশকে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। ১৯৭৬ সালের জুনে আইসিসির সভায় ওঠে বিষয়টি। আইসিসি বিসিসিবিকে পরামর্শ দেয় ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবকে (এমসিসি) আমন্ত্রণ জানাতে। বিসিবি আমন্ত্রণ জানায় এমসিসিকে। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে এমসিসি। পরের বছরের শুরুতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিসিসিবির বিপক্ষে খেলে তিন দিনের ম্যাচ। সেটিই ছিল বাংলাদেশ দলের প্রথম অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ।
আইসিসির সদস্যপদ লাভ
এমসিসির ওই সফরের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পদচ্ছাপের সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা সত্যি হয় পরের বছর। ১৯৭৭ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হয় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টটা অম্লমধুর কাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয়-হার। টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেন রকিবুল হাসান। যিনি একাত্তরে একটি ম্যাচে ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নেমে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
১৯৮১-১৯৮৯
বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক
আইসিসির সদস্য হওয়ার ৯ বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। সেটিও বেশ নাটকীয়ভাবে। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কানদের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের জেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে বাংলাদেশ। ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৭ উইকেটে। তবে ফল ছাপিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন কারণে। বাংলাদেশের অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপুর সঙ্গে নাকি বাউন্ডারির বাইরেই টস সেরেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তাতে বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার মতো কোনো ব্যাপার ছিল না।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর বসে বাংলাদেশে। সেটি ছিল স্বাধীন দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আসরে মোট সাতটি ম্যাচ হয় দুটি ভেন্যু ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশ পায়নি সাফল্যের দেখা। হেরেছে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই।
১৯৯০-২০০০
প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ
গত এক দশকে কিংবা তারও আগে থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির ম্যাচই দর্শকের চাহিদা তুঙ্গে। তবে বাংলাদেশ প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচের সাক্ষী হয় ১৯৯০ সালে। ঢাকা স্টেডিয়ামে বিসিবি অনূর্ধ্ব-২৫ (তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) বিপক্ষে খেলে ডেকান ব্লুস। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। কপিল দেবের ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যেও ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম স্বাগতিক
এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিশীলতায় লিগ পর্বেই বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে স্বাগতিকেরা। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৮ ওভার খেলা হওয়ার পরই ম্যাচসহ টুর্নামেন্ট বাতিল হয়। সার্কের পরের দুটি টুর্নামেন্টেরও স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের কাছে শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তৃতীয়টির শিরোপা যায় পাকিস্তানের ঘরে।
আইসিসি ট্রফি জয়
এক-দুই-তিনবার নয়, ষষ্ঠবারের চেষ্টায় কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসি ট্রফি জেতার লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। এর আগে টুকটাক সাফল্য পেলেও ক্রিকেটে পুরো জাতিকে এক করার এটাই প্রথম উপলক্ষ্য। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের হাত ধরে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের চেনানোর সেই শুরু। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত কেলাব ক্লাব মাঠের গর্জন সেদিন পোঁছে গিয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। তবে তার চেয়েও বড় সুখবর বাংলাদেশ পেয়ে যায় সেমিফাইনালে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ২২ ম্যাচ হারের পর। ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে (৭৭ রান ও ৩ উইকেট) কেনিয়ার বিপক্ষে ভারতের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর এই দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকে নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি ও টেস্ট অভিষেক
প্রথম শ্রেণির জাতীয় ক্রিকেট লিগ দেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালের ২৬ জুন ক্রিকেটের কুলীন জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষেকে যাই ঘটে সেটাই রেকর্ড-এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস জেতেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আরও একটি রেকর্ডেও নাম তোলেন দুর্জয়। দেশের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারী বোলার। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দলীয় ৪০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ে বাংলাদেশ।
২০০১-২০১০
প্রথম টেস্ট খেলতে নামা আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। এই দশকের প্রথম বিশ্বকাপটা (২০০৩) দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও পরের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখে বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় হাবিবুল বাশারের সুমনের দল। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আরেকবার বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেয় বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের (সাকিব, তামিম, মুশফিক) পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু। ভারতের বিপক্ষে তিনজনই ফিফটি করেন। জহির খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে তামিমের সেই বিখ্যাত বনে যাওয়া ছক্কা কিংবা কাভার দিয়ে মুনাফ প্যাটেলকে মুশফিকের সেই ড্রাইভ-সবই স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
২০১১-বর্তমান
প্রথমবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। জমকালো এক উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠের বাইরের আয়োজনেও নিজেদের সক্ষমতা দেখায় বাংলাদেশ। তবে মাঠের ক্রিকেটে মনে রাখার মতো মুহূর্ত খুব বেশি দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউটে যাওয়া হয়নি। এই দশকে বাংলাদেশের আক্ষেপের গল্পগুলোর একটি ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনাল। ভারত-শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনানে জায়গা করে নেওয়া। সেখান থেকে পাকিস্তানের কাছে হৃদয় ভাঙার সেই হার। ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া আর হারানোর সমকক্ষ হয়ে থাকবে এই বিশ্বকাপ।
প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে
২০১৪ বিশ্বকাপের হতাশা মুছতে পরের বছর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্য রূপে হাজির হয় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বপ্নের বিশ্বকাপ বলাই যায়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনাল কিংবা ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেনের ‘বাংলাদেশ টাইগার্স হেভ নকড দ্য ইংলিশ লায়ন্স আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ’ দশকের সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকবে। পরের বছর ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার কিংবা একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের কাছে এক রানের হার-সবই তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্প হয়ে আছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর আইসিসি টুর্নামেন্টের পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের আরেক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরিতে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি সময় পার করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতকে সিরিজ হারায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ওয়ানডেতে ভালো করলেও এই সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সব সমালোচনার জবাব দেয় বাংলাদেশ।
অন্য খেলার সঙ্গে তুলনায় ক্রিকেট বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচয়, এশিয়ান গেমসের সোনা। কিন্তু সোনালি প্রজন্মের সারথি সাকিব, মাশরাফিরা একটি অতৃপ্তি রেখে দিচ্ছিলেন বারবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো শিরোপা জিতে উৎসবের সুযোগ করে দিতে পারেননি তাঁরা। ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপ, ২০১৬ এশিয়া কাপ-সবই এতো কাছে তবু এতো দূরের গল্প হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ছেলেদের অতৃপ্তি ঘোচানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন মেয়েরা। রুমানা-আয়েশাদের হাত ধরে ২০১৮ সালের ১০ জুন এশিয়ার ক্রিকেটের হিমালয় সমদূরত্বে থাকা ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯৯৭ সালে পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে সেই কুয়ালামাপুরেই এল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। ভারতকে ৩ উইকেটে হারানোর অন্যতম রুপকার রুমানা হন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
বলা হয়ে থাকে, একটা সাফল্যে নাকি আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোতে পরাজয়ের গ্লানির সঙ্গে একটা শিরোপার হাহাকার ততদিনে আক্ষেপ গাঁথায় রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ মে। অবশেষে সেই গোরো খোলে। বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। প্রথম শিরোপা জয়ের তারিখটাতে (১৭ মে) চাইলে আপনি স্মৃতিকাতর হতে পারেন। ২১ বছর আগে-পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকটা পথ পেরিয়ে এলেও স্মৃতিতে অম্লান থাকে সব প্রথমই। ১৯৯৮ সালের ১৭ মে এমনই একদিনে ভারতের হায়দরাবাদে প্রথম ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে এই শিরোপা জিতে যতটা খুশি হয়েছিল বাংলাদেশ ততটাই হতাশ হতে হয়েছিল বিশ্বকাপে। আশার বেলুন ফুলিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপটাই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ডুবিয়েছে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল তো বটেই নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সাকিব বিশ্বকাপটা আপন আলোয় আলোকিত করেন এসেছিলেন। বলে-ব্যাটে সাকিবের ওমন পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের ইতিহাসেই বিরল।
যুবাদের বিশ্বজয়
ওপরেই বলছিলাম, একটা সাফল্যে আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর শিরোপার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে গত তিন বছরে তিনটি শিরোপা জেতে। যার শেষটা আবার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সাফল্যে হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুনের কেতন উড়িয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা স্বাদ পান আকবর আলী-রাকিবুলরা।

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৩৪ মিনিট আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দুই অঙ্কের ছোঁয়া পেয়েছেন মাত্র ৪ ব্যাটার। প্রথম ওভারে সুমাইয়া আক্তারকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রেনুকা সিং। আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দারও (১৩) থিতু হতে পারেননি।
তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলার সুবাস দিচ্ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। কিন্তু দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। সোবহানা মোস্তারি এসে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। তাঁর ২১ বলে ৪ চারে ২৬ রানের ইনিংস থামান রাধা যাদব। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে অলআউট না হওয়ার স্বস্তি নিয়ে শেষ হয় ইনিংস।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রাধা যাদব। দুটি উইকেট শিকার শ্রী চারানির। ডিএলএস মেথডে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। যে লক্ষ্যে ব্যাট করে ৮.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে ভারত।। এরপর বৃষ্টি আবার বাগড়া দলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচ বাতিল হওয়ার আগে স্মৃতি মান্ধনা ৩৪ ও আমানজোতে কৌর ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালেম উঠল ভারত। ভারতের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।

বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দুই অঙ্কের ছোঁয়া পেয়েছেন মাত্র ৪ ব্যাটার। প্রথম ওভারে সুমাইয়া আক্তারকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রেনুকা সিং। আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দারও (১৩) থিতু হতে পারেননি।
তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলার সুবাস দিচ্ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। কিন্তু দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। সোবহানা মোস্তারি এসে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। তাঁর ২১ বলে ৪ চারে ২৬ রানের ইনিংস থামান রাধা যাদব। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে অলআউট না হওয়ার স্বস্তি নিয়ে শেষ হয় ইনিংস।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রাধা যাদব। দুটি উইকেট শিকার শ্রী চারানির। ডিএলএস মেথডে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। যে লক্ষ্যে ব্যাট করে ৮.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে ভারত।। এরপর বৃষ্টি আবার বাগড়া দলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচ বাতিল হওয়ার আগে স্মৃতি মান্ধনা ৩৪ ও আমানজোতে কৌর ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালেম উঠল ভারত। ভারতের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
তবে সেই সিনেমায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন কেবল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরাই। আজ বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তাদের জয় উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে-বেলিংহামরা। তাও টানা ৪ এল ক্লাসিকো হারের পর।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় লামিনে ইয়ামাল নন উল্টো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই ফাউল করে বসেন। ১২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ এক ভলিতে কাঁপান জাল। অফসাইডের সংকেত নিয়ে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিএআর।
২২ মিনিটে রিয়ালকে আর কোনোকিছুই আটকাতে পারেনি। আটকাতে পারেনি এমবাপ্পেকেও। জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত এক থ্রু বল খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। সামনে যখন শুধু গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। তখন এমবাপ্পে আর ভুল করতে পারেন কী করে! অসাধারণ শটে বল জালে ঠেলে সোজা চলে যান উদ্যাপনে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে টানা ৪ ম্যাচে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার তিনি।
এরপর বল বার্সার দখলে বেশি থাকলেও রিয়াল শানাচ্ছিল একের পর এক আক্রমণ। আর বার্সা ছিল রিয়ালের একটি ভুলের অপেক্ষায়। সেই ভুল করে বসেন আর্দা গুলের। বক্সের সামনে পেদ্রির কাছে বল হারান তিনি। সেখান থেকে আলেহান্দ্রো বালদে বল পেয়ে তা বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ডকে। তাঁর কাটব্যাক থেকে সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতোই জাল খুঁজে নেন ফেরমিন লোপেস। সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়ে বার্সা বিরতিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তখনো খুব একটা বেশি ছিল। রিয়াল বল পেলেই যে ছুটছিল আক্রমণের দিকে। ৪২ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের এগিয়ে দেন বেলিংহাম। ২১ শতাব্দীতে এল ক্লাসিকোর এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবরার তিনি (২২ বছর ১১৯ দিন)। ছাড়িয়ে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে (২২ বছর ২৬৭ দিন)।
বিরতির পর ম্যাচের ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। রিয়ালের রক্ষণ দুর্গ ভেঙে তেমন কোনো সুযোগই পাচ্ছিল না। তাদের হাইলাইন ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পেও বেশ কিছু পাল্টা আক্রমণে ত্রাস সৃষ্টি করেন। কিন্তু একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি পেনাল্টিও না। ৬২ মিনিটে স্পটকিক থেকে তাঁর নেওয়া শট খুব সহজেই ঠেকান সেজনি। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে অরেলিয়ে চুয়োমেনিকে ফাউল করে পেদ্রি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে নামে বার্সা। হতাশার সঙ্গে তাই ক্ষোভ নিয়েও মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল রিয়াল। ৫ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে বার্সা।

খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
তবে সেই সিনেমায় তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন কেবল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরাই। আজ বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তাদের জয় উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে-বেলিংহামরা। তাও টানা ৪ এল ক্লাসিকো হারের পর।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় লামিনে ইয়ামাল নন উল্টো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই ফাউল করে বসেন। ১২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ এক ভলিতে কাঁপান জাল। অফসাইডের সংকেত নিয়ে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিএআর।
২২ মিনিটে রিয়ালকে আর কোনোকিছুই আটকাতে পারেনি। আটকাতে পারেনি এমবাপ্পেকেও। জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত এক থ্রু বল খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। সামনে যখন শুধু গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। তখন এমবাপ্পে আর ভুল করতে পারেন কী করে! অসাধারণ শটে বল জালে ঠেলে সোজা চলে যান উদ্যাপনে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে টানা ৪ ম্যাচে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার তিনি।
এরপর বল বার্সার দখলে বেশি থাকলেও রিয়াল শানাচ্ছিল একের পর এক আক্রমণ। আর বার্সা ছিল রিয়ালের একটি ভুলের অপেক্ষায়। সেই ভুল করে বসেন আর্দা গুলের। বক্সের সামনে পেদ্রির কাছে বল হারান তিনি। সেখান থেকে আলেহান্দ্রো বালদে বল পেয়ে তা বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ডকে। তাঁর কাটব্যাক থেকে সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতোই জাল খুঁজে নেন ফেরমিন লোপেস। সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়ে বার্সা বিরতিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তখনো খুব একটা বেশি ছিল। রিয়াল বল পেলেই যে ছুটছিল আক্রমণের দিকে। ৪২ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের এগিয়ে দেন বেলিংহাম। ২১ শতাব্দীতে এল ক্লাসিকোর এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবরার তিনি (২২ বছর ১১৯ দিন)। ছাড়িয়ে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে (২২ বছর ২৬৭ দিন)।
বিরতির পর ম্যাচের ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। রিয়ালের রক্ষণ দুর্গ ভেঙে তেমন কোনো সুযোগই পাচ্ছিল না। তাদের হাইলাইন ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পেও বেশ কিছু পাল্টা আক্রমণে ত্রাস সৃষ্টি করেন। কিন্তু একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি পেনাল্টিও না। ৬২ মিনিটে স্পটকিক থেকে তাঁর নেওয়া শট খুব সহজেই ঠেকান সেজনি। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে অরেলিয়ে চুয়োমেনিকে ফাউল করে পেদ্রি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে নামে বার্সা। হতাশার সঙ্গে তাই ক্ষোভ নিয়েও মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল রিয়াল। ৫ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে বার্সা।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৩৪ মিনিট আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনাই হয়নি।
সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফে নির্বাহী কমিটি এক বছর অতিক্রম করল। আমরা এক বছর অনেক ফুটবল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়ন, প্রথমবারের মতো নারী দলের এশিয়া কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করেছে, ফুটসাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলেছে, হামজা-শমিতের মতো ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, এ রকম অনেক সফলতাই আমাদের এসেছে। ব্যর্থতা থাকলে সেটা আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
নারী ফুটবল দল সাফ জেতার পর দেড় কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেয় বাফুফে। সেই অর্থ এখনো দেওয়া হয়নি। বাবু বলেন, ‘আজকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আলোচনার মাধ্যমে এটা তাদের প্রদানের ব্যবস্থা করব।’
সবশেষ দুই ম্যাচে হংকংয়ের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জিততে পারেনি পুরুষ ফুটবল দল। সেই প্রসঙ্গ কেউ তোলেননি বলে দাবি বাবুর, ‘না, আমাদের এ রকম আলোচনা হয়নি। হলে তো অবশ্যই বলতাম। জাতীয় দলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এটি জাতীয় দল কমিটির বিষয়, সভাপতি নিজেই এটার চেয়ারম্যান। এই (আয়-ব্যয়ের) বিষয়টি আলোচনায় ওঠেনি। গঠনতন্ত্র ও এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হওয়ায় দুটি বিষয় আলোচনা হয়নি।’

এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনাই হয়নি।
সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফে নির্বাহী কমিটি এক বছর অতিক্রম করল। আমরা এক বছর অনেক ফুটবল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়ন, প্রথমবারের মতো নারী দলের এশিয়া কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করেছে, ফুটসাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলেছে, হামজা-শমিতের মতো ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, এ রকম অনেক সফলতাই আমাদের এসেছে। ব্যর্থতা থাকলে সেটা আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
নারী ফুটবল দল সাফ জেতার পর দেড় কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেয় বাফুফে। সেই অর্থ এখনো দেওয়া হয়নি। বাবু বলেন, ‘আজকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আলোচনার মাধ্যমে এটা তাদের প্রদানের ব্যবস্থা করব।’
সবশেষ দুই ম্যাচে হংকংয়ের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জিততে পারেনি পুরুষ ফুটবল দল। সেই প্রসঙ্গ কেউ তোলেননি বলে দাবি বাবুর, ‘না, আমাদের এ রকম আলোচনা হয়নি। হলে তো অবশ্যই বলতাম। জাতীয় দলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এটি জাতীয় দল কমিটির বিষয়, সভাপতি নিজেই এটার চেয়ারম্যান। এই (আয়-ব্যয়ের) বিষয়টি আলোচনায় ওঠেনি। গঠনতন্ত্র ও এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হওয়ায় দুটি বিষয় আলোচনা হয়নি।’

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৩৪ মিনিট আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

ফুটবলে দিন শেষে ফলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আজ থাইল্যান্ডকে কি হারাতে পারবেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা? জবাবে বাটলার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ কবে জিতেছিল?
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছে ৩-০ গোলে। কাল লড়াইটা তাই ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
খেলায় যেকোনো দলই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে। তবে প্রতিপক্ষ যখন র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড। দুবার বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে তখন বাটলারও খুব একটা উচ্চাশা দেখার সুযোগ পান না। আগের ম্যাচের ভুল শুধরে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য তিনি করছেন। আজ বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি—যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে গত বছরের জুনে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর সবগুলো ম্যাচ শুধু দেশের বাইরে খেলেছে। বাটলারও খানিকটা আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেন, ‘খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের আচরণ ও মানসিকতা ক্ষুব্ধ করেছিল বাটলারকে, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
এই সফরের আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। এক যুগ আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ৯-০ গোলে। বাটলার বলেন, ‘যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি।’

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
বৃষ্টি বাগড়া দিল কয়েকবার। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ২৭ ওভারে। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃষ্টির মতো আরেকটি দৃশ্য খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা। এমনকি শেষ ম্যাচেও তা এড়ানো গেল না।
৩৪ মিনিট আগে
খেলার শেষ মিনিটে পেদ্রিকে রেফারি লাল কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই দলের ডাগআউট। খেলা শেষেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। আপনি হয়তো বলতে পারেন এ আর নতুন কি! এল ক্লাসিকো বলে কথা। মাঠের লড়াইয়ে যেখানে থাকে যুদ্ধের ভাব। থিয়েটারে রিলিজ করলেও বক্স অফিসে সহজেই হিট তকমা পেয়ে যাবে এই ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগে
এক বছর পূর্তিতে আজ বাফুফে ভবনে হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা। যেখানে আসেনি উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত। বেলা ২টায় শুরু হওয়া সভার চার ঘণ্টায় এক বছর নারী ফুটবল দলের সাফল্য ও গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অথচ অ্যাজেন্ডা থাকলেও বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে