বোরহান জাবেদ ও সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়। বিজয়ের ৫০ বছরে আজকের পত্রিকার তিন পর্বের আয়োজনের শেষ পর্বে আজ থাকছে ক্রিকেট।
১৯৭১-১৯৮০
ক্রিকেট বোর্ড গঠন
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেটের বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি)।
বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তবে মূল কাণ্ডারি ছিলেন কার্যনির্বাহী সম্পাদক রেজা-ই-করিম। তিনিই সে সময় প্রায় এক হাতে চালিয়েছেন দেশের ক্রিকেট।
বোর্ডের আসল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সর্বস্তরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেট তুলে ধরা। শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণটাও অনুমেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়ার আগে অন্য ক্ষেত্র বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ছিল ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। স্টেডিয়ামেরই একটি কক্ষে ছিল বোর্ড কার্যালয়। আসবাবপত্র বলতে একটি করে টেবিল-চেয়ার আর স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। রেজা-ই-করিম বিদ্যুৎহীন বোর্ড অফিসে বসে মোমবাতির আলোয় কাজ চালিয়েছেন। আর্থিক দুরবস্থা মেটাতে কখনো ধর্ণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের কাছে, কখনো ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে।
বাংলাদেশিদের ক্রিকেটপ্রীতি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নাম তখনো অনেকে শোনেননি। এ পরিস্থিতিতেই একজন মানুষ আঁচ করেছিলেন এ দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তিনি ইংল্যান্ডের রবিন মারলার। এই ক্রিকেট সাংবাদিক ১৯৭৬ সালে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলেন ‘উইদার বাংলাদেশ’ (যেখানে বাংলাদেশ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্ব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বিশদ ধারণা পায়। তাতে নড়চড়ে বসে বিসিসিবি।
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের বাংলাদেশ সফর
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ঘরোয়া লিগ শেষে রেজা-ই-করিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) একটি চিঠি পাঠান। চিঠির মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশকে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। ১৯৭৬ সালের জুনে আইসিসির সভায় ওঠে বিষয়টি। আইসিসি বিসিসিবিকে পরামর্শ দেয় ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবকে (এমসিসি) আমন্ত্রণ জানাতে। বিসিবি আমন্ত্রণ জানায় এমসিসিকে। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে এমসিসি। পরের বছরের শুরুতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিসিসিবির বিপক্ষে খেলে তিন দিনের ম্যাচ। সেটিই ছিল বাংলাদেশ দলের প্রথম অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ।
আইসিসির সদস্যপদ লাভ
এমসিসির ওই সফরের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পদচ্ছাপের সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা সত্যি হয় পরের বছর। ১৯৭৭ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হয় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টটা অম্লমধুর কাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয়-হার। টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেন রকিবুল হাসান। যিনি একাত্তরে একটি ম্যাচে ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নেমে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
১৯৮১-১৯৮৯
বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক
আইসিসির সদস্য হওয়ার ৯ বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। সেটিও বেশ নাটকীয়ভাবে। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কানদের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের জেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে বাংলাদেশ। ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৭ উইকেটে। তবে ফল ছাপিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন কারণে। বাংলাদেশের অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপুর সঙ্গে নাকি বাউন্ডারির বাইরেই টস সেরেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তাতে বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার মতো কোনো ব্যাপার ছিল না।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর বসে বাংলাদেশে। সেটি ছিল স্বাধীন দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আসরে মোট সাতটি ম্যাচ হয় দুটি ভেন্যু ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশ পায়নি সাফল্যের দেখা। হেরেছে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই।
১৯৯০-২০০০
প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ
গত এক দশকে কিংবা তারও আগে থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির ম্যাচই দর্শকের চাহিদা তুঙ্গে। তবে বাংলাদেশ প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচের সাক্ষী হয় ১৯৯০ সালে। ঢাকা স্টেডিয়ামে বিসিবি অনূর্ধ্ব-২৫ (তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) বিপক্ষে খেলে ডেকান ব্লুস। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। কপিল দেবের ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যেও ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম স্বাগতিক
এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিশীলতায় লিগ পর্বেই বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে স্বাগতিকেরা। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৮ ওভার খেলা হওয়ার পরই ম্যাচসহ টুর্নামেন্ট বাতিল হয়। সার্কের পরের দুটি টুর্নামেন্টেরও স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের কাছে শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তৃতীয়টির শিরোপা যায় পাকিস্তানের ঘরে।
আইসিসি ট্রফি জয়
এক-দুই-তিনবার নয়, ষষ্ঠবারের চেষ্টায় কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসি ট্রফি জেতার লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। এর আগে টুকটাক সাফল্য পেলেও ক্রিকেটে পুরো জাতিকে এক করার এটাই প্রথম উপলক্ষ্য। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের হাত ধরে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের চেনানোর সেই শুরু। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত কেলাব ক্লাব মাঠের গর্জন সেদিন পোঁছে গিয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। তবে তার চেয়েও বড় সুখবর বাংলাদেশ পেয়ে যায় সেমিফাইনালে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ২২ ম্যাচ হারের পর। ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে (৭৭ রান ও ৩ উইকেট) কেনিয়ার বিপক্ষে ভারতের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর এই দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকে নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি ও টেস্ট অভিষেক
প্রথম শ্রেণির জাতীয় ক্রিকেট লিগ দেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালের ২৬ জুন ক্রিকেটের কুলীন জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষেকে যাই ঘটে সেটাই রেকর্ড-এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস জেতেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আরও একটি রেকর্ডেও নাম তোলেন দুর্জয়। দেশের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারী বোলার। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দলীয় ৪০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ে বাংলাদেশ।
২০০১-২০১০
প্রথম টেস্ট খেলতে নামা আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। এই দশকের প্রথম বিশ্বকাপটা (২০০৩) দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও পরের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখে বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় হাবিবুল বাশারের সুমনের দল। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আরেকবার বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেয় বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের (সাকিব, তামিম, মুশফিক) পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু। ভারতের বিপক্ষে তিনজনই ফিফটি করেন। জহির খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে তামিমের সেই বিখ্যাত বনে যাওয়া ছক্কা কিংবা কাভার দিয়ে মুনাফ প্যাটেলকে মুশফিকের সেই ড্রাইভ-সবই স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
২০১১-বর্তমান
প্রথমবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। জমকালো এক উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠের বাইরের আয়োজনেও নিজেদের সক্ষমতা দেখায় বাংলাদেশ। তবে মাঠের ক্রিকেটে মনে রাখার মতো মুহূর্ত খুব বেশি দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউটে যাওয়া হয়নি। এই দশকে বাংলাদেশের আক্ষেপের গল্পগুলোর একটি ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনাল। ভারত-শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনানে জায়গা করে নেওয়া। সেখান থেকে পাকিস্তানের কাছে হৃদয় ভাঙার সেই হার। ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া আর হারানোর সমকক্ষ হয়ে থাকবে এই বিশ্বকাপ।
প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে
২০১৪ বিশ্বকাপের হতাশা মুছতে পরের বছর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্য রূপে হাজির হয় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বপ্নের বিশ্বকাপ বলাই যায়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনাল কিংবা ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেনের ‘বাংলাদেশ টাইগার্স হেভ নকড দ্য ইংলিশ লায়ন্স আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ’ দশকের সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকবে। পরের বছর ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার কিংবা একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের কাছে এক রানের হার-সবই তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্প হয়ে আছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর আইসিসি টুর্নামেন্টের পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের আরেক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরিতে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি সময় পার করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতকে সিরিজ হারায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ওয়ানডেতে ভালো করলেও এই সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সব সমালোচনার জবাব দেয় বাংলাদেশ।
অন্য খেলার সঙ্গে তুলনায় ক্রিকেট বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচয়, এশিয়ান গেমসের সোনা। কিন্তু সোনালি প্রজন্মের সারথি সাকিব, মাশরাফিরা একটি অতৃপ্তি রেখে দিচ্ছিলেন বারবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো শিরোপা জিতে উৎসবের সুযোগ করে দিতে পারেননি তাঁরা। ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপ, ২০১৬ এশিয়া কাপ-সবই এতো কাছে তবু এতো দূরের গল্প হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ছেলেদের অতৃপ্তি ঘোচানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন মেয়েরা। রুমানা-আয়েশাদের হাত ধরে ২০১৮ সালের ১০ জুন এশিয়ার ক্রিকেটের হিমালয় সমদূরত্বে থাকা ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯৯৭ সালে পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে সেই কুয়ালামাপুরেই এল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। ভারতকে ৩ উইকেটে হারানোর অন্যতম রুপকার রুমানা হন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
বলা হয়ে থাকে, একটা সাফল্যে নাকি আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোতে পরাজয়ের গ্লানির সঙ্গে একটা শিরোপার হাহাকার ততদিনে আক্ষেপ গাঁথায় রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ মে। অবশেষে সেই গোরো খোলে। বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। প্রথম শিরোপা জয়ের তারিখটাতে (১৭ মে) চাইলে আপনি স্মৃতিকাতর হতে পারেন। ২১ বছর আগে-পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকটা পথ পেরিয়ে এলেও স্মৃতিতে অম্লান থাকে সব প্রথমই। ১৯৯৮ সালের ১৭ মে এমনই একদিনে ভারতের হায়দরাবাদে প্রথম ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে এই শিরোপা জিতে যতটা খুশি হয়েছিল বাংলাদেশ ততটাই হতাশ হতে হয়েছিল বিশ্বকাপে। আশার বেলুন ফুলিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপটাই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ডুবিয়েছে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল তো বটেই নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সাকিব বিশ্বকাপটা আপন আলোয় আলোকিত করেন এসেছিলেন। বলে-ব্যাটে সাকিবের ওমন পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের ইতিহাসেই বিরল।
যুবাদের বিশ্বজয়
ওপরেই বলছিলাম, একটা সাফল্যে আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর শিরোপার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে গত তিন বছরে তিনটি শিরোপা জেতে। যার শেষটা আবার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সাফল্যে হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুনের কেতন উড়িয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা স্বাদ পান আকবর আলী-রাকিবুলরা।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়। বিজয়ের ৫০ বছরে আজকের পত্রিকার তিন পর্বের আয়োজনের শেষ পর্বে আজ থাকছে ক্রিকেট।
১৯৭১-১৯৮০
ক্রিকেট বোর্ড গঠন
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেটের বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল সবচেয়ে জরুরি। এ লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি)।
বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তবে মূল কাণ্ডারি ছিলেন কার্যনির্বাহী সম্পাদক রেজা-ই-করিম। তিনিই সে সময় প্রায় এক হাতে চালিয়েছেন দেশের ক্রিকেট।
বোর্ডের আসল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সর্বস্তরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেট তুলে ধরা। শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণটাও অনুমেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়ার আগে অন্য ক্ষেত্র বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ছিল ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। স্টেডিয়ামেরই একটি কক্ষে ছিল বোর্ড কার্যালয়। আসবাবপত্র বলতে একটি করে টেবিল-চেয়ার আর স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। রেজা-ই-করিম বিদ্যুৎহীন বোর্ড অফিসে বসে মোমবাতির আলোয় কাজ চালিয়েছেন। আর্থিক দুরবস্থা মেটাতে কখনো ধর্ণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের কাছে, কখনো ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে।
বাংলাদেশিদের ক্রিকেটপ্রীতি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নাম তখনো অনেকে শোনেননি। এ পরিস্থিতিতেই একজন মানুষ আঁচ করেছিলেন এ দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তিনি ইংল্যান্ডের রবিন মারলার। এই ক্রিকেট সাংবাদিক ১৯৭৬ সালে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলেন ‘উইদার বাংলাদেশ’ (যেখানে বাংলাদেশ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্ব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বিশদ ধারণা পায়। তাতে নড়চড়ে বসে বিসিসিবি।
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের বাংলাদেশ সফর
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ঘরোয়া লিগ শেষে রেজা-ই-করিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) একটি চিঠি পাঠান। চিঠির মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশকে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। ১৯৭৬ সালের জুনে আইসিসির সভায় ওঠে বিষয়টি। আইসিসি বিসিসিবিকে পরামর্শ দেয় ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবকে (এমসিসি) আমন্ত্রণ জানাতে। বিসিবি আমন্ত্রণ জানায় এমসিসিকে। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে এমসিসি। পরের বছরের শুরুতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিসিসিবির বিপক্ষে খেলে তিন দিনের ম্যাচ। সেটিই ছিল বাংলাদেশ দলের প্রথম অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ।
আইসিসির সদস্যপদ লাভ
এমসিসির ওই সফরের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পদচ্ছাপের সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা সত্যি হয় পরের বছর। ১৯৭৭ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হয় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টটা অম্লমধুর কাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয়-হার। টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেন রকিবুল হাসান। যিনি একাত্তরে একটি ম্যাচে ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নেমে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
১৯৮১-১৯৮৯
বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক
আইসিসির সদস্য হওয়ার ৯ বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। সেটিও বেশ নাটকীয়ভাবে। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কানদের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের জেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে বাংলাদেশ। ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৭ উইকেটে। তবে ফল ছাপিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন কারণে। বাংলাদেশের অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপুর সঙ্গে নাকি বাউন্ডারির বাইরেই টস সেরেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তাতে বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার মতো কোনো ব্যাপার ছিল না।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর বসে বাংলাদেশে। সেটি ছিল স্বাধীন দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আসরে মোট সাতটি ম্যাচ হয় দুটি ভেন্যু ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশ পায়নি সাফল্যের দেখা। হেরেছে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই।
১৯৯০-২০০০
প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ
গত এক দশকে কিংবা তারও আগে থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির ম্যাচই দর্শকের চাহিদা তুঙ্গে। তবে বাংলাদেশ প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচের সাক্ষী হয় ১৯৯০ সালে। ঢাকা স্টেডিয়ামে বিসিবি অনূর্ধ্ব-২৫ (তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) বিপক্ষে খেলে ডেকান ব্লুস। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। কপিল দেবের ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যেও ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম স্বাগতিক
এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিশীলতায় লিগ পর্বেই বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে স্বাগতিকেরা। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৮ ওভার খেলা হওয়ার পরই ম্যাচসহ টুর্নামেন্ট বাতিল হয়। সার্কের পরের দুটি টুর্নামেন্টেরও স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের কাছে শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তৃতীয়টির শিরোপা যায় পাকিস্তানের ঘরে।
আইসিসি ট্রফি জয়
এক-দুই-তিনবার নয়, ষষ্ঠবারের চেষ্টায় কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসি ট্রফি জেতার লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। এর আগে টুকটাক সাফল্য পেলেও ক্রিকেটে পুরো জাতিকে এক করার এটাই প্রথম উপলক্ষ্য। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের হাত ধরে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের চেনানোর সেই শুরু। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত কেলাব ক্লাব মাঠের গর্জন সেদিন পোঁছে গিয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। তবে তার চেয়েও বড় সুখবর বাংলাদেশ পেয়ে যায় সেমিফাইনালে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ২২ ম্যাচ হারের পর। ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে (৭৭ রান ও ৩ উইকেট) কেনিয়ার বিপক্ষে ভারতের মাটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর এই দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকে নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি ও টেস্ট অভিষেক
প্রথম শ্রেণির জাতীয় ক্রিকেট লিগ দেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালের ২৬ জুন ক্রিকেটের কুলীন জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষেকে যাই ঘটে সেটাই রেকর্ড-এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস জেতেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আরও একটি রেকর্ডেও নাম তোলেন দুর্জয়। দেশের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারী বোলার। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দলীয় ৪০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ে বাংলাদেশ।
২০০১-২০১০
প্রথম টেস্ট খেলতে নামা আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। এই দশকের প্রথম বিশ্বকাপটা (২০০৩) দুঃস্বপ্নের মতো কাটলেও পরের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখে বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় হাবিবুল বাশারের সুমনের দল। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আরেকবার বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেয় বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের (সাকিব, তামিম, মুশফিক) পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু। ভারতের বিপক্ষে তিনজনই ফিফটি করেন। জহির খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে তামিমের সেই বিখ্যাত বনে যাওয়া ছক্কা কিংবা কাভার দিয়ে মুনাফ প্যাটেলকে মুশফিকের সেই ড্রাইভ-সবই স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
২০১১-বর্তমান
প্রথমবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয় বাংলাদেশ। জমকালো এক উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠের বাইরের আয়োজনেও নিজেদের সক্ষমতা দেখায় বাংলাদেশ। তবে মাঠের ক্রিকেটে মনে রাখার মতো মুহূর্ত খুব বেশি দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউটে যাওয়া হয়নি। এই দশকে বাংলাদেশের আক্ষেপের গল্পগুলোর একটি ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনাল। ভারত-শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনানে জায়গা করে নেওয়া। সেখান থেকে পাকিস্তানের কাছে হৃদয় ভাঙার সেই হার। ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া আর হারানোর সমকক্ষ হয়ে থাকবে এই বিশ্বকাপ।
প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে
২০১৪ বিশ্বকাপের হতাশা মুছতে পরের বছর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্য রূপে হাজির হয় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বপ্নের বিশ্বকাপ বলাই যায়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনাল কিংবা ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেনের ‘বাংলাদেশ টাইগার্স হেভ নকড দ্য ইংলিশ লায়ন্স আউট অব দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ’ দশকের সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকবে। পরের বছর ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার কিংবা একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের কাছে এক রানের হার-সবই তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্প হয়ে আছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর আইসিসি টুর্নামেন্টের পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের আরেক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরিতে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি সময় পার করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতকে সিরিজ হারায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ওয়ানডেতে ভালো করলেও এই সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সব সমালোচনার জবাব দেয় বাংলাদেশ।
অন্য খেলার সঙ্গে তুলনায় ক্রিকেট বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচয়, এশিয়ান গেমসের সোনা। কিন্তু সোনালি প্রজন্মের সারথি সাকিব, মাশরাফিরা একটি অতৃপ্তি রেখে দিচ্ছিলেন বারবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো শিরোপা জিতে উৎসবের সুযোগ করে দিতে পারেননি তাঁরা। ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপ, ২০১৬ এশিয়া কাপ-সবই এতো কাছে তবু এতো দূরের গল্প হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ছেলেদের অতৃপ্তি ঘোচানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন মেয়েরা। রুমানা-আয়েশাদের হাত ধরে ২০১৮ সালের ১০ জুন এশিয়ার ক্রিকেটের হিমালয় সমদূরত্বে থাকা ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯৯৭ সালে পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে সেই কুয়ালামাপুরেই এল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। ভারতকে ৩ উইকেটে হারানোর অন্যতম রুপকার রুমানা হন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।
বলা হয়ে থাকে, একটা সাফল্যে নাকি আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোতে পরাজয়ের গ্লানির সঙ্গে একটা শিরোপার হাহাকার ততদিনে আক্ষেপ গাঁথায় রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ মে। অবশেষে সেই গোরো খোলে। বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। প্রথম শিরোপা জয়ের তারিখটাতে (১৭ মে) চাইলে আপনি স্মৃতিকাতর হতে পারেন। ২১ বছর আগে-পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকটা পথ পেরিয়ে এলেও স্মৃতিতে অম্লান থাকে সব প্রথমই। ১৯৯৮ সালের ১৭ মে এমনই একদিনে ভারতের হায়দরাবাদে প্রথম ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে এই শিরোপা জিতে যতটা খুশি হয়েছিল বাংলাদেশ ততটাই হতাশ হতে হয়েছিল বিশ্বকাপে। আশার বেলুন ফুলিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপটাই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ডুবিয়েছে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল তো বটেই নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সাকিব বিশ্বকাপটা আপন আলোয় আলোকিত করেন এসেছিলেন। বলে-ব্যাটে সাকিবের ওমন পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের ইতিহাসেই বিরল।
যুবাদের বিশ্বজয়
ওপরেই বলছিলাম, একটা সাফল্যে আরেকটা সাফল্যের দার উন্মুক্ত করে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর শিরোপার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে গত তিন বছরে তিনটি শিরোপা জেতে। যার শেষটা আবার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সাফল্যে হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুনের কেতন উড়িয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা স্বাদ পান আকবর আলী-রাকিবুলরা।

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
৩৭ মিনিট আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। ম্যাচ জিতে ব্যবধানে চারে নামিয়ে এনেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখল তারা। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিলেও পেনাল্টি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে রেফারিকে দিকে আঙুল তুলেছেন আলোনসো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমন একটি স্পর্শকাতর ফাউলের পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, রেফারিকে নিয়ে নয়। আমার মনে হয় এটা স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল। ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি কারণ রেফারি ভিএআরের সিদ্ধান্তও নেয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমাদের কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোনসোর তিক্ততার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আলোনসো, ‘এই দলের সবাই একতাবদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। আলাভেসের বিপক্ষে দল ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা ভালো করেছি আমরা এবং পরে শেষটাও ভালোভাবে করতে পেরেছি। একতাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’
ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না আলোনসো, ‘নিজেদের কাজের দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। দলে সবার মধ্যে বন্ধন অটুট আছে। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেই। আলাভেসের বিপক্ষে জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোটের কারণে আমরা স্কোয়াডের কয়েকজন সেরা ফুটবলারদের পায়নি।’

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। ম্যাচ জিতে ব্যবধানে চারে নামিয়ে এনেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখল তারা। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিলেও পেনাল্টি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে রেফারিকে দিকে আঙুল তুলেছেন আলোনসো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমন একটি স্পর্শকাতর ফাউলের পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, রেফারিকে নিয়ে নয়। আমার মনে হয় এটা স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল। ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি কারণ রেফারি ভিএআরের সিদ্ধান্তও নেয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমাদের কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোনসোর তিক্ততার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আলোনসো, ‘এই দলের সবাই একতাবদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। আলাভেসের বিপক্ষে দল ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা ভালো করেছি আমরা এবং পরে শেষটাও ভালোভাবে করতে পেরেছি। একতাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’
ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না আলোনসো, ‘নিজেদের কাজের দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। দলে সবার মধ্যে বন্ধন অটুট আছে। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেই। আলাভেসের বিপক্ষে জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোটের কারণে আমরা স্কোয়াডের কয়েকজন সেরা ফুটবলারদের পায়নি।’

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।
কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।
কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
৩৭ মিনিট আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার পথে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে পেছনে ফেলেছেন হারমার। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকেদের হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন হারমার। ২ টেস্টে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের প্রথম টেস্টে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৩০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচের ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন হারমার। গুয়াহাটি টেস্টে বল হাতে আরও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এ যাত্রায় ২ ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। ম্যাচটি সফরকারীরা জিতে নেয় ৪০৮ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন হারমার। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
মাসসেরার পুরস্কার জিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হারমার। ক্যারিয়ারে এটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি, ‘প্লেয়ার অভ দ্য মান্থ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমার স্বপ্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এরপর সঙ্গে যদি এমন স্বীকৃতি পাই তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
মাসসেরা পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘এই পুরস্কার সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। এটা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে দেয়।’

মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার পথে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে পেছনে ফেলেছেন হারমার। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকেদের হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন হারমার। ২ টেস্টে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের প্রথম টেস্টে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৩০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচের ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন হারমার। গুয়াহাটি টেস্টে বল হাতে আরও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এ যাত্রায় ২ ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। ম্যাচটি সফরকারীরা জিতে নেয় ৪০৮ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন হারমার। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
মাসসেরার পুরস্কার জিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হারমার। ক্যারিয়ারে এটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি, ‘প্লেয়ার অভ দ্য মান্থ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমার স্বপ্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এরপর সঙ্গে যদি এমন স্বীকৃতি পাই তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
মাসসেরা পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘এই পুরস্কার সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। এটা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে দেয়।’

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
৩৭ মিনিট আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে।তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +০.১৫৬। আজ দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং লাইনআপ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান করেছে তামিমের দল। জিততে আর মাত্র ৭৭ রান করতে হবে। অপরদিকে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল দারুণ শুরু করে। ৪০ বলে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার যাদব। নেপালের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ জুটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে সাহিলকে (১৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাদ ইসলাম। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। আবরার ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গী কালাম সিদ্দিকী ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। অপরদিকে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেলে ২৩৫ রানে গুটিয়ে গেছে। যদি আফগানদের কাছে শ্রীলঙ্কা হেরে যায়, তাহলে চলে আসবে নানা সমীকরণ। বর্তমানে ২ পয়েন্ট ও +৪.০২৩ নেটরানরেট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নেপাল ও আফগানিস্তান কোনো পয়েন্ট পায়নি এখনো। -০.১৫৬ ও -৪.০২৩ নেট রানরেট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় তিন ও চারে আফগানিস্তান ও নেপাল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মানেই দাপুটে বাংলাদেশ। ২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার যুব এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষার অভিযানে এবার আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলছে দাপট দেখিয়ে। সেমিফাইনালের পথে এখন তামিম-জাওয়াদ আবরাররা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে।তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +০.১৫৬। আজ দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং লাইনআপ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান করেছে তামিমের দল। জিততে আর মাত্র ৭৭ রান করতে হবে। অপরদিকে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল দারুণ শুরু করে। ৪০ বলে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার যাদব। নেপালের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ জুটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে সাহিলকে (১৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাদ ইসলাম। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। আবরার ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গী কালাম সিদ্দিকী ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। অপরদিকে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেলে ২৩৫ রানে গুটিয়ে গেছে। যদি আফগানদের কাছে শ্রীলঙ্কা হেরে যায়, তাহলে চলে আসবে নানা সমীকরণ। বর্তমানে ২ পয়েন্ট ও +৪.০২৩ নেটরানরেট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নেপাল ও আফগানিস্তান কোনো পয়েন্ট পায়নি এখনো। -০.১৫৬ ও -৪.০২৩ নেট রানরেট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় তিন ও চারে আফগানিস্তান ও নেপাল।

বাংলাদেশে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের রক্তে মিশে গেছে ক্রিকেট। পাঁচ দশকে নানা চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। যদিও ওয়ানডের সাফল্য ঢাকা পড়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতায়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
৩৭ মিনিট আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে