Ajker Patrika

গরুর ব্যবসায় ক্রিকেটার সাদমানের সাফল্য

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১০: ৪৬
গরুর ব্যবসায় ক্রিকেটার সাদমানের সাফল্য

জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরেই ব্যস্ত সাদমান ইসলাম। নাহ, ক্রিকেট নয়; তাঁর ব্যস্ততা এখন গরু নিয়ে। দুদিন পর কোরবানির ঈদ। কোরবানির গরু কিনতেই কি ব্যস্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের তরুণ বাঁহাতি ওপেনার? চমকটা এখানেই।

সাদমানের ব্যস্ততা গরু কিনতে নয়, বিক্রি করতে! ক্রিকেটার পরিচয়ের আড়ালে তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে—একজন সফল গরুর খামারি। যেহেতু কোরবানির ঈদ চলে এসেছে। সাদমানের ব্যস্ত সময় কাটছে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে গড়ে তোলা খামারটায়। পরশু বিকেলে ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, তখন তিনি খামারেই ছিলেন। বললেন, ‘ঈদের এই সময়টায় বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৩টা বেজে যায়! ক্রেতারা আসেনই রাতে।’

সাদমান যেন মনে করিয়ে দিলেন স্যার অ্যালিস্টার কুককে। দুজনই বাঁহাতি ওপেনার—ঠিক এ কারণেই নয়। সাবেক ইংলিশ ওপেনার কুকও একজন সফল খামারি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেকেরই ব্যক্তিগত ব্যবসা আছে। ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগ আছে। কিন্তু গরুর খামার গড়ে তোলার উদাহরণ বিরলই বটে। সাদমান খুলে বললেন তাঁদের খামারের গল্প, ‘গরুর খামারটা আমাদের অনেক বছর ধরেই। আমার নানা–দাদারা শুরু করেছিলেন। পরে আব্বু (বিসিবিতে কর্মরত শহিদুল ইসলাম) দেখাশোনা করেন। ক্রিকেটের ফাঁকে আমিও থাকি।’

ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা না থাকলে সাদমানের সময় কাটে খামারেই। ‘সাদমান এগ্রো’ নামে ফেসবুকে তাঁর খামারের একটি পেজ আছে। সেখানে নিয়মিত গরুর ছবি, ভিডিও আপলোড হচ্ছে। মহামারিতে অবশ্য অনলাইন ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে সাদমান অনলাইনে গরু বিক্রি করেন না। ‘অনলাইনে বিক্রি করি না। তবে অনলাইনে ছবি দেওয়া থাকে। ক্রেতা ছবি দেখার পর এখানে এসে নিয়ে যায়’—বলছিলেন সাদমান।

করোনা, লকডাউনে এবার সাদমানের খামারে গরুর সংখ্যা কমেছে। গতবার যেখানে ৫০টি গরু ছিল, এবার সেখানে ৩৫টি। প্রায় সব গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। দাম ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ক্রিকেটের মতো গরু পালনের ‘টেকনিক’গুলোও বেশ জানা হয়েছে সাদমানের। বলছিলেন, ‘একটা গরু আট দাঁত পর্যন্ত হয়। আট দাঁতের পর ওই গরুর মাংস ভালো হয় না। সেই হিসাব করে দুই দাঁতের গরু কিনি। সাত–আট মাস রাখি। এরপর বিক্রি করে দিই।’  

খামার দেখাশোনা করতে তিনজন রাখাল থাকেন সব সময়ই। সাদমান জানালেন, নিজেদের জায়গায় ঘাস উৎপাদন করেন। গরুর অন্য খাবার আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। একটা গরুর খাবারের পেছনে গড়ে প্রতিদিন খরচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। খামারে থাকা গরুর নামও দেওয়া হয়। হলিউড সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্র যেমন—আয়রনম্যান, সুপারম্যান, থর; কখনো বলিউড তারকা শাহরুখ খান, আমির খানের নামও দেওয়া হয় গরুর। লম্বা সময় খামারে থাকা গরুগুলো যখন বিক্রি হয়, তখন হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যেরও অবতারণা হয়। ‘প্রিয়’ গরু হাতবদল হতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখে চিকচিক করে অশ্রু! ‘অনেক মায়া লাগে। আমার ছোট ভাই কান্নাকাটিও করে। একটা করে গরু বিক্রি হয় আর ও কাঁদে। আমারও কষ্ট লাগে। গরু ডেলিভারির সময় আমি সাধারণত থাকি না!’—সাদমানের কণ্ঠ হঠাৎ কোমল হয়ে যায়।

শুধু গরু দেখাশোনা–বিক্রিই নয়; এখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা–গল্পে সময়টা দারুণ কাটে সাদমানের। এখানে আছে তাঁর কবুতর আর পোষা কুকুর। খামারের সঙ্গেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। খামার নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখেন সাদমান, ‘ক্রিকেটের বাইরে গরু নিয়েই থাকব। এখানে আড্ডার জায়গা আছে। অনুশীলনের ব্যবস্থাও করব।’

বোঝা গেল, খামারটা সাদমানের কাছে শুধুই ব্যবসা নয়;  ভালো লাগার, ভালোবাসার এক টুকরো ভিটেমাটিও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাউথ এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের হতাশার দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ গুণিতক ৪০০ মিটারে অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। ছবি: সংগৃহীত
৪ গুণিতক ৪০০ মিটারে অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাঁচিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ সাউথ এশিয়ান সিনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম দিনে হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। পদকের ধারে কাছেও যেতে পারেননি কেউ।

ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পঞ্চম ও ষষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। দুজনের টাইমিং ছিল ১০.৮৪ সেকেন্ড। মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১২.৩৫ সেকেন্ড নিয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন সুমাইয়া দেওয়ান। শিরিন আক্তার বাদ পড়েন হিটেই।

গত আগস্টে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সামার অ্যাথলেটিকসে দূরপাল্লার দৌড়ে আলো ছড়ান রিনকী বিশ্বাস। কিন্তু রাঁচিতে ৫০০০ মিটারে সবার শেষে দৌড় শেষ করেন তিনি। ছেলেদের ৫ মিটার দৌড়ে আল আমিনও তেমন কিছু করতে পারেননি।

৪ গুণিতক ৪০০ মিটার মিক্সড রিলেতে ৩ মিনিট ৩৮.৩১ সেকেন্ড নিয়ে চতুর্থ হয় বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পাচ্ছেন বাবর–রিজওয়ানরা!

ক্রীড়া ডেস্ক    
আগামী মাসে বিগ ব্যাশের পর্দা উঠবে। ছবি: এক্স
আগামী মাসে বিগ ব্যাশের পর্দা উঠবে। ছবি: এক্স

বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) খেলার সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বিদেশি লিগে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল সেটা তুলে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।

কয়েক সপ্তাহ আগে বিদেশি লিগের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল পিসিবি। সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেও বেশি সময় নিল না পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগ ব্যাশের নতুন আসরের জন্য সাতজন ক্রিকেটারদের এনওসি দিয়েছে পিসিবি। এরা হলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, শাদাব খান, হাসান আলী ও হাসান খান। এনওসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ইতোমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং খেলোয়াড়দের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পিসিবি।

এনওসি পাওয়ায় বিগ ব্যাশে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন বাবর। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দলে ভিড়িয়েছে সিডনি সিক্সার্সে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের জন্য ‘বাবারিস্তান’ নামে একটি বিশেষ ফ্যান জোন তৈরি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আফ্রিদির ঠিকানা ব্রিসবেন হিট। এছাড়া রউফ মেলবোর্ন স্টার্স, শাদাব সিডনি থান্ডার, হাসান অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স এছাড়া রিজওয়ান ও হাসান খান মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে মাঠ মাতাবেন।

বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসরের পর্দা উঠবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারী ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টির পর্দা নামবে। আসন্ন আসরে মাঠে গড়াবে ৪৪টি ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহের নবযাত্রায় মোসাদ্দেক কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৭
ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) দল পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই অঞ্চল থেকে যে কয়েকজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাঁদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অন্যতম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর ময়মনসিংহের সেরা ক্রিকেটার মানা হয় এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে।

এরপরও এনসিএলে ময়মনসিংহের মূল স্কোয়াডে নেই মোসাদ্দেকের নাম। যেটা হতাশ করেছে ভক্তদের। কেন মোসাদ্দেককে মূল স্কোয়াডে রাখা হয়নি সেটা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে সবার মনে। আজকের পত্রিকাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে প্রথম রাউন্ডে খেলছেন না এই ক্রিকেটার।

শান্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে মোসাদ্দেক এনসিএলের প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে ঢাকার বাইরে আছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে চেয়েছেন। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়। এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এনসিএলে ময়মনসিংহের নেতৃত্বে থাকছেন শুভাগত হোম। এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন এই অলরাউন্ডার। সহ–অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ আব্দুল মজিদ। এছাড়া দলে আছেন নাঈম শেখ, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, শহিদুল ইসলাম, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, আইচ মোল্লা, রাকিবুল হাসানদের মতো ক্রিকেটাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেটের বিপক্ষে খেলতে নামবে শুভাগতরা।

একনজরে এনসিএলে ময়মনসিংহের স্কোয়াড: শুভাগত হোম চৌধুরী (অধিনায়ক), আবদুল মজিদ (উইকেটকিপার ও সহ-অধিনায়ক), মাহফিজুল ইসলাম রবিন, আইচ মোল্লা, নাঈম শেখ, আরিফুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, গাজী মোহাম্মদ তাজিবুল (উইকেটকিপার), রাকিবুল হাসান, আরিফ আহমেদ, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, শহিদুল ইসলাম এবং আসাদুল্লাহ হিল গালিব।

স্ট্যান্ডবাই: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শাকিল হোসেন, খালিদ হাসান, ফাহিম হাসান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে বিশ্বকাপ, খেলবে না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ২৩
নিরপেক্ষ ভেন্যু না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। ছবি: এক্স
নিরপেক্ষ ভেন্যু না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। ছবি: এক্স

ভারত ও পাকিস্তানের কথা ভেবে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তারা একে অন্যের দেশে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ পথে হেঁটেছে আইসিসি ও এসিসির মতো সংস্থা। তবে হকিতে সে সুবিধা না পাওয়ায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।

তামিলনাড়ুতে আগামী ২৮ নভেম্বর জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। টুর্নামেন্ট শুরুর এক মাস আগে সরে দাঁড়াল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তৈরি হওয়া শঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।

বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু তাদের সে কথা রাখেনি এফআইএইচ। পাকিস্তান সরে দাঁড়ানোয় বিকল্প দলের খোঁজে আছে বিশ্ব হকির নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এফআইএইচ জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, পাকিস্তান হকি ফেডারেশন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে জানিয়েছে, তারা পুরুষদের জুনিয়র বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য দলটি যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এখন পাকিস্তানের পরিবর্তে আরও একটি দলের নাম জানানো হবে।’

পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রানা মুজাহিদ বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে আমাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। টুর্নামেন্টটি ভারতে হওয়ায় আমরা অংশগ্রহণ করতে পারছি না। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের বিকাশের পথে অন্তরায়।’

ভারতের হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ সিং এখনো পাকিস্তানের প্রত্যাহার সম্পর্কে অবগত নন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে ভারত আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। যদি পাকিস্তান অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদের জায়গায় কোন দল খেলবে, তা ঘোষণা করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত