Ajker Patrika

‘ভারতের সামনে আগেই নুইয়ে পড়ব না’

আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৪৩
‘ভারতের সামনে আগেই নুইয়ে পড়ব না’

ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় চোটে পড়ায় পাকিস্তান সফরের টেস্ট দলে দরজা খুলে যায় সাদমান ইসলামের। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সাদমান খেলেন ৯৩ রানে সংগ্রামী এক ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটির চৌহদ্দি পেরোতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার জাকিরের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে সাদমান রেখেছেন অবদান। আসন্ন ভারত সফরে যদি সুযোগ পান, পাকিস্তান সফরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাবেন সাদমান। 

দুই টেস্টের সিরিজ খেলার জন্য এ মাসেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজ নিয়েই এখন ভাবনা সাদমানের, ‘ম্যাচ পরিস্থিতি, দলের চাহিদা এবং বলের মেরিট বুঝে আমি খেলার চেষ্টা করি। লম্বা সময় ব্যাট করেছি। লম্বা সময় ব্যাট করলে বড় ইনিংস আসবে। তাই এসব নিয়ে আক্ষেপ নেই। তবে সামনে সুযোগ এলে আবার চেষ্টা করব লম্বা ইনিংস খেলার।’ 

১৫ টেস্টে একবারই রানের তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ২৯ বছর বয়সী সাদমান। সেটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পারেননি সাদমান। প্রথম টেস্টে ৩২৯ মিনিট উইকেটে থেকে ১৮৩ বল খেলেও রানের তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি ৭ রানের জন্য। তবে ৯৩ রানে আউট হয়েও আক্ষেপ নেই তাঁর, ‘এত এত রান করব ভেবে ব্যাটিং করি না। ব্যাটিং করি আমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। লম্বা সময় ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। এখন হয়নি। তবে সামনে হয়ে যেতে পারে।’ তবে তাঁর আপাতত চিন্তা টেস্ট নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করা, ‘আমি চেষ্টা করছি যেন এখন থেকে নিয়মিত হতে পারি। দলে ব্যাটিং দিয়ে অবদান রাখতে পারি।’ 

আড়াই বছর পর টেস্ট দলে আসায় কোচ হাথুরুকে সেভাবে পাননি সাদমান। তাই কোচের পরিকল্পনার চেয়ে পাকিস্তান সফরে নিজের দায়িত্ব নিয়েই খেলার কথা বলছেন তিনি, ‘আমি তো আগে দলে ছিলাম না। তাঁর সঙ্গে খুব একটা আলাপ হয়নি। আমার ব্যাটিং নিয়েও আলাদা পরিকল্পনা করেননি। নিজের দায়িত্ব সামলেছি। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ। এখানে চাপ নিইনি। চাপ চাপের জায়গায়। আমার খেলা আমার জায়গায়। খেলা আর চাপ—দুটো একসঙ্গে চললে ভালো কিছু আসবে না। তাই চাপমুক্ত থেকেই খেলার চেষ্টা করেছি।’ 

সবশেষ ভারত সফরে বাংলাদেশের ওপেনার হিসেবে খেলেছেন দুটি টেস্ট। সাফল্য পাননি সে সময়। তবে এবার ভারতের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ে দৃঢ়সংকল্পের কথা বললেন, ‘ভারত শক্তিশালী দল—কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমরা তাদের শক্তির সামনে আগেই নুইয়ে পড়ব না। আমরা লড়াই করব। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে খেলতে চেষ্টা করব। দলের পরিকল্পনা ও ম্যাচ পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে ব্যাট করব।’

পাকিস্তান সফরের সাফল্য ভারত সিরিজে কাজে দেবে বলেও মনে করেন সাদমান, ‘আসলে পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা সফল হয়েছি। এই সিরিজ জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, আমরা ভালো কিছু করতে চাইলে করতে পারি। ভারত সিরিজেও ভালো কিছু করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
৬ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: বিসিবি
৬ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: বিসিবি

প্রথম ৪ টি-টোয়েন্টি শেষে ২-২ সমতায় ছিল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব ১৯ দল। সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। যেখানে একচেটিয়া দাপ দেখাল সফরকারীরা। স্বাগতিকেদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল তারা।

কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক নারী দলটি। ১৯.১ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয় সাদিয়া ইসলামরা। এক সাদিয়া আক্তার ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ৩০ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এই মিডলঅর্ডার।

সমান ৯ রান করেন সুমাইয়া আক্তার সুবর্না এবং হাবিবা ইসলাম পিংকি। ৭ রান আসে ফারজানা ইয়াসমিন মেধার ব্যাট থেকে। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন বারিরাহ সাইফ। সমান রান খরচ করে ২ উইকেট নেন রোজিনা আকরাম।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানও বিপদে পড়েছিল। দলীয় ১৬ রানে ইমান নাসের ও রাহিমা সাইদকে হারায় অতিথিরা। তবে কোমাল খান, আকসা হাবিবের ব্যাটে বিপদ এড়িয়ে জয়ের পথে আগায় পাকিস্তান। ২৫ ও ২১ রান করেন এই দুজন বিদায় নিলে ফাইজা ফিয়াজ ও আরিসা আনসারির ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে দলটি।

ফাইজা ১৮ ও আনসারি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে অতশি মজুমদার, ফারজানা ও পিংকি একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন পাকিস্তানের বারিরাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে। দুটি তিন দিনের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। সমানে সমানে লড়াই হওয়া ওয়ানডে সিরিজটা জিতে নিল বাংলাদেশের যুবারা।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামেই হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। আজ এই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জিতল মোহাম্মদ রাকিবুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রাকিবুলদের জয়ের পরও বাকি ছিল ৬৭ বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশের যুবারা।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৮০ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নাঈমকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জিমহান মেন্ডিস। নাঈম মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। দ্বিতীয় উইকেটে শেখ জারিফ সিয়াম ও কাওসার আহমেদ গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাওসারকে (৩০) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মানিথা রাজাপক্ষে।

চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আদ্রিতো। তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন সিয়াম-আদ্রিতো। দুজনেই ফিফটি করেন। সিয়াম (৫১), রাকিবুল (০) দ্রুত বিদায় নিলে ২৪.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৫ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন আকাশ রায় ও আদ্রিতো।

জয়ের জন্য যখন ১৩ রান দরকার, তখন আউট হয়েছেন আদ্রিতো। ৭৭ বলে ৪ চারে ৫৩ রান করে তিনি জিমহান মেন্ডিসের কট এন্ড বোল্ডের শিকার হয়েছেন। তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন আকাশ। ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে পুলজিত ওয়াথসুকাকে চার মেরে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন আকাশ রয়।

৬৭ বল হাতে রেখে পাওয়া বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আকাশ। ১০ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার ৩ ওভার মেডেন দিয়েছেন। টস জিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ৪৫.১ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন সানুল বীরারত্নে। বাংলাদেশের আকাশ পেয়েছেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সিয়াম, মোহাম্মদ নুবায়েত আলম, আকাশ রয় ও রাকিবুল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রেহান পেইরিস ও বীরারত্নে রান আউট হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী, সমর্থকদের কাছে ফিফা ‘বিশ্বাসঘাতক’

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপ টিকিটের মূল্য দেখে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। ছবি: এক্স
বিশ্বকাপ টিকিটের মূল্য দেখে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। ছবি: এক্স

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। গত ৫ ডিসেম্বর কেনেডি ওভারে বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম বাঁশি বাজার দিন গুনতে শুরু করেছে ভক্তরা। তবে টিকিটের উচ্চ দামের কারণে বিশ্বকাপ শুরুর ৬ মাস আগেই তোপের মুখে পড়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।

বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই নিবেদিত ভক্তদের জন্য কিছু টিকিট বিক্রি করে জাতীয় সংস্থাগুলো। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী এবারও ৮ শতাংশ টিকিট জাতীয় সংস্থাগুলোর জন্য বরাদ্দ রেখেছে ফিফা। তাতেই প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য। যা রীতিমতো হতাশ করেছে ভক্তদের।

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিটের মুল্য প্রকাশ করেছে জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন। সেই তালিকায় দেখা গেছে, গ্রুপ পর্বের বিভিন্ন ম্যাচের টিকিটের মূল্য সর্বনিম্ন ১৮০ ডলার থেকে ৭০০ ডলারের মধ্যে। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১ হাজার ৯৫৫ থেকে ৮৫ হাজার ৩৮৪ টাকা।

আগামী ১৯ জুলাই নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দেখতে ভক্তদের খরচ করতে হবে আরও অনেক বেশি অর্থ। ফাইনালের সবচেয়ে কম দামি টিকিটের জন্য খরচ করতে হবে ৪ হাজার ১৮৫ ডলার বা ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। সবচেয়ে দামি টিকিট কেনার জন্য গুনতে হবে ৮ হাজার ৬৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৪ টাকা।

প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিটের অত্যধিক মূল্য দেখে ফিফাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেছে ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপ (এফএসই)। এক বিবৃতিতে এফএসই বলেছে, ‘এটা বিশ্বকাপের ঐতিহ্যের প্রতি বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। বিশ্বকাপকে আরও আকর্ষণীয় করতে ভক্তদের যে অবদান, ফিফা সেটাকে পাত্তা দেয়নি।’ বিসিবি জানিয়েছে, সমর্থকদের এমন অভিযোগের পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ফিফা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনদের পাশে বাহরাইনের পেসার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫০
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

কার্বন কপি বলতে যা বোঝায়, ঠিক তা-ই করলেন বাহরাইনের পেসার আলী দাউদ। ক্রিকেট বিশ্বে খুব একটা পরিচিত না হলেও আজ তিনি দুর্দান্ত বোলিং করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। ২০২৫ বিপিএলে তাসকিন আহমেদ যেমন বোলিং করেছেন, স্কোরকার্ড খুললে দাউদেরটাও দেখা যাচ্ছে তেমনই।

বাহরাইন ক্রিকেট দল এখন ভুটান সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ব্যস্ত। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল ভুটানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন দাউদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সৈয়াজরুল ইদ্রিস, নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারমান, বাংলাদেশের তাসকিন ও বাহরাইনের দাউদ আছেন এই তালিকায়। যাঁদের মধ্যে তাসকিন ও দাউদের বোলিং হুবহু একই। এ বছরের ২ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট তাসকিন নিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।

যে চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়ার ইদ্রিস ও বাহরাইনের দাউদের রেকর্ড আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চীনের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ইদ্রিস। এক ওভার মেডেনও দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা এখন পর্যন্ত। এই তালিকায় এখন দুইয়ে বাহরাইনের দাউদ। তাঁর ৭ উইকেটের মধ্যে ভুটানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ তম ওভারে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন ১৮ তম ওভারে।

দাউদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাহরাইন পায় ৩৫ রানের আয়েশী জয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাহরাইন ৪ উইকেটে করে ১৬০ রান। ১৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে ভুটান পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায়। ৭ উইকেট নেওয়া দাউদই পেয়েছেন ম্যাচসেরা। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ বাহরাইন জিতেছে ৪২ রানে। এবার দাউদ পেয়েছেন ১ উইকেট। তাসকিনের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ৭ উইকেট নেওয়া আরেক বোলার কলিন অ্যাকারমান। ২০১৯ ভাইটালিটি ব্লাস্টে বার্মিংহামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অ্যাকারমান তখন খেলেছিলে লেস্টারশায়ার হয়ে।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সেরা বোলিং

দল বোলিং প্রতিপক্ষ সাল

সৈয়াজরুল ইদ্রিস মালয়েশিয়া ৭/৮ চীন ২০২৩

কলিন অ্যাকারমান লেস্টারশায়ার ৭/১৮ বার্মিংহাম ২০১৯

তাসকিন আহমেদ দুর্বার রাজশাহী ৭/১৯ ঢাকা ক্যাপিটালস ২০২৫

আলী দাউদ বাহরাইন ৭/১৯ ভুটান ২০২৫

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত