Ajker Patrika

ক্যারিয়ার শেষ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আইসিসির এই আম্পায়ারের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্যারিয়ার শেষ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আইসিসির এই আম্পায়ারের

ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শেষ করতে যাচ্ছেন মারাইস এরাসমাস। কাল থেকে শুরু হচ্ছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের জন্য এরাসমাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে আইসিসিও।

২০১০ সালে ৬০ বছর বয়সী এরাসমাসকে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে আইসিসি। বর্তমান সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও বেশি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা আম্পায়ারদের মধ্যে একজন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

নির্ভুল আম্পায়ারিংয়ের জন্য ২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ডেভিড শেফার্ড ট্রফি জেতেন এরাসমাস। ছেলেদের ক্রিকেটে ১২৩টি ওয়ানডে, ৪৩টি টি-টোয়েন্টি আর  ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট হবে তাঁর ৮২তম টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করা। নারীদের ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দারুণ ক্যারিয়ারের জন্য এরাসমাসকে প্রশংসায় ভাসিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে মারাইজের অসাধারণ ক্যারিয়ার ছিল। সে বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো আইসিসি টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনাল, সঙ্গে হাই-প্রোফাইল সিরিজ। সর্বদা তার দক্ষতা দেখিয়েছে, ধৈর্যশীলতা এবং সংযম প্রদর্শন করে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও।’

২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয় এরাসমাসের। নিজের ১৭ বছরের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ তৃপ্ত এরাসমাস বললেন, ‘আমি এলিট প্যানেলে একটা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি, বিশ্বজুড়ে কিছু শীর্ষ শ্রেণির ম্যাচে এবং আইসিসি ইভেন্টগুলোয় দায়িত্ব পালন করেছি। যদিও আমি এলিট প্যানেলে থাকা এবং এর সঙ্গে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মিস করব, আমি মনে করি আমার জন্য সময় এসেছে দূরে সরে যাওয়ার এবং অন্য কোনো উপায়ে খেলায় অবদান রাখার জন্য। আমি আইসিসি, সিএসএ এবং প্যানেলে আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই তাদের সমর্থনের জন্য।’

২০১১, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এরাসমাস।  দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক ফাইনালেও। ২০১৩ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন এরাসমাস। ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।

ম্যাচ পরিচালনার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আইসিসির এই এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিতে মাঠ ঠিকঠাক না শুকিয়েই খেলতে নামা, লিটন দাসের পিছলে পড়ে গিয়ে রান আউট। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ক্রিস ব্রাউনের সঙ্গে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন এরাসমাস।

সেই ম্যাচে ৭ ওভার পর শুরু হয় বৃষ্টি। তখন লিটন অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৫৯ রানে। কিন্তু বৃষ্টি থামলে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হন লিটন। আউটফিল্ড কিছুটা ভেজা থাকায় দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে পা পিছলানোয় ঠিকঠাক ডাইভ দিতে পারেননি তিনি, ফলে ২৭ বলে ৬০ রানে আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়। আউট হয়ে কিছু বলে ক্ষোভ ঝাড়তেও দেখা যায় লিটনকে। 

২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউটের আবেদনেও জড়িয়ে এরাসমাস। সেই ম্যাচেও অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত