এবারের বিশ্বকাপে জয় ছাড়া অন্য কোনো শব্দ ভারতের ডিকশনারিতে নেই বললেই চলে। প্রতিপক্ষ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ভেন্যু বদলায়-তবু ভারত হারে না। লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ স্বাগতিকদের কাছে উড়ে গেছে ইংল্যান্ড। ১০০ রানে হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরেই থাকতে হলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ইংল্যান্ডের ওপরে ৯ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্ণৌতে ভারতের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড করেছিল ২৬ রান। এরপর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে জসপ্রীত বুমরাকে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মারেন মালান। এই ওভারেই ইংল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেট হারায়। ওভারের পঞ্চম বলে বুমরাকে ব্যাক ফুটে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মালান। ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন মালান। মালান আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই জো রুটকে এলবিডব্লু করেন বুমরা। রিভিউ নিয়েও গোল্ডেন ডাক মারা থেকে বাঁচতে পারেননি রুট। টানা ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩০ রান।
ইংল্যান্ডের বিপদটা আরও বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে বেন স্টোকসকে বোল্ড করেন শামি। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি স্টোকস। এরপর দশম ওভারের প্রথম বলে বেয়ারস্টোকে বোল্ড করেন শামি। ২৩ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন বেয়ারস্টো। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ইংলিশরা করতে পেরেছে ৪ উইকেটে ৪০ রান।
নিয়মিত উইকেট পড়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের রানের চাকাও ধীর হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় পঞ্চম উইকেট জুটিতে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন মঈন আলি ও জস বাটলার। ধীরেসুস্থে এগোতে থাকলেও জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে কুলদীপ যাদবের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন বাটলার। ২৩ বলে ১ চারে ১০ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক্। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ১৫.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৫২ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৮ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েছেন মঈন ও লিভিংস্টোন। মঈনকে লোকেশ রাহুলের কট বিহাইন্ড করে জুটি ভাঙেন শামি।
৬ উইকেটে ৮১ রান করার পর ইংল্যান্ড আরও দ্রুত ২ উইকেট হারায়। যেখানে ক্রিস ওকসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর লিভিংস্টোনকে এলবিডব্লু করে ইংলিশদের জয়ের আশা অনেকটাই শেষ করে দেন কুলদীপ। তাতে ইংলিশদের স্কোর দাঁড়ায় ২৯.২ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৮ রান। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ইংল্যান্ড। ৪৬ বলে ২ চারে ২৭ রান করেন লিভিংস্টোন।
ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে ৯৮ রান হয়ে যাওয়ার পর আদিল রশিদ-ডেভিড উইলি যা করেছেন, তা শুধু ব্যবধান কমানোর জন্যই। নবম উইকেটে ২৮ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েছেন রশিদ ও উইলি। ৩৪তম ওভারের শেষ বলে রশিদকে বোল্ড করে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়েছেন শামি। এরপর ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে মার্ক উডকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন বুমরা। ৩৪.৫ ওভারে ইংলিশরা অলআউট হয়ে যায় ১২৯ রানে। ইংলিশদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন লিভিংস্টোন। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন শামি। বুমরা, কুলদীপ ও জাদেজা নিয়েছেন ৩, ২ ও ১ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। যা ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। ১টি উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড।
এবারের বিশ্বকাপে জয় ছাড়া অন্য কোনো শব্দ ভারতের ডিকশনারিতে নেই বললেই চলে। প্রতিপক্ষ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ভেন্যু বদলায়-তবু ভারত হারে না। লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ স্বাগতিকদের কাছে উড়ে গেছে ইংল্যান্ড। ১০০ রানে হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরেই থাকতে হলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ইংল্যান্ডের ওপরে ৯ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্ণৌতে ভারতের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড করেছিল ২৬ রান। এরপর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে জসপ্রীত বুমরাকে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মারেন মালান। এই ওভারেই ইংল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেট হারায়। ওভারের পঞ্চম বলে বুমরাকে ব্যাক ফুটে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মালান। ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন মালান। মালান আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই জো রুটকে এলবিডব্লু করেন বুমরা। রিভিউ নিয়েও গোল্ডেন ডাক মারা থেকে বাঁচতে পারেননি রুট। টানা ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩০ রান।
ইংল্যান্ডের বিপদটা আরও বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে বেন স্টোকসকে বোল্ড করেন শামি। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি স্টোকস। এরপর দশম ওভারের প্রথম বলে বেয়ারস্টোকে বোল্ড করেন শামি। ২৩ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন বেয়ারস্টো। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ইংলিশরা করতে পেরেছে ৪ উইকেটে ৪০ রান।
নিয়মিত উইকেট পড়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের রানের চাকাও ধীর হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় পঞ্চম উইকেট জুটিতে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন মঈন আলি ও জস বাটলার। ধীরেসুস্থে এগোতে থাকলেও জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে কুলদীপ যাদবের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন বাটলার। ২৩ বলে ১ চারে ১০ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক্। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ১৫.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৫২ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৮ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েছেন মঈন ও লিভিংস্টোন। মঈনকে লোকেশ রাহুলের কট বিহাইন্ড করে জুটি ভাঙেন শামি।
৬ উইকেটে ৮১ রান করার পর ইংল্যান্ড আরও দ্রুত ২ উইকেট হারায়। যেখানে ক্রিস ওকসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর লিভিংস্টোনকে এলবিডব্লু করে ইংলিশদের জয়ের আশা অনেকটাই শেষ করে দেন কুলদীপ। তাতে ইংলিশদের স্কোর দাঁড়ায় ২৯.২ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৮ রান। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ইংল্যান্ড। ৪৬ বলে ২ চারে ২৭ রান করেন লিভিংস্টোন।
ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে ৯৮ রান হয়ে যাওয়ার পর আদিল রশিদ-ডেভিড উইলি যা করেছেন, তা শুধু ব্যবধান কমানোর জন্যই। নবম উইকেটে ২৮ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েছেন রশিদ ও উইলি। ৩৪তম ওভারের শেষ বলে রশিদকে বোল্ড করে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়েছেন শামি। এরপর ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে মার্ক উডকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন বুমরা। ৩৪.৫ ওভারে ইংলিশরা অলআউট হয়ে যায় ১২৯ রানে। ইংলিশদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন লিভিংস্টোন। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন শামি। বুমরা, কুলদীপ ও জাদেজা নিয়েছেন ৩, ২ ও ১ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। যা ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। ১টি উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড।
রাতে কি ঘুম হবে ইংল্যান্ড দলের। চতুর্থ দিন এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে শেষ হয়েছে তাতে ঘুম না হওয়ারই কথা। বৃষ্টির বাগ্ড়ায় ওভাল টেস্টের রোমাঞ্চ গিয়ে ঠেকল শেষ দিনে। ভারতের সিরিজ নাকি ইংল্যান্ডের জয়—এই প্রশ্ন নিয়ে শুরু হবে কালকের খেলা।
৬ ঘণ্টা আগেচা বিরতির খানিকটা দীর্ঘ করে দিল বৃষ্টি। আগের সেশনে আধিপত্য দেখানো ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলে গেল শেষ সেশনে। সেঞ্চুরি করে জো রুটের ফিরে যাওয়া ওভালের রোমাঞ্চকে আরও জমিয়ে তোলে। রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে করেছে ইংল্যান্ড। জয় থেকে আছে ৩৫ রান দূরে।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের তামিলনাড়ুতে নভেম্বরে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। তা সামনে রেখে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে চলছে যুবাদের ক্যাম্প। দলটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
১০ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডে সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নস অব লিজেন্ডস (ডব্লুসিএল) টুর্নামেন্টটা শেষ হয়েছে গতকাল। এজবাস্টনে ফাইনালে পাকিস্তানকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনাল শেষের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পাকিস্তানকে দুঃসংবাদ শোনাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড...
১৩ ঘণ্টা আগে