Ajker Patrika

জয়–দীপুর তাণ্ডবে চট্টগ্রামের দাপুটে জয়

নিজস্ব প্রতিবেদন
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৫
ফিফটির দেখা পেয়েছেন জয় ও দীপু। চট্টগ্রাম জিতেছে ১৭ বল হাতে রেখেই। ছবি: বিসিবি
ফিফটির দেখা পেয়েছেন জয় ও দীপু। চট্টগ্রাম জিতেছে ১৭ বল হাতে রেখেই। ছবি: বিসিবি

জিততে হলে করতে হবে ১৮৬ রান। যেকোনো বিচারেই এটা বড় লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ঢাকার মেট্টোর দেওয়া এই লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে ছাড়ল চট্টগ্রাম। রাজধানীপাড়ার দলটিকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

চট্টগ্রামের এই দাপুটে জয় এসেছে মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দীপুর ব্যাটিং তাণ্ডবে। দুইজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৩৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন দীপু। ২ চার ও ৫ ছয়ে ইনিংস সাজান এই টপঅর্ডার ব্যাটার। জয়ের ঝড়ের বেগ ছিল আরেকটু বেশি। ৭১ রান করতে ৩৭ বল খেলেন এই ওপেনার। প্রায় ১৯২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করার পথে ৪ চারের পাশাপাশি ৬টি ছয় মারেন তিনি। খুব বেশি বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও কম যাননি মুমিনুল হক সৌরভ।

১৮ বল থেকে ৩১ রান এনে দেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক। এছাড়া ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ১৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বন্দর নগরীর দলটি। তাদের পতন হওয়া উইকেট দুটি ভাগাভাগি করে নেন মাহমুদুল হাসান ও আনিসুল ইসলাম।

এর আগে নাঈম শেখ, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় ঢাকা। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। রবিনের অবদান ৪১ রান। ২৭ বল খেলেন এই ওপেনার। তাদের দুইজনের চেয়ে ব্যাট হাতে বেশি আগ্রাসী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ বল খেলা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। সমান তিনটি করে চার ও ছয়ের মারে ১৮৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান তিনি। এশিয়া কাপে বাজে ব্যাটিংয়ে জাকের আলী অনিক, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নুরুল হাসান সোহানরা যখন সমালোচনার কাঠগড়ায়, তখন এনসিএলে রিয়াদ যেন ছোট ভাইদের দেখালেন, টি–টোয়েন্টিতে কিভাবে ব্যাট চালাতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত