ক্রীড়া ডেস্ক
ব্যাট হাতে ১৩ বলের ২৬ রানের ঝোড়ো ক্যামিও, আর বল হাতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং—৬/৩৫; রিশাদ হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানে জিতল বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ২০৭ রানে তোলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৩ রানে অলআউট। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
লক্ষ্যতাড়ায় যেভাবে শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তাতে বাংলাদেশের জয় নিয়ে একটা সংশয়ই দেখা দিয়েছিল। প্রথম দুই ওভার মেডেন দিলেও পরের দুই ওভারেই ক্যারিবিয়ানরা তুলে ফেলেছিলেন ২৮! পাওয়ার প্লেতে যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩/২, সেখানে বিনা উইকেটে সফরকারীদের রান ৪৫!
এ অবস্থায় যে কাজটা করা উচিত, ঠিক সেটাই করেছেন রিশাদ হোসেন। দ্বাদশ ওভারে বল হাতে নিয়েই চেপে বসেন ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ওপর। তাতে বিনা উইকেটে ৫১ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একপর্যায়ে ৯২ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। আর এই পাঁচ উইকেটেই নিজের ঝুলিতে নিয়েছেন রিশাদ।
বাংলাদেশের এই স্পিনারের বল খেলতে এমনিতেই হিমশিম খান ব্যাটাররা। আর মিরপুরের কালো উইকেটে তিনি দুর্বোধ্য না হয়ে কী পারেন! শেরেবাংলার যে কালো উইকেট নিয়ে এত আলোচনা, সেখানে বাড়তি টার্ন আদায় করে নিয়ে রিশাদ একে একে তুলে ফিরিয়ে দিয়েছেন আলিক আনাথেজ (২৭), কেসি কার্টি (৯), ব্রেন্ডন কিং (৪৪), শেরফান রাদারফোর্ড (০) ও রোস্টন চেজকে (৬)। আর তাতেই ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।
রিশাদের পর মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমানও শিকারের দৌড়ে নামলে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের এটাই সেরা বোলিং। আর রিশাদের ক্যারিয়ারসেরা তো বটেই। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই স্পিনারের আগের সেরা ছিল—২/৩৭।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ২০৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্নের একটা শুরুই হয়েছিল স্বাগতিকদের। দলীয় ৮ রানে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (৩) ও সৌম্য সরকারকে (৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শুরুর এই জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। দেখে শুনে খেলে ১২০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই শান্তকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন খ্যারি পিয়ের। বল বেশি টার্ন করে ভেতরে ঢোকার মুখে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। ব্যাটের কানা এড়িয়ে বল লাগে প্যাডে। বোলার ফিল্ডারদের জোরালো আবেদন।
আম্পায়ার তাতে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হন উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। ৬৩ বলে ৩২ করে আউট শান্ত। আর হৃদয় করেন ৫১ রান করেন হৃদয়। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসটিতে আছে ৩টি চার। ক্যারিবীয় বোলারদের চতুর্থ শিকার হয়ে হৃদয়ের ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ জুটিটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ানডেতে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কান। মাত্র ১৭ রান করে মিরাজ আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। ভাঙে বড় স্কোরের স্বপ্নও। আশা জাগিয়েও ফিফটি করার আগে ৪৬ রানে আউট হয়ে যান অঙ্কনও। ৭৬ বলে খেলা অভিষিক্ত অঙ্কনের ইনিংসে আছে ৩টি চার।
মাঝের ওভারগুলোয় রানের জন্য বাংলাদেশের ব্যাটারদের লড়াই নতুন কিছু নয়। চেনা সেই দৃশ্য দেখা গেল গতকাল মিরপুরেও। ২১.৫ ওভার থেকে ৩৫.৩ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি নিতে পারেনি বাংলাদেশ! একটা পর্যায়ে মনে হয়েছিল দলীয় স্কোর দু শ হবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু সেই সন্দেহের ভূত তাড়াতে অসাধারণ এক ক্যামিও খেলেন রিশাদ হোসেন। ১৩ বলে করে ২৬ রান। ১টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ২০০.০০।
তখন কে ভাবতে পেরেছিল ২০৭ রান করা বাংলাদেশের জয়ের নায়ক হয়ে উঠবেন এই রিশাদই!
জেইডেন সিলস ৩টি উইকেট নিয়েছেন, ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রোস্টন চেজ ও জাস্টিন গ্রিভস।
ব্যাট হাতে ১৩ বলের ২৬ রানের ঝোড়ো ক্যামিও, আর বল হাতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং—৬/৩৫; রিশাদ হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানে জিতল বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ২০৭ রানে তোলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৩ রানে অলআউট। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
লক্ষ্যতাড়ায় যেভাবে শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তাতে বাংলাদেশের জয় নিয়ে একটা সংশয়ই দেখা দিয়েছিল। প্রথম দুই ওভার মেডেন দিলেও পরের দুই ওভারেই ক্যারিবিয়ানরা তুলে ফেলেছিলেন ২৮! পাওয়ার প্লেতে যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩/২, সেখানে বিনা উইকেটে সফরকারীদের রান ৪৫!
এ অবস্থায় যে কাজটা করা উচিত, ঠিক সেটাই করেছেন রিশাদ হোসেন। দ্বাদশ ওভারে বল হাতে নিয়েই চেপে বসেন ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ওপর। তাতে বিনা উইকেটে ৫১ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একপর্যায়ে ৯২ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। আর এই পাঁচ উইকেটেই নিজের ঝুলিতে নিয়েছেন রিশাদ।
বাংলাদেশের এই স্পিনারের বল খেলতে এমনিতেই হিমশিম খান ব্যাটাররা। আর মিরপুরের কালো উইকেটে তিনি দুর্বোধ্য না হয়ে কী পারেন! শেরেবাংলার যে কালো উইকেট নিয়ে এত আলোচনা, সেখানে বাড়তি টার্ন আদায় করে নিয়ে রিশাদ একে একে তুলে ফিরিয়ে দিয়েছেন আলিক আনাথেজ (২৭), কেসি কার্টি (৯), ব্রেন্ডন কিং (৪৪), শেরফান রাদারফোর্ড (০) ও রোস্টন চেজকে (৬)। আর তাতেই ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।
রিশাদের পর মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমানও শিকারের দৌড়ে নামলে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের এটাই সেরা বোলিং। আর রিশাদের ক্যারিয়ারসেরা তো বটেই। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই স্পিনারের আগের সেরা ছিল—২/৩৭।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ২০৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্নের একটা শুরুই হয়েছিল স্বাগতিকদের। দলীয় ৮ রানে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (৩) ও সৌম্য সরকারকে (৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শুরুর এই জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। দেখে শুনে খেলে ১২০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই শান্তকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন খ্যারি পিয়ের। বল বেশি টার্ন করে ভেতরে ঢোকার মুখে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। ব্যাটের কানা এড়িয়ে বল লাগে প্যাডে। বোলার ফিল্ডারদের জোরালো আবেদন।
আম্পায়ার তাতে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হন উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। ৬৩ বলে ৩২ করে আউট শান্ত। আর হৃদয় করেন ৫১ রান করেন হৃদয়। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসটিতে আছে ৩টি চার। ক্যারিবীয় বোলারদের চতুর্থ শিকার হয়ে হৃদয়ের ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ জুটিটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ানডেতে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কান। মাত্র ১৭ রান করে মিরাজ আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। ভাঙে বড় স্কোরের স্বপ্নও। আশা জাগিয়েও ফিফটি করার আগে ৪৬ রানে আউট হয়ে যান অঙ্কনও। ৭৬ বলে খেলা অভিষিক্ত অঙ্কনের ইনিংসে আছে ৩টি চার।
মাঝের ওভারগুলোয় রানের জন্য বাংলাদেশের ব্যাটারদের লড়াই নতুন কিছু নয়। চেনা সেই দৃশ্য দেখা গেল গতকাল মিরপুরেও। ২১.৫ ওভার থেকে ৩৫.৩ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি নিতে পারেনি বাংলাদেশ! একটা পর্যায়ে মনে হয়েছিল দলীয় স্কোর দু শ হবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু সেই সন্দেহের ভূত তাড়াতে অসাধারণ এক ক্যামিও খেলেন রিশাদ হোসেন। ১৩ বলে করে ২৬ রান। ১টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ২০০.০০।
তখন কে ভাবতে পেরেছিল ২০৭ রান করা বাংলাদেশের জয়ের নায়ক হয়ে উঠবেন এই রিশাদই!
জেইডেন সিলস ৩টি উইকেট নিয়েছেন, ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রোস্টন চেজ ও জাস্টিন গ্রিভস।
রিশাদ হোসেনের সাফল্যে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বেশি খুশি কে হবেন, বলুন তো? মুশতাক আহমেদ। স্পিন পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ দলের সব স্পিনারের সাফল্যই তাঁকে আনন্দিত করে। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে নিজেই ছিলেন দুর্দান্ত এক লেগ স্পিনার। লেগিদের প্রতি তাঁর দুর্বলতা, ভালো লাগা থাকবেই। মিরপুরে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
৪ ঘণ্টা আগেমিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা নতুন কিছু নয়। মিরপুরের উইকেটের চরিত্র নিয়ে এত দিন কাঠগড়ায় তোলা হতো কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে। গামিনি এখন মিরপুরে না থাকলেও উইকেটের চরিত্র আছে আগের মতোই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে কালো মাটির ঘূর্ণি উইকেটে বিষাক্ত টার্ন পাচ্ছেন
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের জন্য বরাবরই আতঙ্কের আরেক নাম আর্লিং হাল্যান্ড। চলতি মৌসুমেও নিজের আধিপত্য দেখাচ্ছেন এই স্ট্রাইকার। তাঁকে আটকানোর সব চেষ্টাতেই ব্যর্থ হয় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। এবার হাল্যান্ডকে আটকানোর উপায় বলে দিলেন খোদ ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
৮ ঘণ্টা আগেমিরপুরের ঘনকালো উইকেটে ভুগতে হবে ব্যাটারদের, সেটা জানাই ছিল। তবে যতটা ভোগার কথা তার থেকে একটু বেশিই ভুগল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো পুঁজি পেল না স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করে ২০৭ রান করেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
৯ ঘণ্টা আগে