তিন দিনেই রাঁচিতে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে ভারত। তবু উপমহাদেশের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ১৯২ রানের লক্ষ্য অনেক সময় কঠিন হয়ে দাড়ায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা কিছুটা হলেও ভারতের জন্য কঠিন করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ সামলে ভারত ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা।
বিনা উইকেটে ৪০ রানে আজ চতুর্থ দিনে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে। তাদের নামের পাশে ততক্ষণে ৮ ওভার। ওয়ানডে মেজাজে খেলার ধারাবাহিকতা ভারত ধরে রেখেছে আজও। দলীয় ৮৪ রানে ভেঙে যায় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে জো রুটকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে যান যশস্বী জয়সওয়াল। আউটসাইড এজ হওয়া বল শর্ট থার্ড ম্যানে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করেন জয়সওয়াল।
জয়সওয়াল না পারলেও ফিফটি পেয়েছেন রোহিত শর্মা। ৬৯ বলে তুলে নিয়েছেন ১৭তম টেস্ট ফিফটি। তবে ফিফটি তোলার পর দ্রুত আউট হয়েছেন তিনি। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে টম হার্টলিকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান রোহিত। এই সুযোগে ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষক বেন ফোকস স্টাম্পিং করেন। ৮১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন রোহিত। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা রজত পতিদার আউট হয়েছেন দ্রুতই। ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রজতকে আউট করেছেন শোয়েব বশির।
রোহিত, রজত— দ্রুত এই ২ উইকেট হারালে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ২৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁর সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তিন নম্বরে নামা শুবমান গিল। গিল-জাদেজা ধৈর্য্য ধরে খেলতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ৭১ বলে ২০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। জাদেজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বশির। ৩৩ বলে ৪ রান করেন জাদেজা। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে বশিরের ফুলটস বল সোজা মিডউইকেটে জনি বেয়ারস্টোর হাতে তুলে দেন জাদেজা। ঠিক তার পরের বলে সরফরাজ খানকে ফেরান বশির। ছয় নম্বরে নেমে গোল্ডেন ডাক মারেন সরফরাজ।
বশিরের টানা দুই বলে জোড়া আঘাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৮.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২০ রান। সতীর্থদের আসা-যাওয়া অসহায়ের মতো দেখতে থাকা গিল একপ্রান্তে আগলে খেলতে থাকেন। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে সাবধানে এগোতে থাকেন গিল। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৬ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন গিল ও জুরেল। ৬১তম ওভারের শেষ বলে হার্টলিকে স্কয়ার লেগে ফ্লিক করে ২ রান নেন জুরেল। তাতেই ভারত নিশ্চিত করে ৫ উইকেটের জয়। একই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও জেতে ভারতীয়রা। ১২৪ বলে ২ ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন গিল। এটা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন জুরেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেন ৯০ রান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রথমে ব্যাটিং করে সব উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান করে ইংলিশ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম সেঞ্চুরি জো রুট পেয়েছেন প্রথম ইনিংসেই। ২৭৪ বলে ১০ চারে ১২২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এরপর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন জুরেল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন বশির। ইংলিশ স্পিনারের এটাই প্রথমবারের মতো ১ ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এরপর ভারতীয় বোলারদের ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৫ রানে অলআউট হয়েছে।ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তিন দিনেই রাঁচিতে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে ভারত। তবু উপমহাদেশের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ১৯২ রানের লক্ষ্য অনেক সময় কঠিন হয়ে দাড়ায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা কিছুটা হলেও ভারতের জন্য কঠিন করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ সামলে ভারত ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা।
বিনা উইকেটে ৪০ রানে আজ চতুর্থ দিনে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে। তাদের নামের পাশে ততক্ষণে ৮ ওভার। ওয়ানডে মেজাজে খেলার ধারাবাহিকতা ভারত ধরে রেখেছে আজও। দলীয় ৮৪ রানে ভেঙে যায় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে জো রুটকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে যান যশস্বী জয়সওয়াল। আউটসাইড এজ হওয়া বল শর্ট থার্ড ম্যানে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করেন জয়সওয়াল।
জয়সওয়াল না পারলেও ফিফটি পেয়েছেন রোহিত শর্মা। ৬৯ বলে তুলে নিয়েছেন ১৭তম টেস্ট ফিফটি। তবে ফিফটি তোলার পর দ্রুত আউট হয়েছেন তিনি। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে টম হার্টলিকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান রোহিত। এই সুযোগে ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষক বেন ফোকস স্টাম্পিং করেন। ৮১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন রোহিত। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা রজত পতিদার আউট হয়েছেন দ্রুতই। ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রজতকে আউট করেছেন শোয়েব বশির।
রোহিত, রজত— দ্রুত এই ২ উইকেট হারালে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ২৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁর সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তিন নম্বরে নামা শুবমান গিল। গিল-জাদেজা ধৈর্য্য ধরে খেলতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ৭১ বলে ২০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। জাদেজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বশির। ৩৩ বলে ৪ রান করেন জাদেজা। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে বশিরের ফুলটস বল সোজা মিডউইকেটে জনি বেয়ারস্টোর হাতে তুলে দেন জাদেজা। ঠিক তার পরের বলে সরফরাজ খানকে ফেরান বশির। ছয় নম্বরে নেমে গোল্ডেন ডাক মারেন সরফরাজ।
বশিরের টানা দুই বলে জোড়া আঘাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৮.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২০ রান। সতীর্থদের আসা-যাওয়া অসহায়ের মতো দেখতে থাকা গিল একপ্রান্তে আগলে খেলতে থাকেন। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে সাবধানে এগোতে থাকেন গিল। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৬ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন গিল ও জুরেল। ৬১তম ওভারের শেষ বলে হার্টলিকে স্কয়ার লেগে ফ্লিক করে ২ রান নেন জুরেল। তাতেই ভারত নিশ্চিত করে ৫ উইকেটের জয়। একই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও জেতে ভারতীয়রা। ১২৪ বলে ২ ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন গিল। এটা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন জুরেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেন ৯০ রান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রথমে ব্যাটিং করে সব উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান করে ইংলিশ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম সেঞ্চুরি জো রুট পেয়েছেন প্রথম ইনিংসেই। ২৭৪ বলে ১০ চারে ১২২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এরপর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন জুরেল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন বশির। ইংলিশ স্পিনারের এটাই প্রথমবারের মতো ১ ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এরপর ভারতীয় বোলারদের ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৫ রানে অলআউট হয়েছে।ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বেশির ভাগ সময় বিদেশিরা আইপিএলে ছড়ি ঘোরালেও এবারেরটা একটু ব্যতিক্রম। ১৮তম আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা খেলছেন দাপট দেখিয়েছেন। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই ভারতীয়দের জয়জয়কার। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হাতেনাতে পেয়েছেন তাঁরা।
২৮ মিনিট আগেসিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম দিন থেকেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০০-এর আগেই। দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বোলিং তুলনামূলক ভালো হলেও জিম্বাবুয়ের লিড আটকানো যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে, সমিত সোমও দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এবার আলোচনায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। কিউবাও খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেটে বড় কোনো সুখবর নেই অনেক দিন হলো। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বলার মতো হয়নি এখনো। এই যখন অবস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেটের, তখন সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
৩ ঘণ্টা আগে