নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিলেটে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান তুশারার এক ওভারেই ধসে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। এ ধরনের স্লিঙ্গি অ্যাকশনের ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো প্রস্তুতি নিতে ওয়ানডে সিরিজের আগে কাল চট্টগ্রামে বাংলাদেশের নেটে বোলিং করলেন সোহাগ হোসেন নামের এক তরুণ পেসার। সোহাগের স্লিঙ্গি অ্যাকশনের বোলিং খেলে প্রস্তুতি সারলেও মজার ব্যাপার, লঙ্কানদের তুরুপের তাস হয়ে ওঠা তুশারাকে ওয়ানডে সিরিজে হয়তো খেলতেই হবে না মুশফিকদের।
সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই দিন আগে ম্যাথুসদের সঙ্গে দেশে ফিরে গেছেন তুশারা। তুশারা-পাথিরানার মতো স্লিঙ্গি অ্যাকশনের পেসারদের না সামলাতে হলেও বাংলাদেশের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ৫০ ওভারে লঙ্কানদের অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশকে পেলেই তাঁর ব্যাট যে চওড়া হয়ে ওঠে সে তো সিলেটে দেখাই গেল। শান্ত-মুশফিকদের বিপক্ষে তাঁর পরিসংখ্যান যথেষ্ট উজ্জ্বল। টেস্টে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান বাংলাদেশের বিপক্ষেই তিনি করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর সেঞ্চুরি ২, ফিফটি ২। ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে—৪৮০। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৩ ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিজের সর্বোচ্চ ৬ ফিফটিতে সর্বোচ্চ ৪৩২ রান করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সবচেয়ে বেশি রান এই প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
পরিসংখ্যান উচ্চস্বরে জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ তাঁর ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ। তবে পরশু ম্যাচ শেষে কুশল সংবাদ সম্মেলনে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন বাংলাদেশকে পেলেই তিনি জ্বলে ওঠেন, ‘আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ওদের বোলিং খুব ভালো জানা। ফাস্ট বোলার, স্পিনারদের ভালো জানি। গত কিছুদিনে শ্রীলঙ্কার উইকেটেও ওদের অনেক খেলেছি। বাংলাদেশের উইকেট আর শ্রীলঙ্কার উইকেট অনেকটা কাছাকাছি। এ কারণে ওদের বিপক্ষে খেলা কিছুটা সহজ হয়।’
কুশলের প্রিয় প্রতিপক্ষ যদি বাংলাদেশ হয়, বাংলাদেশ দলেও একজন আছেন, যাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা—মুশফিকুর রহিম! টেস্টে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৪২ রান তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটি একই দলের বিপক্ষে। ২ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১০৭২ রান। নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এর চেয়ে বেশি রান মুশফিক করেছেন আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (১৪৩৭)। ওয়ানডের সর্বোচ্চ ১৪৪ রান লঙ্কানদেরই বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর সবচেয়ে বেশি রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
শ্রীলঙ্কা তাঁর কতটা প্রিয় প্রতিপক্ষ, ক্যারিয়ারে একাধিকবার এ প্রশ্ন শুনতে হয়েছে মুশফিককে। উত্তরে তিনি বেশির ভাগ সময়ে বলেছেন, ‘টেস্টে শ্রীলঙ্কা আমাদের সবচেয়ে বেশি চাপে রেখেছে। সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, দিলশান যখন ছিল, তখন তারা তিন-চারবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছে আমাদের সঙ্গেই। ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে। তখন কিপিং করায় বুঝেছি কতটা কষ্ট প্রতিপক্ষের এই ব্যাটিং দেখা।’ সুযোগ পেলেই শ্রীলঙ্কাকে সেই কষ্টটাই মনে করিয়ে দিতে চান মুশি।
এবার টি-টোয়েন্টিতে ‘দর্শক’ হয়ে মুশফিক দেখেছেন কীভাবে শ্রীলঙ্কা তাঁদেরই মাঠে হারিয়ে গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেওয়া ‘টাইমড আউট’ উদ্যাপন করেছে। চট্টগ্রামে কাল থেকে শুরু ওয়ানডে সিরিজে আরেকটি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথের ফাঁকে তাই অপেক্ষায় থাকতে হবে মুশফিক-কুশলের ব্যাটিং দেখারও।
সিলেটে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান তুশারার এক ওভারেই ধসে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। এ ধরনের স্লিঙ্গি অ্যাকশনের ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো প্রস্তুতি নিতে ওয়ানডে সিরিজের আগে কাল চট্টগ্রামে বাংলাদেশের নেটে বোলিং করলেন সোহাগ হোসেন নামের এক তরুণ পেসার। সোহাগের স্লিঙ্গি অ্যাকশনের বোলিং খেলে প্রস্তুতি সারলেও মজার ব্যাপার, লঙ্কানদের তুরুপের তাস হয়ে ওঠা তুশারাকে ওয়ানডে সিরিজে হয়তো খেলতেই হবে না মুশফিকদের।
সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই দিন আগে ম্যাথুসদের সঙ্গে দেশে ফিরে গেছেন তুশারা। তুশারা-পাথিরানার মতো স্লিঙ্গি অ্যাকশনের পেসারদের না সামলাতে হলেও বাংলাদেশের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ৫০ ওভারে লঙ্কানদের অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশকে পেলেই তাঁর ব্যাট যে চওড়া হয়ে ওঠে সে তো সিলেটে দেখাই গেল। শান্ত-মুশফিকদের বিপক্ষে তাঁর পরিসংখ্যান যথেষ্ট উজ্জ্বল। টেস্টে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান বাংলাদেশের বিপক্ষেই তিনি করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর সেঞ্চুরি ২, ফিফটি ২। ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে—৪৮০। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৩ ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিজের সর্বোচ্চ ৬ ফিফটিতে সর্বোচ্চ ৪৩২ রান করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সবচেয়ে বেশি রান এই প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
পরিসংখ্যান উচ্চস্বরে জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ তাঁর ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ। তবে পরশু ম্যাচ শেষে কুশল সংবাদ সম্মেলনে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন বাংলাদেশকে পেলেই তিনি জ্বলে ওঠেন, ‘আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ওদের বোলিং খুব ভালো জানা। ফাস্ট বোলার, স্পিনারদের ভালো জানি। গত কিছুদিনে শ্রীলঙ্কার উইকেটেও ওদের অনেক খেলেছি। বাংলাদেশের উইকেট আর শ্রীলঙ্কার উইকেট অনেকটা কাছাকাছি। এ কারণে ওদের বিপক্ষে খেলা কিছুটা সহজ হয়।’
কুশলের প্রিয় প্রতিপক্ষ যদি বাংলাদেশ হয়, বাংলাদেশ দলেও একজন আছেন, যাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা—মুশফিকুর রহিম! টেস্টে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৪২ রান তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটি একই দলের বিপক্ষে। ২ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১০৭২ রান। নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এর চেয়ে বেশি রান মুশফিক করেছেন আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (১৪৩৭)। ওয়ানডের সর্বোচ্চ ১৪৪ রান লঙ্কানদেরই বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর সবচেয়ে বেশি রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
শ্রীলঙ্কা তাঁর কতটা প্রিয় প্রতিপক্ষ, ক্যারিয়ারে একাধিকবার এ প্রশ্ন শুনতে হয়েছে মুশফিককে। উত্তরে তিনি বেশির ভাগ সময়ে বলেছেন, ‘টেস্টে শ্রীলঙ্কা আমাদের সবচেয়ে বেশি চাপে রেখেছে। সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, দিলশান যখন ছিল, তখন তারা তিন-চারবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছে আমাদের সঙ্গেই। ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে। তখন কিপিং করায় বুঝেছি কতটা কষ্ট প্রতিপক্ষের এই ব্যাটিং দেখা।’ সুযোগ পেলেই শ্রীলঙ্কাকে সেই কষ্টটাই মনে করিয়ে দিতে চান মুশি।
এবার টি-টোয়েন্টিতে ‘দর্শক’ হয়ে মুশফিক দেখেছেন কীভাবে শ্রীলঙ্কা তাঁদেরই মাঠে হারিয়ে গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেওয়া ‘টাইমড আউট’ উদ্যাপন করেছে। চট্টগ্রামে কাল থেকে শুরু ওয়ানডে সিরিজে আরেকটি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথের ফাঁকে তাই অপেক্ষায় থাকতে হবে মুশফিক-কুশলের ব্যাটিং দেখারও।
কলম্বোতে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ অবশ্য পথ হারিয়েছে। ব্যাটিংয়ে করতে পারেনি গলের পুনরাবৃত্তি। প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। একই উইকেটে দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২৯০ রান তুলে ফেলেছে। ৪৭ রানের লিড নেওয়ার পাশাপাশি হাতে আছে ৮ উইকেট।
৪ ঘণ্টা আগেসমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যে কারোরই তখন বোঝার কথা কী হতে চলেছে! রোনালদোও হাসিমুখে বললেন, ‘আল নাসর, চিরকাল।’ না চিরকাল নয়, আপাতত আরও দুই বছরের জন্য আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি করেছেন ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অনেক ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট ভেন্যুর মতো এবার ‘হোম অব ক্রিকেট’খ্যাত শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হলো অনার্স বোর্ড। তবে এটি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নয়, বরং তাদের পথচলার সূচনালগ্নকে সম্মান জানাতে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী আজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে উৎসবের এক দিন কাটল। একইসঙ্গে চোখ ছিল কলম্বোতেও। যেখানে বাংলাদেশ ভালো করতে পারলে হয়তো সোনায় সোহাগা। সেই প্রাপ্তি অবশ্য মেলেনি হতাশার বোলিংয়ের কারণে। কলম্বো টেস্টের ধুসর দিনটা বাংলাদেশ পার করল স্বাগতিকদের চেয়ে ৪৩
৭ ঘণ্টা আগে